User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রবাদ পুরুষ , আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী । বলতে গেলে তিনিই বাংলাদেশের প্রায় কোটি কোটি মানুষকে বই পড়তে শিখিয়েছেন । জাদুকরী লেখনির মাধ্যমে পাঠককে নিয়ে গেছেন অন্য জগতে । তাঁর অনন্য প্রতীভা শুধু লেখালেখির ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি । নির্মাণ করেছেন বহু জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্র । শিল্প চর্চার এই অঙ্গনেও তিনি দারুণভাবে সফল । আর এসবের মধ্য দিয়েই তিনি স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে । ২০১২ সালের ১৯জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে তিনি চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে,না ফেরার জগতে । তারপরেও কেউ তাকে এতটুকুও ভুলে যায়নি । না ফেরার দেশে চলে যাওয়া হুমায়ূন আহমেদকে তাঁর ভক্ত-পাঠকদের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে প্রথমা প্রকাশনী । আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো । প্রথম আলোর প্রকাশলগ্ন থেকেই হুমায়ূন আহমেদ তাতে লেখালেখি করেছেন । পত্রিকাটিতে কখনো তিনি লিখেছেন সচেতনতামূলক প্রবন্ধ,কখনো লিখেছেন ছোটগল্প আবার কখনো লিখেছেন তাঁর বিভিন্ন স্মৃতিকথা । তাঁর কয়েকটি উপন্যাসও খন্ডাকারে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোতে । দিয়েছেন বেশ কয়েকটি সাক্ষাত্কার । এসব কিছুর এক অনন্য সংকলন "বসন্ত বিলাপ" । বইটির পাতায় পাতায় পাঠক যেন নতুনভাবে পরিচিত হবেন তাঁর অনন্য রসবোধ আর অনুপম রচনাশৈলির সাথে । আর এ অনুপম রচনাশৈলি পাঠকদের কাছে বইটিকে করে তুলবে আরও উপভোগ্য । বইটি একজন পাঠকের সামনে হাজির করবে একজন পরিপূর্ণ লেখকরুপে হুমায়ূন আহমেদ কে আর তাঁর অনন্য সৃষ্টিকে । পরিচয় করিয়ে দেবে হুমায়ূন আহমেদের লেখালেখির জগতের সাথে ।
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
great one!
Was this review helpful to you?
or
One of the best book
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ বসন্ত বিলাপ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ...........................….. লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ সব সময়ই অনবদ্য। উঁনার বিভিন্ন সময়ে প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া লেখার সমগ্র নিয়ে এই বইটা রচিত। স্যারের চিরায়িত রচিকতা এখানেও আছে। সূক্ষ্ণভাবে বিভিন্ন বিষয়কে বিবেচনার দক্ষতা আমাদেরকে অবাক করবে। রাজনীতি ও স্মৃতি নিয়ে এই বইতে কিছু লেখা আছে,যা আমাদের হাসাবে,এবং একই সাথে ভাবনার দপ্প্যারও খুলে দিবে...স্যারের প্রিয় কয়েকজন ব্যক্তিত্ব নিয়ে স্যার যা লিখেছেন তা আমাদের ঐ সকল মহান ব্যক্তি সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ বাড়িয়ে দেয়। সাক্ষাৎকারগুলো উনার জীবনের শেষের দিনগুলোতে নেয়া হয়েছে। উনি উঁনার বইয়ের দুটো বিখ্যাত চরিত্র,হিমু ও মিসির আলি নিয়ে খোলাখুলি কিছু কথা বলেছেন। মৃত্যু নিয়ে যে সবসময় তিনি ভাবেন তাও আমরা জানতে পারি এই বইটা পড়লে।নিজের নাটক, চলচিত্র নিয়েও উনি কথা বলেন।