User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
হৃদয় ছোঁয়া, চোখে পানি এসে পড়ে।❤️ অন্যতম পছন্দের বই হয়ে গেলো এ বইটি। আনিস স্যারকে অনেক ধন্যবাদ। ❤️❤️❤️????????
Was this review helpful to you?
or
ekdom baje ekta boi
Was this review helpful to you?
or
good\
Was this review helpful to you?
or
কিছুটা হাস্যরসে, কিছুটা আবেগের বই। বইটি পড়ার সময় মনে হয়েছে এখন ১৯৭১ সালের যুদ্ধ হচ্ছে এবং আমি সেই যুদ্ধের একজন অংশীদার।
Was this review helpful to you?
or
মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে সেই সময়ের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল তা অদ্ভুত সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে উপন্যাসে। কিশোর কিশোরীরা হঠাৎ করে কিভাবে বড় হয়ে গেলো মানে এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা মূলকথা জানতে পড়তে হবে উপন্যাসটি। একটি চরিত্র পল্টুমামাকে মুক্ত করার জন্য দুষ্টু ছেলের দল আক্রমণ করে মিলিটারিদের এবং পল্টুমামাকে কিভাবে মুক্ত করে তা কিন্তু খুবই রোমাঞ্চকর, আমার খুব ভাল লেগেছে এই জায়গাটি। আপনজনকে হাড়ানোর কষ্ট, হাহাকার খুব ভাল করে ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে। শিশু-কিশোরদের এই বইটি পড়া উচিত। তাহলে তারা বুঝতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মত বয়সের কিশোর-কিশোরী দেশের জন্য কিভাবে জানের মায়া ত্যাগ করে বাজি রেখেছিল।
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের একদল দুষ্টু ছলে বইটি আনিসুল হক স্যারের লেখা একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসটির মূল কাহিনী ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে। ভীষণ দুষ্টু ছেল ওরা।সাথে থাকে তাদের পল্টু মামা। তাদের একটা ক্লাব আছে নাম সূর্যসেনা সংঘ।১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তাদের ক্লাবের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে হয় অনেক কষ্ট করে তারা সেটা বানিয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধে তাদের পল্টু মামা শহীদ হয়।তরপর তারা তাদের ক্লাবের নাম রাখে তাদেরে পল্টু মামার নামে এবং তারা নতুন সাইনবোর্ড টানায় এখন আর কেউ তাদের সাইনবোর্ড নামিয়ে। ফেলতে বলে না।
Was this review helpful to you?
or
আনিসুল হক এই কিশোর উপন্যাসটি লিখেছেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। যুদ্ধ ব্যাপক একটি জিনিস। যুদ্ধে জয়ি হতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের যথেষ্ট অবদান আছে। সেই সব কথাই আনিসুল হক লিখেছেন তার একাত্তরের একদল দুষ্টু ছেলে উপন্যাসটিতে। যুদ্ধ এমন একটি ভয়াবহ জিনিস সবকিছু ওলট পালট করে দেয়। এই উপন্যাসটিতেও তাই দেখানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়টাতে দেখা গেছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হঠাৎ বড় হয়ে গেছে। অনেকে অনেক কঠিন কঠিন দায়িত্ব পালন করেছে সেই সময়। যুদ্ধের সময় এই ছেলে-মেয়েরাই খবর আদান-প্রদানের প্রধান মাধ্যম ছিল। তারা একরকম গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করতো। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গোলা-বারুদ, অস্ত্র-সস্ত্র এসব পৌছে দেওয়ার জন্য অনেক ছেলেকে হত্যা করে পাকিস্থানিরা। অনেক ছেলের হাত কেটে নেয় রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে সেই সময়ের সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল তা অদ্ভুত সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কিশোর বয়সের ছেলেরা যেমন হয় তেমনি দেখিয়েছেন আনিসুল হক তার এই বইটিতে। ঐ বয়সে ছেলেরা হয় দূরন্ত,দূর্বার। তাদের চোখে থাকে হাজারো স্বপ্ন। পল্টুমামাকে মুক্ত করার জন্য দুষ্টু ছেলের দল আক্রমণ করে মিলিটারিদের এবং পল্টুমামাকে মুক্ত করে। খুব ভাল লেগেছে এই জায়গাটি। আপনজনকে হাড়ানোর কষ্ট, হাহাকার খুব ভাল করে ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে। ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের এই বইটি পড়া উচিত। তাহলেই তারা বুঝতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের মত বয়সের ছেলেরা দেশের জন্য জান বাজি রেখেছিল।
