User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নেতা। তিনি ছিলেন কৃষক সমাজের নেতা, গণমানুষের নেতা, এবং একাধারে পীর ও রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুঃখজনকভাবে তিনি আজ অনেকটাই বিস্মৃত। তার রাজনৈতিক জীবন, সংগ্রাম এবং দর্শন নিয়ে গবেষণা খুব বেশি হয়নি। সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা "ভাসানী কাহিনী" বইটি সেই শূন্যতা অনেকটাই পূরণ করেছে। এ বইতে গল্পের আদলে মওলানা ভাসানীর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যা শুধুমাত্র গল্প নয়, বরং ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল। ‘মাওলানা ভাসানী’ প্রবন্ধে ছফা লিখেছেন— "বাঙলার কৃষক সমাজের প্রকৃত নেতা ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি কৃষক সমাজের গভীরে গাছের মতো বেড়ে উঠেছিলেন। কৃষকের দুঃখ-দুর্দশা, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা—সবকিছুকে নিজের অভিজ্ঞতা ও সহজাত প্রবৃত্তির মাধ্যমে উপলব্ধি করতেন। কেতাবি জ্ঞানে নয়, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি রাজনীতিতে এসেছিলেন। এই সহজাত প্রবৃত্তিই তাঁকে ‘জীবনে জীবন যোগ’ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।” সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা ‘ভাসানী কাহিনী’ বইটিতেও এই সত্যের প্রতিফলন ঘটেছে। বইটির প্রতিটি অধ্যায়ে ভাসানীর জীবনের খণ্ডচিত্র গল্পের মতো উপস্থাপিত হয়েছে, যা বাস্তবতা ছাড়িয়ে রূপকথার আবহ তৈরি করে। তবে লেখক শুধু গল্প বলেননি, বরং সেই ঘটনাগুলোর সত্যতা যাচাই করেছেন, বয়ানদাতাদের পরিচয় উল্লেখ করেছেন এবং মওলানার সাথে তাঁদের সম্পর্কও অনুসন্ধান করেছেন। ফলে, বইটি নিছক কাহিনিসংকলন নয়, বরং হয়ে উঠেছে এক মূল্যবান প্রামাণ্য দলিল। মওলানা ভাসানী একাধারে ছিলেন পীর, রাজনীতিবিদ ও সমাজসংস্কারক। কিন্তু তাঁর রাজনীতি ছিল ভিন্নধর্মী—তিনি সবসময় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন। যখন কোনো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন; আর যখন মতের অমিল হয়েছে, তখন চাওয়া-পাওয়ার হিসেব না মিলিয়েই সরে গেছেন, কিন্তু কখনও নীতির সঙ্গে আপস করেননি। তিনি রাজনীতি সচেতনতার পাশাপাশি সমাজ সংস্কারেও ছিলেন অগ্রগামী। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, সমাজের অর্ধেক নারীকে অশিক্ষিত রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি নারীদের আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের রণদা প্রসাদ সাহা যখন তাঁর মেয়েদের ঘোড়ায় চড়া শেখাচ্ছিলেন, তখন মওলানা ভাসানী প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছিলেন— "সেই পঞ্চাশের দশকে রণদা বাবু তাঁর মেয়েদের ঘোড়ায় চড়া শিখিয়েছেন, রক্ষণশীল ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাঙালি সমাজে এটা কম বড় কথা নয়।" ভাসানীর জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল তাঁর সাধারণ জীবনযাপন। তাঁকে কখনও দেখা গেছে নদীর চরে আটকে যাওয়া নৌকা ঠেলতে, কখনও অতিথির জন্য রান্নার কাঠ সংগ্রহ করতে, আবার কখনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তা তৈরি করতে। তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞান ও ভাষাগত দক্ষতাও বিস্ময়কর ছিল। তিনি বাংলার পাশাপাশি দরকার হলে হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজিতেও কথা বলতেন এবং বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে আলোচনা করতেন। