User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Soma Rahman

      19 Apr 2016 12:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে লেখা অনন্য একটি বই। মানুষ জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত তখন থেকেই যখন থেকে মানুষ আকাশ দেখতে শুরু করেছে। আর আকাশ যেহেতু সর্বক্ষণের সঙ্গী তাই মানুষের বুদ্ধিমত্তার বিকাশের শুরু থেকেই মানুষ জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা করে আসছে। হতে পারে তারা ভুল কিংবা আংশিক সঠিক, তবুও জ্যোতির্বিজ্ঞানের শুরুটা তারাই করে দিয়েছিল। এটা নাহয় ধরে নেয়া গেল মানুষ পর্যাপ্ত বুদ্ধিমত্তার শুরু থেকেই আকাশ পর্যবেক্ষণ করতো কিন্তু কেমন ছিল তাঁদের সেই আকাশ চিন্তা? আর সেই মানুষগুলোই বা কারা? তারা পৃথিবীর কোথায় থাকতো? কেমন ছিল তাঁদের রীতিনীতি এইসব নিয়ে চমৎকার এবং তাক লাগানো আলোচনা পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। আজকালকার প্রায় সকল পত্রিকায় থাকা রাশিচক্র কত প্রাচীন এবং কী কী পৌরাণিক কাহিনী জড়িত এদের সাথে এ নিয়ে ভাল আলোচনা আছে এই গ্রন্থে। মানুষ কেন তারার মাঝে নানান আকৃতি খুঁজে নিলো? পেরিডোলিয়া নামক এক মানসিক ব্যাপার সক্রিয় থাকার কারণে সকল মানুষই কোনো বিক্ষিপ্ত বস্তুর মাঝে কোনো আকৃতি খুঁজে বেড়ায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা হয় মানুষের চেহারা। কিন্তু মানুষ আকাশের তারার ক্ষেত্রে কেন মাছ, সিংহ, ভালুক ইত্যাদি খুঁজে নিলো, কীভাবে তাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে আকাশকে গুলিয়ে ফেলল, কীভাবে তাঁদের সময়ে ঘটা বিপদ-দুর্যোগের কারণ হিসেবে নক্ষত্রকে দায়ী করতে থাকল তার এক রোমাঞ্চকর বর্ণনা আছে এই বইতে। প্রাচীন কালে তো লেখালেখি সুলভ ছিল না কিন্তু তারপরেও কীভাবে মানুষের মুখে মুখে, ছড়ায়, কবিতায় আকাশ বিষয়ক চিন্তাগুলো কালে কালে আমাদের প্রজন্ম পর্যন্ত এসে পড়লো তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে এখানে। বইটার একটা দারুণ দিক হচ্ছে একদম শুরু থেকে ইতিহাস বর্ণনা করে করে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়েছেন। প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে একেবারে আধুনিক যুগে এসে শেষ হয়েছে। এলাম নগরী হয়ে ব্যাবিলনে, ব্যাবিলন হয়ে আক্কাদীয়দের কাছে। আক্কাদীয়দের হাত হয়ে মিনোয়ানদের কাছে, মিনোয়া হয়ে প্রাচীন গ্রীসে, সেখান থেকে আরাতুসের কবিতায় তারার বর্ণনা, তারপর ফারনিস গোলক হয়ে তাঁদের সঠিকতা নিয়ে হিপারকাসের সন্দেহ এবং বৈপ্লবিক অয়নচলন আবিষ্কার। তারপর টলেমী, কোপার্নিকাস হয়ে আরবীয় বিজ্ঞানী হয়ে গ্যালিলিও, টাইকো ব্রাহে, কেপলার