User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Thanks Rokomari for delivering my book in time although I am in a rural area.
Was this review helpful to you?
or
কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট এক নি:শ্বাসে পড়ার মতো একটি বই। বইটি দুবার পড়েছি আমি। রকমারি থেকে সংগ্রহ করেছি। পড়তে পারেন আপনি।
Was this review helpful to you?
or
অতিরঞ্জিত ছিল কিছু জায়গায়
Was this review helpful to you?
or
লেখক রঞ্জনবাবু পাঠকের কাছে উপাদেয় করার জন্য বইটিকে অতিরঞ্জিত করেছেন কিনা সেই প্রসঙ্গে যাবোনা। যেই বেদনাবিধুর ভালোবাসার উপাখ্যান এই দীর্ঘ চিঠিতে আছে, তা কেবল হাহাকার ছাড়া আর কিছু তৈরি করবেনা আসলে! কাদম্বরীদেবী যেন তার নীরব ভাষায় তাই বুঝাতে চেয়েছেন। অত্যন্ত ছোট, একবসায় পড়ার মত বই। পড়তে খারাপ লাগবে না।
Was this review helpful to you?
or
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথকে আমার এমনিতেই রহস্যময় পুরুষ বলে মনে হয়।তার রহস্যময় আচরন শুরু হয় ছেলেবেলা থেকেই। আমাদের মত প্রথাগত শিক্ষা নিতে তিনি রাজি হননি। যখন কলেজে পড়ি তখন এক ম্যাডাম বাংলা ক্লাসে আমাদরকে কাদম্বরীদেবীর কথা বলেছিলেন। মনে আছে ম্যাডামের কথা হা করে গিলেছিলাম। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে নারীরা পুরুষদের প্রেরনার উৎস। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথেরও সেধরনর একজন নারী ছিল এবং সেই নারী তার নিজের বড় ভাইয়ের বৌ। রবীন্দ্রনাথ তখন তেইশ, নতুন বউঠান কাদম্বরীদেবী মাত্র পঁচিশ। ১৮৮৪ সালের ১৯ শে এপ্রিল আফিম খেলেন নতুন বউঠান, আত্মহত্যার চেষ্টায়। মারা গেলেন ঠিক দুদিন পরে। কেন আত্মহত্যা করেছিলেন রবির প্রাণের সাখা কাদম্বরীদেবী? কেন প্রবল প্রতাপ বাবামশাই দেবেন্দ্রনাথের আদেশে আত্মহত্যার সব প্রমাণ পুড়িয়ে ফেলা হল? ঘুষ দিয়ে বন্ধ করা হল সকলের মুখ? কাদম্বরীদেবী কি দেখেননি কোনও সুইসাইড-নোট? নাকি লিখেছিলেন? যা পুড়িয়ে ফেলা হয়! … সেই সুইসাইড নোটে কি সত্যিই কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল? লুকিয়ে ছিল গোপন গহন ব্যাথা? গতবছর হঠাৎ করে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট বইটি হাতে আসে। পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষদের জীবন নিয়ে আমার আগ্রহর শেষ নেই। আর সেটা যদি রবীন্দ্রনাথের মত মানুষ হয় তাহলে তো কথাই নেই। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ অনেকটাই মিটাতে পেরেছে রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২৭ বছর আগের ঘটনা লেখক বলেছেন কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড নোট বইটিতে। কাদম্বরীদেবী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক অজানা এবং সত্য কথা উঠে এসেছে যা হয়ত এই বইটা প্রকাশিত না হলে কখনই জানা যেত না। বইটি পড়ে আমার মনে হয়েছে কাদম্বরীদেবী রবীন্দ্রনাথকে মুক্তি দিয়েছেন তার মৃত্যকে তরান্নিত করে। কাদম্বরীদেবী রবীন্দ্রনাথের মাঝেই খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের স্বাদ। তার পঁচিশ বছরের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে চিন্তার সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বুঝেছিলেন একমাত্র তার মৃত্যুই রবীন্দ্রনাথকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
