User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ এক বই পড়লাম।ন্যানো কাব্য ধারণা পাল্টে দিবে আপনার।এই কাব্য পড়ে অনেক বাস্তবিক বিষয় নিয়ে জানতে পারবেন। লেখক এইখানে তার অপার মাধুরি মিশিয়ে এই লেখনি লিখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: ন্যানো কাব্য; লেখক: আসিফ মেহ্দী; ধরন: ছড়া। আমরা জীবনের প্রতিটি পদে পদে চলতে গিয়ে যে ছোট ছোট অভিজ্ঞার সম্মুখীন হই, সে সবই আসিফ মেহ্দী ভাই তার "ন্যানো কাব্য" বইটিতে খুব সূক্ষ্মতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। ন্যানো কাব্য আসলে কি? কি আছে ন্যানো কাব্যে? প্রশ্ন গুলোর উত্তর এক কথায় দিতে গেলে বলতে হয় "খুব ছোট আকারের কবিতার সংকলন ই হলো ন্যানো কাব্য।" ন্যানো কবিতাকে ছড়া বললেও ভূল হবে না। তবে কোনো ভাবেই এর মাহাত্ম্য পুরোপুরিভাবে বোঝা যাবে না। ন্যানো কাব্য এতটাই স্বতন্ত্র। ন্যানো কাব্যের ভেতরে আনন্দের কাব্য যেমন আছে,তেমন আছে বেদনার কাব্যও। আমাদের নিত্যদিনে সকল সাধারণ ঘটনা যা আমরা লক্ষ্যই করি না, সে সব ঘটনাও আসিফ মেহ্দী ভাই পরম নিপুণতার সাথে পরম মমতায় এই বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই ক্ষুদ্র পরিসরে লেখা ন্যানো কবিতা গুলো সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। আসিফ ভাইয়ের ছন্দজ্ঞানেরর কোনো তুলনা হয় না। অন্ত্যমিল গুলো ও বেশ শক্তিশালী হয়। অল্প পরিসরের হলেও এই ন্যানো কবিতাগুলোর রেশ মস্তিষ্কে থেকে যায় দীর্ঘ সময়। সাধারণ বাঙালি আজ কবিতা বিমুখ। তবুও "ন্যানো কাব্য" বইটি পড়তে পড়তে সবাইকে ন্যানো কাব্যের ছন্দময় জগতে হারিয়ে যাবার নিমন্ত্রণ রইলো।
Was this review helpful to you?
or
কোথায় যেনো পড়েছিলাম, "সহজ কথা যায় না বলা সহজে।" অনেক ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য৷ তবে সহজে সহজ কথাগুলো বলা গেলেও সেই কথার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ কিংবা মনোভাব সম্পুর্ণ প্রকাশ পায় না। কথার পেছনের আরো হাজারো "কথা" এবং অনুভূতি রয়ে যায় অগোচরে। কিন্তু একটি সুন্দর কবিতা আবগের সবটাকে তো প্রকাশ করেই, তার সাথে যুক্ত করে আরো নতুন কিছু অনুভূতি যা হয়তো আগে আপনার ছিলো না। কবিগুরু ব্যাপারটাকে একবাক্যে বলেছেন এভাবে,"এ কেবল বাইরের বাঁধন, অন্তরে মুক্তি। কথাকে তার জড়ধর্ম থেকে মুক্তি দেবার জন্যেই ছন্দ।" তবে কর্মময় জীবনের দিনান্তে বসে "বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি" পড়বার অবসর কিংবা মানসিকতা কোনোটাই থাকবার কথা নয়। সে ক্ষেত্রে কাব্যচর্চার বিশেষ সহায়ক এই "ন্যানো কাব্য"। চলতি জীবনের ফাঁকে জলদি করে দু'চারটে ন্যানো কবিতা অনায়াসেই পড়ে ফেলা যায়। আবার সমসাময়িক ভাষার সরল ব্যাবহারের কারণে কবিতাগুলো হৃদয়ঙ্গম করাও বেশ সহজ। তাই আমার মতে " ন্যানো কাব্য" একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সাধারণ বাঙালি আজ কবিতা বিমুখ; তবে হৃদয়ে ছন্দের প্রতি টান তার শেকড়ে প্রোথিত। আমি স্বপ্ন দেখি ন্যানো কাব্যের হাত ধরে বাঙালি একদিন মহাকাব্য পড়বে। আর আমি ন্যানো কাব্যের রিভিউ লিখতে লিখতে একদিন "ইলিয়ট" এর রিভিউ লিখব।
Was this review helpful to you?
