User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা ভালোই,,,, যদিও বাইরের কথাবার্তা বেশি। তারপরও ভালো লাগবে। বিজ্ঞানের খুব বেশি মজা না পাওয়া গেলেও সাধারণ উপন্যাসের মজা পাওয়া যাবে।মনে হবে গতানুগতিক সাধারণ কাহিনি। সাধারণ কাহিনির মাঝে একটু কাল্পনিক বিজ্ঞানের ছোয়া। সব মিলিয়ে ভালোই ছিল বইটি।
Was this review helpful to you?
or
যত্তসব ফালতু বই। ইউসলেস কথাবার্তা দিয়ে ভরা। এসব বই পড়ে অযথা নিজের সময় নষ্ট করা বোকামি।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটির শুরু বুয়েট ছাত্র তূর্যের এক ভয়াবহ এক স্বপ্নের মাধ্যমে। তূর্য তার এই দেখা দুঃস্বপ্নের ব্যাখ্যা তার ছাত্রী জয়ীতার কাছে জানতে পারে। জয়ীতা তাকে জানায় তার সামনে কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে। আবার এইদিকে তূর্যের এক প্রতিবেশী দেশ বিখ্যাত বিজ্ঞানী দিদার বিজ্ঞানী মানুষ হলেও 'হটাৎ ঝগড়া - দ্য ওয়ান স্টপ কোয়ারেল' নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। চলচ্চিত্র টি আবার কোনো সাধারণ চলচ্চিত্র নয়, নতুন এক ধরণের অ্যানিমেশন মুভি। মুভির ক্যারেক্টারগুলোর মধ্যে প্যারান্যাচারাল ইন্টেলিজেন্স দেওয়ার কারণে ক্যারেক্টারগুলো নিজেদের ইচ্ছামত আচরণ করতে পারবে। মুভি চলাকালীন সময়ে সিনেমাহলে হটাৎ করেই মুভির ক্যারেক্টারগুলো বাস্তব জগতে চলে আসে। বাস্তব জগতে আসা মানুষগুলোর মধ্যে দুইজন ছিলেন বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে এক বিজ্ঞানী ফুটিকে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপে ধরে নিয়ে আটকে রাখে একটি বিদেশি কমান্ডো দলের সদস্যরা। এই বিজ্ঞানীকে উদ্ধার করতে তূর্য,বিজ্ঞানী দিদার, অন্য জগৎ থেকে আসা বিজ্ঞানী টুটি শুরু করেন তাদের অভিযান। তারা কি পারবে বিজ্ঞানী ফুটিকে উদ্ধার করতে.? বিদেশি কমান্ডো দলের সদস্যরাই বা কেন বিজ্ঞানী ফুটিকে আটকে রাখলো.? তূর্যের দেখা স্বপ্নের মতো তাদের সামনে কি সত্যি কোনো বিপদ অপেক্ষা করছে.?
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: হিগস প্রলয়; লেখক: আসিফ মেহ্দী; ধরন: সায়েন্স ফিকশন আসিফ মেহ্দী ভাইয়ের লেখা ২য় সায়েন্স ফিকশন হলো এই "হিগস প্রলয়"। বইটি পড়া শুরু করলে দেখা যাবে, বইটির কাহিনী বুয়েট পড়ুয়া এক যুবক তূর্যের সাদাসিধে জীবন কাহিনীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। বইটি মূলত সায়েন্স ফিকশন হলে ও এতে রয়েছে হালকা রম্যের ছোঁঁয়া। হিগস প্রলয়ের প্রলয় কাহিনী এই তূর্যকে ঘিরে। এখানে ই লেখক লুকিয়ে রেখেছেন প্রধান চমক। কেননা তূর্যই হঠাৎ করে আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে রোমাঞ্চকর এক অ্যাডভেঞ্চারেরর দুনিয়ায়। পরিচয় করিয়ে দেবে এক বিজ্ঞানীর সাথে। নাম দিদার। তাকে ঘিরে ই তুমুল একটা হৈচৈ মতো অবস্থা। কারণ বিজ্ঞানী দিদার বানিয়েছেনন একটা সিনেমা। বিজ্ঞানী হয়ে কেন ই বা তিনি সিনেমা বানালেন? এই প্রশ্নের উত্তর আর পাঠকদের জন্য রোমাঞ্চকর এক কাহিনী অপেক্ষা করছে হিগস প্রলয়ের পাতায়। সেই কাহিনীর ধাপে ধাপে পাঠকের পরিচয় হবে বিজ্ঞানী টুটি, ডিডো, ফুটি আর বুলির সাথে যারা জড়িয়ে আছে সুন্দর এই পৃথিবীতে হুগস প্রলয়েরর প্রলয় ঘটানোর এক মহাপ্রযুক্তির সাথে। সেই মহাপ্রযুক্তি নিয়ে ই যতো ভালো-মন্দের লড়াই। সায়েন্স ফিকশনটির পাতায় পাতায় পাঠক পরিচিত হবেন অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সাথে। কাহিনীর এক পর্যায়ে ফুটি বন্দি হয়। কেন সে বন্দি হলো? আর কোথায় ই বা তাকে বন্দি করা হলো? মহাবিশ্ব ধ্বংসের প্রযুক্তি কাউকে জানানোর আগে বাকিরা কি পারবে তাকে উদ্ধার করতে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন " হিগস প্রলয় " বইটি।
Was this review helpful to you?
