Our User Product Reviews

মূলত এই গল্প প্রায় ২০৮ বছর আগের এক আমেরিকান তরুণ জেমস বাউয়ি আর তার জীবনের সাথে হার না মানা প্রতিষ্ঠিত জীবনের গল্প। কিন্তু সব কিছুরই শেষ থাকে, বাউয়িও শেষ দেখেছিল টেক্সাসের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে। না মেক্সিকানরা নয়, বাউয়ি মারা যান বিছানায় শুয়ে লড়তে লড়তে। যে কিনা দাস ব্যবসা থেকে খনির রুপা আর জমির ব্যবসা কিছুই বাদ দেয়নি আবার অন্য দিকে মারাত্মক জুয়ার জ্ঞানও ছিল, এই সব কিছুর মাঝেও নিজের বিবেকবোধ হারায়নি। ভালবেসেছিল প্রথম তারুন্যের ১২ বছর জুদাল নামের এক ক্রিয়ল মহিলাকে যে তার ভালবাসার মর্যাদা দেয়নি। উরসুলা এক অসাধারণ রমনী যাকে সে ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করে ২ সন্তানের জনকও হয় কিন্তু মহামারী টেনে নেয় তাদের সবাইকে যখন সে ব্যবসার কাজে ছুটে বেরিয়েছিল। ক্ষমা করতে না পেরে নিজেকে অনেক দিন পাড় মাতাল হয়ে জীবন কাটিয়ে আবার যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত যায় সেচ্ছায়। হয়তো বুঝেছিল হয়তো জীবনে আর কিছু চাওয়া পাওয়ার ছিল না। কিন্তু এই পুরোটা সময় বাউয়ির মা ভাইয়েরা বা সংসার একেক সময় বিদায় নিলেও সঙ্গ ছাড়েনি ওয়াশিংটনের ব্ল্যাকের বানানো বিশেষ ছুড়ি যা দিয়ে সে অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ করেছে এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও বাউয়ি ছুরি তার পাশেই ছিল। তার স্ত্রী যাকে হিংসা করত কারণ এই ছুরি বাউয়ির সাথে সবসময় থাকতো। তাই উরসুলা এই ছুরিকে তুলনা করেছিল বাউয়ির উপপত্নী নাম। আর বাউয়ি যাকে মনে মনে নাম দিয়েছিল আয়রন মিস্ট্রেস নামে। পড়তে পড়তে হারিয়ে যেতে হবে পাঠককে জেমস বাউয়ির সাথে

অসাধারণ! সত্যিই অসাধারণ! আসলে সেবা প্রকাশনীর বেশিরভাগ অনুবাদের মান একেবারে ফার্স্ট ক্লাস।প্রায় পৌনে দুশো বছর আগের কাহিনী নিয়ে লেখা বইটি। যার সূচনা হয়েছিল আমেরিকার অর্লিয়েন্স শহরে। চমৎকার এই কাহিনির সূচনা কাহিনির মূল নায়ক ২২ বছর বয়সী দীর্ঘদেহী, হাসিখুশী এবং শিকারপ্রিয় মুক্তমনের অধিকারি জেমস বাউয়ি-কে দিয়ে। লেখকের জাদুকরী হাতের ছোঁয়ায় বাউয়ির জীবনটা পাঠকের চোখের পর্দায় ভেসে উঠবে বাস্তব ঘটনার মতোই। স্বল্প পরিসরে একজন মানুষের জীবনের উথ্থান এবং পতন, তার অর্জন, প্রিয় মানুষ হারানোর শোক সব মিলিয়ে এক অপূর্ব আখ্যান এটি।