or
সকল স্বনামধন্য কবি-সাহিত্যিকই তাঁদের বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল।তরুণ লেখক আসিফ মেহ্দীও তার ব্যতিক্রম নন। খুব বেশি নয়,অল্প কিছু লেখাতেই তিনি ভক্ত-পাঠকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আমি সেই পাঠককুলেরই একজন সদস্য। তাই আসিফ মেহ্দীর প্রতিটি লেখা আমি বিশ্লেষণ করেছি একেবারেই নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে।তবে আমার বিশ্বাস-আমার মত আসিফ মেহ্দীর অন্য ভক্তপাঠকরাও আমার সাথে একমত পোষণ করবেন। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আসিফ মেহ্দী গতিশীল এই বাংলা সাহিত্যজগতে একটা নতুন শাখার জনক।সেই শাখার নাম"ন্যানো কাব্য ।" পড়তে যেন একেবারেই সময় লাগেনা।কিন্তু পড়ার পরেও রেশটা রয়ে যায় বেশ খানিকটা সময়।যোগায় হাস্য রসের খোড়াক কিংবা আমাদের কপালে ফেলে সূক্ষ চিন্তার ভাঁজ। হালকা রোমান্টিকতা,সমাজসচেতনতা, নিত্য ঘটে যাওয়া দৃষ্টি এঁড়ানো ঘটনাগুলোই যেন কাব্যরূপ পায় আসিফ মেহ্দীর সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচের এই লেখনীতে। এই অভিনব লেখনীর নামই তিনি দিয়েছেন "ন্যানো কাব্য"। যেন একেবারেই ছোটবেলার সেই "আমপাতা জোড়া জোড়া" ছড়াটি! কিন্তু ঠিক ছড়া নয়।আর এটাই হল ন্যানো কাব্য। পড়তে পড়তে অজান্তেই পাঠকের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠবে। বইয়ের পাতায় এনে দেবে হালকা ধাঁচের রোমান্টিকতা,ভালবাসা হৃদয় ছোঁয়াবে।বইটির অধিকাংশ কাব্যেই তিনি দেখিয়েছেন আমাদের প্রতিটি পথচলা,সমাজের নানা অসঙ্গতি আর নিত্যনতুন বিষয়বলীর উপর লেখা কাব্যের সাথে রোমান্টিকতার অপূর্ব সংমিশ্রণের দারুণ দক্ষতা। বইটির সূচীপত্রে চোখ বুলিয়েই ন্যানো কাব্যগুলোর সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা করা যায়। ৫৭টি ন্যানো কাব্যের নাম শুনলেই বোঝা যায় বইটি আসলেই আমাদের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।যখন কাব্যগুলো মনোযোগ দিয়ে গভীর ভালবাসা দিয়ে পড়া হয় তখন আসলে এই ন্যানো কাব্যের জগতে হারিয়ে না গিয়ে কোন উপায় থাকেনা। ৫৭টি ন্যানো কাব্যের শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে বইটির মোট ন্যানো কাব্য ৯০টিরও উপরে । এই বিপুল সংখ্যক কাব্যের জগতে জীবনকে নতুন করে খুঁজে নেবার আহবান থাকলো তাই প্রতিটি কাব্যপ্রেমী বইপাগল পাঠকের প্রতি!
Was this review helpful to you?