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম আলো’য় প্রকাশিত রাজনীতি ও সমাজ, আত্মস্মৃতি, ক্রিকেট, ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব, ঈদের নাটক, নিজের চলচ্চিত্র, মৃত্যুচিন্তা—এসব বিষয়ে ২৫টি রচনা, দুটি গল্প এবং আটটি সাক্ষাৎকার নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের একটি অনন্য গ্রন্থ এটি। কিছু লেখায় সমকালীন বিষয়ে লেখকের মতামত সরাসরি প্রতিফলিত হয়েছে, কোনো কোনো রচনায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। কিছু রচনায় রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি। তাঁর অনন্য রসবোধ ও অনুপম রচনাশৈলী প্রতিটি রচনাকে উপভোগ্য করে তুলেছে। সাক্ষাৎকারগুলো পড়লে মনে হবে বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গিসহ একজন সম্পূর্ণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। ‘প্রথম আলো’ প্রকাশের একেবারে শুরু থেকেই এই পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগে বিচিত্র বিষয়ে লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। গল্প-উপন্যাস তো বটেই, এর বাইরেও তাঁর বেশ কিছু রচনা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়েছে। সেরকম বেশ কিছু ছোট আয়তনের গদ্য রচনা এ সংকলনে অন্তভুর্ক্ত হলো। কিছু লেখায় সমকালীন বিষয়ে লেখকের মতামত সরাসরি প্রতিফলিত হয়েছে, কোনো কোনো রচনায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন। কিছু রচনায় রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি ও একান্ত অনুভূতির কথা। রয়েছে দুটি চমৎকার গল্প। তাঁর অনন্য রসবোধ ও অনুপম রচনাশৈলী প্রতিটি রচনাকে উপভোগ্য করে তুলেছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের আটটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে এ সংকলনে। এসব সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন, বিশ্বাস, লেখালেখি, নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি কথা বলেছেন; সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের বাইরেও অনেক বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। সেসব বিষয়েও তাঁর বলার ভঙ্গি আশ্চর্যরকম প্রাঞ্জল ও মনোগ্রাহী। তাঁর সাক্ষাৎকারগুলো পড়লে মনে হবে বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গিসহ একজন সম্পূর্ণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সামনে উপস্থিত। এই বইয়ের সূচিপত্রে চোখ বোলালেই প্রাথমিকভাবে এ রকমের একটা ধারণা পাওয়া যাবে যে লেখক হুমায়ূন আহমেদ কত বিচিত্র বিষয়কে ধারণ করতে চেয়েছেন। দুটি মাত্র ছোটগল্প ছাড়া নানা উপলক্ষে লেখা এই বইয়ের অন্তর্গত রচনা ও প্রদত্ত সাক্ষাৎকারগুলো পাঠককে বিষয়সম্পৃক্ত দিকগুলো নিয়ে কেবল নতুন করে ভাবাবে না, এ রকম সিদ্ধান্তেও তাকে আসতে প্রণিত করবে যে হুমায়ূন কল্পনাবিলাসী কথাসাহিত্যিক মাত্র নন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তাভাবনারও অধিকারী। ‘আমরা কোথায় চলেছি?’ এবং ‘বাউল ভাস্কর্য,এখন কোথায় যাব, কার কাছে যাব’? শীর্ষক মন্তব্য-ভাষ্যে যে বক্তব্য তিনি পেশ করেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ কোথায়? পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাঁর যে হাহাকারদীর্ণতা, তা যেন হয়ে উঠেছে সারা জাতিরই মর্মচেরা বিলাপের ধ্বনি। ‘স্মৃতি’ পর্বের লেখাগুলোর মাধ্যমে হুমায়ূন পাঠককে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবেন। পরিহাসপ্রিয়তায় সিক্ত রচনার পাশাপাশি এখানে আছে স্মৃতিমেদুর একটি লেখা। শিরোনাম ‘আমার বাবার জুতা’। ‘এক এবং একা’, ‘হাবলঙ্গের বাজার’ ও ‘বসন্ত বিলাপ’ পড়া শেষে মন যেমন হালকা মেঘের