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের দুষ্টু ছেলে ওরা । ভীষণ একদল দুষ্টু ছেলে । দীনভর চলে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত সব দুষ্টুমি । কখনও ইশকুলে,কখনও মাঠে ঘাটে,বনে-বাঁদাড়ে । ওদের আছে একটা ক্লাব ও । ক্লাবের নাম সূর্যসেনা সংঘ । আর ওরা সবাই ছিল ক্লাস সিক্সের ছাত্র । ইশকুলের পাশাপাশি ক্লাবটাকে সাজাতে গোছাতে তাদের ব্যস্ত সময় কাটে । ৭১এ দুষ্ট ছেলের দল ও জেগে উঠেছিল পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধে । তারা বাঁশের লাঠি আর সবুজ পতাকায় লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ মানচিত্রওয়ালা পতাকা হাতে মিছিলে স্লোগান দেয় - "বাঁশের লাঠি তৈরি কর , বাংলাদেশ স্বাধীন কর ।" বলতে গেলে তাদের বুদ্ধির যোগানদাতা বা তাদের গুরু পল্টুমামা । তরুণ বয়সে দেশমাতৃকার টানে পল্টুমামা যোগ দিলেন মুক্তিবাহিনীতে । একসময় তিনি ধরাও পড়লেন পাক হানাদার বাহিনীর হাতে । কিন্তু সূর্যসেনা সংঘের সেই দুরন্ত দুষ্ট ছেলের দল তো আছেই । তারা তাদের আরেক মামা মিজান মামার সহযোগীতায় কাবু করে ফেললো পাকিস্তানি হানাদারদের । তাদের উপর গুলি চালিয়ে দুষ্টু ছেলের দল মুক্ত করল পল্টুমামাকে । কিন্তু দেশ তখনো স্বাধীন হয়নি । তাই পল্টুমামা আবার ছুটলেন মুক্তিযুদ্ধে । অবশেষে মুক্তিবাহিনীর কাছে হার মানল পাকিস্তানি হানাদার,স্বাধীন হল বাংলাদেশ,মুক্ত হল তাদের সেই ছোট্ট সোনাতলা বন্দর । মিজান মামা যুদ্ধ থেকে ফিরেছেন ,কিন্তু ফেরেননি তাদের "প্রাণভোমরা" পল্টু মামা । তিনি মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদ । স্বাধীন দেশে তখন বুক চিতিয়ে পতপত করে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা,স্বাধীন বাংলার পতাকা । ছোট এই কিশোর উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল "প্রথম আলো কিশোর নববর্ষ সংখ্যা ১৪১৯"এ । তবে তা কিছুটা পরিবর্তন পরিবর্ধন করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে । বইটি তার কিশোর পাঠকদের কাছে কেমন লেগেছে জানতে চেয়েছেন প্রিয় লেখক আনিসুল হক । তিনি তাঁর ই- মেইল অ্যাড্রেসটিও দিয়ে দিয়েছেন - "anisulhoque1971@gma il.com"
Was this review helpful to you?
or
একাত্তরের একদল দুষ্টু ছেলে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হকের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা একটি কিশোর উপন্যাস। এ উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের অবদান এবং তৎকালীন সামাজিক অবস্থা লেখকের অদ্ভুত বাস্তব ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। সোনাতলা গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠরত একদল দুরন্ত ছেলে একটি দল গঠন করতে চায়। পল্টুমামার কাছে জানতে চাইলে তিনি একবাক্যে দুষ্টু ছেলের দল নাম দিয়ে দেন। পরে অবশ্য একটা ভাল নামের কথা বলায় নাম পরিবর্তন করে “সূর্যসেনা সংঘ” রাখা হয়। এ দলের কার্যালয় হিসেবে একটি নেমপ্লেটে দলের নাম খোদাই করে দুটো গাছের সাথে লাগিয়ে দেয়া হল। এ সংঘের দুষ্টু ছেলেরা প্রায়ই বিভিন্ন মিছিলে যোগদান করে, কারণ সময়টা তখন উত্তাল মুক্তিযুদ্ধের সময়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এরা এক দর্জিকে দিয়ে বাংলার পতাকা বানিয়ে বাড়ির ওপরে টানায়। দর্জি বিনামূল্যেই পতাকার সরঞ্জাম ওদের দেয়। এরমধ্যেই এই গ্রামে রাজাকারদের সহায়তায় আক্রমণ করে মিলিটারি বাহিনী। সংঘের সদস্য অরুণের বাবা-মাকে মেরে ফেলে তারা। মেরে ফেলে সেই দর্জিকেও, যে পতাকা বানাত বিনামূল্যে। অরুণকে আশ্রয় দিল ওরই বন্ধু শোভন। এরই মধ্যে পল্টুমামা মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন ও মিলিটারি বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েন। তারই সহচর ও বন্ধু মিজান; যে মিলিটারির হাত থেকে পালিয়ে আসে তার সহায়তায়, ও সূর্যসেনা সংঘের বুদ্ধিতে তারা মিলিটারিদের খাওয়ার মধ্যে এক ধরণের ঔষধ(জামালগোটা) মিশিয়ে দেয়। মিলিটারিরা এই খাবার খাওয়ার পর-পরই এদের সবার পেট খারাপ হয়। আর এই সুযোগে মিজানের সহায়তায় দুষ্টু ছেলের দল আক্রমণ করে। সব মিলিটারি মারা যায় এবং পল্টুমামা মুক্তি পায়। কিন্তু যে রান্না করত, তার মেয়েকে মিলিটারিরা ধরে নিয়ে যায় ও এক মিলিটারির গুলিতে সে মারা যায়। কিছুদিন পর আবারো পল্টুমামা মুক্তিযুদ্ধে যায়। এবং পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে সে শহিদ হয়। এ স্বাধীনতা এমনই লাখো শহিদের রক্তে রঞ্জিত। যুদ্ধে স্বাধীন-বাংলাদেশের সৃষ্টির আনন্দ-গৌরব, পক্ষান্তরে অরুণের বাবা-মা হারানোর বেদনা, পল্টুমামার বোনের ভাই হারানোর হাহাকার, সব মিলেই বোধহয় এই উপন্যাস সার্থক হয়ে উঠেছে।