or
তরুণ প্রতিভাবান লেখক আসিফ মেহদীর লেখার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ‘টাটকা’ নামের একটা ম্যাগাজিনের মাধ্যমে। এরপর থেকে ‘উন্মাদ’, ‘রস+আলো’ এই স্যাটায়ার ম্যাগাজিনগুলোতে তাঁর লেখা নিয়মিতই পড়া হত। আসিফ মেহদীর লেখার হাত যেমন অসাধারণ, তেমনি লেখার বিষয়গত বৈচিত্র্যও অনন্য। তিনি যখন যাই লিখেছেন, তাই পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তাঁর লেখা প্রথম বই ‘বেতাল রম্য’ ছিল একটা রম্যরচনার সংকলন। লেখকের দ্বিতীয় বই ‘ফ্রিয়ন’ সায়েন্স ফিকশন গল্পের সংকলন। তারপর প্রকাশিত হল ‘ন্যানো কাব্য’। প্রথম দুটি বই প্রকাশিত হওয়ার পরে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, আসিফ মেহদী এবার কী নিয়ে পাঠকের সামনে হাজির হবেন? তারপর যখন ‘ন্যানো কাব্য’ বইটি প্রকাশিত হল তখন সবাই সব প্রশ্নের উত্তর পেলেন। এবং ‘ন্যানো কাব্য’ বইটিতে পাঠকেরা এমন কিছু পেলেন যা এর আগে এত সফলভাবে আর কেউ লিখেন নি। কী আছে এই ‘ন্যানো কাব্য’ বইয়ে? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আসলেই বেশ কঠিন। ‘ন্যানো কাব্য’ বইটিকে খুব ন্যানো সাইজের কবিতার একটি সংকলন বলা যেতে পারে। আবার এই ন্যানো কবিতাগুলোকে অনেকে ছড়াও বলতে পারেন। তবে কোন কিছুতেই আসলে এর মাহাত্ম্য পুরোপুরি বোঝানো যাবে না। ন্যানো কাব্যগুলো এমনই স্বতন্ত্র। আসলে আমরা জীবনের প্রতি পদে পদে চলতে গিয়ে যে ছোট ছোট অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই, সে সবই ন্যানো কবিতার আদলে এই বইটিতে উঠে এসেছে। এখানে আনন্দের কাব্য যেমন আছে, তেমন আছে বিষাদের কাব্যও। আবার আমাদের নিত্যদিনের জীবনের খুব সাধারণ কোন ঘটনা, যেটা হয়তো আমরা সেভাবে লক্ষ্যই করি না বা লক্ষ্য করলেও মনে রাখি না – সেটাও কবির সংবেদনশীল মন ঠিকই পরম মমতায় এই বইয়ে তুলে এনেছেন। এই রকম ক্ষুদ্র পরিসরে সমকালীন সময়ে আরও কিছু লেখক এই ধাঁচের লেখা লিখতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ আসিফ মেহদীর ধারে-কাছেও নেই। আসিফ মেহদীর লেখা ন্যানো কাব্যের যে বৈশিষ্ট্য আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে তা হল, এই ন্যানো কাব্যগুলো এক পলকেই পড়া হয়ে যায়। কিন্তু যখন পরের ন্যানো কাব্যটি পড়তে যাবো তখনই হঠাৎ করে মাথায় আবার আগেরটির কথাগুলো খেলা করা শুরু করে। অর্থাৎ, অল্প সময়ে পড়া শেষ হলেও এই ন্যানো কাব্যগুলোর রেশ মস্তিস্কে দীর্ঘ সময় থেকে যায়। লেখক সাধারণত ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবেই এই ন্যানো কাব্যগুলো লিখে থাকেন। এই কাব্যগুলো তাঁর মনের তাৎক্ষণিক অবস্থারই ছন্দায়িত বহিঃপ্রকাশ। তবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা খুব বেশি পরিমাণে লেখার কারণে, লেখকের ন্যানো কাব্যগুলোতে মাঝে মাঝে পাঠককে ভাবিত করার জায়গাটা কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লেখকের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ তিনি যেন আরেকটু সময় নিয়ে এই ন্যানো কাব্যগুলো লিখেন। এতে যদি লেখার পরিমাণ কিছু কমও হয় তাও অসুবিধা নেই। তবে একটা কথা না বললেই নয়, লেখকের ছন্দজ্ঞানের কোন তুলনা হয় না। এবং অন্ত্যমিলগুলো সবসময়ই খুব শক্তিশালী হয়। আমি আসলেই মনে করি লেখকের ‘ন্যানো কাব্য’ বইটি যে নতুন ধারার সূচনা করেছে তা নিয়ে লেখকের আরও কাজ করার সুযোগ আছে। ‘ন্যানো কাব্য’ বইটি পড়তে পড়তে সবাইকে ন্যানো কাব্যের ছন্দময় জগতে হারিয়ে যাবার নিমন্ত্রণ থাকলো।