User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Shafique Hasan

      15 May 2014 12:05 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রাচীনকালে পটভূমিতে রচিত যে কোনো সাহিত্যই আলাদাভাবে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইতিহাস তথা নিরেট সত্যের সাথে লেখক সৃজনশীলতার প্রলেপ কীভাবে দেন- কেমন হয় তার মিথস্ক্রিয়া অনেকেই এটা সচেতন বা অচেতনভাবে অনুধাবন করতে চান। এটা সত্য, বর্তমান সময়ে বসে প্রাচীনকালের যে কোনো কিছু নিয়ে লেখা অনেকটাই কঠিন। এসব ক্ষেত্রে লেখক যদি দক্ষ না হোন, ইতিহাস সম্বন্ধে ভালো ধারণা না রাখেন, বর্তমান থেকে অতীতকে যথার্থভাবে আলাদা করতে সম না হন তবে ‘এ্যাক্সিডেন্ট’ না হয়েই যায় না! তরুণ লেখক চিন্ময় রায় চৌধুরীর সময়ের সাগর তীরে তেমনই একটি উপন্যাস। এ উপন্যাসের পটভূমি ফেরাউনশাসিত প্রাচীন মিশর। সেই মিশর- পাঠ্যবইয়ে ছাত্রদের নীলনদের তীরে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো তা মুখস্থ করতে হয়েছিলো এবং এখনো হচ্ছে। এ হচ্ছে সেই মিশর- যেখানে সৃষ্টি হয়েছে মমি প্রথা, স্ফিংস ও অনেক রকম কৌতূহল জাগানিয়া বস্তু। মিশরের মিথগুলো এখনো মানুষকে টানে, নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করে। ইতিহাস বরাবরই সাধারণের আকর্ষণের বস্তু, আর একটি জনপদে সভ্যতার আলোকপ্রাপ্তি তো আরো কৌতূহলের বিষয়। উপন্যাসটি শুরু হয়েছে নীলনদের বর্ণনা দিয়ে। যদিও লেখক এটাকে নীল নদী হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন। এর ভৌগোলিক অবস্থান, বিস্তৃতি-পরিধি, নানান রকম পরিসংখ্যান, ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব- ইত্যাদি বিষয় বর্ণিত হয়েছে টানা ৪ পৃষ্ঠা। উপন্যাসের আঙ্গিকের সাথে এরকম ‘তথ্যকণিকা’ মানানসই কিনা প্রশ্ন জাগাটা অস্বাভাবিক নয়। এক উৎসবের দিনে নীল নদে গোসল করতে আসে উপন্যাসের নায়িকা চৈতী। ঘটনাচক্রে তার সাথে পরিচয় হয় রুদ্রের। পরিচয়ের সাথে সাথেই একে অন্যের প্রেমে পড়ে যায়। প্রেম আসলেই এতটা সহজলভ্য কিনা, এটা কি সিনেমাটিক প্রেম- এ ধরনের প্রশ্নে না গিয়ে অন্য প্রশ্ন উত্থাপন করা যেতে পারে। চৈতী এবং রুদ্রের চরিত্রের সংলাপ বিনিময়ের ক্ষেত্রে লেখক সরাসরি দুজনের নাম ব্যবহার করেছেন। পরেও, অন্যান্য চরিত্রের ক্ষেত্রে বহমান ছিলো ধারাটি। সংলাপে চরিত্রের নাম ব্যবহার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যুগকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। বর্তমানে এভাবে নাটক লেখা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই গল্প-উপন্যাস নয়। পরিচয়পর্বেই দুজনেরই পরিচয় খোলাসা হয়- চৈতীর মা নেই। বুড়ো বাবা অসুস্থ। বাবার তত্ত্বাবধান সে-ই করে। অন্যদিকে রুদ্রের মা-বাবা কেউই নেই। চাচার আশ্রয়ে থাকে। চাচা ফেরাউন রাজার নপুংসক বিভাগের প্রধান। নিজেও নপুংসক। ফেরাউন রাজা যাকে-তাকে নপুংসক করে চিরগোলামে পরিণত করে রাখেন। মিশরের সুদর্শন ছেলেদের তালিকা করে সে অনুযায়ী তাদের নপুংসক বানিয়ে দেয়া হয়। নপুংসক বানানোর পর যুবকরা রাজবাড়িতে করার কাজ করার ‘সুযোগ’ পায়। দেশের সব সুন্দরী নারীর প্রতি রাজা এবং রাজপুত্রেরই একচ্ছত্র অধিকার। সুন্দরী মেয়েদের জড়ো করা হয়েছে রাজপ্রাসাদে। এরা