User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রকমারি এর বুক কালেকশন অভিনব। খোয়াবনামা বইটি আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের এক অভিনব সৃষ্টি। ধন্যবাদ রকমারি কে?
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাস-আশ্রয়ী উপন্যাসে সাধারণত কাল্পনিক কাহিনি বিন্যাসের ফাঁকে ফাঁকে ঐতিহাসিক উপাদানগুলো স্থাপন করা হয়। উপন্যাসে সামাজিক উপাদানের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু ‘খোয়াবনামা’য় সেটি হয়ে ওঠেনি। এখানে বরং সামাজিক ও রাজনৈতিক উপাদানের ফাঁকে ফাঁকে গল্পগুলো আশ্রয় নিয়েছে। গল্পগুলো আশ্রয় পেয়েছে সমসাময়িক রাজনীতি আর সামাজিক বিবর্তন-রেখার প্রান্তিক সীমায়। তাই এ উপন্যাসের গল্পের প্রবাহে অবিচ্ছিন্ন রস নেই। কল্পনাপ্রবণ পাঠকেরা হয়তো এর পতায় পাতায় অবিরাম রোমাঞ্চ পাবেন না। তবে সাধারণের জীবনাচরণ, প্রকৃতি, প্রকৃতির সাথে জীবনের মাখামাখি, কৃষি, বর্গা আর জোতদারির কষাঘাতে জর্জরিত কৃষক, অবিরাম স্বপ্নের ফোয়ারা, স্বপ্নব্যাখ্যার তাড়না আর খোয়াবনামার গূঢ়তা খোয়বনামা উপন্যাসের পাঠককে এক দৈব শক্তিতে আচ্ছন্ন করে রাখে।
Was this review helpful to you?
or
দারূণ বই
Was this review helpful to you?
or
ভালো সার্ভিস
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
khubi valo book
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
দারুণ বই
Was this review helpful to you?
or
Worthy to read
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগ্রহ নিয়ে কিনেছিলাম এবং পড়েছিলাম।ইতিহাস আছে বলে এতটা জনপ্রিয়। নইলে কাহিনি যে খুব একটা ভালো তা নয়।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। আহ্ ??
Was this review helpful to you?
or
Awesome
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Alls are good
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি বইপোকা প্রতিযোগিতা
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষার অন্যতম সেরা সৃষ্টিকর্ম।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের রত্ন বলে যদি কিছু থাকে তন্মধ্যে খোয়াবনামা একটি৷
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
Satisfactory
Was this review helpful to you?
or
It was good.
Was this review helpful to you?
or
outstanding book
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে যেকোন বইই হলো একটা পরিবার । প্রথমে একটা পরিবারের সাথে দেখা হলে যেমন একটু সময় লাগে তাদেরকে বুঝতে । তাদের মানুষদের সাথে মিশে যেতে। বইয়ের ক্ষেত্রেও তাই । প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা পড়া মানে পরিচিত হওয়া । তারপরের কয়েক পৃষ্ঠা মানে সম্পর্ক তৈরী । তারপর নিজের সব । বইয়ের সাদা কালো লেখায় তারা আমার সামনে বসে গল্প করে । ভালো কোন খাবার খেতে আমরা যেমন অল্প অল্প করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাই । এই বইটাও আমি তেমন ভাবে পড়েছি । একটা অধ্যায় পড়ে চুপচাপ বসে ছিলাম । ভালোলাগা গুলো অনুভব করছি । প্রতিটি চরিত্রের সাথে আলাদা আলাদা ভাবে পরিচিত হয়েছি । এতো ভালো বই জীবনে খুব কমই পড়েছি ।। যারা পড়েন নি , পড়ে দেখতে পারেন । তবে প্রথম এক দুই অধ্যায় ভালো লাগবে না । এটা কাটিয়ে নিতে পারলে আপনি নিজেকে খোয়াব নামার একজন চরিত্র অথবা নিজগিরিডাঙা গ্রামের কোন মানুষ হিসেবে খুঁজে পাবেন ।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের চরিত্রে সংখ্যা অসংখ্য। অনেক বেশি চরিত্র থাকলে প্রত্যেকটা চরিত্রের মধ্যে আলাদা একটা ব্যক্তিত্ব দেওয়ার কাজটাও খুব দুরূহ হয়ে ওঠে। কিন্তু খোয়াবনামায় প্রতিটা চরিত্রের বিশেষ একটা চারিত্রিক প্যাটার্ণ আমরা সহজেই আবিষ্কার করতে পারি। আবার কোন চরিত্রই পুরোপুরি ভালো বা মন্দ না হয়ে ভালোমন্দের মিশেলে বাস্তবসম্মত চরিত্র হয়ে ওঠায় আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষের কিংবা নিজের সাথে অনেক চরিত্রের ব্যাপক সাদৃশ্যও দেখতে পাই।
Was this review helpful to you?