পর্যন্ত এসে লাগে ইতিহাসের ধাক্কা। এতটুকু পর্যন্ত ইতিহাস বর্ণনা করতে করতেই বইয়ের অনেকটা শেষ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ইতিহাসের শাখা ইতিহাস নিয়ে আলোচনা। এর মাঝে আছে বিখ্যাত অগুরুত্বপূর্ণ লিক মানমন্দির প্রতিষ্ঠা, নক্ষত্রের শ্রেণীকরণের ইতিহাস, বাংলা নববর্ষ কেন মার্চে না হয়ে ভুলে এপ্রিলে এসে পড়ল তার ইতিহাস। আছে অল্প বয়সে ঝরে যাওয়া বাঙ্গালী জ্যোতির্বিদ নারায়ণচন্দ্র রানার জীবন ও কর্ম নিয়ে ছোট্ট আলোচনা। এরপর আছে বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা ও দেশের প্রেক্ষাপটে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা। জ্যোতির্বিদ্যার বিস্তারিত ইতিহাস নিয়ে বাংলা ভাষায় লিখিত গ্রন্থ নেই বললেই চলে। এই বিষয়ে সিরিয়াস ইতিহাস নিয়ে অল্প স্বল্প প্রবন্ধ থাকতে পারে কিছু। আব্দুল জব্বার সহ অন্যান্য কয়েকজনের যা কয়েকটা বই ছিল তা একদমই দুর্লভ। এই বইটাই হতে পারে আকর একটি গ্রন্থ। এটি ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর অন্যতম বড় কলেবরের বই। আমার পড়া এই লেখকের সবচে বেশি পৃষ্ঠার বই। এবারে অধ্যায়ভিত্তিক কিছু আলোচনাঃ প্রথম অধ্যায় ‘আকাশচর্চার ইতিকথা’য় সভ্যতার একদম শুরুর দিকের কথা বলেছেন। কীভাবে প্রাচীন মানুষ নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করতে লাগল, কেন রাতের আকাশ তাঁদের বেশী আকৃষ্ট করতো তার যৌক্তিক কারণ। পরের অধ্যায়ে রাশিচক্রের উদ্ভবের গল্প বলা হয়েছে। কীভাবে রাশিচক্রের ম্যাপ এক নগর থেকে আরেক নগরে গেল। জলপথ অতিক্রম করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবার ফলে কীভাবে নতুন স্থানের তারাচক্রের ম্যাপে জলজ প্রাণী স্থান করে নিলো তার কাব্যিক বর্ণনা। এর পরের চারটি অধ্যায়ও আকাশের মানচিত্র নিয়ে আলোচিত। ইসলামী জ্যোতির্বিদ্যা তথা আরবীয় জ্যোতির্বিদ্যা এই বইটিকে একটি অনন্য মাত্রা দান করেছে। আরবীয়দের একটা অসাধারণ সুযোগ ছিল বিজ্ঞানের বিপ্লব ঘটানোর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। কেন হয়নি, ঠিক কোন জায়গাটাতে আরবীয়দের ত্রুটি ছিল তা স্পষ্ট করা হয়েছে ঐ অংশে। এই অধ্যায়ের পর থেকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের শুরু। প্রথমেই টাইকোকে দিয়ে শুরু। এখানে লেখক অনেকটা মজা করার চেষ্টা করেছেন। যেমন টাইকোর স্বভাবের কারণে তার যে “নাসিকার অগ্রভাগ কাটা পড়ে” এবং একটি বিষয়ের কথা চিন্তা করে করে “দীর্ঘক্ষণ মূত্র বিসর্জন থেকে বিরত থাকেন” এবং ব্লাডারে তার সুদীর্ঘ চাপ সহ্য না হবার রসিক বর্ণনা। ব্যক্তিগতভাবে লেখকের সাথে সামনাসামনি কথাবার্তা বলার কারণে জানি উনি অনেক রসিকরাজ মানুষ। কিন্তু