User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
This is such an amazing book for children who has curiosity for Science
Was this review helpful to you?
or
মাশাআল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
ভালোই। কিছু বিষয় বাদে বাকিটা পছন্দসই।
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের উপর লেখা জাফর ইকবাল স্যারের আরো একটি চমক। প্রথমে 'একটুখানি বিজ্ঞান', তার পরা 'আরো একটুখানি বিজ্ঞান' আহ, বিজ্ঞান প্রেমিদের জন্যতো শুধু আনন্দই। আমার বোধ হয় আর কিছু বলার দরকার হয় না। কিনে ফেলুন জলদি।
Was this review helpful to you?
or
Besh valo boi
Was this review helpful to you?
or
Contents are really great
Was this review helpful to you?
or
كلؤ الغاخا
Was this review helpful to you?
or
Its good
Was this review helpful to you?
or
I love it
Was this review helpful to you?
or
it was good for children
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল স্যার সম্পর্কে নতুন করে বলার মতো কিছুই নেই৷ আরো একটু খানি বিজ্ঞান তার বিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলোর মধ্যে অন্যত, সুখপাঠ্। বিজ্ঞানের নতুন নতুন মজার বিষয়গুলো একেবারে কথ্য ঢঙে মজায় মজায় উপস্থাপন করেছেন। মনে হবেনা যে বিজ্ঞান হলো জটিল কোন সমীকরণ বা রস কসহীন বিষয়। পড়েই দেখুন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
অনন্য এবং অসাধারণ। বিজ্ঞানের খুব কঠিন বিষয় গুলো অতি সহজ ভাষায় চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটি ছোটদের জন্য লেখা হলেও ছোটদের পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক যে কারো ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
many many thanks and salam to you dear zafor iqbal sir.you are such a role model of our country.you have encouraged me to be a science lover.at first when i was a student of class nine then i read you book podarrtho bigganer prothom path.actually i have read this book aro ektu khani biggan in soft file. Now i am buying hardcop. InshALLAH i will read it again. Love you
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
Ami Zafor sir er akjon vokto....Amar mone asche jokhon choto chilam tokhon ei boi ta diyei Zafor sir er boi er sathe amar porichoi...tokhon thekei sir er lekhar proti valobashar suru...sir er onek boi poresi...amar mone hoi amader sishu kisorder anonder sathe biggyan sikkhar hatekhori ekhan thekei hote pare.
Was this review helpful to you?
or
Very nice.Dr. Zafor Iqbal has discussed about some Important topics of science.He has described very easily about the topics.All the topics Understandable . Everyone will be very helpful by reading this book,Children should read this book to gain knowledge about some important topics.Much Recommended book for all people.
Was this review helpful to you?
or
১৮১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার্লস রেডহেফার নামে একজন মানুষ একটা যন্ত্র (“চির ঘূর্ণায়মান’’ অফুরন্ত শক্তির ইঞ্জিনের মডেল) তৈরি করেছিল যেটা নিজে থেকেই ঘুরত। অনেক মানুষ সেটা পয়সা খরচ করে দেখতে এসেছিল এবং রেডহেফার সাহেব রীতিমতো বড়লোক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান থেকে আমরা জানি, কোন যন্ত্রে যতটুকু শক্তি দেওয়া হয় তার থেকে অনেক কম শক্তি পাওয়া যায় কারণ শক্তিকে ব্যবহার করলেই তার খানিকটা অপচয় হয়, সেজন্য কখনোই ‘অফুরন্ত শক্তি’ বা ‘চির ঘূর্ণায়মান’ যন্ত্র তৈরি করা যায় না। শেষ পর্যন্ত কিছু সন্দেহপ্রবণ মানুষ কাঠের কিছু তক্তা খুলে দেখতে পেলেন একাধিক পুলি ব্যবহার করে ছাদে বসে একটা বুড়ো মানুষ সেটা দর্শকদের জন্য ঘুরিয়ে যাচ্ছে। চমৎকার এই তথ্যটি মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত ‘আরো একটুখানি বিজ্ঞান’ গ্রন্থ থেকে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। বিজ্ঞানের এই রকম মজাদার ও আকর্ষণীয় হাজারো তথ্য, গল্প, ঘটনা ও ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। ‘কালি ও কলম’-এর প্রতি সংখ্যায় নিয়মিত বিজ্ঞান লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত তিন বছরে প্রকাশিত লেখাগুলো সংকলন করে কাকলী প্রকাশনী থেকে ২০০৭ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘একটুখানি বিজ্ঞান’। এই বইটি প্রকাশের পর শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল বই প্রকাশের জন্য কাকলী প্রকাশনী বাংলা একাডেমী পুরষ্কার লাভ করে। ‘একটুখানি বিজ্ঞান’ বইটির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘কালি ও কলম’-এ পরবর্তী তিন বছরে প্রকাশিত লেখাগুলো সংকলন করে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় ‘আরো একটুখানি বিজ্ঞান’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি সর্বমোট ৩১টি বিষয় নিয়ে সাজানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞানীদের জীবনী, প্রযুক্তি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিজগৎ, মনোবিজ্ঞান, আবহাওয়া ও পরিবেশ, সৌরজগৎ ও জ্যোতির্বিদ্যা। বইটিতে উঠে এসেছে একজন তুখোড় গণিতবিদ, সফল পদার্থবিজ্ঞানী, প্রতিভাময় জ্যোতির্বিদ, নিউপ্লেটোনিক দর্শন ধারার প্রধান ও আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরির শেষ গবেষক হাইপেশিয়া-এর করুণ জীবনকাহিনী; ম্যাক্স প্লাংকের সূত্রকে সঠিক যুক্তির উপর দাঁড়া করিয়েছিলেন যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, যার নামে বোজনের নামকরণ করা হয়েছে, রয়েছে তাঁর জীবনী। আরো আছে বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু’র চমকপ্রদ জীবনকাহিনী। ১৯৯৮ সালে IEEE(Institute of Electrical SPamp Electronic Engineering) স্বীকার করে নেয়, রেডিওর আবিষ্কারক এককভাবে মার্কোনি নন, রেডিওর আবিষ্কারক একই সাথে আমাদের মুন্সীগঞ্জের বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু। প্রযুক্তি বিষয়ে রয়েছে ন্যানোটেক ও নিউক্লিয়ার শক্তি কেন্দ্র; রসায়নে আছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডঃ পৃথিবীর ভিলেন?, একটি বিস্মরকর বস্তুঃ কাচ নিয়ে তথ্যবহুল রচনা। জ্যোতির্বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য রয়েছে প্লুটো কেন গ্রহ নয়, পৃথিবীর মানুষ ও আকাশের চাঁদ, সূর্যগ্রহণ ও একজন সুপার স্টার, ‘অতিকায় হীরক খণ্ড’ নামক চারটি আকর্ষণীয় রচনা। ‘আরো একটুখানি বিজ্ঞান’ এর টুকিটাকিঃ ১৯১৮ সালে পৃথিবীতে চার কোটি মানুষ বার্ড ফ্লু’তে মারা গিয়েছিল। অন্য রকম খাওয়া-দাওয়াঃ মাছিকে নিয়মিতভাবে খেতে হয় নিজের বমি। ঘুঘু ও বক রুটিন মাফিক তাদের বাচ্চাদের মুখে পেটের ভেতর থেকে খাবার উগলে দেয়। একটা গরু দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯ ঘণ্টাই জাবর কাটে। খাবার গ্রহণের জন্য স্টার ফিশ পুরো পাকস্থলীটাই বের করে ফেলে। খাদ্য যখন রক্তঃ জোঁকের লালায় যে রাসায়নিক দ্রব্য আছে তা ব্যাথা নিরাময়কারী। একটা জোঁক তার শরীরের ওজন থেকে প্রায় নয় গুণ বেশি রক্ত খেতে পারে। জোঁক রক্ত টেনে নেয় বলে অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতস্থানে রক্ত সরবারাহ বজায় রাখার জন্য অনেক সময় জোঁক ব্যবহার করা হয়। বর্তমান বাজারে চিকিৎসার জন্যে প্রতিটি জোঁক বিক্রি হয় ৭-৮ ডলারে। অক্টোপাসের চোখের ডিজাইন মানুষের চোখের ডিজাইন থেকে ভালো। বিজ্ঞানী লুইস টিন প্লুটোনিয়াম-২৩৯ এর ক্রিটিক্যাল ভর নিয়ে বিপজ্জনক খেলা খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন। পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা যেটি হিরোশিমার উপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিলো সেটি তৈরি করা হয়েছিল ইউরেনিয়াম-২৩৫ দিয়ে এবং এর নাম ছিল লিটল বয়। মহাকাশে না গিয়েও যে কেউ মাত্র চার হাজার ডলার খরচ করে বিশেষ এক ধরনের প্লেনে করে ওজনহীন হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ানোর স্বাদ নিতে পারবে। আমরা আমাদের বাসায় সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ এম্পিয়ার কারেন্ট ব্যবহার করি। বজ্রপাতের মূহুর্তে প্রায় লক্ষ এম্পিয়ার বিদ্যুৎ প্রবাহ হতে পারে। এতোসব তথ্যের সমাহার ও চমৎকার রচনাশৈলী ‘আরো একটুখানি বিজ্ঞান’ বইটিকে পাঠককে টেনে রাখবে বইয়ের পাতায় পাতায়। বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা একেবারেই অসম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
Onek valo ekta boi. porei boitar preme poresi. ami age thekei jafor iqbal sir er boi porte onek valobasi. kintu ei boita mane ei 2 ta boi amar pora jiboner sera boi gular moddhye onnotomo. jafor sir onek wise person. taroi ekta reflection ghotoese ei boigula te. apnar sobai ei boigula porben. ami asa kori amar moto sobai ei boigula pore ei boi gular preme pore jaben inshaallah. khub valo boi. I really loved and enjoyed this book. may Allah bless Jafor sir for being a true muslim.
