User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
উনার লেখনীটা অসাধারন। আধুনিক বিশ্বের দেশগুলো ও তাদের রাষ্ট্রপ্রধান সম্পর্কে উনার আরো লেখা প্রত্যাশা করি।
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মাদ। আধুনিক মালয়েশিয়া এবং ড. মাহাথির মোহাম্মাদ শব্দটি যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাহাথীর মোহাম্মাদের হাত ধরেই আধুনিক মালয়েশিয়ার পথ চলা। "তুন ড. মাহাথির ও আধুনিক মালয়েশিয়া " বইয়ে লেখক এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি মালয়েশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ড. মাহথির মোহাম্মদকে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশী পাঠকদের কাছে । সবারই বইটি সংগ্রহে রাখা উচিত।
Was this review helpful to you?
or
“তুন ডাঃ মাহাথির ও আধুনিক মালয়েশিয়া” এই বইটি মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মাহাথিরের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে রচিত আসাধারন একটি বই।একটি উন্নয়নশীল দেশকে কেমন করে উন্নত ও আধুনিক দেশে উন্নিত করেছেন এই ব্যাক্তি তারই বৃত্তান্ত তুলে ধরা আছে বইটিতে। এশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার এবং মুসলিম বিশ্বের বিবেক ডা. মাহাথির মোহাম্মদ ছিলেন তার দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। সত্য কখনো চাপা দিয়ে রাখা যায় না এ কথাটাই তার কাজে এবং কথায় ফুটে উঠেছে। জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে নেলসন ম্যান্ডেলাকে শীর্ষস্থান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ডা. মাহাথিরও কোনো অংশে কম নন, তাকেও শীর্ষস্থান দেওয়া যেতে পারে। ডা. মাহাথির মোহাম্মদের জন্ম ১৯২৫ সালের ২০ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন মাতা-পিতার ৯ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ। তার পিতা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। মেধাবী ছাত্র হিসেবে তার পছন্দের বিষয় ছিল আইনবিদ্যা; কিন্তু সরকার তাকে পরামর্শ দেয় ডাক্তার হওয়ার। তাই তিনি সিঙ্গাপুরের কিং অ্যাডওয়ার্ড সেভেন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। স্কুলে এবং মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় তিনি একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন এবং পত্রিকায় লিখতেন। ১৯৫৬ সালের ৫ আগস্ট তিনি বিয়ে করেন। তখন তার বয়স ছিল ৩৩ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. সিথি হাসমাহর বয়স ছিল ২২ বছর। কিছুদিন সরকারি হাসপাতালে চাকরি করার পর তা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে তার নিজ জন্মস্থান আলোর সেতার এলাকায় চলে আসেন। এখানে এসে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। ওই এলাকায় তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে তোলেন। এটাই ছিল এ এলাকায় কোনো মালয় পরিচালিত প্রথম প্রাইভেট ক্লিনিক। মাহাথিরের রক্তে মিশে ছিল দেশাত্দবোধ আর রাজনীতি। তিনি ১৯৬৪ সালে কোটা সেতার দক্ষিণ এলাকা থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হলে কি হবে? তিনি তার দলের অনেক নীতির সঙ্গে একমত হতে পারেননি। ১৯৬৯ সালে তিনি একখানা বই লেখেন, যার নাম ঞযব সধষড়ু ফরষরসধ বা মালয়ীদের উভয় সংকট। বইটি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর তিনি তার পার্টির ভুলত্রুটির সমালোচনা করে দলীয় প্রেসিডেন্ট টেংকু আব্দুর রহমানের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এর ফলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি তখন আবার তার পেশায় ফিরে গেলেও অনেক ঘটনার পর ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ পার্টিতে আবার ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী হন। শিক্ষামন্ত্রী হয়ে তিনি ঘোষণা দেন তার নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না। এই ধারা তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও অব্যাহত রাখেন। তার কোনো ছবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিংবা সরকারি অফিসে টাঙানো যাবে না বলেও তিনি নির্দেশ দেন। মালয়েশিয়াকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা সংস্কার হচ্ছে মাহাথিরের প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। ১৯৭৫ সালে মাহাথির পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তুন হোসেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে তিনি দেশের উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথকেও সুগম করেন। ১৯৮১ সালের ১৬ জুলাই ৫৫ বছর বয়সে ডা. মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং একটানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ও রাজনীতি থেকে বিদায় নেন। তার সফল নেতৃত্ব, নির্ভেজাল দেশাত্দবোধ আর দূরদৃষ্টি পশ্চাৎপদ মালয়েশিয়াকে একটি আধুনিক উন্নত ও সমৃদ্ধ মালয়েশিয়ায় পরিণত করেছে। সে সঙ্গে তার প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্ব আর সাহস তাকে বিশ্ব নেতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। কারণ তিনি সর্বদা সত্য উচ্চারণে ছিলেন নির্ভীক ও আপসহীন।