or
"জাদুর কলমে লেখা শেষ উপন্যাস। তেভাগা আন্দোলন, দেশভাগের ডামাডোল, গ্রামীণ জনপদের বিশ্বাস কিংবা কুসংস্কার, কৃষক-মাঝি-কামার-দোকানদার আর গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নাম-না-জানা মানুষের না-বলা গল্পের অসাধারণ চিত্রায়ণের বিশাল ক্যানভাসে এই উপন্যাস ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে লেখকের অন্য সব সৃষ্টি!"
Was this review helpful to you?
or
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের "খোয়াবনামা" উপন্যাসটি চমৎকার লেগেছে।।এ উপন্যাসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।এ উপন্যাসের পটভূমি হলো গত শতকের চল্লিশের দশক। চারিদিকে তখন চলছে দুর্ভিক্ষ।ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত যমুনা তীরে জেলে-মাঝি-কৃষকের জীবনকে আশ্রয় করেই বেড়ে উঠেছে এ উপন্যাস। খোয়াবনামা একদিকে যেমন তেভাগা আন্দোলন, অন্যদিকে তেমন পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যকার সময়ে গ্রামীণ জীবনের কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত চিহ্নগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে বিস্তৃতভাবে। অন্যভাবে পর্যলোচনা করলে দেখা যায়, স্বপ্নের পাকিস্তান যে অচিরেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় বাঙালি মুসলমান কৃষকের চোখের সামনে, তারই এক অনন্য কাহিনী এটি। উপন্যাসের দুটি চরিত্র তমিজ ও ফুলজান তারই নগণ্য প্রতিনিধি।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের মাধ্যমেবাংলাদেশের স্বাধীনতার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস স্যারের এই লেখা বইটির মাধ্যমে বাংলাদেশের যুদ্ধ সম্পর্কেধারণা ব্যবহার করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।তার প্রতিটি গল্প ও দুটি উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে দীর্ঘদিন অমর হয়ে থাকবে।ইলিয়াস মূলত একটা পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলেন হয়ত,দেশভাগের সময়কাল নিয়ে তার এই খোয়াবনামা,মূলত তখনখার গ্রামীণজীবনই এর উপজীব্য।কৃষকদের অধিকার আদায়ের লড়াইও উঠে এসেছে এই বইয়ে।শহরকেও একেবারে বাদ দেন নি লেখক।ইলিয়াসের অন্তর্দৃষ্টিযে কতটা গভীর তা অনুভব করতে এই বইয়ের পাঠ জরুরি।আর ইলিয়াসের ভাষা! তার তুলনা পূর্ব এবং বর্তমানে কোথাও আপাতত পাওয়া সম্ভব নয়।বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ "খোয়াবনামা"।
Was this review helpful to you?
or
writing style of this writer is quite difficult to read. This novel is a must read for bengali novel reader
Was this review helpful to you?