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছিল তাঁর আন্তরিকতা। মানুষকে আপ্যায়ন না করে তিনি কখনও ছাড়তেন না—প্রয়োজনে নিজে রান্না করে খাওয়াতেন। ⏺️ প্রথম জীবন ও রাজনৈতিক পথচলা: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের শেষদিকে ভাসানী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। তবে খুব দ্রুতই তিনি উপলব্ধি করেন যে, লুটতরাজ বা সশস্ত্র আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা এনে দিতে পারবে না। তাই তিনি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসেন এবং গণআন্দোলনের পথ বেছে নেন। তার রাজনৈতিক দর্শন সবসময়ই শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিল। ওয়াজ মাহফিলে তিনি শোষকবিরোধী বক্তব্য দিতেন, যা সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছিল। ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের অনুশাসন মেনে চললেও তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ভাসানী কখনোই জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের সমর্থক ছিলেন না। তিনি মনে করতেন, পাকিস্তান শুধু মুসলমানদের জন্য একটি দেশ হবে—এই ধারণা ভুল। বরং পাকিস্তানকে হতে হবে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত হবে। তিনি বলতেন— "পাকিস্তান কোনো ইসলামী রাষ্ট্র বা ধর্মরাষ্ট্র হবে না; এটি হবে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।" ভাসানী বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা যখন বাংলাকে ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল, তখন তিনি সরাসরি তাদের জবাব দেন— "ধর্মের সঙ্গে ভাষার কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্ম এক জিনিস, ভাষা আরেক জিনিস। যারা এ দুইকে গুলিয়ে ফেলে, তারা অসৎ এবং মতলববাজ।" তিনি স্পষ্টতই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন এবং বলেছিলেন— "বাংলাকে যারা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা চায়, তারা পাকিস্তানের দুশমন নয়। বরং যারা বাংলার বিরোধিতা করে, তারাই প্রকৃত দুশমন।" ⏺️ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান: ভাসানী সবসময় সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মুসলমানদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন— “যেসব মুসলমান হিন্দুদের বিধর্মী মনে করে তাদের ক্ষতি করতে চায় আমি তাদের বলি, তোমরা কারা? খুব বেশি হইলে চার-পাঁচ পুরুষ আগে তোমরা কারা ছিলা? তোমাদের বাপ-দাদার বাপ-দাদারা ছিলেন হয় হিন্দু, নয় নমঃশূদ্র। এ দেশের হিন্দু আর মুসলমানের একই রক্ত। কতজন আরব ইরান-আফগানিস্তান হইতে আসিয়াছে? পাঁচ পুরুষ আগে যারা ছিল তোমাদের পূর্বপুরুষ আজ তাদের গায়ে হাত তুলতে তোমাদের বুক কাঁপে না? তোমরা কি মানুষ না পশু?” ⏺️ জনগণের নেতা ও সাধারণ জীবনযাপন তিনি সবসময় শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার পরামর্শ দিতেন। একবার এক কৃষকের ছেলে, যে এলাকার কৃষকদের খবর জানে না, কিন্তু ছাত্র রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, “তোমার বাপ কী করে?” ছেলেটি উত্তর দেয়, “কৃষক”। তখন ভাসানী বলেন, “কৃষকের ছেলে হইয়া এলাকার কৃষকদের অবস্থা বলতে পারো না। তুমি করবা ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি। তোমারে দিয়া ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি হইব না। কলেজে পড়তে গিয়া বাপ-দাদার পেশার কথা ভুইলা গেছ। সমাজতন্ত্রের আন্দোলন তোমারে দিয়া হইব না। ভালো কইরা পড়ালেখা কইরা পাশ করো গিয়া। চাকরি-বাকরি করো। তবে ঘুষ খাইয়ো না, দুর্নীতি কইরো না। ছাত্রনেতা হওয়ার দরকার নাই, ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো।” নিজে সম্পূর্ণ বৈষয়িকতা থেকে মুক্ত ছিলেন। আসাম মুসলিম লীগের নেতা ও পাকিস্তানের মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরীর স্ত্রী একবার তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন— "ছনের ছাউনি দেওয়া একটি ঘর, যেখানে কোনো চেয়ার-টেবিল, খাট-পালঙ্ক পর্যন্ত নেই। মাটিতে শুধু খড় বিছানো, তার ওপর শীতলপাটি ও পাতলা একখানা তোশক।" তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ঢাকাতে কোনো স্থায়ী আবাস ছিলো না। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজনের বাসায় থাকতেন, আর থাকতেন হোটেলে। তবে নিজে বৈষয়িক না হয়েও অনেককে বৈষয়িক উপদেশ দিতেন। ভাসানী সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আসলে তিনি সোজা-সরল ধরনের মানুষ। রেখেঢেকে মেপেবুঝে কথা বলতে জানেন না। মনে যা ভাবেন, মুখে তা-ই বলেন। খোলামেলা মানুষ। তাতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তাছাড়া তিনি মাটির মানুষের একেবারে কাছে আছেন। তাদের সুখ-দুঃখ-অনুভূতি তিনি ভালো বোঝেন, যা উপমহাদেশের আর কোনো নেতা অনুভব করতে পারেন না। ভাসানীর রাজনীতি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের রাজনীতি- প্রথাগত রাজনীতির সঙ্গে যার মিল নেই।" ভাসানী কাহিনী গ্রন্থের মুখবন্ধে লেখক উল্লেখ করেছেন— "জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে আজ মওলানা ভাসানী অবহেলিত। দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকদের কাছে তাঁর আর কোনো প্রয়োজন নেই।" অন্যদিকে, উপক্রমণিকায় লেখক তুলে ধরেছেন মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ। তিনি লিখেছেন— "অন্যান্য জাতীয়তাবাদী নেতাদের তুলনায় মওলানা ভাসানীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম। তিনি সবসময় দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন এবং শোষকশ্রেণী— জমিদার, মহাজন ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থান নিয়েছেন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে একসময় তিনি ছিলেন সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা, যদিও কখনোই ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন না। ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।" ⏺️ পাঠ প্রতিক্রিয়া: "ভাসানী কাহিনী" বইতে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন ও রাজনৈতিক দর্শন অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি ছিলেন শোষিত মানুষের নেতা, যিনি সারাজীবন সাধারণ মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন। আজকের দিনে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণে হয়তো তার নাম বেশি উচ্চারিত হয় না, কিন্তু তার আদর্শ ও সংগ্রাম বাঙালির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বইয়ে ঘুরেফিরেই এসেছে ভাসানীর আটপৌরে জীবনবোধের গল্প। যা পড়লে মনেই হয় না, এসব কোনো রাজনৈতিক নেতার জীবনের গল্প। মনে হয়, গ্রামের কোনো সাধারণ কৃষকের কথা বলা হচ্ছে। তিনি কখনও নদীর বুকে জেগে থাকা চরে আটকে যাওয়া নৌকা ঠেলছেন, কখনও তাকে দেখা যাচ্ছে অতিথির জন্য রান্না করার কাঠ চোরাই করতে। আবার তাকে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তা তৈরি করতে। পাশাপাশি এসেছে মওলানার ভাষা এবং রাজনৈতিক জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গল্প। তিনি বাংলার পাশাপাশি দরকার হলে হিন্দি ও উর্দু ভাষাতেও বক্তব্য দিতেন, এমনকি তাকে দেখা যায় বিদেশি প্রতিনিধিদের সাথে ইংরেজিতেও আলাপ করতে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এসেছে তার আন্তরিকতার গল্পগুলো। মানুষকে আপ্যায়ন না করে ছাড়তেন না কখনও। দরকার হলে নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতেন। যা বইটিতে উঠে এসেছে। তিনি ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি ক্ষমতার মোহে পড়েননি, বরং জনগণের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। তার মতো নেতা আমাদের ইতিহাসে বিরল। তার জীবন ও সংগ্রাম থেকে আজকের তরুণদের শেখার আছে অনেক কিছু। ?বই : ভাসানী কাহিনী ?লেখক : সৈয়দ আবুল মকসুদ ?পৃষ্ঠা : ১২৮ ?প্রকাশনী : আগামী প্রকাশনী ©শাহরিয়ার নাবিল
Was this review helpful to you?
