User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good service
Was this review helpful to you?
or
Awesome!
Was this review helpful to you?
or
Feluda in cartoon. very epic for Feluda lovers. Love it.
Was this review helpful to you?
or
ফেলুদা সিরিজের আরও একটি উপন্যাসিকা হল 'নেপোলিয়নের চিঠি'। এই উপন্যাসিকায়ও ফেলুদার সাথে ঘটনার বর্ণনাকারী হিসেবে আছে তোপসে আর কাহিনীর ফাঁকে ফাঁকে নির্মল বিনোদন দিতে অনিবার্যভাবেই আছেন লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ুও। এই উপন্যাসিকায় দেখা যাবে ফেলুদা আর তোপসে গেছে পার্ক স্ট্রিট আর রাসেল স্ট্রিটের মোড়ে একটা খেলনার দোকানে। সেখানে দেখা হয়ে গেল ফেলুদার এক খুদে ভক্তের সাথে। দেখা হতেই সে ফেলুদাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল, ফেলুদা তার হারিয়ে যাওয়া চন্দনা পাখিটা খুঁজে দিতে পারবে কিনা! এরপর সেই খুদে ভক্তের বাবার সাথে কথা বলে জানা গেল তারা থাকেন বারাসতে, তার বাবা পার্বতীচরণ হালদার মোটামুটি নামকরা লোক এবং পুরনো অ্যান্টিক জাতীয় জিনিসের কালেকশন আছে। আর যে হারিয়ে যাওয়া চন্দনার কথা বলা হয়েছে, সেটা যেদিন কেনা হয়েছিল সেদিন রাতেই খাঁচা থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। যাইহোক, ফেলুদা আমন্ত্রন পেল ঐ ভদ্রলোকদের বাড়িতে যাওয়ার। এদিকে বাড়ি ফিরে ফেলুদা ভাবতে লাগল হারিয়ে যাওয়া চন্দনার ব্যাপারে। পাখি চুরির ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক, আর তাই জন্যেই ফেলুদার মনে এত খটকা। কিছুদিনের মধ্যেই ঐ ভদ্রলোক আবারো ফোন দিয়ে ফেলুদাকে যেতে বললেন। ফেলুদা তোপসে আর লালমোহনবাবুকে নিয়ে চললেন বারাসতে, পার্বতীচরণ হালদারের বাড়ি। সেই বাড়িতে পৌঁছানোর ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আবিষ্কৃত হল যে পার্বতীচরণ হালদার খুন হয়েছেন। আর চুরি হয়েছে তার সংগ্রহের অমূল্য একটা জিনিস, নেপোলিয়নের চিঠি। কিন্তু খুন আর চুরির কেসের থেকেও এখনো ফেলুদাকে বেশি ভাবাচ্ছে পাখি চুরির ব্যাপারটা। সেই পাখি ছিল কথা বলা পাখি যা রহস্যে নতুন টুইস্ট যোগ করল। দুদিনের মাথায় দেখা গেল, ফেলুদার সেই খুদে ভক্তের ঘরে আবারো হানা দিয়েছে চোর। আর এদিকে তদন্ত করে ফেলুদা জানতে পারল চুরির সাথে একজন নয়, জড়িত দুইজন। এরপর পার্বতীচরণের অতীত ইতিহাস, তার পরিবারের সদস্যদের বর্তমান অবস্থান আর সেই পাখি চুরির ব্যাপারটাকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলুদা করে ফেলল এই রহস্যের সমাধানও যার বিনিময়ে ফেলুদা কোন পারিশ্রমিক নিক বা না নিক, লালমোহনবাবু কিন্তু ঠিকই তাকে দিয়ে দিল 'এবিসিডি' তথা 'এশিয়া'স বেস্ট ক্রাইম ডিটেক্টর' এর খেতাব! ফেলুদাকে নিয়ে লেখা শেষ দিনের উপন্যাস বা উপন্যাসিকায়গুলোয় দেখা গেছে যে, থ্রিল বা রোমাঞ্চ অপেক্ষা লেখক কাহিনীর ছোটখাট খুঁটিনাটিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন যেগুলোর বিশ্লেষণ করে পরবর্তিতে বৈঠকি কায়দায় সকলের সামনে রহস্যের জট ছাড়িয়েছেন। এই উপন্যাসিকায়ও একই বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। ফলে থ্রিলার ভক্তরা কিছুটা হতাশ হলেও হতে পারেন তবে রহস্যপ্রেমীরা যে অবশ্যই সন্তুষ্ট হবেন এই উপন্যাসিকা পড়ে তা আগে থেকেই বলে দেয়া যায়!