or
"রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ" খবরটা শুনে মাথা ঘুরে গেল তূর্যের। অবশ্য এমন খবরে যে কারোর মাথাই ঘুরে যাবার কথা। বিজ্ঞানী দিদার গবেষণার মাধ্যমে প্যারান্যাচারাল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একটি অ্যানিমেশন মুভি তৈরি করেন; যেখানে ক্যারেক্টারগুলো বের হয়ে আসতে পারে সিনেমার পর্দা থেকে। সেই সিনেমার প্রিমিয়ারের দিন বিজ্ঞানী দিদার হাসপাতালে । ওদিকে তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে সিনেমার পর্দা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে এন্টিওয়ার্ল্ডের বিজ্ঞানী টুটি, ফুটি, ডিডো ও বুলি। শুরু হয় তুলকালাম কান্ড। ফুটি ধরা পড়ে কমান্ডো দলের হাতে। নিখোঁজ হয়ে যায় ডিডো আর বুলি। তখনই তূর্যের দেখা হয় টুটির সাথে। সে জানায় বিজ্ঞানী ফুটির হিগস ফিল্ড ধ্বংসের প্রযুক্তি আবিষ্কারের কথা, যে হিগস প্রলয়ের মাধ্যমে মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কমান্ডোদের টর্চারে ফুটি যদি তাদেরকে ফর্মুলা বলে দেয় তাহলেই সর্বনাশ। এখন উপায়? ডিডো ও বুলিকে খুঁজে বের করতে হবে, উদ্ধার করতে হবে ফুটিকে। ওদিকে ফুটি বন্দি আছে প্রশান্ত মহাসাগরের টোংগা দ্বীপে শক্তিশালী লেজার রশ্মির খাঁচায়। তবে কি পৃথিবী ধ্বংস হবে? নাকি ফুটি উদ্ধার হবে মহাবিশ্ব ধ্বংসের ফর্মুলা কাউকে জানানোর আগেই? সাইন্স ফিকশন হলেও গতানুগতিক সাইন্স ফিকশন থেকে একেবারেই আলাদা। লেখক সাবলীল ভাষায় অনবদ্য লেখনীতে এমনভাবে গল্প বলে গেছেন পাঠক বুঁদ হয়ে থাকবে। সারা বইয়ে রম্যের একটা সংশ্লেষ পাবে; পরিচিত হবে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সাথে। হাস্যরস, অ্যাডভেঞ্জার ও বিজ্ঞান সব মিলে “হিগস প্রলয়” হয়ে উঠেছে এক অনবদ্য সাইন্স ফিকশন।
Was this review helpful to you?
