Our User Product Reviews

একদমই ভালো লাগে নাই, বইটার আগামাথা কিছু নাই, মূল বইটা মাত্র ২৫-৩০ পেজ, বাকিগুলো অনুবাদকের মতামত

বইটিতে স্থান পেয়েছে মোট ১৮ টি গদ্য রচনা. গুলো নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত অভিব্যক্তি নিচে তুলে ধরা হল গাঁয়ের রাস্তায় বাচ্চারাঃ গল্পটি আমরা দেখতে পাই গল্প কথক চলে যান তার শৈশবে , শিশু চোখে এক অদৃশ্য বাঁধার ওপাশের জীবন দেখেন। শিশুদের সাথে তার দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়। শেষে আমরা দেখি একটি মিথিক্যাল শহর, যেখানে শিশুরা ঘুমায়না। আর দেখতে পাই কথক গল্পের শিশুদের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ। এতে করে কাফকার নিজ জীবনের একাকীত্ব ও বিষণ্ণতা। গল্পে যেমন তিনি সেই শিশুদের ছেড়ে চলে আসেন একা হঠাৎ হাঁটতে বেরোনোঃ এই ছোট গদ্যে কাফকা দেখিয়েছেন রাতে শোবার বদলে যদি আমরা রাস্তায় হাঁটতে পবের হই তাহলে কী কী ঘটতে পারে, ইত্তাদি। লেখাটিতে কাফকার আত্মমগ্নতার ছাপ পাওয়া যায় প্রগাঢ়ভাবে। পাহাড়ে দল বেঁধে বেড়ানঃ এখানে আমরা দেখতে পাই কথক এক পাহাড়ে বেড়াতে যান যেটিতে কাফকা এক সময়ে ঘুরতে যেতেন। কিন্তু কথক এখানে সেই পাহাড়ে ঘুরতে গেছেন একদল পরিচয়হীন কল্পিত চরিত্রের সাথে। একদল ‘কেউনা’ কে সাথে নিয়ে। এতে করে কাফকার একাকীত্ব বেশ ফুটে উঠেছে স্কেচে। ব্যাচেলরের নিয়তিঃ। কাফকা নিজেও একজন চিরকুমার ও বিয়ে না করে তিনি জীবনকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলেন সাহিত্যে। তাই বলে বিয়ে করে সংসারী হয়াবার যে স্বপ্ন তার ছিলো সেটি ছিলো অনেক বড় যা এই লেখায় আমরা দেখতে পাই। তিনি দ্বিমুখী দ্বন্দ্বতে কাটিয়েছেন জীবন। আবার লেখার শেষে আমরা একটি শারীরিক ভঙ্গী- হাতের তালু দিয়ে কপাল চাপড়ানো দেখতে পাই। যা শারীরিক ভঙ্গী দিয়ে সমাপ্তি কাফকার লেখার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এই কপাল চাপড়ানোকে নিজের অবিবাহিত জীবন , নিঃসঙ্গতা ও অসুখী জীবনের প্রতি প্রতিবাদ সরূপে কল্পনা করা যায়। ব্যবসায়ীঃকাফকার জীবনের ও তুলনা করা যায় কাফকা ছিলেন অফিসের কাজে বিরক্ত ও কাজের চাপে পিষ্ট আবার অপর দিকে নিজের সাহিত্যর ভুবনে ছিলেন কল্পনাপ্রবন যেমনটি লিফটে চড়া ব্যবসায়ীকে আমরা দেখ ফ্যান্টাসির জগতে। লিফট এখানে একটি কাল্পনিক মুক্তির রূপক। বিমর্ষতাঃএতে দুটি রূপক আয়না ও বাইরের রাস্তা দুটি আলাদা অবস্থা প্রকাশ করে। বাইরের রাস্তাটি সমাজের পরিবেশ যেখানে এক লোক মিশে যেতে চায় কিন্তু আয়না নামক রূপকটি তাকে বার বার টেনে ধরছে। একটি বাচ্চা ভূত যা কিনা নিজেরই প্রতিবিম্ব শেষে হাজির হয় তার সামনে যা তার একাকীত্বকে দূর করতে তৈরি। পরবর্তীতে লোকটির ঘর থেকে বের হয়ে যায় এবং সিঁড়িতে প্রতিবেশির সাথে অগোছালো একটি কথোপকথন লক্ষ্য করা যায়। এবং শেষ পর্যন্ত বাইরে ঘুরতে না বের হয়ে সে ফিরে আসে এবং একাকী বসে থাকে সমাজ থেকে বিচ্ছন্ন হবার দুঃখ নিয়ে। শৈলীর দিক দিয়ে ইম্প্রেশনিস্টিক ধারা এই বইটির লেখাগুলোতে আমরা দেখেতে পাই লেখক ও কথকের আবেগ ও মেজাজের মিলমিশ হয়ে যাওয়াকে।