সওয়ার হয়ে উঠবে, তেমনি ‘আমার বাবার জুতা’ সংবেদনশীল পাঠককে নিমেষে আবেগকম্পিত করে তুলবে। সামান্য নিদর্শন তুলে ধরা যাক স্মৃতিকাতর সেই রচনা থেকে। তার আগে জানাই, হুমায়ূনের বাবাকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছিল। কিন্তু খবরটি তাঁর মা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। হুমায়ূনের ভাষায়, এই দুঃসংবাদ শোনার পর তাঁর মা ডেকে বললেন, ‘তোরা এই লোকগুলোর কথা বিশ্বাস করিস না। তোর বাবা সারা জীবনে কোনো পাপ করেনি। এ রকম মৃত্যু তার হতে পারে না। তোর বাবা অবশ্যই বেঁচে আছে।’ কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হুমায়ূনের সেই মা ঢাকা থেকে পিরোজপুরে গেলেন। নদীর পাড়ে, যেখানে বাবাকে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে, সেই জায়গা নিজে উপস্থিত থেকে খোঁড়ালেন। কবর থেকে লাশ তোলা হলো। শরীর পচে গলে গেছে, কিন্তু নাইলনের মোজা অবিকৃত। মা পায়ের মোজা, দাঁত, মাথার চুল দেখে বাবাকে শনাক্ত করলেন, তাঁর স্বামী বেঁচে নেই। এভাবে ব্যক্তিজীবনের যে বিয়োগান্ত ঘটনা হুমায়ূন তুলে ধরেন, তা আর কেবল তাঁর একার হয়ে থাকে না, প্রতিটি শহীদ পরিবারে পরিব্যাপ্ত হয়ে যায়। ‘ক্রিকেট’ পর্বে আছে মোট তিনটি লেখা। রম্যধাঁচের লেখাগুলোর ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে খেলাটির প্রতি হুমায়ূনের গভীর প্রীতি ও ভালোবাসার কথা। ‘মাঠরঙ্গ’ রচনাটি পাঠককে দেবে অনাবিল আনন্দ। প সাহিত্যকর্মের বাইরে সংস্কৃতির ভিন্ন দুটি শাখায় হুমায়ূনের আত্মনিবেদনের বিষয়ে জানতে হলে এই নিবন্ধ চারটি পড়া বাঞ্ছনীয়। ‘মৃত্যুচিন্তা’ পর্বে আছে মাত্র একটি সংক্ষিপ্ত অথচ পরমপাঠ্য নিবন্ধ। শিরোনাম ‘মাইন্ডগেম’। ‘ছোটগল্প’ পর্বে আছে দুটি গল্প। একটির শিরোনাম ‘শবযাত্রী’, অন্যটির ‘রস, কষ, সিঙাড়া, বুলবুলি, মস্তক’। অনন্য এই গল্প দুটি পাঠ করে পাঠক অভাবিত আনন্দের সহচর হবেন। এই গ্রন্থের ‘সাক্ষাৎকার’ পর্বটি সবচেয়ে ঋদ্ধ অংশ। মোট আটটি ছোট-বড় সাক্ষাৎকারে হুমায়ূন আহমেদ এমন অনেক কথা বলেছেন, যা গভীর থেকে গভীরতর অনুভবসিক্ত উচ্চারণেরই নামান্তর। তিনি যখন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সমুদ্র আমাদের মা। সমুদ্র আমাদের ডাকবে না তো কে ডাকবে? আমরা হচ্ছি স্তন্যপায়ী’ অথবা ওই একই সাক্ষাৎকারে যখন তিনি জানান, ‘আমাদের প্রাণের শুরু সমুদ্র থেকে। সে জন্য আমাদের রক্তের ঘনত্ব আর সমুদ্রের পানির ঘনত্ব এক। আমাদের রক্তের আরএইচ আর সমুদ্রের আরএইচ এক। আমাদের শরীরের লবণাক্ততা সমুদ্রেরই মতো। সেহেতু সমুদ্র দেখলে সমুদ্রের কাছে যেতে ইচ্ছে করে আমাদের’, তখন থমকে গিয়ে ভাবতে হয়। অথবা যখন তিনি বলেন, ‘নিজের লেখা সম্পর্কে আমার অহংকার অনেক বেশি’, তখনো কি মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যাবে লেখক হুমায়ূনের দিক থেকে? বস্তুত, এ বইয়ের সাক্ষাৎকারগুলো থেকে তাঁর মনোজগৎ অর্থাৎ তাঁর মনস্তত্ত্ব, তাঁর জীবন-দর্শন, সমাজ, রাজনীতি ও পরিপার্শ্ব ভাবনা, নিজের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তাঁর মনোভঙ্গি, তাঁর জীবনাচার, জীবন ও মৃত্যু, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, আধিভৌতিকতা, ধর্মবোধ, সর্বোপরি মানবিক মানুষ হুমায়ূন সম্পর্কে একটা সার্বিক ধারণা পাওয়ার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারি আমরা। সে বিচারে এ বই হুমায়ূন আহমেদের প্রায় আত্মজীবনীরই নিকটাত্মীয়।
Was this review helpful to you?
