User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
দারুন
Was this review helpful to you?
or
দোতলার ল্যান্ডিং পেরিয়ে আমরা ঢুকলাম খুড়িমার ঘরে। বেশ বড় ঘর, কিন্তু এতে কোনও জাঁকজমক নেই। পশ্চিমে দরজার বাইরে আলো আর বাতাসের বহর দেখে বোঝা যায়। ওদিকেই গঙ্গা। দরজার পাশেই বুড়ি মাদুরে বসে মালা জাপছেন। তাঁর পাশে একটা হামানদিস্তা, একটা পানের বাটা আর একটা মোটা বই। নিঘাঁত রামায়ণ কি মহাভারত হবে। আসবাব বলতে একটা খাট আর একটা ছোট আলমারি। আমরা ঘরে ঢুকতেই খুড়িমা মাথা তুলে পুরু চশমার ভিতর দিয়ে আমাদের দিকে চাইলেন।কজন অতিথি এসেছেন কলকাতা থেকে, বললেন শঙ্করবাবু। তাই এই ঘাটের মড়াকে দেখাতে আনলি? আমরা তিনজনে এগিয়ে গিয়ে প্রণাম করতে বৃদ্ধ বললেন, তা বাপু তোমাদের পরিচয় জেনে আর কী হবে, নাম তো মনে থাকবে না। নিজের নামটাই ভুলে যাই মাঝে মাঝে। এখন তো বসে বসে দিন গোনা। --- পানিহাটি থেকে ফেলিমিত্তিরের কাছে আসা ফোন দিয়ে গল্প শুরু, তারপর স্বর্ণমুদ্রার খোঁজে আরেক অ্যাডভেঞ্চার।
Was this review helpful to you?
or
একটি ট্রিভিয়া দিয়ে এই রিভিউ শুরু করা যাক। বলুন তো ফেলুদাকে নিয়ে লেখা একমাত্র কোন গল্প বা উপন্যাসে ফেলুদাকে গাড়ি চালাতে দেখা যায়? উত্তরটি হল - জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা। আকারের দিক থেকে জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা বোধ হয় ফেলুদা সিরিজের সবচেয়ে ছোট গল্প। তবে গল্পটি ছোট হলেও, এটিকে সম্ভবত 'বড় গল্প' বলাই শ্রেয়। এই গল্পে ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে কিছুটা নতুন ধরণের ভূমিকা নিতে দেখা যাবে। গল্পের শুরুতেই দেখা যাবে যে শংকরবাবু নামের এক লোক পাণিহাটি থেকে ফেলুদাকে ফোন করেছে। সেই ভদ্রলোক ফেলুদাকে আমন্ত্রন জানাল তার বাড়িতে গিয়ে দুইদিন কাটাতে। আতিথেয়তায় কোন ত্রুটি তো তিনি করবেনই না বরং একই সাথে দারুণ একটা রহস্যেরও সন্ধান দেবে। কিন্তু একটি শর্ত আছে, ফেলুদা, তোপসে আর জটায়ুকে পরিচয় গোপন করে যেতে হবে যাতে কেউ তাদেরকে চিনতে না পারে। সেই কারণেই, ফেলুদা একজন ইতিহাসবেত্তা, জটায়ু পক্ষীবিদ আর তোপসে পক্ষীবিদের ভাইপো হিসেবে পৌঁছুল পাণিহাটিতে শংকরবাবুর প্রাসাদোপম বাড়িতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারল, সেদিন হল শংকরবাবুর জন্মতিথি। আগের বছর একই দিনে জন্মতিথিতে তিনজনকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল সে এবং সেদিন তাদের পারিবারিক কিছু অমূল্য অ্যান্টিক অতিথিদের দেখিয়েছিল যার মধ্যে ছিল রাশিচক্র অনুসারে জাহাঙ্গীরের বারোটি স্বর্ণমুদ্রা। সেদিন চুরি গিয়েছিল সেই বারোটা স্বর্ণমুদ্রার একটি। চোর অবশ্যই সেই তিন অতিথির একজন। আজ আবারো তাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। ফেলুদাকে