User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ ভাল লেগেছে,আর বইয়ের কথন সম্বন্ধে কিছু বলার নেই,এককথায় অসাধারণ একটি এডভেঞ্চারাস বই,এডভেঞ্চার লাভারদের জন্য পড়া বাধ্যতামূলক???
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাbr বইয়ের নামঃট্রেজার আইল্যান্ডbr লেখকঃরবার্ট লুই স্টিভেনসনbr প্রকাশনীঃরাবেয়া বুকসbr ধরনঃঅ্যাডভেঞ্চার/রহস্য-রোমাঞ্চbr মূল্যঃ১২০টাকাbr .br আগে জলদস্যুরা যে কী ভয়ংকর ছিল! নিষ্ঠুরতা আর বেপরোয়া জীবনযাপনের জন্য তাদের হাঁকডাকই ছিল অন্য কিসিমের। জাহাজের মাঝিমাল্লারা দূর থেকে তাদের জাহাজের পতাকা দেখলেই ভয়ে আধমরা হয়ে যেত। ওরা শুধু জাহাজ লুটই করত না, জাহাজের সবাইকে খুনও করত। এমনই এক জলদস্যু একবার এসে উঠল জিমদের হোটেলে।br .br জিমদের সেই হোটেলের নাম ছিল অ্যাডমিরাল বেনবোও। আর সে হোটেলে যে জলদস্যু এসে উঠল, তার নাম বিলি বোনস। হোটেলে ঢুকেই সে গাইতে লাগল জলদস্যুদের সেই মার্কামারা গান-br .br ‘মরা মানুষের সিন্দুকে পনেরোটা মানুষ দেখ, হো হো হো এক বোতল মদ!’_ গানটা গাইতে গাইতে নতুন আসা নোংরা চেহারার মানুষটা যখন জিমদের সরাইখানার চারদিকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল তখন তাকে মোটেও পছন্দ হয়নি জিমের। জিম অর্থাৎ জিম হকিন্স। আমাদের হিরো। br .br নিজেকে ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়া লোকটি শুরুতে খুব হম্বিতম্বি করলেও সে যে আসলে কিছু একটা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা জিম বুঝতে পারে। কিন্তু কি সেই কিছু একটা? লোকটার নাম বিলি বোনস। বোনস্ জিমকে একটা দায়িত্ব দিয়েছিল। বোনসের খোঁজে আরেকজন জলদস্যু আসতে পারে। তার এক পা খোঁড়া। দেখলেই জিম চিনে ফেলতে পারবে। সে শহরে এলেই যেন জিম তাকে খবর দেয়। কিন্তু তার আগেই একদিন হোটেলে এক অদ্ভুত লোক এলো। সে লোকের আবার বাম হাতের দুটো আঙুল নেই। এসেই সে বিলি বোনসের খোঁজ করতে লাগল।br .br বোনস্ তখন আবার হাঁটতে বের হয়েছিল। ফিরে এসে বোনস্ লোকটিকে দেখে তো ভয়েই শেষ। আট আঙুলে এই লোকটার নাম ব্ল্যাক ডগ। সেও এক জলদস্যু। রীতিমতো নিষ্ঠুর আর বদখত। যাওয়ার আগে কিসের জন্য যেন বোনস্কে পিটিয়েও গেল।br .br সেদিন রাতেই জিমের বাবা মারা গেল। তাই জিমেরও বোনস্কে দেখতে যাওয়া হলো না। পরদিন তাদের হোটেলে এলো আরেক অদ্ভুত লোক। এই লোকটা অন্ধ। কিন্তু গায়ে যে কী জোর! রীতিমতো জোর-জবরদস্তি করে বোনসের ঘরে গেল। আর তারপর বোনসের হাতে ধরিয়ে দিল ব্ল্যাক স্পট। ব্ল্যাক স্পট জলদস্যুদের মৃত্যু পরোয়ানা। তাতে লিখে দেওয়া হয় কখন তাকে মারা হবে। ক্যাপ্টেন বোনস্ দেখল, তাতে লেখা ‘১০টা’। মানে আর মাত্র ছয় ঘণ্টা। আর তারপরই আরেকবার স্ট্রোক করল বোন্স। এবার আর ধকল সামলাতে পারল না সে, মারাই গেল।br .br জিম আর ওর মা ওদের পাওনা নেওয়ার জন্য বোনসের বিশাল সিন্দুকটা খুলল। ওপরে রাখা কিছু কাপড়-চোপড়, পিস্তল আর তামাক সরাতেই বের হয়ে এলো এক ব্যাগভর্তি সোনার মোহর আর অয়েল ক্লথে মোড়ানো একটা বান্ডিল।br .br এর মধ্যেই ওরা শুনতে পেল, কারা যেন হোটেলের নিচে জটলা পাকাচ্ছে। জানালা দিয়ে তাকিয়ে জিম দেখল, অন্ধ লোকটি এবার লোকজন নিয়ে এসেছে। ওরা কী করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। শেষমেশ জিম সোনার মোহর না নিয়ে, অয়েল ক্লথে মোড়ানো বান্ডিলটা নিয়েই সরে পড়ল। ওদিকে দস্যুরা তো সিন্দুকে ওই বান্ডিল আর খুঁজে পায় না। না পেয়ে পুরো হোটেলই তছনছ করতে লাগল। তখনই জিমের বাবাকে কবর দেওয়ার জন্য লোকজন আসায় ওরা বেঁচে গেল তখনকার মতো।