User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ফজলুল কাদের কাদেরীর এই বইটিকে শুধু একটি বই হিসাবে দেখলে ভুল হবে। এটি বাংলাদেশ নামের দেশটির জন্ম নেওয়ার ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গবেষনাধর্মী একটি দলিল। এই বইয়ের একটি পৃষ্ঠাকেও অস্বীকার করার উপায় নেই। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১ বছরের মাথায় এই বইটি প্রকাশ করে ফজলুল কাদের কাদেরী অসাধ্য সাধন করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা এটিই সম্ভবত প্রথম বই। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হওয়া বইটি এখনও খুবই জনপ্রিয়। সঠিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ জেনোসাইড এ্যান্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস বইটি পড়া উচিত সকলের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বইটি পড়ে এতটাই আবেগ আপ্লুত হয়েছিলেন যে, ফজলুল কাদেরকে সামনে ডেকে বলেছিলেন বইটি আরো বেশি সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য। বাংলাদেশের সব মানুষ যাতে বইটি পড়তে পারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা যে গনহত্যা চালিয়েছিল সে খবর বাইরের পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছিল পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে। অনেক দেশের সাংবাদিক তখন কাজ করছিল বাংলাদেশে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা সংবাদ প্রকাশ করেছেন, ছবি তুলেছেন। বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি পাঠিয়েছেন তাদের পত্রিকায়। বিশ্ববাসি একারনেই এত দ্রুত জানতে পারে বাংলাদেশের উপর পাক বাহিনীর নির্মমতার কথা। ৯ মাসের যুদ্ধে গঢ়ে প্রতিদিন পাক বাহিনী ১১১১ জনকে হত্যা করে। যে সংবাদগুলো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল এবং পাশাপাশি যে ছবিগুলো বাইরের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে ছিল সেগুলো সব সংগ্রহ করে লেখক তার এই বইটিতে দিয়েছেন পাঠকদের জানার জন্য। ১৯৭২ সালে এখনকার মত তথ্য আদান-প্রদান করা এত সহজ ছিল না। লেখককে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে পেপার কাটিং ও অন্য প্রমানাদি যোগার করতে। বইটির জন্য লেখককে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। বাংলাদেশ জেনোসাইড এ্যান্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস বইটি আমাদের সবার পড়া দরকার।
Was this review helpful to you?
or
ফজলুল কাদের কাদেরী মুক্তিযুদ্ধের এক বছরের মধ্যেই ১৯৭২ সালে প্রকাশ করেন এক অসাধারন গবেষনাধর্মী গ্রন্থ 'বাংলাদেশ জেনোসাইড এন্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস'। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয়ে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানতে চেষ্টা করি। এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভুমিকা নিয়ে গবেষণাধর্মী বই 'বাংলাদেশ জেনোসাইড এন্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস'। গণমাধ্যম বলতে এখানে মুলত সংবাদ মাধ্যম এর ভুমিকাই তুলে ধরা হয়েছে। কারন তৎকালীন সময়ে টেলিভিশন ও বেতার ততটা জনপ্রিয় ও সহজলভ্য ছিলনা যতটা ছিল সংবাদপত্র।তাই এই বই এর বিষয়বস্তুই হল মূলত সংবাদপত্রের বিভিন্ন প্রতিবেদন ও তাদের ভুমিকা।যুদ্ধ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা যেমন অর্থবহ তেমনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সেইসব প্রতিবেদন যুদ্ধের প্রামান্য দলিল মানা হয়। ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশে যে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।তা বাইরের বিশ্বের জানার একমাত্র পন্থাই ছিল সংবাদপত্র। যুদ্ধকালীন এই সময়ে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ সংগ্রহ করতেন এবং পত্রিকাগুলো তে পাঠাতেন।আর এই প্রতিবেদন এর মাধ্যমেই দেশবাসী ও পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহ জানতে পেরেছিল এই দেশের তৎকালীন অবস্থা,পাক বাহিনীর ভয়ানক ও বীভৎস অত্যাচার নির্যাতন এর কাহিনী।এবং একই সাথে এসব সংবাদই মানুষের মনে তীব্রভাবে প্রভাব ফেলেছিল।যার ফলে বিশ্ব মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাহলো এই প্রতিবেদনের কতটুকে সত্যতা রক্ষা করা হয়েসে। তথ্য গুলো কতটা সত্য, কতটা নিরপেক্ষ, দেশী বিদেশী সাংবাদিকরা কতটা তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন এ সবকিসুই বইটিতে অসাধারন ভাবে গ্রন্থিত করা হয়েছে। তাই যারা শুধু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনেই সন্তুষ্ট না।আর ও জানতে আগ্রহী তাদের অবশ্যই উচিত বইটি পড়া।
Was this review helpful to you?
