Our User Product Reviews

?

এবার গল্প পটলডাঙ্গার দুই মূর্তিকে নিয়ে। টেনি শর্মা এবং প্যালারাম বাড়ুজ্যে। এক পড়ন্ত সন্ধ্যায় ভ্যা-ভ্যা গরমে গঙ্গার পাড়ে টেনিদা এবং প্যালারাম আকাশ দেখছিল। এমন সময় অচেনা দুজন লোকের আগমন হয়। লোক দুজন পটলডাঙ্গার টেনি শর্মাকে, কি না কি কম্বলরাম-টম্বলরাম ভেবে তুলে নিয়ে যায় নিজেদের আস্তানায়। দেখা হয় দলের লিডার সিন্ধুঘোটকের সাথে। গোপন সূত্রে তাদের একটি কাজ দেয় সিন্ধুঘোটক। কাজটা হলো গিয়ে- ফিল্মস্টার বিজয়কুমারের পকেট থেকে নস্যির কৌট চুরি করা। কাজ শুদ্ধভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। অবশেষে প্রাণ রক্ষায় প্রিয় ফিল্মস্টারের পকেট থেকে নস্যির কৌট চুরি করবে এই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য হয়। এভাবেই ঘটনা এগোতে থাকে।.......কিন্তু শেষে অবশ্যই মোড় ঘোরে অন্যদিকে।

নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় এর অসাধারণ সৃষ্টি টেনিদা। সাধারন বইয়ে পড়তে যতটা না ভালো লাগে তার থেকে আরো বেশী ভালো লাগে কমিকস আকারে পড়তে। "টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক ও টেনিদা আর ইয়েতি" এই নিয়ে কমিকস করা হয়েছে এই বইটিতে। পটল ডঙ্গার সেই চারমূর্তি টেনিদা, ক্যাবলা,হাবুল সেন, প্যালারাম এবার কমিক্স এর মধ্যে। সুন্দর ইলাস্ট্রেশন সমৃদ্ধ এই কমিক্স বইটি অবশ্য প্রিয় হবে কমিক্সপ্রেমী এবং টেনিদাপ্রেমী দের কাছে

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা সিরিজের একটি উপন্যাস ‘টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক’ এবং একটি ছোটগল্প ‘টেনিদা আর ইয়েতি’ নিয়ে কমিক্স করা হয়েছে এই বইয়ে। এই বইটি বাংলা কমিক্সের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি অনন্য সংযোজন এবং টেনিদার গল্পগুলো নিয়ে তৈরি কমিক্সগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। ‘টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক’ বইয়ে টেনিদার সাথে আমরা প্যালারামকে পাব। এক গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় টেনিদা আর প্যালারাম গঙ্গার ধারে বসে হাওয়া খাচ্ছিল। এমন সময় কোথা থেকে দুই জন লোক এসে তাদের পিস্তলের ভয় দেখিতে একটা ঘোড়ার গাড়িতে তোলে। তারপর এক অজানা জায়গায় নিয়ে যেতে থাকে। তারা টেনিদাকে কম্বলরাম নামে ডাকতে থাকে। টেনিদা তাদের কিছুতেই বোঝাতে পারে না সে কম্বলরাম নয়। শেষ মুহূর্তে এসে এক জায়গায় ঘোড়ার গাড়ি উল্টে যায়। তখন টেনিদা সুযোগ বুঝে একজনের পিস্তল নিয়ে নেয়। কিন্তু পরে জানা যায় ওগুলো ছিল খেলনা পিস্তল আর তারা ততক্ষণে সিন্ধুঘোটকের আস্তানা, একটা পোড়োবাড়িতে এসে পড়েছে। তারপর তাদের সিন্ধুঘোটকের সাথে দেখা হয়। এবং সে তাদের এক আজব কাজ দেয়। তা হল, ফিল্মস্টার বিজয়কুমারের পকেট থেকে একটা নস্যির কৌটো ছিনতাই করে আনতে হবে। কিন্তু টেনিদা কিছুতেই বুঝতে পারে না, তাদের এ কাজ দেয়ার মানে কী? তখন জানা যায়, টেনিদার চেহারা হুবহু বিজয়কুমারের চাকর কম্বলরামের মত তাই তাকে স্টুডিয়োর গেটে দারোয়ান আটকাবে না। এসব ভেবেই তাকে বেছে নেয়া হয়েছে। তা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু নস্যির কৌটো দিয়েই বা কী হবে? কিন্তু টেনিদাদের আর এত কিছু বলা হল না। সোজা জানিয়ে দেয়া হল, এই কাজ ঠিক মত না করলে তাদের আর সিন্ধুঘোটকের হাত থেকে রেহাই নেই। শেষে কী হল? সেটা এখন আর বলছি না। তা জানার জন্যে এই অসাধারণ কমিক্সটি পড়তে হবে। তবে এতটুকু জানিয়ে রাখি, শেষে সিন্ধুঘোটক টেনিদাকে একটা ট্রানজিস্টর এবং প্যালারামকে একটা ক্যামেরা উপহার দেয়! চকচকে ইলাস্ট্রেশন সমৃদ্ধ এই কমিক্সের বইটি সব কমিক্স ভক্তদের জন্যে অবশ্যপাঠ্য।