যৌন সাহচর্য দিয়ে, উলঙ্গ নৃত্য করে, গান গেয়ে রাজা এবং রাজপুত্রের মনোরঞ্জন করে। রাজপ্রাসাদে এ দুজনই কেবল পুরুষ, অন্যরা নপুংসক। নপুংসক বানানোর কারণ- যাতে কেউ প্রাসাদে অবস্থানকারী রাজকর্মচারী তথা রতিাদের দিকে হাত বাড়াতে না পারে। উপন্যাসের শুরু থেকে শেষ প্রাপ্ত বয়স্কদের- সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু, তবু এ উপন্যাস কাদের জন্য লেখা- ছোটদের নাকি বড়দের জন্য- মাঝে-মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। কখনো-কখনো মনে হয় ছোটদের; কারণ লেখক বিভিন্ন জায়গায় তুমি সম্বোধন করে পাঠকের সাথে সংযোগ সাধন করেছেন। যেমন- ‘নীল নদীর নাম তোমরা অনেকেই শুনেছো- কেমন অনন্ত যৌবনা, চির চঞ্চল, চির প্রেম, নিমগ্ন মনে হয় না?’ পৃষ্ঠা ১০। উপন্যাসের চরিত্রের সাথে মনস্তাত্ত্বিক বিষয় মেলানোর জন্য লেখক নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন- ‘আসলে কী জানো, মানুষ যা দেখতে চায় তাই দেখে। আর যা শুনতে চায় তাই শোনে। তোমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না? একটা গল্প বলি শোনো...।’ পৃষ্ঠা ২৮। এরপর লেখক তার স্কুলজীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার বর্ণনা দিলেন ২ পৃষ্ঠাজুড়ে। এও জানালেন- যে স্কুলে তিনি পড়তেন সেই স্কুলেরই ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় লেখক পাঠকের সাথে কথোপকথনে মেতে উঠেছেন। কখনো মনে হয়েছে এই পাঠকরা কিশোর আবার কখনো মনে হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক। রুদ্র ও চৈতীর দৈহিক মিলনের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখক বলেন- ‘...রুদ্র লোভ সামলাতে পারলো না, সে চৈতীকে ঝাপটে ধরে তাকে বুকের ভেতর টেনে নিয়ে জীবনের সব স্বপ্নের কামনার, প্রেমের ভালোবাসার সোহাগে আবদ্ধ করে নিলো। পরম পাবার আনন্দে দু’জনে যৌবন ফোয়ারায় তারা নিমজ্জিত হয়ে দু’জনে অসীম তৃপ্তি পেলো। এবার চৈতী আবার সোহাগের বর্জ্য পরিষ্কার করে কাপড় জড়িয়ে নিলো তার শরীরে।’ পৃষ্ঠা ৩৭। লেখক বোধহয় বারবার পথ হারিয়েছেন। অনেক জায়গায় তিনি উত্তমপুরুষেও লিখেছেন- ‘নীল জলের প্রতি আমার প্রচণ্ড আকর্ষণ’। পৃষ্ঠা ৯। অবশ্য এ ধরনের লেখা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেখা গেছে; কেউ কেউ লিখেছেন। নামপুরুষে বর্ণিত লেখার ভেতরে ঢুকে গেছেন স্বয়ং লেখক। কিন্তু এ ধরনের বাক্য মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে- ‘সেকালে আমাদের এ যুগের মতো জামা-কাপড় ছিলো না। কাপড়-চোপড় তখন অনেক সহজলভ্য ছিলো না।’ পৃষ্ঠা ২২। তুলনাটা কি যথেষ্ট গোলমেলে নয়? লেখক আসলে কোথাও থিতু হতে পারছেন না। সেকালের গল্প বলতে গিয়ে একালের সাথে তুলনা করতে হচ্ছে। তিনি বোধহয় ভুলে গেছেন- পাঠক এতটা মূর্খ হয় না, তারা সেকাল এবং একালের পার্থক্যটা বোঝে! বিশেষ করে উপন্যাসের পাঠকরা। