User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সেরা কিশোর উপন্যাস এবং অ্যাডভেঞ্চারধর্মী উপন্যাস হল 'চাঁদের পাহাড়'। বাঙ্গালী চরিত্ররা যে শুধু প্রেম ভালোবাসার বৃত্তেই বন্দি থাকে না, গোটা পৃথিবীকেই পায়ের তলায় নিয়ে আসার ক্ষমতা রাখে সে প্রমাণ প্রথম 'চাঁদের পাহাড়' উপন্যাসের মাধ্যমেই দেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, শংকর চরিত্রের অসীম সাহসী চিত্র উপন্যাসের পাতায় ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে। গ্রামের এক প্রানোচ্ছ্বল যুবক শংকর যে চায় বিশ্বটাকে ভাল করে দেখতে ও জানতে। তাই গ্রামের পাটকলের সহজ চাকরির সুযোগ উপেক্ষা করে সে পাড়ি জমায় পূর্ব আফ্রিকায়। প্রথমে সে উগান্ডায় রেইলওয়ের চাকরি করতে থাকে। এমন এক সময় মুমূর্ষু অবস্থায় সে পায় ডিয়েগো আলভারেজকে। আলভারেজ শংকরকে তার বিচিত্র ও রোমাঞ্চকর জীবনের কাহিনী শুনায়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় শংকর আকৃষ্ট হয় তার কথায়। তাই একদিন তারা দুজনে 'চাঁদের পাহাড়'-এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় হলদে হিরের সন্ধানে। তাদের সেই যাত্রা সুখকর ছিল না। পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে থাকে তারা। কখনো মরণচক্রে পড়ে পথ হারায়, আগ্নেয়গিরির কবলে পড়ে, তৃষ্ণায় বুকের ছাতি ফেটে যেতে থাকে। শ্বাপদসংকুল পথের প্রতি বাঁকে বাঁকে অসংখ্য হিংস্র জন্তুর হুমকি তো ছিলই। এরপরও আলভারেজের নেতৃত্বে সাফল্যের সন্ধানে মরীচিকার পিছে ছুটতে থাকে অনভিজ্ঞ শংকর। তারপর ফুটন্ত কড়াই থেকে সে সরাসরি আগুনের মধ্যে পতিত হয় যখন বুনিপ নামের এক রহস্যময় জন্তুর আক্রমনে প্রাণ হারায় আলভারেজ। একা হয়ে পড়ে শংকর। কম্পাস নষ্ট, ম্যাপ অসম্পূর্ণ, আগে কখনো এধরণের অভিযানের অভিজ্ঞতা নেই, পানির বিষম কষ্ট, বন্দুকের টোটাও প্রায় শেষ - এরকম অগুনতি সমস্যার মধ্যে পড়ে শংকরের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। হলদে হিরের আশা বাদ, সে শুধু চায় দীর্ঘ মরুভূমি পেরিয়ে সলসবেরি শহরে পৌঁছাতে। কিন্তু পানিহীন পথে তিনশ'র বেশি মাইল পেরিয়ে সলসবেরি পৌঁছানো পর্যন্ত কি বাঁচবে শংকর, নাকি তার আগেই তার ভবলীলা সাংগ হবে? যে হলদে হিরের সন্ধানে এসেছিল সে, তারও কি আর কোন হদিস মিলবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে 'চাঁদের পাহাড়' উপন্যাসে। এই উপন্যাসে শুধু যে এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের কথাই আছে তা না। পাশাপাশি নিজে কখনো পূর্ব আফ্রিকার সেই গহীন অরণ্যে না গিয়েও লেখক যেভাবে গোটা অভিযান ও প্রকৃতির নিখুঁত বর্ণনা দিয়ে গেছেন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। আর বেশি কিছু বলব না। উপন্যাসের এক পর্যায়ে সব আশা ছেড়ে দিয়ে বঙ্গসন্তান শংকর নিজের মৃত্যুকে একরকম নিয়তি হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। কিন্তু শেষ অব্দি সে কি এই বাঙলাদেশের মুখ ডুবিয়েছিল নাকি সত্যিকারের বাঙালি বীরের মত শত বাধা পেরিয়ে নিজ লক্ষ্যে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছিল তা জানতে শংকর আর ডিয়েগো আলভারেজের সাথে আপনাদেরকেও 'চাঁদের পাহাড়' জয়ের অভিযানে নেমে পড়তে হবে!
Was this review helpful to you?
or
শঙ্কর বাঙালীর ছেলে,পাকা খেলোয়াড়,নামজাদা বক্সার,ওস্তাদ সাঁতারু।বিশ বছর বয়সী তরুণ।সুবোধ ছেলের মত কাজকর্ম সে চায়না।বেপরোয়া-দুর্দান্ত সাহসী সে।সে চায় রোমাঞ্চ।হটাত সে চাকরী পেয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রেনলাইন বানানোর কাজে।ইউগান্ডা রেলওয়ের নতুন লাইন তৈরী হচ্ছিল।সে পাড়ি দিল সুদুর পূর্ব-আফ্রিকায়।আফ্রিকার দেশ ইউগান্ডা ,সিংহের দেশ।রাতে সেখানে আসে মানুষখেকো সিংহ, আসে ব্ল্যাক মাম্বার মত সাপ।কিন্তু ডিয়েগো আলভারেজ নামে দুর্ধর্ষ এক পর্তুগীজ ভাগ্যান্বেযীর সঙ্গে হঠাত্ সেখানে তার দেখা।পানির তৃষ্ণায় আলভারেজ যখন মরতে বসছিলো শঙ্করই তাকে সুস্থ করে তোলে।তার কাছে হীরের খনির খোঁজ পেল সে।শঙ্কর এই দুঃসাহসী ভাগ্যান্বেষীর সঙ্গ ধরে মহাদুর্গম রিখটারস্ভেল্ড পর্বতে অঞ্জাত এক হীরের খনির সন্ধানে চলে গেল।বার বার তারা বিপদের সন্মুখীন হয়।বুনিপ নামে অতিকায় এক দানব-জন্তু সেই হীরের খনি আগলিয়ে থাকত।সেখানে আলভারেজ বুনিয়াপের আঘাতে মারা গেল।শঙ্কর হয়ে গেল একা.. সম্পূর্ণ একা।কিন্তু হাল ছেড়ে দিলনা সে।পথ হারিয়ে চলে গেল এক গুহায়।যেখানে দিনের বেলায়ও রাতের অন্ধকার।অনেক কষ্টে সেখান থেকে বেরিয়ে আসল।পরে বুঝতে পারল ওটাই ছিলও হীরার খনি।কিন্তু ততখনে পথ হারাল শুষ্ক মরুভূমিতে যেখান থেকে কেউ কখনও বেঁচে ফেরেনা।শঙ্কর কি তাহলে ফিরতে পারল নাকি পারল না...ফিরলে কিভাবে ফিরল... জীবনমৃত্যু নিয়ে শঙ্করকে যে রোমাঞ্চকর ছিনিমিনি খেলতে হল তার আশ্চর্য বিবরন যেকারো কল্পনাকে উত্তেজিত করবে।সেই সাথে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক সংস্থান এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যাদির যথাযথ বর্ণনা দিয়েছেন লেখক।যেমন যেমন ভিক্টোরিয়া লেক ,চিমানিমানি পর্বতমালা ,কোপজে ,রিখটারসভেল্ড,কালাহারি মরুভূমি