or
হাস্যরস, এডভেঞ্চার ও বিজ্ঞান এই তিনের অদ্ভুত সুন্দর সংমিশ্রণে "হিগস প্রলয়" হয়ে উঠেছে অনবদ্য এক সাইন্স ফিকশন। হাল্কা ভাষায় পরিবেশ বর্ণনা, আর চরিত্রের সংলাপের সহজাত বাচনভঙ্গির পাশাপাশি উপন্যাসের কাহিনীকে অত্যন্ত সাবলীল আর হাস্যরসের সাথে এগিয়ে নেবার কারণে লেখাটি অবশ্যই মৌলিকত্বের দাবিদার। এর সাথে রয়েছে জগৎ-প্রতিজগতের অদ্ভুত সখ্যতা। গল্পের নায়ক তূর্য বিজ্ঞানী টুটির সাথে প্রতিজগতে গিয়ে খেয়ে আসে এন্টিম্যাটারের তৈরি পিজা! এরকম কল্পনাশক্তি গল্পের সাথে মেশানোর ক্ষমতা সুকুমার রায়ের পর এইখানে দেখলাম। যদিও উপন্যাসের মূল বিষয় খুবই গুরুগম্ভীর আর ভয়ানক, তবুও কাহিনীর পরতে পরতে সবকিছু ছাপিয়ে প্রকাশ পেয়েছে লেখকের "সেন্স অফ হিউমার"। হিগস ফিল্ড, ম্যাটার-এন্টিম্যাটার বেজড সায়েন্স ফিকশন স্বভাবতই রাসভারী হবার কথা। কিন্তু লেখকের নিজস্ব লিখন স্টাইলে পুরো উপন্যাসই পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। তবে বিজ্ঞানী ফুটি এবং তাঁর ফর্মুলাকে দূর্বৃত্তের হাত থেকে রক্ষা করার কাহিনীটিও যথেষ্ট থ্রিলিং এবং এডভেঞ্চারাস ছিলো। আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে এই উপন্যাসটি পড়ি। সে সময় ম্যাটার-এন্টিম্যাটার সম্পর্কে অল্পস্বল্প পরিচয় থাকলেও হিগস বোজোন কণা সংক্রান্ত জ্ঞান ছিলো সূচাগ্র সমতুল্য। তখন মনে হয়েছে উপন্যাসে এই বিষয় গুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে বর্ণনা করা হয়নি। পুরো ব্যাপারটা আবছা আবছা বুঝতে পেরেছিলাম। "হিগস প্রলয়" অনেক সিক্স/সেভেনের পাঠকরাও পড়ে। তারাও হয়তো ঝাপসা মতোন ব্যাপারটা বুঝতে পারে; কেউ হয়তো পারে না। তাই ক্ষুদে পাঠকদের কথা বিবেচনার রেখে "হিগস ফিল্ড", "এন্টি ম্যাটার" ইত্যাদি বিষয়গুলোর একটা মজাদার ব্যাখা দিলে হয়তো উপন্যাসটা আরো অনেক অনেক পাঠক হৃদয়ঙ্গম করতে পারত।
Was this review helpful to you?
or
☹
Was this review helpful to you?
or
ভালো একটি বই, চমৎকার লেখার গাথুনী, অনেক কিছু জানার অাছে বইটা থেকে
Was this review helpful to you?
or
#রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত_ও_রকমারি_ডট_কম_আয়োজিত_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইয়ের শুরুতেই দেখা যায় বুয়েটের ছাত্র তূর্য টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পথে খবর পায় বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী দিদার ভর্তি আছেন হাসপাতালে। জনাব দিদার তূর্যের প্রতিবেশী, একজন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী। তিনি তৈরী করেছেন একটি চলচ্চিত্র, যার প্রিমিয়ার আজ সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্স। কিন্তু এটি কোনো সাধারন চলচ্চিত্র না, একে নতুন টাইপের এনিমেশন মুভি বলা যায়। এই মুভির বৈশিষ্ট্য হলো, এর কোনো নির্দিষ্ট কাহিনী নেই। মুভির ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টারগুলোর মধ্যে তিনি কিভাবে