User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুশফিক নামের এক কিশোর জেনিফারকে পছন্দ করে। কিন্তু জেনিফার এর সাথে সোহেল এর বন্ধুত্তের রহস্য জানতে সে বন্ধু বাদলের কথায় অদৃশ্য হতে এক সাধুর কাছে যায়। সাধুর পরামর্শে অদৃশ্য হতে বাদলকে নিয়ে এক শশ্মনে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে কয়েকজন এক নারীকে মারতে চাইছে। তাকে বাচায় তারা এবং এ নিয়ে জড়িয়ে য়ায় রহস্য এ।
Was this review helpful to you?
or
জেনিফার মেয়েটার কারনেই অদৃশ্য হওয়ার পোকা মাথায় ঢুকে মুশফিকের। বাদলের পরামর্শে দেখা করে এক সাধুজীর সঙ্গে। সেই সাধুজীর নির্দেশানুযায়ী অদৃশ্য হওয়ার উদ্দেশ্য অমাবশ্যার রাতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয় ধলপুর শ্মশানে, সাথে থাকে বন্ধু বাদল। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ধুলিস্মাত করে দেয় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিস্থিতি। ধলপুর শ্মশানে অদৃশ্য হওয়ার পরিবর্তে এক অপরিচিত নারীকে উদ্ধার অভিযানে লিপ্ত হয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া এই দুই কিশোর। উদ্ধারকৃত নারীর নাম রুমানা, বাসা দক্ষিন কাফরুল। এর বেশি তেমন কিছুই জানতে পারেনি দুই বন্ধু। রুমানাকে উদ্ধারের শাস্তি হিসেবে হাজতবাস সহ আরো নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয় মুশফিক ও বাদলকে। হাজতে দেখা হয় ইরফান নামের এক রহস্যময় লোকের সাথে, যার পরামর্শে আবারো জড়িয়ে পড়ে এক বিপজ্জনক খেলায়। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই লেখকের কোন বই আগে পড়িনি, এটাই প্রথম। পড়া শুরু করে বিপদে পড়ে গেছি, অনেকটা কষ্ট করেই গিলতে হয়েছে বইটি, আমি আবার অর্ধেক পড়ে রেখে দিতে পারিনা। সমস্যা হল এই বইয়ের কাহিনী আমার কাছে অত্যন্ত দুর্বল মনে হয়েছে, সবকিছু যেন এক নিমিষেই ঘটে যাচ্ছে। এত বড় বড় ঘটনা এমন নিরুত্তাপহীনভাবে ঘটাটা আমার আছে ঠিক স্বাভাবিক মনে হয়নি। তার উপর আছে প্রিন্টিং মিসটেক। বিভিন্ন যায়গায় সোহেলকে সজল, বাদলকে রবীন আর রুমানাকে সালেহা বেগম নামে অভিহিত করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বড় দুই ভাইয়ের তুলনায় লেখালেখিতে নিশ্চিতভাবেই অনেক পিছিয়ে আহসান হাবিব। এতটাই পিছিয়ে যে তাদের সাথে আহসান হাবিবের তুলনা দেয়া চলে না কখনোই। বিশেষ করে ছোটদের উপযোগি সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে তো নয়ই। কেননা শিশু-কিশোরদের জন্য কোন লেখা লিখতে গেলে সেই পাঠকদের লেখাটা ভাল লাগানোটাই সর্বাগ্রে বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিৎ। কিন্তু আজ অব্দি সেই জিনিসটা আহসান হাবিবের লেখায় কখনো দেখি নাই। 'একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প' নামক উপন্যাস কিংবা উপন্যাসিকাতেও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটে নাই। আমরা দেখতে পাই মুশফিক নামের ক্লাস এইটে পড়া একটা ছেলেকে যে কিনা অদৃশ্য হওয়া শিখতে চায় তাদের ক্লাসের জেনিফার নামের একটা মেয়ের পেছনে স্পাইগিরি করতে। অদৃশ্য হওয়া শিখতে সে বন্ধু বাদলের পরামর্শে গেল এক সাধুবাবার কাছে। সাধুবাবা কঠিন কিছু শর্ত দিল যার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শর্ত হল, মাথায় বাজ পড়া মানুষের মাথার চুল সংগ্রহ করতে হবে। আহা কি মজা! কিছুক্ষণ পর সাধুবাবার নিজের মাথায়ই বাজ পড়লে পরিস্থিতি সহজ হয়ে গেল। তারপর মুশফিক আর বাদল দুজন মিলে স্মশানে গেল পরবর্তি কাজগুলো সম্পন্ন করতে। সেখানে এক নারীকে তারা দুই গুন্ডার হাত থেকে বাঁচালো। সেই নারী তাদেরকে তার ঠিকানা জানাল। পরের দিন পুলিসের খপ্পরে পড়ল তারা। কোনমতে ছাড়া পেলে গেল সেই মহিলার ঠিকানায়। সেখানে দেখা পেল অন্য এক মহিলার, সাথে সেই দুই গুন্ডা। তারা তাদেরকে অজ্ঞান করে মেঘনার জলে ফেলে দিয়ে এল। এভাবে মুশফিক আর বাদল জড়িয়ে পড়ল জটিল এক রহস্যের জালে। শেষ পর্যন্ত কি তারা এই জাল ছিঁড়ে বেরুতে পারবে? যেই মহিলাকে প্রথম রাতে বাঁচিয়েছিল, তাকে কি উদ্ধার করতে পারবে তারা? এই নিয়েই 'একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প'। আমার কাছে মনে হয়েছে বড্ড বিরক্তিকর গল্প। মাত্র ৬৪ পৃষ্ঠার মধ্যে এতকিছু হয়ে গেল তবু তার কিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে হল না। বর্তমানের কিশোর কিশোরীরা অনেক স্মার্ট। বাস্তবের সাথে কোন মিল খুঁজে না পেলে তারা কোন লেখা পড়বে কেন? আবার কাহিনীটাতে কিছুটা দুর্ধর্ষ টাইপের ফ্লেভার দেয়া হয়েছে যাতে এটাকে নিছক অনূর্ধ্ব পাঁচ বছরের শিশুদের উপযোগি বলেও মনে করা অসম্ভব। এখন আমার প্রশ্ন, লেখক ঠিক কোন বয়সী শিশুদের কথা মনে করে লিখেছেন এই গল্প? কেউ কি আদৌ মজা পাবে এমন একটা আজগুবি কাহিনী পড়ে যার বর্ণনাভঙ্গিও সমান বিরক্তি উদ্রেককারী?