আর লেখালেখিতে রসিকতা অনুপস্থিত। এ নিয়ে অধুনালুপ্ত ‘প্রবাহ’ পাতার সম্পাদক জাহাঙ্গীর সুর সাহেবের স্থায়ী আক্ষেপ। এখানে রসিকতা স্থান পেয়েছে কিছু। আর বুঝতে পারি প্রতিটা অধ্যায়ে অধ্যায়ে লেখকের ব্যক্তিগত প্রতিটা দিন প্রতিনিধিত্ব করছে। একটা অধ্যায় লেখার সময় হয়তো সিরিয়াস ছিলেন, আরেকটি লেখার সময় হালকা ছিলেন। কোনো সময় মনের অবস্থা প্রতিফলিত হয়েছে লেখাতে। সত্যি কতগুলো ঘণ্টা, কতগুলো বৈঠক, কতগুলো রাত নির্ঘুম থাকার ফসল এই বই। যাহোক, টাইকোর আলোচনার সাথে সাথে অবধারিতভাবে চলে আসে কেপলারের আলোচনা। টাইকো আর কেপলার তো একই কাঠির এদিক সেদিক মাত্র। কেপলারের সূত্র, গবেষণা, ব্যতিক্রমী মেধার সাক্ষর, ব্যক্তিগত জীবন সবই ঠাই পেয়েছে এখানে। তারপরেই চলে আসে গ্যালিলিও, আর গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ। গ্যালিলিও কী কোপার্নিকাসের মডেলের সমর্থন ও পর্যবেক্ষণে পাওয়া বাস্তব প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে কী বিপ্লবটাই না প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই বইয়েরই একটি উক্তি “তত্ত্বকে যাচাই করতে হবে পর্যবেক্ষণের কষ্টিপাথরে।” বাংলা সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে এই বইয়ের সবচে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। কীভাবে কোন ভুলে আজকে আমাদেরকে এপ্রিলের ১৪ তারিখ বর্ষ শুরু করেত হয়? কেন মার্চ মাস থেকে ধীরে ধীরে এপ্রিলে এসে ঠেকল? আর পঞ্জিকাওয়ালারা কোন জায়গাটায় ভুলটা করেছিলেন তার কথা। আমরা বাংলাদেশীরা এই ভুলটা ধরতে পেরে পঞ্জিকা সংশোধন করে নিয়েছি ঠিকই কিন্তু ভারতীয়রা সংশোধন করেনি। দেখিয়ে দেয়া সত্ত্বেও কেন তারা এই সংস্কার মানছে না আর না মানলে হিন্দু ধর্মের দিক থেকে কী সমস্যা দেখা দেবার কারণে এটা ওপার বাংলায় হচ্ছে না তা নিয়ে আলোচনা। শেষের দিকে বাঙ্গালী জ্যোতির্বিদ নারায়ণ চন্দ্র রানার জীবনী ও লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা বলেছেন। বইটি মূলত এখানেই শেষ। তবে শেষে বইয়ের বিষয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ দুটি অতিথি লেখা স্থান পেয়েছে। ড. বিমান নাথের জ্ঞানগর্ভ দুটি প্রবন্ধ। বিমান নাথের ২য় প্রবন্ধে তুলসী গাছের এক তাক লাগানো ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। কীভাবে কতদিক দিয়ে তুলসী গাছ জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার সাথে জড়িত তার আলোচনা। এবার কিছু সমালোচনাঃ বইয়ে লেখকের লেখা ভূমিকা ও বিমান নাথের অভিমত হিসেবে থাকা ‘সূচনা কথনে’ একটা গোলকধাঁধায় পড়তে হয়। লেখক তার ভূমিকায় বলেছেন বিমান নাথ তার বইয়ের জন্য চমৎকার একটি সূচনা