or
the best
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ মানুষের আজকের এই এতকিছুর জন্ম কোথা থেকে? আমার বিশ্বাস, ক্ষুধা থেকে। মানুষ প্রথম যে প্রয়োজনীয়তা মেটাতে চায়, সেটা ক্ষুধা। পেটে খাবার থাকলে তখন আসে যৌনতা। আর দুটো বিষয় যদি মোটামুটিভাবেও মিটে যায়, তখন মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। নানা রকমের স্বপ্ন। সুখের স্বপ্ন, সমৃদ্ধির স্বপ্ন। মানুষ যত এগিয়ে যায় তার স্বপ্ন তত বড় হয়। সে যত পায়, পায় খোয়াব তত বদলে যায়। মানুষের সেই খোয়াব নিয়েই ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’। মানুষের মাঝে বাঙালীরা বোধয় খোয়াব একটু বেশি দেখে। তারা ঘুমিয়ে খোয়াব দেখে, জেগে জেগে খোয়াব দেখে। সেই খোয়াবে মিশে থাকে ইতিহাস, পুরাণ, ঘটে যাওয়া নানা বিষয়। কিছু কথা, উপকথা মানুষকে এতোটা বেঁধে ফেলে যে সে এখান থেকে বের হতে পারে না কখনও। তার খোয়াব ঘুরপাক খায় ওই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে। তমিজের বাপ এমনই এক লোক। তমিজের বাপ আবোর, মানে বোকা। তার কেবল খাওয়ার চাহিদা। পেট পুরে ভাত খেতে পারলেই হয়। বাকি আর কিছু চায় না। বুড়ো মানুষটার পাশে যুবতী বৌও তার মাঝে কোন আকাঙ্ক্ষা জাগায় না। তমিজের বাপের খাওয়া মিটে গেলে ঘুমিয়ে থাকে, কিংবা জেগে জেগে খোয়াব দেখে। সে খোয়াব হলো মুনসির খোয়াব। যে নাকি কাৎলাহার বিলের পাশে পাকুড় গাছে উঠে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই তার আরশ। আদতে ইলিয়াস এই তমিজের বাপের মধ্যে এঁকেছেন আবহমান বাংলার এমন কিছু মানুষের কথা, যারা তাদের বিশ্বাসের মধ্যে এতোটা ঢুকে থাকে যে দুনিয়ার বাস্তবতা তাদের কাছে কোন অর্থ বহন করে না। তমিজের বাপ চিনত বিল, বিলের মাছ আর চেরাগ আলী মুনসিকে। সেখানেই সে থেমে ছিল তার বাকিটা সময়। জীবনভর সে ওই নিয়েই থেকে গেছে। এদিকে বদলে যাওয়া সময়ের স্রোতে ভেসেছে তার উত্তরপুরুষ তমিজ। সে খিয়ারে গেছে ধান কাটতে। মাঝির সন্তান হয়েও এক সময় জমি চাষ করে সে থিতু হওয়ার খোয়াব দেখেছে। সেই সঙ্গে খিয়ারে কাজ করতে গিয়ে সে উদবুদ্ধ হয়েছিল নতুন দিনের চেতনায়। মানুষের অধিকারের আদায়ে তার রক্তের মধ্যে প্রতিবাদ এসে জমেছিল। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়েই এখানে ক্ষমতার নানা ব্যবহার চলে। সেই ক্ষমতার প্রতিভু শরাফত মণ্ডল। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভূমির মালিকদের দাপট, তাদের ক্ষমতার ব্যবহার এবং মানুষকে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা তার মাঝে দেখা যায়। কিন্তু সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে। কালাম মাঝিদের মতো মানুষদের খোয়াব থাকে নিজেকে বড় করে তোলার। সে খোয়াব তারা পূর্ণ করে। এরই মাঝে যারা ক্ষেত, বিল, গ্রামের হাট থেকে বেরিয়ে শহরের বাতাস গায়ে লাগায়, তারা বৃহত্তর পরিমণ্ডলের হাওয়া গাঁয়ে ছড়িয়ে দেয়। তখন কারও কারও মনে পাকিস্তান কায়েম করার খোয়াব জাগে। সে খোয়াব সত্য মনে হয় যখন লীগের লোকজন এসে তাদের তাতিয়ে যায়, আশ্বাস দিয়ে যায়। তখন খোয়াব ভেঙে যায় কারও কারও। পুরাতন আনন্দবাজারের খবরে কলকাতায় মুসলমান হত্যার খবরে এখানেও মারা যায় অনেকে। সেখান থেকে ভেঙে যায় আরও খোয়াব। কিন্তু এসব