Was this review helpful to you?
or
মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’এ প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধগুলো একত্র করে “একটুখানি বিজ্ঞান” নামে একটি বই প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালের বইমেলায়। বইটি বিপুল সফলতা অর্জন করে এবং সমালোচক কর্তৃক প্রশংসিত হয়। তিন বছর পর আবারো সেই পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলো নিয়ে আরো একটি গ্রন্থ প্রকাশ করে কাকলী প্রকাশনী, “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” নামে। আগের বইয়ের সফলতা ধরে রেখে এই বইটিও আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল আশ্চর্য রকমের পারদর্শী। নিজের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের গবেষক হলেও রসায়ন থেকে প্রাণীবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ক লেখাতেও সমান সিদ্ধহস্ত। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনার ক্ষেত্রে একটি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে ফেলেছেন। নবীন লেখকেরা সেই স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে এগোয়। পদার্থবিজ্ঞানী মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থে পদার্থবিজ্ঞান থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য পদার্থবিজ্ঞানের রহস্যময় এবং আধুনিক ক্ষেত্রগুলো নিয়ে লিখতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তিনি নিজেই বলেছেন, “বিজ্ঞানের যে বিষয়গুলো সবচেয়ে রহস্যময় সেগুলোই সবসময় সবচেয়ে ভালো লাগে”। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের কিছু রহস্যময় বিষয় নিয়ে লিখেছেন “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে। রহস্যময় তরঙ্গ সলিটন নিয়ে একটি দারুণ লেখা আছে এই গ্রন্থে। পদার্থবিজ্ঞানের জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোর একটি- সলিটন নিয়ে বাংলা ভাষায় এটিই সম্ভবত প্রথম জনপ্রিয় বিজ্ঞান ক্যাটাগরির রচনা। নিউট্রিনো, কিছুকাল আগেও যে কণাটি ছিলো পদার্থবিজ্ঞানের অমীমাংসিত রহস্যগুলোর একটি, তাকে নিয়েও একটি প্রবন্ধ আছে। আছে কুখ্যাত ম্যানহাটন প্রজেক্টে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির পেছনের বিজ্ঞান নিয়ে লেখা। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়গুলোর একটি- এন্টিম্যাটার তথা প্রতি-পদার্থ নিয়েও একটি কৌতূহলোদ্দীপক আলোচনা রয়েছে। ইউরোপের বিখ্যাত গবেষণাগার সার্ন-এ প্রতি-পদার্থ নিয়ে বিলিয়ন ডলারের গবেষণা শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দশক আমরা অধীর আগ্রহের সাথে সেখানকার ফলাফলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকব সৃষ্টি-জগতের সবচেয়ে রহস্যময় একটি বিষয় সম্পূর্ণরূপে জানার আশায়। প্রাণিজগৎ, উদ্ভিতজগৎ এবং মনোবিজ্ঞান বিষয়ক লেখাগুলো “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থের সবচেয়ে পাঠ-সুখকর অংশগুলোর মধ্যে পড়ে। সাধারণ পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা কিংবা প্রযুক্তি বিষয়ক লেখাগুলো পূর্ণভাবে আত্মস্থ করতে হলে পাঠকের কিছুটা পূর্বজ্ঞান থাকা আবশ্যক। কিন্তু এই লেখাগুলো কোনো রকম পূর্বজ্ঞান কিংবা প্রস্তুতি ছাড়াই পড়ে আত্মস্থ করা সম্ভব। মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুবই সহজভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন। কিছু কিছু রচনা অবশ্য পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক রচনা নয়, বলা যায় এগুলো বিজ্ঞানের তথ্য বিষয় রচনা; যেমন- ‘পশু মানব’, ‘বাঁশের ফুল’, ‘মনোবিজ্ঞানের বিখ্যাত কিছু পরীক্ষা’, ‘অন্যরকম খাওয়াদাওয়া’। এসব ছোট ছোট নিবন্ধে বিজ্ঞানের চেয়েও বেশি পরিমাণে উপস্থিত রয়েছে তথ্য। তাই বলে পড়তে খারাপ লাগবে না। আবার কিছু রচনা খাঁটি বিজ্ঞানে ভরপুর। বার্ড ফ্লু, এইডস, স্কিতজোফ্রেনিয়া, মানবদেহের ডিজাইন সমস্যা- ইত্যাদি প্রসঙ্গগুলো নিয়ে অসাধারণ কয়েকটি লেখা এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। “একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে আবহাওয়া ও পরিবেশ বিষয়ক লেখা অন্তর্ভুক্ত হয় নি; কিন্তু “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে হয়েছে। এতে বইয়ের বৈচিত্র্য বেড়েছে। বাড়তি তাপমাত্রা পৃথিবীর জন্য অশুভ পরিণতি বয়ে আনবে বলে একটি রচনায় লেখক সতর্ক করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের চিরপরিচিত ঘূর্ণিঝড় এবং বজ্রপাত; এগুলোর পেছনের বিজ্ঞান নিয়ে দুটো চমকপ্রদ রচনা রয়েছে। বিশেষ করে, ‘বজ্রপাত’ নিবন্ধটি আলোচ্য গ্রন্থের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লেখাগুলোর একটি। এগুলোর সাথে নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে একটি ছোট্ট রচনা এই অংশে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ মুহম্মদ জাফর ইকবালের আগ্রহের তালিকায় গ্রহ-নক্ষত্র থাকবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কয়েক বছর আগে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তখন সেটি নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়। প্লুটোর ‘গ্রহত্ব’ নিয়ে একটি লেখা আছে। আকাশের চিরপরিচিত চাঁদ ও সূর্যকে নিয়েও দু’টি রচনা আছে। একটি অবশ্য সূর্যগ্রহণ নিয়ে। ১৯১৯ সালে যে সূর্যগ্রহণের সময় তারকার অবস্থানের আপাত পরিবর্তনের ভবিষ্যতবাণী করে মহামতি আলবার্ট আইনস্টাইন বিজ্ঞানের জগতে মহাতারকায় পরিণত হয়েছিলেন। আগের বই “একটুখানি বিজ্ঞান”এ প্রযুক্তি, রসায়ন এবং বিজ্ঞানীদের নিয়ে কয়েকটি লেখা ছিলো, এই বইতেও আছে। “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থে আলেকজান্দ্রিয়ার শেষ জ্যোতির্বিদ ও নারী বিজ্ঞানী হাইপেশিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু যিনি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের জনক, এবং বেতার প্রযুক্তির পথপ্রদর্শক বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু নিয়ে তিনি অসাধারণ প্রবন্ধ আছে। প্রতিটি রচনাই সমান অণু-প্রেরণাদায়ক। হাইপেশিয়ার জীবন সম্পর্কে জেনে নারীরা আশ্চর্য হবেন, দেড় হাজার বছর আগে এক নারী আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরিতে কীভাবে সমসাময়িক অন্যান্য পুরুষ বিজ্ঞানী এবং সমাজের কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে নিজেকে এমন উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে আজো তাঁর নাম বিজ্ঞানের জগতে সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়। সত্যেন বোসের জীবন অবশ্য বাংলাদেশীদের জন্য আরো বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক। দেশের মাটিতে বসেই তিনি যে বিশ্বমানের গবেষণা করেছেন তাতে নোবেল কমিটি তাঁকে পুরস্কারে ভূষিত করতে পারলে বর্তে যেত। আর জগদীশ চন্দ্র বসু তো ছিলেন এক কিংবদন্তী। যতদিন বেঁচে ছিলেন, রেডিও’র আবিষ্কার হিশেবে বিশ্বে সমাদৃত হন নি। কিন্তু আজ সারা বিশ্ব জানে, এই বাঙ্গালীই রেডিওর প্রাথমিক প্রযুক্তিগুলোর সর্বপ্রথম আবিষ্কারক। মুহম্মদ জাফর ইকবাল সহজ ভাষায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পছন্দ করেন। তাঁর লেখা পড়তে কখনো হোঁচট খেতে হয় না। বিজ্ঞান-বিষয়ক লেখাগুলো যেখানে সরলতা দাবি করে সেখানে তিনি অযথা বাক্যের মারপ্যাঁচ কিংবা বাগাড়ম্বরের মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে আরো জটিল করে তোলেন না- এটি তাঁর সবচেয়ে বড়ো গুণ। বিজ্ঞান-বিষয়ক প্রচুর গ্রন্থ নানা সময়ে এদেশে রচিত হয়েছে, রচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড়ো বড়ো অধ্যাপক এবং গবেষকরা। কিন্তু সেগুলো পাঠক কর্তৃক সমাদৃত হয়নি, যেমনটা হয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বইগুলো। উপরোক্ত গুনটিই তাঁকের অন্যান্যদের চেয়ে পৃথক করেছে। একারণে “একটুখানি বিজ্ঞান” এবং “আরো একটুখানি বিজ্ঞান” গ্রন্থ দুটো বাংলাদেশের বিজ্ঞান-বিষয়ক গ্রন্থাবলীর মধ্যে অনন্য স্থান দখল করে রাখবে ভবিষ্যতে।