অগোছালো লেখায় শুরু হলেও শেষ অবধি লেখক লেখার হাল ধরেছেন বলা চলে। সস্তা জন নন্দিত্ব পাওয়ার ত্বরে যদি এমন সুচারুরূপে রবিন্দ্র-চরিত্র হননে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে ভিন্ন কথা, তবে কতটুকু সত্যি তা যাচাই করা প্রয়োজন। শুধু বেস্ট সেলার বইয়ের জন্যই কি ১২৭ বছরের পুরনো ঘটনায় অতিরঞ্জন সমীচীন? বিখ্যাত বক্তিত্তের ভিতরকার ঘটনায় বড়ই আগ্রহ থাকে আমাদের মনে তার কিছুটা হয়ত এই বইটা মিটাতে সক্ষম হবে। বইয়ের প্রসঙ্গে, ব্রিটিশদের দোষ দিয়ে বেশী লাভ হবে বলে মনে হল নাহ, যেথায় রবীন্দ্রনাথ নিজেই পরকীয়ার নায়ক! লেখকের ভাষ্যে তাই প্রতিয়মান হচ্ছে। সেই যুগে নারীদের সপ্নের পুরুষ ছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যের মহোত্তম স্রস্টাকে নতুনবউঠানের প্রেমিক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকায় দেখা গেল যখন তিনি পুনরায় বিলেত না গিয়ে ফিরে এলেন চন্দননগরে শেষবারের ত্বরে খনিক পরেই মলিন। প্রেমিকাই লেখকের কাছে বহু শক্তিশালী হয়ে উঠল অবশ্যও এতে ওই উনিশ বছরেরে বউঠানই বেশী প্রেম উৎসরনের দাবী রাখে তাই তার প্রাধান্যও বেশী। জীবনে যে নারী স্বামীসুখ বঞ্চিত সে তার দ্বিতীয় বরের (দেবর) কাছে খুঁজে পায় যে শান্তির প্রেম, সেই হিমাদ্রির ভালবাসা। আফিমের গুলিতেই করুন মৃত্যু বরন করে অভাগিনী বৌদিমনি রবির বিয়ের ৪ মাস পরে। দুজনের প্রেম ভালবাসার ক্ষণিক মোহ কিছু অতীত রোমন্থনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সুইসাইড নোট। শেষে এসে বউঠানের মৃত্যুতে সমাপ্তি পায়। **পাঠক পড়ে ফেলুন দেখুন কি আছে রবির “নতুনবউঠাকুরানীর” লেখনীতে, সাহিত্য যে সাহিত্যিকের প্রেমেই আবির্ভূত হয় এ তারই প্রমান বহন করে।
Was this review helpful to you?
or
‘কাদম্বরীদেবীর সুইসাইড-নোট’ বইটার মধ্য দিয়ে কাদম্বরীদেবী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক অজানা এবং স্পর্শকাতর সত্য উঠে এসেছে। যা হয়ত এই বইটা প্রকাশিত না হলে কখনই অনুধাবন করা যেত না। কাদম্বরীদেবী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের খেলার সাথী, ভাবী, মনের মানুষ এবং সর্বেোপরি তার লেখার অনুপ্রেরণা। আর রবীন্দ্রনাথ ছিলেন কাদম্বরী দেবীর একমাত্র অবলম্বন। যার কারণেই ছিলো তার বেঁচে থাকা এবং মরে যাওয়া। অধিকার বঞ্চিত, অবহেলিত এবং অসহায় এক নারী কাদম্বরীদেবী রবীন্দ্রনাথের মাঝেই খুঁজে পেয়েছিলেন জীবনের স্বাদ। তার পঁচিশ বছরের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে চিন্তার সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অভিজাত পরিবারে বেড়ে ওঠা এবং মায়ের আদর বঞ্চিত রবীন্দ্রনাথও তাকে অনেক ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা থেকেই রচনা করেছেন একেরপর এক অনেক অসাধারণ লেখা। কিন্তু মানুষের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার হিসেবটা সবসময়ই একটু এলোমেলো। শেষ পর্যন্ত বাস্তবতা এবং প্রচন্ড প্রতাপশীল বাবামশাইয়ের আদেশ মেনে নিয়ে ভবিষ্যত জীবনের দিকে অগ্রসর হন রবীন্দ্রনাথ। আর কাদম্বরীদেবীও তাকে মুক্ত করে নিজে বেছে নেন চিরমুক্তির পথ। অসাধারণ চিন্তাশক্তির অধিকারী কাদম্বরীদেবী অনুভব করেছিলেন তার মৃত্যুই রবীন্দ্রনাথের এগিয়ে যাওয়ার পথকে প্রশস্ত করবে। যুগ যুগ ধরে পুরাতন সভ্যতা যেমন করে হারিয়ে যায় কালের গর্ভে জন্ম নেয় নতুন সভ্যতা তেমনি করে কাদম্বরীও নতুন সম্ভাবনাকে জায়গা করে দিয়ে হারিয়ে গেলেন অসীম অন্ধকারে। বইটির প্রতিটি লাইন পাঠককে নিয়ে যাবে সেই সময়ে।
Was this review helpful to you?
or
পাঠকরা পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন, এটি সম্পূর্ণই বানানো একটি লেখা। উর্বর মস্তিকের কল্পনাপ্রসুত ফিকশান। কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট বলে যা প্রচার চালানো হয় সেই লেখার কোন অংশই অক্ষত অবস্হায় পাওয়া যায়নি। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবল প্রতাপে শুধু সুইসাইড নোট কেন পরবর্তীতে কাদম্বরী দেবীর সকল স্মৃতিই ঠাকুর বাড়ি থেকে মুছে ফেলা হয়। শুধুমাত্র কাটতি বাড়ানোর জন্যই এসব বানোয়াট লেখা বাজারে ছাড়া হয়।