User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Rohan kabir

      13 Jun 2023 07:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব সুন্দর একটি বই!

      By ALVI AL FARIS

      14 Jun 2022 08:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া সেরা উপন্যাস

      By Sania Afrin

      06 Dec 2021 07:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি আসলেই অনেক সুন্দর।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।আসাধারণ বই।

      By Md saidul islam

      21 Nov 2021 12:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Raihan

      18 Jun 2021 09:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খারাপ না । আমার কাছে ভালই লেগেছে

      By S.M. Rafiue Hossain

      09 Apr 2021 11:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ বই

      By Afrida Zara

      01 Apr 2021 01:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর লেখা সুন্দর একটি উপন্যাস। বইটার আকর্ষণীয় এক ক্ষমতা পাঠককে গল্পের চরিত্রের মধ্যে নিয়ে যায়। বইটা পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠা সম্ভব নয়। উপন্যাসটা প্রমান করে যে স্যার হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা সত্যি অসাধারণ। বইয়ের মান খুবই ভাল। ধন্যবাদ রকমারিকে।

      By Asir Newaz

      17 Nov 2020 06:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্যারের লিখা একটি দারুণ বই

      By Hriday

      22 Sep 2020 05:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good service. But one of these books cover was a little damaged.

      By Majedul Islam

      05 Feb 2020 06:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই টি অনেক ভাল লাগল। কিন্তু ডেলিভারিতে অনেক সময় নিয়েছে। প্রায় ১০ দিন পর বই হাতে পেলাম।

      By Wafid

      29 Jan 2020 07:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা উপন্যাস

      By Ahsan ANik

      19 Jan 2020 12:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্যার হুমায়ুন আহমেদের সেরা উন্যাস মনে করা হয় এটিকে, পড়ে দেখুন আপনিও তাই মনে করবেন! উপন্যাসটি উত্তম পুরুষে লেখা, এর কথক খোকা- তার বাড়ির নাম ‘কারা কানুন’ তার বাবা মা, বড় বোন রাবেয়া ছোট ভাই মন্টু দুই বোন রুনু ও ঝুনু! রাবেয়া চরিত্রটি বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত প্রা য় চরিত্রের সাথে মিলে যায়! দিতে পারো একশ ফানুশ এনে আজন্ম সজ্জল সাধ, একদিন কিছু ফানুশ আকাশে উড়াই!! একজন লেখক কী করে এতো সুন্দর করে মধ্যবিত্ত পরিবারে জীবন তুলে ধরে আমাদের কল্পনার বাহিরে! মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো কতটা অভীনয় করে জীবন যাপন করে বইটি না পড়লে মনেও আসত না হয়তো কখনো...!! আমাদের যাপন করা জীবন যে এতো কঠিন, বইটি পড়ার পর আসলেও ভাবায়! ‘শঙ্খলীল কারাগার’ নামেই কী যেনো আছে! কী যেনো আছে!!♥️

      By Hridita Tabassum

      17 Jan 2020 02:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া সবচেয়ে প্রিয় বই এটি। মানুষের জীবনে যে এত টানাপোড়েন থাকে, এত অদ্ভুত হতে পারে তা এই উপন্যাস পড়ে বোঝা যাবে আমার প্রিয় শেষ কথাটা, মাঝরাতে জানালা দিয়ে সঙ্গীরা আমাকে ডাকে, যাদেরকে পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুব।