যেন প্যারান্যাচারাল ইন্টিলিজেন্স ঢুকিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে ক্যারেক্টারগুলো ইচ্ছেমতো আচার আচরণ করবে দেশ বিদেশের সাংবাদিকের চাপে বিজ্ঞানী দিদার আশ্রয় নেন হাসপাতালে। প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত হয় তূর্য স্টার সিনেপ্লেক্সে। সিনেমার কাহিনী বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এক পর্যায়ে ক্যারেক্টারগুলো বেরিয়ে আসে স্ক্রিন হতে। যারা অন্যজগতের বিজ্ঞানী। এদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী টুটি ও ফুটি, আর বিজ্ঞানী টুটির ছেলে ডিডো ও ফুটির মেয়ে বুলি। এরা এসেছে আমাদের প্রতিজগৎ বা এন্টিওয়ার্ল্ড থেকে। মহাবিশ্বের প্রতিটি পদার্থের যেমন প্রতিপদার্থ বা এন্টিম্যাটার রয়েছে, তেমনি এ জগতের ও প্রতিজগৎ আছে। জগৎ ও প্রতিজগৎ একই স্থানে, তবে দুই জগৎের মাঝে রয়েছে স্থিতিশীল চৌম্বকক্ষেত্র ও আলোর ফাঁদ। এদের বাস্তবে বেরিয়ে আসার পরই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা, শপিং কম্প্লেক্সের চারদিক ঘিরে ধরলো র্যাব পুলিশ। বিশৃঙ্খলার ভেতরেই তূর্য খুজে পেলো বিজ্ঞানী টুটিকে। ততক্ষণে ফুটিকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। বুলি আর ডিডোও নিখোজ। তারা জানতে পারলো বিজ্ঞানী ফুটিকে ধরে নিয়ে গেছে বিদেশী কমান্ডো দলের লোকেরা আর তাকে আটকে রাখা হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের এক দ্বীপে। ফুটি তূর্যকে জানালো কিভাবে তারা অ্যান্টিলাইটোম্ যাগনেটিকুলার দিয়ে জগৎের এক অবস্থান হতে অন্য অবস্থানে যেতে পারে। এমনকি তার সাথে বললো এক ভয়ংকর তথ্য। বিজ্ঞানী ফুটি নাকি আবিস্কার করে ফেলেছে হিগস ফিল্ড ধ্বংসের প্রযুক্তি। হিগস বোসন তথা ঈশ্বর কণার বিস্তৃত এই মহাবিশ্বই হিগস ফিল্ড। কমান্ডো দলের টর্চারের মুখে কথা বলতে বাধ্য হবেই ফুটি। সে তাদের এই মহাবিশ্ব ধ্বংসের প্রযুক্তি বলে দিতে পারে, যা খারাপ লোকের হাতে পরা মানে পৃথিবীসহ চেইন রিঅ্যাকশানে এই মহাবিশ্বের ধ্বংস। এবার তূর্য আর বিজ্ঞানী টুটির পালা, বিজ্ঞানী দিদারকে হাসপাতাল থেকে বের করে আনা বুলি ও ডিডোকে উদ্ধার করা। আর টোংগা দ্বীপে লেজার রশ্নির খাচাঁয় বন্দী বিজ্ঞানী ফুটিকে উদ্ধার করা। তারা কি পারবে ফুটিকে উদ্ধার করতে, মহাবিশ্ব ধ্বংসের প্রযুক্তি কাউকে জানানোর আগে? আর সবাইকে নিয়ে ফিরে যেতে পারবে অ্যান্টিওয়ার্ল্ডে? জানতে হলে পড়ে ফেলুন # হিগস প্রলয় বইটি।? *********, বইটির কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে এর পৃষ্টার কোয়ালিটির উপর। অনেক ভালো কোয়ালিটির পাতা। আর বইটিতে নতুন নতুন তথ্য রসে ভরা। এককথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে বইটি। [অবশ্য বইটি খুবই সরল ভাষায় লেখা, সবকিছুর সহজ বর্ণনা] আমার রেটিং - ৮/১০ তো আজই পড়ে ফেলুন হিগস প্রলয় বইটি। রকমারিতে ২২% ছাড়ে পাচ্ছেন মাত্র ৯৪/- টাকায়। #হ্যাপী_রিডিং. By: M R Bijoy
Was this review helpful to you?
