User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ 2 States লেখকঃ চেতান ভাগাত প্রকাশকঃ রুপা পাবলিকেশন ধরণঃ সমসাময়িক প্রেমের উপন্যাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৬৯ মূল্যঃ ৩১৫ টাকা (রকমারি) সার-সংক্ষেপঃ পৃথিবীতে প্রেমের বিয়ের ঘটনাগুলো খুব সাধারণ... প্রথমে একজন আরেকজনকে ভালবাসে। তারপর তারা বিয়ে করে ফেলে! কিন্তু ভারতে এসব ক্ষেত্রে আরো কিছু ধাপ থাকে... প্রথমে ছেলে মেয়েটিকে পছন্দ করে। মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করে। এরপর ছেলের পরিবার মেয়েটিকে পছন্দ করে। মেয়ের পরিবার ছেলেটিকে পছন্দ করে। তারপর ছেলের পরিবারটি মেয়ের পরিবারকে পছন্দ করে। মেয়ের পরিবার ছেলেটির পরিবারকে পছন্দ করে। এরপরেও যদি ছেলে মেয়ের মধ্যে ভালোবাসা টিকে থাকে, তবেই তাদের বিয়ে হয়! পাঠ-পর্যালোচনাঃ লেখক চেতান ভাগাতের ৪র্থ বই এটি। এর আগে তার আরো তিনটি বই বের হয়েছে। ৩টিই পড়েছি। অন্যান্য লেখকদের চেয়ে এই লেখকের লেখার ভেতর একধরণের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আর সেটি হলো গল্প। এই ভদ্রলোকের লেখায় মাল-মসলা থাকুক না থাকুক, গল্প থাকে খুব সুন্দর। বই পড়তে বসলে মনে হয় কেউ সামনে বসে গল্প শোনাচ্ছে আর আমি মন্ত্রমুগ্ধেরমত শুনছি। টু স্টেটস'এর গল্পটা মূলত একটি ইন্টার-কমিউনিটি ম্যারেজকে ঘীরে গড়ে উঠেছে। কৃশ আর অনন্যা। ভারতের দুটি ভিন্নভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা দুটি ছেলে মেয়ে। ভিন্ন তাদের সংষ্কৃতি, ভিন্ন মতবাদ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার দরুণ পরিচয়, বন্ধুত্ব, অতঃপর প্রণয়। বিয়ে করতে চায় তারা। ভালোবাসার গল্পকে ভালবাসার সম্পর্কে পরিণত করতে চায়। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ান বাবা-মা। ভিন্ন গোষ্ঠির কারো সাথে নিজের সন্তানদের বিয়ে দেব না। এরপর? এরপর শুরু হয় সেই চিরাচরিত যুদ্ধ... বাবা-মাকে রাজি করানোর গল্প... কিন্তু শেষ মেশ তারা রাজি হয় তো? নাকি কৃশ আর অনন্যার মধ্যেই দূরত্বের সৃষ্টি হয়? এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে "টু স্টেটস" বইটিতে। মজার ব্যাপার হলো, টু স্টেটস গল্পটি লেখক চেতান ভাগাতের নিজের জীবন থেকে নেয়া। তাদের বিয়ের গল্পই এখানে তিনি তুলে ধরেছেন। গল্পটির সব থেকে সুন্দর দিক হচ্ছে এটির বাস্তবতা। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এখনো প্রেমের বিয়েতে নাক সিটকানো আর অভ্যন্তরিণ আঞ্চলিকতার ব্যাপারটা এখনো যায় নি। শুধু ভারতে না, আমাদের বাংলাদেশেও এই রীতির প্রচলন বিদ্যমান। বিয়ে করতে গেলে আজো মুরব্বিরা জাত, পাত, ধর্ম, ঐতিহ্য দেখে বেড়ান। এই জায়গায় বিয়া করা যাবে না, ওই অঞ্চলের লোক ভালো না, এইসব জায়গার মেয়েরা ডেঞ্জারাস, এসব মানুষের মেয়ে আনা যাবে না... ইত্যাদি কথা প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এতকিছুর পরেও ছেলে মেয়েরা তাদেরকে রাজি করায়। নিজেরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। আলোচ্য বইয়েও সেই রকম ঘটনাই দেখা যায়। নায়ক কৃশ আর নায়িকা অনন্যাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য। মজা, নাটকিয়তা, বাস্তবতা... সবমিলিয়ে বই হিসেবে বেশ চমৎকার এই "টু স্টেটস"। এছাড়া ইংলিশ বই হলেও অসম্ভব সহজ করে লিখেছেন ভাগাত সাহেব। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইংলিশ বই এড়িয়ে চলি বুঝতে পারবো না সেই ভয়ে। তবে তাঁর বই পড়ে আমি সত্যিই বিমোহিত। এত সহজ করে লেখা যে গল্পের কোথাও পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হয় না। বইয়ের প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, কাগজের মানও বেশ সুন্দর। দেখতে বেশ আকর্ষনীয়। তাই যারা এখনো পড়েন নি, দ্রুত পড়ে ফেলুন। নাহলে চমৎকার একটি বই মিস করবেন। বিশেষ করে যারা প্রেম করে বিয়ে করেছেন, তারা অবশ্যই পড়বেন। কথা দিচ্ছি, গল্পের কোথায় যেন এক অদ্ভুত মিল পাবেন নিজের সাথে! :) তবে হ্যাঁ! ২০১৪ সালে এই বই অবলম্বনে বলিউডে একই শিরোনামে একটি চলচিত্র বের হয়। নায়িকা আলিয়া ভাট আর নায়ক অর্জুন কাপুর অভিনয় করেছিলেন তাতে। অনেকেই হয়ত দেখে থাকবেন। কিন্তু দয়া করে বইটির সাথে সিনেমা মিলাবেন না। বইটির ১/৩ অংশও সিনেমায় নেই। কাহিনীর আসল মজা নিতে হলে বইটি পড়ুন। নিশ্চিত ঠকবেন না! :) ধন্যবাদ! :) রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
This book is outstandin.i like this book.i learn lots of about marriage.i thnk that this book is very help full for us.if you be interest this topic,you can buy this book.this book is not bed.so you can buy.if you think it is interst topic for you.you can buy.so i like this book.you can read the book.lastly i will say you can buy this book frmo rokomari.com.
Was this review helpful to you?
or
Good book. And again it was proven movie adaptation of any books cuts away huge plotlines. Great book for vocabulary improvement.
Was this review helpful to you?
or
'টু স্টেটস : দ্য স্টোরি অব মাই ম্যারেজ'-এর কাহিনী ভারতের দুই ভিন্ন প্রদেশের দুই তরুণ- তরুণী রোমান্টিক যুগলকে নিয়ে। তাঁদের একজনের বাড়ি দিলি্লতে, আরেকজন তামিলনাড়ুর। যখন তাঁরা দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখনই শুরু হয় জটিলতা। দুই পরিবারই সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক অমিলের দোহাই দিয়ে তাঁদের মিলনে বাধা সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা দুজন অনেক যুদ্ধ করে উভয়ের পরিবারকে বিয়ের ব্যাপারে রাজি করায়। এমনই কাহিনীর উপন্যাসটি বিপুলভাবে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে।
Was this review helpful to you?
or
ভারতের প্রেক্ষাপটে একটা ছেলে আর মেয়ের প্রেমকাহিনী যে শেষ অব্দি আর শুধু ছেলে আর মেয়েটার ব্যক্তিগত ব্যাপার থাকে না, সেই প্রেমের পরিণতিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারই সবচেয়ে ভূমিকা রাখে তা-ই দেখানো হয়েছে 'টু-স্টেটস' উপন্যাসে। এই উপন্যাসের বিশেষত্ব হল, স্রেফ লাভ ম্যারেজেই যেখানে ভারতীয় অভিভাবকদের এত আপত্তি, সেখানে ছেলে আর মেয়ে দুটো যদি আবার দুটো আলাদা 'জাতি' থেকে উঠে আসে সেক্ষেত্রে ফলাফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ মিলবে এই উপন্যাসে। 'টু স্টেটস' প্রেমের উপন্যাস নয়, সামাজিক উপন্যাস। নায়ক আর নায়িকার প্রেমের কাহিনীটা বোধ হয় সবচেয়ে নগণ্য অংশ এই উপন্যাসের। গোটা কাহিনী মূলত আবর্তিত হয়েছে কিভাবে পাঞ্জাবি ছেলে ক্রিশ আর তামিল মেয়ে অনন্যা তাদের পরিবারকে নানাভাবে বিয়ের জন্য রাজি করাতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এ কাজে আদৌ তারা সফল হয় কিনা অর্থাৎ তাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় কিনা তা নিয়ে। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় কাহিনীতে বড় জায়গা করে নিয়েছে, সেটি হল ক্রিশ আর তার বাবার সম্পর্কের উত্থান-পতন। দুজনের মধ্যকার তিক্ততার সম্পর্ক কিভাবে পরবর্তিতে স্বাভাবিকত্ব লাভ করে এবং এই সম্পর্কের স্বাভাবিকতা একটা জটিল দিকে ধাবমান কাহিনিপ্রবাহকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনে তা উপন্যাসে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন লেখক। এই উপন্যাসের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে চেতন ভগতের টিপিক্যাল রাইটিং স্টাইলের কথা এসেই যায়। যথারীতি তিনি অতি সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় গোটা কাহিনীটিকে উপস্থাপন করেছেন। তার লেখা খুবই সুখপাঠ্য এবং একই সাথে হালকা গোছের। পড়তে গেলে সাথে ইংরেজি ডিকশনারি নিয়ে বসা লাগবে না। এক বসায় সোয়া তিনশ' পৃষ্ঠার ইংরেজি বইও শেষ করে ফেলা যাবে। তবে লেখকের সেন্স অফ হিউমার হয়ত একটু বেশিই প্রবল। প্রতিটা দৃশ্যেই মোটামুটি তিনি একটা না একটা ইন্টেলেকচুয়াল কথা এনেছেনই যা পড়ে পাঠকের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠতে বাধ্য। কিন্তু লেখকের এ-ও মনে রাখা উচিৎ যে তিনি একটা গল্প বলছেন, কোনো জোক না। তাই একটা মাঝারি মানের রসিকতা করে সিরিয়াস সিচুয়েশনগুলোকে স্পয়েল করে দেয়ার কোন মানে হয় না। ভারতীয় ছবি যারা পছন্দ করেন তাদের কাছে এই বই অনেক ভাল লাগবে। (অন্যদেরও ভাল লাগবে) ভালোবাসা, সেক্স, ফ্যামিলি ড্রামা, মিউজিক, বন্ধুত্ব, প্রতারণা, অফিস পলিটিক্স, ব্রেক-আপ, রিউনিয়ন ইত্যাদি সবই আছে উপন্যাসটিতে। তবে খারাপ লেগেছে যে ক্রিশ আর অনন্যার প্রেমকাহিনী লেখক প্রথম ৪০ পেজেই সেরে ফেলেতে চেয়েছেন। পরবর্তিতে খুব একটা রোমান্স তাদের মধ্যে দেখা যায়নি। তাছাড়া প্রথম চল্লিশ পেজের পর কাহিনীতে অনন্যার ভূমিকাও খুব একটা উল্লেখযোগ্য না। তাকে পাওয়াই যায়নি বলতে গেলে। তাই কাহিনীর প্রায় শেষের দিকে এক পাঞ্জাবি বিয়ের আসরে তাকে যখন বিদ্রোহিণীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাবে, সেটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্যই ঠেকবে। আমার পয়েন্টটা হল, এটা কোন সাউথ ইন্ডিয়ান ফিলম না। এটা একটা সামাজিক উপন্যাস। সেখানে পুরো হাইলাইটই থাকবে নায়কের ওপর, নায়িকা তেমন একটা পাত্তাই পাবে না - এই জিনিসটা দৃষ্টিকটু। আরেকটা ব্যাপার, ক্রিশ আর তার বাবার সম্পর্কটাকে লেখক যেভাবে ইমোশনালি হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছেন, অনেকে হয়ত তা পড়ে কেঁদেই ফেলবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, বাবা-ছেলের সম্পর্কের দিকটিকে আরেকটু বড় পরিসরে উপস্থাপন করা যেত। যাইহোক, অনেকে 'মাসালা মুভি'র নাম শুনেছেন। 'টু স্টেটস' অনেকাংশে সেই ঘরানার 'মাসালা নভেল'। তারপরও উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক যে বার্তা পোঁছে দিতে চেয়েছেন যে 'রিজিওনালিটির চেয়ে ন্যাশনালিটি বড়' - এই ব্যাপারটা সবারই ভাল লাগবে। কাহিনীর এন্ডিং প্রেডিক্টেবল তবু চেতন ভগত যেভাবে সেটাকে তুলে ধরেছেন, তা অপছন্দ করা অসম্ভব। 'টু স্টেটস' পাঠের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কঠিন কঠিন বই পড়ার ফাঁকে অবসরে যারা একটু হালকা গোছের জীবন ঘনিষ্ট উপন্যাস পড়তে চান তাদের জন্য 'টু স্টেটস' বইটা একটা ভাল অপশন। ইংরেজি উপন্যাস যারা কোনোদিন পড়েন নাই কিন্তু পড়তে চান, তাদের জন্য 'টু স্টেটস' একটা নাইস ওপেনিং হবে।