br . br জিম কিন্তু ওদের কথাবার্তা শুনেই বুঝে ফেলেছে, ওর কাছে যে বান্ডিলটা আছে, সেটা খুবই দরকারি। তাই দেরি না করে তক্ষুণি ছুটল ডাক্তার লেভসির কাছে। সব শুনে তাড়াতাড়ি করে বান্ডিলটা খুললেন। ভেতরে কেবল একটা সিলগালা করা খাম আর একটা নোটবুক। নোটবুকের অর্ধেক জুড়ে রাজ্যের নাম লেখা। বাকি অর্ধেকে লেখা রাজ্যের সব হিসাব। তবে খাতা দেখে বোঝা গেল, খাতাটি ব্ল্যাকহার্টেড ডগ নামের এক জলদস্যুর। এবার খোলা হলো সিলগালা করা খামটি। তাতে আর কিছু নয়, আছে একটা গুপ্তধনের ম্যাপ!br .br তখন তখনই স্কয়ার পরিকল্পনা করে ফেললেন— গুপ্তধন উদ্ধারে যাবেন। সঙ্গে যাবে ডাক্তার আর জিম। কিন্তু সে তো আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যাওয়া যাবে না। জাহাজে নাবিক হিসেবে নেওয়া হলো লং জন সিলভারকে। তার কাঁধে সব সময় থাকে একটা টিয়াপাখি। একদিন এই লং জন সিলভারের আসল রূপ দেখে ফেলল জিম। সে আসলে সাধারণ নাবিক নয় মোটেও কে সে? পড়ার পরই না হয় জানবেন। br .br শুরু হয়ে গেলো জিমের দুঃসাহসিক অভিযান।br কিন্তু অভিযাত্রী দলের মধ্যেই কুচক্রীরা বসে আছে মৃত্যুর কালোফাঁদ পেতে।জিমের সাহসিকতা তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে?? নানা অ্যাডভেঞ্চারের পর জিম ও তার বন্ধুরা কি পারবে উদ্ধার করতে গুপ্তধন?br পুরোটা জানতে হলে পড়তে হবে রবার্ট লুই স্টিভেনসনের অমর রোমাঞ্চ উপন্যাস ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’। br br .br #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’ বিখ্যাত বইগুলোর অন্যতম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, লেখক কিন্তু এ বইটির নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য সি কুক’। এটা সে সময়কার বিখ্যাত পত্রিকা ‘ইয়াং ফোক্স’-এ ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়।br বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর সুবাদে যে কয়েকটা বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে তার মধ্যে ট্রেজার আইল্যান্ড অন্যতম। ক্লাস সিক্সে এই বই খানা পরেছিলাম। রিভিউ দেওয়ার অজুহাত এ আরেক বার পড়ে নিলাম চমৎকার এই বইখানা।দারুণ অ্যাডভেঞ্চারে ভরা একখান বই যারা এখন ও পড়েনি তারা পড়ে দেখতে পারেন।br হাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
‘মরা মানুষের সিন্দুকে পনেরোটা মানুষ দেখ, হো হো হো এক বোতল মদ!’_ গানটা গাইতে গাইতে নতুন আসা নোংরা চেহারার মানুষটা যখন জিমদের সরাইখানার চারদিকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল তখন তাকে মোটেও পছন্দ হয়নি জিমের। জিম অর্থাৎ জিম হকিন্স। আমাদের হিরো। নিজেকে ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়া লোকটি শুরুতে খুব হম্বিতম্বি করলেও সে যে আসলে কিছু একটা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তা জিম বুঝতে পারে। কিন্তু কি সেই কিছু একটা? একটা সময় বোঝা গেল সে জাহাজী মানুষদের এড়িয়ে চলতে চায়, বিশেষ করে একটা একঠেঙ্গে জাহাজীকে; যাকে সে প্রচণ্ড ভয়ও পায়। আর এসবের মূলে রয়েছে সর্বনাশা গুপ্তধন। যার জন্য প্রাণ দিতে হয় ক্যাপ্টেনকে। জিমসহ আরও অনেকে জড়িয়ে পড়ে এর সাথে। শুরু হয় গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান। কিন্তু অভিযাত্রী দলের মধ্যেই কুচক্রীরা বসে আছে মৃত্যুর কালোফাঁদ পেতে। কিন্তু জিমের সাহসিকতা তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়। নানা অ্যাডভেঞ্চারের পর জিম ও তার বন্ধুরা উদ্ধার করে গুপ্তধন। কিন্তু একঠেঙ্গে শয়তানটাকে ওরা জব্দ করতে পারেনা। সে চলে যায় ওদের নাগালের বাইরে। চিরতরে।