খোয়াবের সাথে কোন সংযোগ নেই কুলসুমের। কেননা সে জীবনে প্রায় কিছুই দেখেনি। সে দেখেছে তার দাদা চেরাগ আলীকে, দেখেছে তমিজের বাপকে। একজন শোলোক লিখে গেয়ে বেড়াত, অন্যজন সেই শোলোকে কী পেয়েছিল, কুলসুম কোনদিন বোঝেনি। কিন্তু তার সেই দেখা জগতের মাঝেই ঘুরে বেড়াতে থাকে কুলসুম। ভাঙা গড়া আর মানুষের একান্ত খোয়াবের মধ্য থেকে বৃহত্তরের ব্যঞ্জনা নিয়ে আসা গল্প, ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’। ইলিয়াসকে নিয়ে লেখা সহজ না, সে ধৃষ্টতা করবো না। তবে খোয়াবনামা নিয়ে কিছু বলাই যায়। অনেক কিছু বলেও ফেলেছি। তারপরও কিছু বাকি থাকে। লেখকের এই উপন্যাসের ভাষা তার ‘চিলেকোঠার সেপাই’ থেকে আলাদা। একদম প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের মুখের ভাষায় লেখা এ উপন্যাস। লেখায় লেখকের সততা বলে একটা ব্যপার আছে। আমাদের আজকের দিনের লেখায় সে জিনিসটা নানা কারণে অনুপস্থিত। সে নিয়ে পরে কখনও বলা যাবে। বিষয়টা একটু বিস্তৃত। তবে ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ পড়লে বোঝা যায় একজন লেখক তার লেখার প্রতি কতটা সৎ হতে পারেন কিংবা ভাবলে অবাক হতে হয় যে কতটা সৎ হলে এমন একটা উপন্যাস লেখা যায়। ইলিয়াসের লেখায় জাদুবাস্তবতা আছে কিনা, সে নিয়ে তর্ক হতে পারে। কিন্তু ইলিয়াস তার ‘খোয়াবানামা’য় নানা জায়গায় অসাধারণ ঘোর সৃষ্টি করেছেন। কাৎলাহার বিল, পাকুড় গাছ, তার আশপাশ দিয়ে তমিজের বাপের ঘুরে বেড়ানোর বর্ণনায় অবশ্যই ঘোর তৈরি হয়। তেমনি ঘোর তৈরি হয় যখন কালাম মাঝি চড়ে বসে কুলসুমের উপর। চরিত্র সৃষ্টি এবং চিত্রণে ইলিয়াস অসাধারণ কিছু কাজ করে গেছেন। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসে হাড্ডি খিজিরের পর এই উপন্যাসে অবাক করা চরিত্র এই তমিজের বাপ। একটা মানুষ প্রায় কোন কথা না বলে, কোন জায়গায় না থেকে জুড়ে আছে পুরো উপন্যাসে। হাড্ডি খিজির যতটা ‘অ্যাকটিভ’ ছিল, তমিজের বাপ ততটাই ‘প্যাসিভ’। এই থেকে না থাকা বা না থেকেও থাকাটা সবচেয়ে বড় ম্যাজিক ছিল ‘খোয়াবনামা’-র। শেষটা করবো একটা প্রশ্ন দিয়ে। প্রশ্নটা হলো, ‘মানুষের সবচেয়ে বড় খোয়াব কী?’ উত্তরটা দিয়ে দেই। মানুষের সবচেয়ে বড় খোয়াব বলো, ‘খাদ্য’। শরাফত মণ্ডলের ছেলেরা বড় মানুষ হয়ে যেতে পারে। কালাম মাঝি নিজেকে তুলতে পারে নতুন উচ্চতায়। প্রেমে পড়ে কিংবা ছন্নছাড়া হয়ে কেরামত জেলে যেতে পারে। ভাবের আবেশে থাকা মানুষ বৈকুণ্ঠ হতে পারে পাকিস্তান আন্দোলনের বলি। নতুন পাকিস্তানে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে পারে তমিজ। একদিন হঠাৎ যোগ দিতে পারে তেভাগায়। এতোসব মহৎ কিংবা স্বার্থপর খোয়াব থেকে অনেক দূরে তমিজের মেয়ে সখিনা গিয়ে দাঁড়ায় উইঢিবিতে। সেখান থেকেই সে দেখে দূরে জ্বলা একঝাঁক জোনাকি। সখিনার মা ফুলজানেরও মনে হয় ওখানে জোনাকির আগুন জ্বালিয়ে হেঁশেল ধরিয়েছে কেউ। কে সে? সে তমিজের বাপ হবে। কেননা মুনসির খোয়াব হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। গ্রামের নতুন কিংবদন্তী তমিজের বাপ। যে কিনা সখিনার দাদা। তাই হয়ত সখিনা, ফুলজান কিংবা অন্য নামের কোন একজন মানুষ, আবহমানকাল ধরে এমন করেই কারও উপর ভরসা করে থাকে। উনুন জ্বলবে। ভাত হবে। পেট ভরবে।
Was this review helpful to you?