আজ খুঁজে বের করতে হবে এই তিনজনের মধ্যে চোর কে। কথা অনুযায়ী চলে এল সেই তিন অতিথি। এছাড়াও এল শংকরবাবুর খুড়তুতো ভাই। সবাইকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে থাকল ফেলুদা। কিন্তু সব প্ল্যান শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল। শংকরবাবুর খুড়তুতো ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে অতিথিদের মধ্যে যে ডাক্তার, সে হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে। পরদিন সকালে আবার তারা ফিরে এল। তখন শংকরবাবু তার সিন্দুক খুলে দেখল, জাহাঙ্গীরের অবশিষ্ট স্বর্ণমুদ্রাগুলো সহ আর সব দামই জিনিসই হাওয়া। তখনই চিত্রে ফেলুদার প্রবেশ। সে যুক্তি-তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিল কে সেই চোর যে এক বছর আগে একটা চুরি করেছিল এবং গতরাতে আবারো চুরি করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। এই কাহিনীকে একটা পূর্নাংগ রহস্য কাহিনী হয়ত বলা যায় না। বলতে হয় মিনি রহস্য কাহিনী। কিন্তু এই স্বল্প পরিসরেই ফেলুদা যেভাবে তার ক্যারিশমা দেখিয়েছে, তা এক কথা অসাধারণ। তবে ফেলুদাকে যতটা না কৃতিত্ব দিতে হয়, সমপরিমাণ ক্রেডিট দিতে হয় ফেলুদা চরিত্রের স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়কেও যিনি এত সহজ কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে জটিল একটি প্লট তৈরি করে সফলভাবে সেটিকে একটি রহস্যগল্পে কনভার্ট করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পে ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে কিছুটা নতুন ধরণের ভূমিকা নিতে দেখা যাবে। গল্পের শুরুতেই দেখা যাবে যে শংকরবাবু নামের এক লোক পাণিহাটি থেকে ফেলুদাকে ফোন করেছে। সেই ভদ্রলোক ফেলুদাকে আমন্ত্রন জানাল তার বাড়িতে গিয়ে দুইদিন কাটাতে। আতিথেয়তায় কোন ত্রুটি তো তিনি করবেনই না বরং একই সাথে দারুণ একটা রহস্যেরও সন্ধান দেবে। কিন্তু একটি শর্ত আছে, ফেলুদা, তোপসে আর জটায়ুকে পরিচয় গোপন করে যেতে হবে যাতে কেউ তাদেরকে চিনতে না পারে। সেই কারণেই, ফেলুদা একজন ইতিহাসবেত্তা, জটায়ু পক্ষীবিদ আর তোপসে পক্ষীবিদের ভাইপো হিসেবে পৌঁছুল পাণিহাটিতে শংকরবাবুর প্রাসাদোপম বাড়িতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারল, সেদিন হল শংকরবাবুর জন্মতিথি। আগের বছর একই দিনে জন্মতিথিতে তিনজনকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল সে এবং সেদিন তাদের পারিবারিক কিছু অমূল্য অ্যান্টিক অতিথিদের দেখিয়েছিল যার মধ্যে ছিল রাশিচক্র অনুসারে জাহাঙ্গীরের বারোটি স্বর্ণমুদ্রা। সেদিন চুরি গিয়েছিল সেই বারোটা স্বর্ণমুদ্রার একটি। চোর অবশ্যই সেই তিন অতিথির একজন। আজ আবারো তাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। ফেলুদাকে আজ খুঁজে বের করতে হবে এই তিনজনের মধ্যে চোর কে। কথা অনুযায়ী চলে এল সেই তিন অতিথি। এছাড়াও এল শংকরবাবুর খুড়তুতো ভাই। সবাইকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতে থাকল ফেলুদা। কিন্তু সব প্ল্যান শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল। শংকরবাবুর খুড়তুতো ভাই অসুস্থ হয়ে পড়লে অতিথিদের মধ্যে যে ডাক্তার, সে হাসপাতালে নিয়ে গেল তাকে। পরদিন সকালে আবার তারা ফিরে এল। তখন শংকরবাবু তার সিন্দুক খুলে দেখল, জাহাঙ্গীরের অবশিষ্ট স্বর্ণমুদ্রাগুলো সহ আর সব দামই জিনিসই হাওয়া। তখনই চিত্রে ফেলুদার প্রবেশ। সে যুক্তি-তথ্য-প্রমাণ দিয়ে দেখিয়ে দিল কে সেই চোর যে এক বছর আগে একটা চুরি করেছিল এবং গতরাতে আবারো চুরি করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। এই কাহিনীকে একটা পূর্নাংগ রহস্য কাহিনী হয়ত বলা যায় না। বলতে হয় মিনি রহস্য কাহিনী। কিন্তু এই স্বল্প পরিসরেই ফেলুদা যেভাবে তার ক্যারিশমা দেখিয়েছে, তা এক কথা অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
ফেলুদার কাছে হটাত একদিন একটি ফোন আসে।পানিহাটি থেকে ।শংকরবাবু নামের এক লোক পাণিহাটি তে একটি রহস্য সমাধানের জন্যে ফেলুদাকে ডাকে।তার বাড়িতে গিয়ে দুইদিন কাটাতে। ও রহস্য সমাধান করতে। কিন্তু রহস্য টি কি তা তখনি তিনি বলেন না। শুধু এতুকুই বলেন যে তারা যে গোয়েন্দা তা তিনি কাউকে জানাতে দিতে চান না। তাই ফেলুদা দের ছদ্দবেশে আসতে হবে।সেই কারণেই ফেলুদারা ছদ্দবেশ গ্রহণ করে।ফেলুদা একজন ইতিহাসবেত্তা, জটায়ু পক্ষীবিদ আর তোপসে পক্ষীবিদের ভাইপো হিসেবে পৌঁছুল পাণিহাটিতে।সেখানে যেয়ে জানতে পারলো সেদিন শংকরবাবুর জন্মতিথি। আগের বছর একই দিনে জন্মতিথিতে তিনজনকে আমন্ত্রন জানিয়েছিল সে। এবং কিছু স্বর্ণ মুদ্রা অথিতিদের দেখাতে গিয়ে বহু মুল্যবান জাহাঙ্গীরের বারোটি স্বর্ণমুদ্রা এর একটি চুরি যায়। তিনি বুঝতে পারেন চোর অবশ্যি তিন অতিথির একজন। কিন্তু সবাই এই তার অনেক পুরনো ও কাছের মানুষ হয়ায় তিনি বুঝতে পারেন না কাকে তিনি সরাসরি ইঙ্গিত করবেন। তাই তিনি ফেলুদার সাহায্য চান। এবছর ও তিনি সেই পুরাতন তিন জনকেই নিমন্ত্রন করেন। সেই সাথে আরো থাকে তার ভাই।এই তিন অথিতির মধ্যে একজন ভালো ম্যাজিক দেখান। তার হাত সাফাই খুব ভালো। একজন ডাক্তার। একজন ব্যবসায়ী। ফেলুদাকে আজ খুঁজে বের করতে হবে এই তিনজনের মধ্যে চোর কে। তাঁদের প্ল্যান টিকিই থাকে কিন্তু শংকরবাবু এর খুরতত ভাই অসুস্থ হয়ে গেলে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরের দিন সিন্দুক খুলে দেখা গেল বাকি সব স্বর্ণ মুদ্রা শ সব জিনিস হাওয়া। এবার ফেলুদার আসল গোয়েন্দা গিরি শুরু। এবং রহস্যের নাটকীয় সমাপ্তি...