or
ফজলুল কাদের কাদেরী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট লেখক।। তার অন্যতম সৃষ্টি বাংলাদেশ থেকে প্রথম প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ‘বাংলাদেশের গণহত্যা এবং বিশ্ব সংবাদপত্র’ নামে বই লেখা। এই বইটি প্রকাশের পর পাঠকের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বইটি ১৯৭২ সালে ২১ ফেব্র“য়ারি প্রকাশিত হয়। সেসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বইটির উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধু বইটির কলেবর বৃদ্ধি করে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের জন্য লেখককে নির্দেশ দেন। ঐ বছরই ২২ অক্টোবর ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে এর ৫ম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫৪টি দেশের ১৩৭টি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও কিছু বিরল ছবি সন্নিবেশিত হয়। বইটি সরকারি স্বীকৃতি পায় এবং লেখক জাতীয় স্বাধীনতা পরিষদ কর্তৃক স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। বইটি তৎকালীন সরকার ৭টি দেশের সরকারপ্রধানদের উপহার দেয়ার জন্য লেখককে সেসব দেশে পাঠান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে বিশ্বের ৫৪টি দেশের ১৩৭টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে তিনি দালিলিক গ্রন্থ ‘বাংলাদেশ জেনোসাইড অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস’ প্রকাশ করেন। এই জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের সংগ্রহ বলেই এই বইকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সবচেয়ে বেশী তথ্যবহুল বই বলা চলে । প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে অসীম দেশেপ্রেম নিয়েই তিনি করেছিলেন এই অসাধারণ কাজ । চেষ্টা সাহস আর পরিশ্রম দিয়েই তিনি সংগ্রহ করেছিলেন অসংখ্য সচিত্র প্রতিবেদন পেপার কাটিং আরই তারই সংকলন এই বইটি । তাই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পড়ে ফেলুন এই বইটি ।।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ গবেষনাধর্মী একটি গ্রন্থ হল 'বাংলাদেশ জেনোসাইড এন্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস' বইটি যার রচয়িতা ফজলুল কাদের কাদেরী। এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে। বইয়ের শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন, এই বইয়ের মূল প্রেক্ষাপট হল বাংলাদেশের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। আর নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে এর বিষয়বস্তু হল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের ভূমিকা ও তার প্রভাব। যেকোন ঘটনারই গভীরে যেতে আমাদেরকে সাহায্য করে ওইসব ঘটনা নিয়ে পত্রিকার পাতায় উঠে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন। পত্রিকার ওইসমস্ত প্রতিবেদন যেমন সমসাময়িককালে মানুষকে জানতে সাহায্য করে ঘটে যাওয়া বা ঘটমান পরিস্থিতির খুঁটিনাটি সবকিছু, তেমনি পরবর্তিকালে ওইসব ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস ধারণ করে পরিণত হয় কোন ঘটনা বিশেষ সম্পর্কিত প্রামান্য দলিলে। কে না জানে, যুদ্ধ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা কতটা অর্থবহ হতে পারে! ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশে যে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা বিশ্ববাসীকে জানাতেও মূলত বৈশ্বিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাই ছিল সর্বাধিক। সংবাদমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রতিদিনকার সর্বশেষ সংবাদ পাঠিয়েছিলেন তাদের পত্রিকায়। আর তাদের সেসব পাঠানো সংবাদসমূহই প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন পত্রিকায়। মূলত তখনকার দিনে টেলিভিশন খুব একটা জনিপ্রিয় না থাকায় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদই মানুষের নিকট বেশি গ্রহনযোগ্য ছিল। আর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদই তারা স্বতস্ফুর্তভাবে গ্রহণ করত। ফলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদনগুলোও পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পেরেছিল। এবং একই সাথে এসব সংবাদই মানুষের মনে তীব্রভাবে প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু এখন একটা প্রশ্ন থাকতেই পারে যে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের খবর কতটা গুরুত্বের সাথে পরিবেশিত হয়েছিল বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে? সেসব সংবাদ কতটাই বা যথার্থ ও সত্য ছিল? নিরপেক্ষভাবে কি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল নাকি ভাসাভাসা সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল? বিদেশী সাংবাদিকেরা কতটা গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন এদেশে ঘটে চলা ভয়াবহতার সাথে? আর সবশেষে অবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিশয়টি, তা হলঃ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহ কেমন প্রভাব ফেলেছিল মানবমনে? এসকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে আলোচ্য বইটিতে। কোন কোন পত্রিকায়, এদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর কিভাবে এবং কেম গুরুত্বের সাথে পরিবেশিত হয়েছিল সে সম্পর্কে ব্যাপক গবেষনাপূর্বক বইটি রচনা করেছেন ফজলুল কাদের কাদরী। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আগ্রহী, তারা তো শুধু একাত্তরের ভয়াবহতার বর্ননা সম্পর্কে জানতে পেরেই সন্তুষ্ট না। আগ্রহী মন জানতে চাইবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পারিপার্শ্বিক আরও অনেক ঘটনার ব্যাপারে। মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহী সেইসব জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এই বইটি বিবেচিত হবে মাস্টারপিস হিসেবে। কেননা এই বইয়ের মাধ্যমে তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত ভূমিকা।