or
I think this book should be on the list of every Bengoli readers to-read-list. It talks about a time when things were little less but still complicated. Rural life with superstition which turns out to be not a typical superstition. Just read , you will enjoy it.
Was this review helpful to you?
or
Boi porata amar shokh-er o valolagar bisoy . Sai shokh o valo laga hote amra gore tulesi amader office library . Thanks Rokomari amader sokol boi thik quality te ena dewar jonno . And aro thanks alokito bangladesh gorar proyash newar jonno . Thanks the all team member of Rokomari .
Was this review helpful to you?
or
খোয়াবনামা বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে। একই বছরের এপ্রিলে বইটি বেরোয় পশ্চিমবঙ্গের নয়া উদ্যোগ প্রকাশনী থেকে। ওই বছরই উপন্যাসটি প্রফুল্ল কুমার সরকার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার এবং সাদাত আলী আকন্দ পুরস্কার লাভ করে।এই উপন্যাসটি মূলত বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)-এর কিয়ৎকাল পূর্ব এবং পরবর্তী সময়কাল নিয়ে রচিত। এর কাহিনী বিস্তৃতিলাভ করেছে বগুড়া জেলার একটি ক্ষুদ্রাকার ও প্রত্যন্ত জনপদে। অঞ্চলটির কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিল, যার নাম কাৎলাহার; এবং কাৎলাহার ঘিরে গড়ে উঠেছে গিরিরডাঙা, নিজগিরির ডাঙা, গোলাবাড়ি হাট ইত্যাদি পল্লীসমূহ। এইসব জনপদে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বিষয়ক বিভিন্ন শ্রুতি বা লোককথা, জোতদারি সমাজব্যবস্থা, তেভাগা আন্দোলন, দেশভাগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক ও সংকট প্রবৃত্তি এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। কাহিনীর প্রয়োজনে এবং বাস্তবতার নিরিখে এতে আরও যুক্ত হয় সাধারণ গ্রাম্য মানুষের অসহায়ত্ব, কাম, ক্ষোভ, ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষ, এমনকি অজাচার।
Was this review helpful to you?
or
খোয়াবনামা বইটি নিয়ে বলতে গেলে,,,,কিছুটা শেয়ার করি বইটির,,,,মেলা দিন আগেকার কথা। কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে সোভান ধুমা আবাদ শুরু করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে। ওইসব দিনের এক বিকালবেলায় মজনু শাহের অগুনতি ফকিরের সঙ্গে মহাস্থান গড়ের দিকে যাবার সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনসি বয়তুল্লা শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই ধারের মানুষ সবাই জানে, বিলের উত্তরে পাকুড়গাছে আসন নিয়ে রাতভর বিল শাসন করে মুনসি। দূরে কোথাও ভূমিকম্প হলে যমুনা বদলে যায়। বন্যায় ভেঙে পড়ে কাৎলাহারের তীর। মুনসির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষীরা হয় কাৎলাহার বিলের মাঝি। খোয়াবনামার শুরু। বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনসির শোলোকে শোলোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শোলোক শুনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনসিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূর্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াভে কার কায়া যে দেখতে চায় তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে; সে নাম চায় বৌ চায় ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশি সায়েবদের হাতে। দেশ আর দেশ থাকে