Was this review helpful to you?
or
রম্যলেখক আহসান হাবীব বেশ কিছুদিন হল কিশোরদের জন্যে অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লেখাও শুরু করেছেন। তাঁর ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ও সে রকমই একটি কিশোর উপন্যাস। বইটি তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে ২০১৩ সালের একুশের বইমেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। লেখক এই বইয়ের ভূমিকাতেই লিখেছেন, শিশু-কিশোরদের জন্যে লেখা বেশ কঠিন কাজ। আমিও লেখকের সাথে এই ব্যাপারে পুরোপুরি একমত। শিশু-কিশোরদের জন্যে লিখতে গেলে সবসময় খেয়াল রাখতে হয় গল্পটি যেন অতিবাস্তব না হয়ে যায়। আবার একই সাথে লক্ষ্য রাখতে হয় গল্পের কাহিনী যেন পুরোপুরি বাস্তবতা বিবর্জিতও না হয়। আহসান হাবীব তাঁর ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ উপন্যাসে এই দুটি বিষয়ে লক্ষ্য রেখেই অসাধারণ একটি কিশোর অ্যাডভেঞ্চার রচনা করেছেন। এই গল্পের নায়ক হল মুশফিক। তবে মুশফিকের বন্ধু বাদলও সমান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। মুশফিক তাদের ক্লাসের একজন ছাত্রী জেনিফারকে পছন্দ করে। লেখকের ভাষায় মুশফিকের জেনিফারকে একটু ‘ইয়ে’ লাগে। কিন্তু সমস্যা হল ইদানীং জেনিফারকে সোহেলের সাথে বেশি দেখা যায়। তারা আবার একসাথে জেনিফারের বাসায় প্রাইভেটও পড়ে। এদিকে তারা আর কী কী করে সেসব দেখার জন্যে মুশফিকের মাথায় এক অদ্ভুত বুদ্ধি আসে। সেটা হল, মুশফিককে অদৃশ্য হতে হবে। তাহলেই সে যখন তখন জেনিফারদের বাসায় গিয়ে দেখতে পারে জেনিফার আর সোহেল কী করে। অদৃশ্য হওয়ার জন্যে মুশফিক বাদলের বুদ্ধিতে অমাবশ্যার রাতে এক সাধুর শরণাপন্ন হল। সেই থেকে শুরু হল অ্যাডভেঞ্চার। সেসব অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে আছে মুশফিক আর বাদলের গভীর রাতে শ্মশানে গিয়ে এক মহিলাকে খুনের হাত থেকে বাঁচানো, পরদিন এই ঘটনার কারণে পুলিশের জেরার সম্মুখীন হওয়া, সেই ঘটনার সূত্র ধরেই কিডন্যাপড হয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় মেঘনা নদীতে পড়ে যাওয়া এবং এক মাঝির সহায়তায় সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া। এভাবে একের পর এক অ্যাডভেঞ্চার চলতেই থাকে। শেষে এসে দেখা যায়, সব কিছুর মূলে রয়েছে এক অতি আশ্চর্য হীরক খণ্ড। শেষ পর্যন্ত কী হবে? মুশফিক কি সেই হীরক খণ্ডটি উদ্ধার করতে পারবেন? আর জেনিফারেরই বা কী হবে? সে কি মুশফিকের কাছে ফিরে আসবে। এসব জানতে হলে পড়তে হবে এই দুর্ধর্ষ কিশোর উপন্যাসটি। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় গুণ হল এর অস্বাভাবিক দ্রুতগতির কাহিনী। একটা ঘটনার পর আরেকটা এত দ্রুত আর নাটকীয়ভাবে ঘটতে থাকে যে নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাওয়া যায় না। তাই এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় কিশোর যারা আছো তারা খুব সহজেই আহসান হাবীবের ‘একটি প্রায় ভয়ংকর গল্প’ বইটি হাতে নিয়ে রোমাঞ্চের দুনিয়ায় মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারো।
Was this review helpful to you?
or
ei boiter kahinir shathe "shopno balok" er kahinir ektu mil ache....oto valo lage ni...