বইটি পড়ে অনেক ভাল লেগেছে আসলে একজন সত্যিকারের মানুষের জীবনগাঁথা পড়তে ভালই লাগার কথা।যারা এই বইটি পরবেন তাদের কাছেও অনেক ভাল লাগবে বলে মনে করি।তাই বলব বইটি পড়তে পাঠকগন মিস করবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বইটির লেখক একেএম আতিকুর রহমান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। সেই সুবাদে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন ডা. মাহাথির এবং তাঁর গড়া আধুনিক মালয়েশিয়াকে; যে প্রেরণায় তিনি বইটি লিখেছেন। বইটির ভূমিকাও লিখেছেন, মাহাথির মোহাম্মদ নিজেই,যেখানে তিনি মালয়েশিয়ার স্বপ্ন পূরণে সহায়কদেশ হিসাবে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশের কল্যাণ কামনা করেছেন। ডা.মাহাথির ১৯৮১ সালের জুলাই হতে ২০০২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাইশ বছরেরও বেশি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিরতিহীন এতগুলো বছর কোন একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী পদা থাকা নেতা পৃথিবীতে খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। ডা.মাহাথির মালয়েশিয়ার শিক্ষা,অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তা শুধু মালয়েশিয়ার জন্য নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছেও একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ডা.মাহাথিরকে আধুনিক মালয়েশিয়ার রুপকার বলা হয়। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং দেশের উন্নয়নের জন্য গৃহীত পরিকল্পনার যথার্থ বাস্তবায়নে দৃঢ় মনোবল অন্যান্য দেশের মানুষকে বিশেষ করে রাজনীতিকদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে তাদের নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে। ডা.মাহাথির ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনীতি করা সম্ভব না হওয়ার কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই চাকরিতে ইস্তফা দেন এবং আলোস্তা শহরে ক্লিনিক খোলেন। ১৯৬৪ সালে প্রথমবার কেদাহ্ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি সমালোচনা করায় ১৯৬৯ সালে দল থেকেই বহিষ্কৃত হন। ১৯৭২ সালে তাকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয় এবং দলের সর্বোচ্চ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর রাজনীতিতে তাঁকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। ১৯৮১ হতে ২০০২ পর্যন্ত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পেনাং সেতু, কুয়ালালামপুর সিটি সেন্টার, কুয়ালালামপুর টাওয়ার, উত্তর-দক্ষিণ হাইওয়ে, লাইট রেল ট্রানজিট, কুয়ালালামপুর মনোরেল, কুয়ালালামপুর সেন্ট্রাল স্টেশন,আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জাতীয় স্পোর্টস কমপ্লেক্স,পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার,সেপাং ইন্টারন্যাশনাল সার্কিট, পুত্রাজায়া,সাইবারজায়া,মাল্টিমিডিয়া করিডোর প্রভৃতি অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দিয়েছেন মালয়েশিয়ার চেহারা। মাহাথিরের এসব অবদান,তাঁর বাল্যকাল, বেড়ে উঠা, রাজনীতি,পারিবারিক জীবন সব তো আছেই, পাশাপাশি বাণিজ্যক্ষেত্রে তাঁর বহুল আলোচিত প্রাচ্যমুখী নীতি,শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন,ভিশন ২০২০ ইত্যাদির সুবিস্তৃত বিবরণ রয়েছে এই বইয়ে। রয়েছে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি, বিভিন্ন কর্মকান্ডের ছবি,বিভিন্ন অবকাঠামোর ছবি এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ডা. মাহাথির মোহমদের ভাবনা নিয়ে প্রবন্ধ ইত্যাদি। সব মিলিয়ে তুন ডা. মাহাথির ও আধুনিক মালয়েশিয়া বইটি আধুনিক মালয়েশিয়ার সচিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে এর রূপকার ডা. মাহাথির মোহমদ সম্পর্কে জানার অপার সুযোগের দ্বার খুলে দিবে আপনাকে— এমনটিই আমার বিশ্বাস। পাঠকের সুবিধার্থে সূচি সংযোজন করলাম- *বাল্যকাল ও শিক্ষাজীবন *চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন এবং বিয়ে *রাজনীতিতে মাহাথির *নতুন অর্থনৈতিক নীতিমালা *মালয় ও আদিবাসীদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ *শিক্ষামন্ত্রী *প্রধানমন্ত্রী *অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে *মাহাথিরের সাহিত্যকর্ম *প্রাচ্যমুখী নীতি *বাণিজ্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন *যে অবকাঠামো *আন্তর্জাতিক অঙ্গনে *বাংলাদেশ প্রসংগে মাহাথির।