না, হয়ে যায় দু'টো রাষ্ট্র। দেশি সায়েবরা নতুন রাষ্ট্রের আইন বানায়, কেউ হয় টাউনবাসী, কেউ হয় কন্ট্রাকটর। আবার নিজদেশে পরবাসী হয় কোটি কোটি মানুষ। হিন্দু জমিদার নায়েব চলে যাওয়ার পরও আজাদ পাকিস্তানে জমি আর বিলের মানুষ নিজেদের মাটি আর পানির পত্তন ফিরে পায় না। পাকুড়্গাছ নাই। মুনসির খোঁজ করতে করতে চোরাবালিতে ডুবে মরে তমিজের বাপ। ভবানী পাঠক আর আসে না। বৈকুণ্ঠ নিহত। ক্ষমতাবান ভদ্রলোকের বাড়িতে চাকর হয়ে বিল ডাকাতির আসামী তমিজ পুলিসকে এড়ায়। কিন্তু তার কানে আসে কোথায় কোথায় চলছে তেভাগার লড়াই। নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে তমিজ বেরিয়ে পড়ে তেভাগার খোঁজে। ফুলজানের গর্ভে তমিজের ঔরসজাত মেয়ে সখিনাকে নিয়ে ফুলজান ঠাঁই নেয় কোথায়! খোয়াবনামা সারা। কিন্তু মোষের দিখিরপাড়ে শুকনা খটখটে মাঠের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাৎলাহার বিলের উত্তরে সখিনা দেখতে পায় জ্বলন্ত হেঁসেলে বলকানো ভাত। খোয়াবনামার জিম্মাদার তমিজের বাপের হাত থেকে খোয়াবনামা একদিন বেহাত হয়ে গিয়েছে। এখন সখিনার খোয়াব। খোয়াবনামা স্বপ্নের ব্যাখ্যাতা। কিন্তু স্বপ্নের ব্যাখ্যায় যা বিবেচ্য তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন দেখা মানুষ।
Was this review helpful to you?
or
গত ৭ বছরে তিনশাে,চারশাে নাকি তারও বেশি। গল্প-উপন্যাসের বই শেষ করার পর, জনা বিশেক লেখকের সাথে বাংলার আনাচেকানাচে হেঁটে বেড়ানাের পর, আমারে থামতে হবে কাৎলাহার বিলের পাকুড় তলাতে! যেখানে মুন্সি গজার চড়িয়ে ভেড়ার রূপ দেয় প্রতি রাতে। চেরাগ আলি, তমিজের বাপ, তমিজ আর সখিনা'রা। জনমের পর জনম যেখানে পায়ের রগ টানটান করে। দাঁড়িয়ে ভাতের গন্ধে-কাদার গন্ধে-মাছের গন্ধে আধাপেট ভরার আশাতে মুন্সির উপর আস্থা করে।। বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক'এর পর মানব প্রেম। কাহিনী,কিশাের উপন্যাস আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর বাহিরে গিয়ে খুঁজে পাওয়া দারুণ এক মাস্টারপিস এই বই। গ্রামীণ মিথ যার সাথে দেশ ভাগ, নির্যাতিত চাষী, মাঝি,সমাজের নীচু স্তরের মানুষের সংগ্রামের বাস্তব চিত্র বাস্তবিক অর্থেই শােলকে,কাব্যে চোখের সামনে ফুটিয়ে। তােলতে সক্ষম হয়েছে লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার লেখা "খােয়াবনামা" উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের কাহিনী ১৯৪৬ থেকে শুরু হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষাপট টানতে লেখক আরও কয়েক পুরুষ আগে যাওয়ার স্বাধীনটা ব্যবহার করেছেন। বগুড়া জেলার বাঙালি নদীর আশেপাশের কিছু গ্রামের মানুষের কাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা অংশকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কালাৎহার নামের এক বিল কে কেন্দ্র করে লেখা কাহিনী। এই ভূখণ্ডে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে থাকা মানুষদের যাপিত জীবনের এক ছবি আঁকা হয়েছে এই উপন্যাসে। পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক হাজার চুরাশির মা-এর লেখক মহাশ্বেতা দেবী 'খোয়াবনামা'র লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন “ইলিয়াসের পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলেও আমি ধন্য হতাম”। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা উপন্যাসের সংখ্যা মাত্র দুইটি। এই দুই উপন্যাস দিয়েই বাংলা কথাসাহিত্যে নিজের অমরত্ব নিশ্চিত করেছেন তিনি।