কথন লিখে দিয়ে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন। আর সূচনা কথনে অতিথি লেখকের ভূমিকায় লেখা কয়েকটি বাক্য কোট/উক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এখন প্রশ্ন হল কোনটা আগের? ভূমিকা নাকি সূচনা কথন? যদিও ব্যাপারটা খুব সহজেই বোঝা যায় লেখক ছাপানোর আগের দিকে লেখাতে পরিবর্তন পরিমার্জন করেছিলেন কিন্তু তারপরেও এটা একটা যৌক্তিক সীমাবদ্ধতা। প্রথম দিকের কয়েকটা অধ্যায়ের মাঝে দুটি অধ্যায় শেষ করতে সময় লেগেছে বেশী। মানে তুলনামূলকভাবে কম মজাদার। অবশ্য পড়ে নিলে বইয়ে বাকি পড়াগুলো পড়তে গেলে মজার পরিমাণ বেড়ে যাবে। প্রায় কয়েকটি অধ্যায়ে কিছু তথ্য বারবার চলে এসেছে। ব্যাপারটা পুনরাবৃত্তি। অবশ্য এটা প্রকটভাবে দেখা দেয়নি। একটা অংশে শুধু একটি প্যারাগ্রাফ দুইবার চলে এসেছে (পৃষ্ঠা, ৪১)। প্যারাগ্রাফে যা বলা আছে নীচে নোটে তাই বলে দেয়া হয়েছে। টাইকোর টাইকো ব্রাহেকে নিয়ে লেখাটায় সালের ভুল চলে এসেছে। বলা হয়েছে- ১৯৮১ সালে টাইকোর ‘উরানিবর্গ’ দুর্গটি নির্মাণ সমাপ্ত হয়। এখানে সনটা নিশ্চয় ১৯৮১ হবে না, তিনি ১৬০১ সালেই মৃত্যুবরণ করেন। নক্ষত্রের রঙ বিষয়ক অধ্যায়টাতে জাফর ইকবালের ‘দেখা আলো না দেখা রূপ’ বইয়ের প্রকাশক হিসেবে বলা হয়েছে ‘মুক্তধারা’র কথা। কিন্তু বইটি এখন আর মুক্তধারা প্রকাশ করে না। প্রকাশ হচ্ছে ‘জ্ঞানকোষ’ প্রকাশনী থেকে। অবশ্য প্রকাশের সাল ব্যবহার করলে এটি ত্রুটি হিসেবে থাকতো না। লেখক সাল ব্যবহার করেন নি। বইটিকে ভাল লাগায় এবার একদমই নিজস্ব আবেগ থেকে একটা বিষয়কে মজার ছলে দেখছি। বাংলা নববর্ষ নিয়ে লেখাটার শুরুতেই লেখক বলছেন- ‘হ্যালো, স্যার, তরুণ বলছি রাজারবাগ ডিএমপি অফিস থেকে।’ ‘হ্যাঁ, তরুণবাবু, বলেন আবার কী সমস্যা হলো।’ ‘স্যার, একটু আসতে হবে, কমিশনার সাহেবের সাথে মিটিং।’ ‘কবে? আমার তো শনি-রবিবার ক্লাস থাকে। সোম-মঙ্গলে মিটিং ফেলা যায় কি-না দেখেন।’ ‘ঠিক আছে স্যার, আগামী সোমবার, সকাল সাড়ে নয়টায় তাহলে আসেন।’ আমি আমার সামনের সুদৃশ্য ডেস্ক-ক্যালেন্ডারটিতে দাগ দিয়ে তারিখটি চিহ্নিত করি। আমার সামনের এই ক্যালেন্ডারটি খুবই চিত্তাকর্ষী। ফি-বছর ‘পারসোনা’ সংগঠনটি খুবই সুন্দর ডেস্ক-ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে থাকে। আমার স্ত্রীর কল্যাণে তারই একটি আমি ব্যবহার করতে পারছি। এই অংশটি পড়ার পর মনে হচ্ছিল ফারসীম স্যারের সাথে ট্রল ভাষায় বলি- “ভাব দেখাও!” এমনটার কারণ হিসেবে বলতাম পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ, কমিশনার সাহেবের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করা, এমন গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে সময়ের স্বল্পতা এবং লিজেন্ডারি সংস্থা পারসোনার সাথে ভাল সম্পর্ক সব মিলিয়ে যেন দারুণ এক ভাব জমিয়েছেন লেখক। স্যারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় থাকায় এবং তার রসিক মননের কারণে এই কথাগুলো লেখায় খোলামেলা বলতে পারছি! নইলে অন্য কেহ হলে নিশ্চয় আমার বারোটা বাজিয়ে ফেলতেন। শেষ করছি এই বইয়েরই একটা প্রাসঙ্গিক অংশ দিয়ে। এই বইয়ে তিনি একজন ব্যক্তির দানের টাকায় প্রতিষ্ঠিত লিক মানমন্দির প্রতিষ্ঠার গল্প বলেছেন। এবং এক আবেগী প্রশ্ন রেখেছেন আমাদের দেশেও কি এমন হতে পারে না? যেখানে সরকারীভাবে কিছু হচ্ছে না সেখানে তো একজন ধনকুবের পারেন তার কিছু সম্পদ বিজ্ঞানের কাজে দান করতে। বিজ্ঞান চর্চার প্রতি, বেশের প্রতি, দেশে সবার মাঝে বিজ্ঞান জনপ্রিয় করার প্রতি কতটা আবেগ থাকলে এমন কথা বলা যায় তা অনুভব করা যায় এখানে। উল্লেখ্য আমাদের দেশে একটাও মানমন্দির নেই। নিজ উদ্যোগে মানমন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গাও পছন্দ করা আছে, শুধু টাকার সমস্যা। এই অংশটা দেশের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। একজন লেখক প্রিয় হবার জন্য এরকম দুয়েকটি লেখাই যথেষ্ট।

      By S.M.Masruk Uddin

      08 Apr 2014 04:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আপনি যদি বলেন যে আপনার জ্যোতির্বিদ্যায় কোনো আগ্রহ নেই তাহলে আপনাকে বলব এই বইটি পড়েন হইত জ্যোতির্বিদ্যা শিখতে বাধ্য হবেন। ভাবছেন কি আছে এই বইএ? আপনার জ্যোতির্বিদ্যা শেখার আগ্রহ যোগাতে যা কিছু দরকার তার সবি পাবেন। মূলত কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নেই এই বইএ। অসাধারন মলাটের জ্যোর্তিবিদ্যার ইতিহাসের অসাধারন একটা বই। এখানে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হয়েছে মানুষের জ্যোর্তিবিদ্যা চর্চার ইতিহাস। কিভাবে মানুষ রাতের আকাশকে নিজের দৈনন্দিন বিষয়ে পরিনত করত। জানার পর মনে হবে ইস! আমি যদি ঐ রহ্যসের জগৎটা সম্পর্কে জানতে পারতাম। “গ্যালেলিও,দূরবিন ও জ্যোর্তিবিদ্যার নতুন দিগন্ত” এর মত একটা টেলিস্কোপ দিয়ে রাতের আকাশকে দেখতে পারতাম। চমক লাগবে যখন “বাংলাদেশে জ্যোর্তিবিদ্যা চর্চাঃ একটি ব্যক্তিগত উপাখ্যান” পড়া হবে। একজন মানুষের জ্যোর্তিবিদ্যার প্রতি ভালবাসা দেখে ইচ্ছা করবে জগৎটা সম্পর্কে জানতে। এই মূল কাজটাই বইটা করে দিবে। জ্যোর্তিবিদ্যার প্রতি আগ্রহ ও ভালবাসা তৈরি করবে। আপনিও দেখা শুরু করবেন রাতের আকাশ উপভোগ করবেন তার অসাধারন সৌন্দর্য। আর বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসাই বিজ্ঞান চর্চার মূল কথা।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!