or
আসিফ মেহ্দী।লিখেছেন অল্প কিছু সংখ্যক বই।তবে বইগুলো ঠিক গতানুগতিক ধাঁচের নয়।রম্যগল্প বা ছোট ছোট রম্য কবিতা লেখায় তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু শিক্ষাগত দিক থেকে বলা যায় তিনি বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র।তাই স্বভাবতই বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।তাঁর লেখাগুলোর একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমি বলবো এ ক্ষেত্রে তিনি বেশ ভালোভাবেই সফল। হিগস প্রলয় আসিফ মেহ্দীর দ্বিতীয় সায়েন্স ফিকশন।সায়েন্স ফিকশনটি পড়া শুরু করলে পড়ার প্রথম দিকেই মনে হবে এটা ঠিক সায়েন্স ফিকশন গোছের কিছু নয়। নিতান্তই বুয়েট পড়ুয়া এক যুবক তূর্য'র জীবনের সাধাসিধে কাহিনী। কিন্তু হিগস প্রলয়ের চমকটা লুকিয়ে রেখেছেন লেখক এখানেই।এই বুয়েট পড়ুয়া তূর্যই আপনাকে হঠাত্ টেনে নিয়ে যাবে রোমাঞ্চকর এক অ্যাডভেঞ্চারের দুনিয়ায়।পরিচয় করিয়ে দেবে বাংলাদেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী দিদারের সাথে যাঁকে নিয়ে তুমুল একটা হইচইয়ের মত অবস্থা।বিজ্ঞানী দিদার বানিয়েছেন একটা সিনেমা।বিজ্ঞানী আবার সিনেমাই বা বানাতে যাবেন কেন?এই কেন'র উত্তর আর সেই উত্তরের সাথে সায়েন্স ফিকশন পাগল পাঠকের জন্য রোমাঞ্চকর এক কাহিনী অপেক্ষা করছে হিগস প্রলয়ের পাতায়।সেই কাহিনীর ধাপে ধাপে পরিচয় হবে বিজ্ঞানী টুটি,ফুটি,ডিডো আর বুলির সাথে।যারা জড়িয়ে আছ সুন্দর এই পৃথিবীতে হিগস প্রলয় বা মহাপ্রলয় ঘটানোর এক মহাপ্রযুক্তির সাথে।সেই মহাপ্রযুক্তি নিয়ে ভাল-মন্দের লড়াই।সায়েন্স ফিকশনটির পাতায় পাতায় পাঠক পরিচিত হবেন অত্যাধুনিক সব চমকপ্রদ প্রযুক্তির সাথে।তবে এসব প্রযুক্তির পরিচয়ের সাথে সাথে কিছুটা মাথা খাটিয়েই পাঠককে বুঝতে হবে এগুলোর বিস্ময়কর ব্যবহার।তাহলেই স্পষ্ট হবে রহস্যময় জগত-প্রতিজগতের ধারণা।এই জগত-প্রতিজগতের মাঝে কিভাবে সম্ভব হল একদল মানুষের যাতায়াত তাও লুকানো আছে হিগস প্রলয়ের মাঝে! সায়েন্স ফিকশনটির আরও চমক লুকায়িত এর প্রতিটি লাইনে।পাঠকের পরিচিত হওয়া বাকি আরও কিছু আজব আর মজার চরিত্রের সাথে।যাদের সবাইকে নিয়েই অত্যন্ত মজার এ সায়েন্স ফিকশনের কাহিনীর পথচলা। হিগস প্রলয় আরেকটি দিক থেকে আমার কাছে গতানুগতিক সায়েন্স ফিকশন থেকে একেবারেই আলাদা মনে হয়েছে।আর সেটি হল ভাষার সাবলীলতা।একেবারেই সাধাসিধে ভাষায় লেখা অসাধারণ একটি সায়েন্স ফিকশন।এই বইটির সাবলীলতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর ভেতর হালকা রম্যের ছোঁয়া।যা বিজ্ঞানের কিছু কঠিন শব্দ আর বিষয়াবলীর মাঝেও অন্তত পাঠকের মুখের মিষ্টি হাসিটা অমলিন রাখবে!আর আমার মতে এই দক্ষতাটাই অন্যান্য সায়েন্স ফিকশন লেখকদের সাথে আসিফ মেহদীর একটি মৌলিক পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। রাজধানী থেকে প্রতিজগত আবার বিপরীত পথে ফিরে আসার মাঝে নানা কাহিনীর সমাহার তাই এই সায়েন্স ফিকশনটিকে দিয়েছে এক অন্যরকম অনন্যতা!