or
মুগ্ধতায় স্নিগ্ধ এক নিরাভরণ বসন্তের আগমনের আগেই বসন্ত বিলাপের এক অস্ফুট আর্তি যেন একটা থমথমে অবস্থার সৃষ্টি করছে চারপাশে।যাইহোক বইটা হাতে পাবার পর সেই বিলাপের সাথে যেন নিজেকেই একাত্মতা ঘোষণা করতে হল । মনে হল আর কটা দিন যদি থেকে যেতে পারতেন তাহলে হয়তোবা তিনিও নিজেকে সপে দিতেন সেই বিলাপে।যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন সবারই পরিচিত হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত একটি বই “বসন্ত বিলাপ” এর। “বসন্ত বিলাপ” বইটি রচিত হয়েছে তার লেখা পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগের বিচিত্র বিষয়ে,গল্প-উপন্যাস এর বাইরেও তাঁর বেশ কিছু রচনা, কিছু ছোট আয়তনের গদ্য সংকলনের।বইয়ের একটি অংশে তাঁর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মনে হয় যেন আমি সেই হুমায়ূন আহমেদের সামনেই দাড়িয়ে আছি আর তিনি সাবলীলভাবে তার জীবনের দর্শন, বিশ্বাস,অপার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী,মৃত্যুকে নিয়ে গভীর চিন্তা ,কিছু অলৌকিক ঘটনার অভিব্যক্তি,নিজের লেখালেখি নিয়ে কিছু বাস্তব অহংকার,লেখা নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে অনর্গল বলে যাচ্ছেন।বইটিতে তার কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি ও একান্ত অনুভূতির কথা উঠে এসেছে ।সমকালীন রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে কিছু স্পষ্ট মতামত সহজ ভাষায় তিনি তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।হাছন রাজা, আহমদ ছফা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ও জাহানারা ইমামকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রবন্ধে তার মনোভাবগুলো উল্লেখ করেছেন এছাড়াও লেখকের ক্রিকেটপ্রীতির একটা স্পষ্ট উদাহরন পাই এই বইটিতে। সর্বশেষে প্রবন্ধ ও গল্পে সমৃদ্ধ বইটি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই প্রথমা প্রকাশন কে ।অসাধারণ এই তথ্যবহুল প্রবন্ধ আর অনেকেই কিনা এই থেকে বঞ্চিত হবেন, তা হয় কি করে? যারা বইটি পড়েননি, তারা এমন তথ্যবহুল বইটি পড়বার জন্য নিজের সংগ্রহে রাখতে ভুলবেন না।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম আলো পত্রিকার শুরু থেকেই এর বিভিন্ন বিভাগে নানা বিষয়ে লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সেই লেখাগুলোর সংকলনই এই বই।এই বইয়ে আছে ২৫ টি নানারকম রচনা, ২ টি ছোটগল্প এবং ৮ টি সাক্ষাৎকার। এই বইয়ে কিছু রম্যগল্পও আছে। "যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ" নামে একটা গল্প আছে, যেটা আমাদের বর্তমান সময়ের মন্ত্রীদের সাথে মিলে যায়। একদিন মন্ত্রীমহোদয় ঘুম থেকে উঠে পত্রিকায় দেখলেন "যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ" শিরোনামে একটা খবর ছাপা হয়েছে। তিনি তার পিএস কে ফোন দিলে পিএস ফোন ধরেনা। অনেকবার চেষ্টার পর প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোনে ধরতে পারলেন। প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন ধরেই বললেন ' আপনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে সাহসি পদক্ষেপ নিয়েছেন, আপনাকে অভিনন্দন। মন্ত্রী না থেকেও জনগনের সেবা করা যায়, জনগনের সেবা করুন।উল্লেখ্য যে তিনি কিছুদিন আগে এক পত্রিকা সাংবাদিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। বইয়ের "শবযাত্রা" ও " রস, কষ, শিঙাড়া, বুলবুলি, মস্তক" ছোটগল্প দুটিই চমৎকার। যারা উনার গল্প সমগ্র পড়েছেন, তারা তো জানেনই উনার ছোটগল্পগুলা কেমন হয়। হুমায়ূন আহমেদ এবং তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো সম্পর্কে অজানা অনেক কথা জানতে পারবেন সাক্ষাৎকার পর্বগুলো পড়লে। যেমন, সমরেশ মজুমদার, হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সিরিজ নাটক বানাতে চেয়েছিলেন। এরকম আরও চমকপ্রদ তথ্য পাবেন এই বইয়ে। ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটা পড়ে আমার খুবই ভাল লেগেছে, অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছি।আপনারাও পড়তে পারেন।ভালই লাগবে আশা করা যায়।
Was this review helpful to you?
or
লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ সব সময়ই অনবদ্য। উঁনার বিভিন্ন সময়ে প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া লেখার সমগ্র নিয়ে এই বইটা রচিত। স্যারের চিরায়িত রচিকতা এখানেও আছে। সূক্ষ্ণভাবে বিভিন্ন বিষয়কে বিবেচনার দক্ষতা আমাদেরকে অবাক করবে। রাজনীতি ও স্মৃতি নিয়ে এই বইতে কিছু লেখা আছে,যা আমাদের হাসাবে,এবং একই সাথে ভাবনার দপ্প্যারও খুলে দিবে...স্যারের প্রিয় কয়েকজন ব্যক্তিত্ব নিয়ে স্যার যা লিখেছেন তা আমাদের ঐ সকল মহান ব্যক্তি সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধ বাড়িয়ে দেয়। সাক্ষাৎকারগুলো উনার জীবনের শেষের দিনগুলোতে নেয়া হয়েছে। উনি উঁনার বইয়ের দুটো বিখ্যাত চরিত্র,হিমু ও মিসির আলি নিয়ে খোলাখুলি কিছু কথা বলেছেন। মৃত্যু নিয়ে যে সবসময় তিনি ভাবেন তাও আমরা জানতে পারি এই বইটা পড়লে।নিজের নাটক, চলচিত্র নিয়েও উনি কথা বলেন।