or
ভাসানী কাহিনীর মতো এতো চমৎকার বই আমি খুব কমই পড়েছি। প্রখ্যাত ভাসানী গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এই বইয়ে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক তৎপরতা ও ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। গবেষণা গ্রন্থ হলেও লিখেছেন গল্পে গল্পে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বহু বছর ধরে ভাসানীর জীবনের অজানা ঘটনাগুলো সংগ্রহ করে সাজিয়ে-গুছিয়ে পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ বই আকারে। কখনও পাঠককে নিয়ে গেছেন ভাসানীর কুড়েঘরে, কখনও ভাসানীর রসুইঘরে, কখনও কৃষক সম্মেলনের ময়দানে, আবার কখনও দেশে-বিদেশে। চিনিয়েছেন একেবারেই সাদামাটা একজন ব্যক্তিকে। একজন মহান নেতার আদর্শ বলতে আমরা যা বুঝি এই বইয়ের পাতায়-পাতায় তা ধরা দিয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। এতো ভালো একটা বই, অথচ এই বই নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না - এটাই অবাক করার মতো বিষয়। ভাসানী কাহিনী নিয়ে আলোচনা হোক। মানুষ ভাসানী কাহিনী পড়ুক। পাঠ্য পুস্তকের বাইরে আরো বিশদভাবে জানুক মাওলানা ভাসানীকে। এটাই চাওয়া।
Was this review helpful to you?
or
Nowadays this generation needs to know about our real leaders . This book is just fabulous and awesome . Please read this book to know how kind and honest of our leader Bhashani !
Was this review helpful to you?
or
সেই ব্রিটিশ যুগ থেকে এই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ভাসানীর অবদান নিয়ে অজানা অনেক কথাই জানতে পারলাম বইটি থেকে। ভাসানীর অনাড়ম্বর জীবন যাপন এবং তার রাজনৈতিক দর্শনের বিষয়ে উপলব্ধি করতে হলে, বইটি অবশ্যই পড়তে হবে। এই উপমহাদেশের ইতিহাসে যাদের আগ্রহ তাদের জন্য 'মাস্ট রিড' একটি বই ।
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book. People should know how a legend and a real leader lead his life.
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এই বইয়ে বর্ণিত হয়েছে। তবে ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে লিখিত হলে ভালো হত।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
All books that I have already readdare surely to enhance our soan of knowledge.
Was this review helpful to you?
or
ভাসানী কাহিনী এখনো পড়িনি- পরে পড়ব, রিক্লেইমিং দ্যা মস্ক পড়ছি- শেষের পথে । ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
Ok
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এদেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্যও অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। কৃষক আন্দোলনের নেতা হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয় তাঁর। তিনি সবসময় রাজনীতি করেছেন অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য। ক্ষমতার মোহ কখনো স্পর্শ করেনি এই প্রবাদপ্রতীম মানুষটিকে। এই গ্রন্থে লেখক সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনের নানা জানা অজানা দিক ; যা শুধু জীবনীগ্রন্থ নয় এ এক ইতিহাসগ্রন্থ।
Was this review helpful to you?
or
জীবনী গ্রন্থ নয়। অনেকটা টুকরো খবর। লেখক বিচারে হতাশ হয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুব অসাধারন একটি বই।বইটিতে মাওলানা ভাসানীর জীবনের নানা দিক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বৈচিত্র্যময় ও ঘটনাবহুল তার দীর্ঘজীবন।এই বইয়ের টুকরো টুকরো কাহিনীগুলো শুধু আকর্ষণীয় নয়,মাওলানা ভাসানীর রাজনীতি বোঝার পক্ষেও গুরুত্ববহ। ব্যক্তি ভাসানী ও রাজনীতিবিদ ভাসানীকে জানতে পারা যায় বইটি পাঠ করে।বইটির প্রচ্ছদ এককথায় অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
আমরা হয়তো মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন এক-আধটু জানি। মওলানা ভাসানীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের অনেক টুকরো টুকরো ঘটনার সমষ্টি এই বই। নিঃসন্দেহে বইটি থেকে মওলানা ভাসানী সম্পর্কে অনেক চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করবেন।