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় লেখক জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে একের পর ভজঘট পাকিয়েছেন। উৎসর্গপত্র পড়েই অনেক পাঠকের চোখ ছানাবড়া হবে, বিশাল হোঁচট খাবেন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করে লেখক লিখেছেন- ‘বাংলা সাহিত্যে কৌতুক প্রণেতা ও সম্রাট সদ্য প্রয়াত কথাসাহিত্যিক জনাব হুমায়ূন আহমেদকে’। হুমায়ূন আহমেদ কি ‘বাংলা সাহিত্যে কৌতুক প্রণেতা ও সম্রাট’? এ তথ্য লেখক কোত্থেকে পেলেন? কি অবলীলায় চিন্ময় রায় চৌধুরী দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখককে কৌতুক প্রণেতা বানিয়ে দিলেন! এরচেয়ে বড় কৌতুক আর কিছুই হয় না। বোঝাই যাচ্ছে, বইটিতে সম্পাদকের হাতে পড়েনি। সুম্পাদিত দূরে থাক, বইটি সম্পাদিতও নয়। বানান ভুলের আধিক্য ভীষণ রকম দৃষ্টি কাড়ে। এ ধরনের কিছু ভুলভ্রান্তির বিষয় বাদ দিলে অনুপম কাহিনীবিন্যাস, ঘটনার চমৎকারিত্বে পাঠক বইটির শেষ শব্দটি পর্যন্ত এগিয়ে যেতে থাকেন। না এগিয়ে উপায়ও নেই- কাহিনীর যে তীব্র ‘মোচড়’, এর শেষ না দেখা পর্যন্ত যেন স্বস্তি নেই। রুদ্র এবং চৈতীর বাড়ি কয়েক গ্রাম দূরত্বে। নিজেদের বাড়ি থেকে রাতের বেলা রুদ্র চৈতীদের গ্রামে আসে- অভিসারের আকাক্সায়। ভালোবাসাবাসির একপর্যায়ে চৈতীর সাথে দেখা করার নির্ধারিত দিনে রুদ্র বাধাপ্রাপ্ত হয়। সুদর্শন বলে ইতোমধ্যে তার নাম উঠে গেছে রাজখাতায়- নপুংসক বানিয়ে তাকে রাজকর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত করা হবে। নামটি ফেরাউন অনুমোদন করেছেন বলে নপুংসক বিভাগের প্রধান হয়েও রুদ্রের কাকা রইস মিয়ার কিছুই করার থাকলো না। কিন্তু তার মতো রুদ্রও নপুংসক হয়ে গেলে বংশে বাতি জ্বালানোর কেউই থাকবে না- এই আশঙ্কায় রুদ্রকে পালিয়ে যেতে বলেন। রুদ্র পালায়। কিন্তু কোথায়ই বা পালাবে, কতদূরে রাজার পোষা বাহিনীর নজরদারির হাত থেকে? ঘটনাচক্রে রুদ্র ধরা পড়ে। সে বন্দি হয় রাজপ্রাসাদে। এদিকে রুদ্রের কোনো খোঁজ না পেয়ে মুষড়ে পড়ে চৈতী। বাবার আচানক মৃত্যু তার ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে একপর্যায়ে সে রতিা হিসেবে নাম লেখায় রাজপ্রাসাদে। ঠাঁই হয় ফেরাউনের প্রাসাদে। চৈতীর অকৃত্রিম সৌন্দর্য রাজপ্রাসাদের রক্ষিতা, রাজকন্যাসহ সকলের দৃষ্টি কাড়ে। সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে রাজকন্যা তার সাথে সইয়ের সম্পর্ক পাতে। একই প্রাসাদে অবস্থান করছে রুদ্র এবং চৈতী- কিন্তু কেউ কারো হদিস জানে না। উপন্যাসের শেষে, চৈতীর সাথে সই পাতানোর অনুমোদন নেয়ার জন্য রাজকন্যা ফেরাউনের দরবারে যায়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন নপুংসক বিভাগের প্রধান, রুদ্রের চাচা রইস মিয়া। অপ্রত্যাশিতভাবে রুদ্রকেও সেখানে দেখে ফেলে চৈতী। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, অবসন্ন চৈতীর মনে প্রশ্ন জাগে- ‘রুদ্র কী আমায় চিনতে পেরেছে? আমি যে রুদ্রকে চিনেছি- কথা রুদ্র কী জানে?’ প্রকৃতির নিখুঁত বর্ণনার পাশাপাশি লেখকের প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার এ বইয়ের বড় সম্পদ। দর্শনঋদ্ধ বাক্যাবলি পাঠকের জন্য বাড়তি পাওনা- প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত সব বয়সের মানুষের মধ্যে চিরদিন বেঁচে থাকে শিশুসুলভ একটি ভিন্ন সত্তা। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে ঐ সত্তাটি আবার কখনো কখনো জেগে ওঠে। আর সে জেগে ওঠার কারণে প্রাপ্ত বয়স্করাও শিশু সারল্যের স্পর্শকাতর এবং অতি সংবেদনশীলতার হাবভাব ও চরিত্র প্রকাশ করে। এটা কোনো ন্যাকামো নয়। মনোজাগতিক নিয়মে এবং গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত। তাই বুঝি রুদ্রের জন্য অচেনা এক মাতৃরূপা মধ্যবয়সী স্নেহময়ী এবং স্ব-অধিকারে মাতৃত্বের দাবিদার রমণীর কাছে মা বলে ডাকার অধিকার চাওয়া সহজ হয়েছিলো। পৃষ্ঠা ৪৬ ফেরাউনের প্রাসাদে বন্দি রুদ্র মাতৃপ্রতিম জ্ঞানদাকে মা ডাকার অধিকার পেয়ে মানসিক আশ্রয় পেয়েছিলো। অন্যদিকে তুলনামূলক চৈতীর প্রাপ্তির হিসাবটা আরো বেশি। বাড়তি হিসেবে সে পেয়েছে দূরের নলবন এবং নীলনদ। যা তার আশৈশব পরিচিত এবং স্মৃতি দিয়ে ঘেরা- ওরা চলে গেলে চৈতী ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেকণ জানালা দিয়ে নীল নদীর দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। দুহাত দিয়ে জানালার শিক ধরে নলবনটি দেখার জন্য শিকের উপরে ভর করে উঁচু হয়ে দেখার চেষ্টা করলো। ওর মনে হলো কতযুগ যেন এই প্রাসাদে বন্দি। কত বছর যেন নীল নদীর সাথে ওর দেখা হয়নি। চোখ দিয়ে দেখা আর মনের ভেতরে দেখা এ দুটো অভিজ্ঞতার মধ্যে যখন মিল থাকে না তখন সবকিছু গোলমেলে লাগে। অবশ্য অন্তরদৃষ্টি বাস্তব দেখার চেয়ে বেশি প্রগাঢ় করে তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে তাকে বিলীন করে দেয়। পৃষ্ঠা ৭১ ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করা লেখক চিন্ময় রায় চৌধুরী লেখালেখিকে একেবারেই নবীন নন। এর আগেও তার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। লেখা গানের সিডি রিলিজ পেয়েছে আমেরিকা ও ভারত থেকে। কবিতা লেখেন বলেই বোধহয় কবিতার অনুষঙ্গ এবং কিছু উজ্জ্বল বাক্যের ঝলকানি রয়েছে বইটির পরতে পরতে। নামকরণেও আছে মুন্সিয়ানার ছাপ। সাগরের সাথে সময়ের তুলনা নতুন একটি ব্যঞ্জনার জন্ম দিয়েছে। সাগর বহমান, অন্যদিকে সময়ও বহমান- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন বিষয় হলেও একটি জায়গায় মিল খুঁজে পেয়েছে। অন্যদিকে মানুষের জীবনও বহমান। এই বহমান জীবনকে সামনে রেখেই রচিত হয় গল্প উপন্যাস এবং আরো সব শিল্পকীর্তি। একজন শিল্পী আসলে কিছুই করেন না- তার সময়কে চিত্রিত করা ছাড়া! সময়কে সামনে রেখেই শিল্পসত্তার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন চিন্ময় রায় চৌধুরী। আশা করা যায়- সাহিত্যের সাগর তীরে দাঁড়িয়ে লেখক আরো অনেক পাঠক-দর্শককে চকিতে আরো অনেককিছু দেখানোর-পড়ানোর সুযোগ করে দেবেন। যে কোনো শিল্পেরই প্রধান ‘কাঁচামাল’ সময়। সে হিসেবেও বলা যায়- প্রথম উপন্যাসের রচয়িতা হিসেবে চিন্ময় রায় চৌধুরী সঠিক জায়গাতেই ‘নক’ করেছেন। সফলও হয়েছেন অনেকটা। চূড়ান্ত হিসাবে সময়ের সাগর তীরে উপন্যাসটি ঐতিহাসিক উপন্যাস হয়ে ওঠেনি। হয়তো লেখকের সে অভিপ্রায়ও ছিলো না- তিনি নিটোল একটি প্রেমের গল্পই বলতে চেয়েছেন। সময়ের সাগর তীরে-র বাইন্ডিং সুন্দর, ছাপাও ঝকঝকে। এসব ক্ষেত্রে সিঁড়ি প্রকাশন নিজের নামের সুবিচার করেছে। কিন্তু ৫ ফর্মার বইটির দাম রাখা হয়েছে ১৮০ টাকা- পাঠকের ক্রয়মতার বিচারে একটু বেশিই মনে হলো। সময়ের সাগর তীরে চিন্ময় রায় চৌধুরী প্রকাশক : সিঁড়ি প্রকাশন প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৩ প্রচ্ছদ : নিয়াজ চৌধুরী তুলি দাম : ১৮০ টাকা

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!