      By Rahat Ibrahim

      16 Jan 2020 07:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ~ বইঃ-শংখনীল কারাগার ~লেখকঃ-হুমায়ূন আহমেদ। আমার মতে হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোনো বই নিয়ে কিছু লেখার দরকার নেই..কারন বইয়ের লেখক হুমায়ূন আহমেদ মানেই অসাধারণ এক কথায় অসাধারণ.... তবুও কিছু বলি গল্পটা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের। মধ্যবিত্ত পরিবার মানেই অভাব,অনটন সংকট ইত্যাদি নানান সমস্যা.. কন্তু এতো অভাব অনটন এতো সমস্যার মাঝেও একটি জিনিসের এদের কোনো অভাব হয়না তা হলো ভালোবাসা,,ভালোবাসার অভাব এদের থাকেনা কারন এদের অপূর্ণ চাহিদা গুলো ভালোবাসা দিয়ে পুড়ন করে দেয়.... গল্পে আজহার হোসেন এবং শিরিন সুলতানার পরিবারেও তেমন অভাব ছিলো কিন্তু ছিলোনা কোনো ভালোবাসার অভাব.. পরিবারে রাবিয়া,খোকা,রুনু,ঝুনু,মন্টু,নিনুদের নিয়ে তার এই সুখের সংসার,,তবুও এই সুখের সংসারে একসময় ঝড় বয়ে আসে!~ কেন এই ঝড়? কিন্তু মাঝে মাঝেনা শিরিন সুলতানা কেমন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন কেমন যেনো থেকেও তিনি নেই কেমন উদাসীন হয়ে থাকতেন!~ কেন তার এই উদাসীনতা? রুনু,ঝুনু সমবয়সী একসাথে বেড়ে উঠা তারপরও একটা সময় এসে তাদের মাঝে দন্দ!~ কেন তাদের মাঝে দন্দ? আহ! বইটি পড়তে পড়তে একসময় আপনিও উদাস হয়ে পরবেন,, কিন্তু আপনি কেন উদাস হবেন?কার জন্য হবেন?~~ এই সব কিছু জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে অসম্ভব সুন্দর একটি উপন্যাস..... তাহলে দেরি না করে এখনই Add To Cart করুন আর অর্ডার করুন...

      By Maruf Ahmed

      05 Jan 2020 09:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উত্তম পুরুষে বলা একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। পুরো গল্পটাই খোকার বলা, খোকা এলাকার একটা কলেজেই শিক্ষকতা করায়। বাবা ছোট খাটো এক্টা চাকরী করেন। মন্টু, রাবেয়া,রুনু,ঝুনু,নিনু, বাবা, মা আর খোকা পরিবারের সদস্য। নিনুকে জন্ম দেবার সময়ই মা মারা যায়। তারপর রাবেয়াই পরিবারটা গুছিয়ে রাখে। রাবেয়া শেষ পর্যন্ত আর বিয়েই করে না। রুনুর বিয়ে ভেংগে সেই ছেলের সাথেই ঝুনুর বিয়ে হয়। রুনুটাও মারা যায়। ঝুনু শ্বশুর বাড়িতে শান্তিতে নেই। খোকার সাথে তারই আপন খালাতো বোন কিটকির সখ্যতা সেই ছোট বেলা থেকেই কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিটকির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। মন্টুটা পত্রিকার চাকুরী করছে,বাবা রিটায়ার্ড নিয়েছে। রাবেয়া ফ্যামিলির মায়া ত্যাগ করে একটি গার্লস হোস্টেলে চাকরি নিয়েছে,সেখানেই থাকে এখন। খোকা ফেলে আসা ছোট বেলার কথা কল্পনা করতে থাকে। গভীর রাতে হঠাৎ তার ঘুম ভাঙে, অর্থহীন স্বপ্ন দেখে জেগে উঠে। "জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীয়ারা আমায় ডাকে,একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।" "দিতে পার একশ ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ,একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।" বি.দ্র.:গল্পটি পড়তে পড়তে কেনো জানি মনটা হাহা করছিলো।

      By Shofiullah

      29 Dec 2019 12:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি হুমায়ুন আহমেদের লেখা খুব একটা পড়িনি তবে যখন কয়েকটা বই পড়লাম সেগুলোর মাঝে ভালো লাগার মতো একটা বই এটা। শঙখনীল কারাগার বইটি এক বন্ধুর থেকে ধার নিয়ে পড়েছিলাম। বইটি অনেক সহজ সাবলীল শব্দ ব্যবহার করে লেখা হয়েছে। বইটিতে কিছু কিছু বাক্য পাবেন যেগুলো আপনার বাস্তব জীবনের সাথে মিলে যাবে। আ্শা করি পড়লে ভালো লাগবে আপনার।

      By Arman Hossian

      19 Dec 2019 12:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের সমাজের সবচেয়ে অভিশপ্ত এবং সবচেয়ে কষ্টের ভেতর বসবাস করা একটি অংশের নাম মধ্যবিত্ত। হুমায়ন স্যারের লেখালেখি জীবনের প্রথম দিকের সৃষ্টি বইটা পড়ে বারবার মনে আঘাত করে একটাই কথা ‘ আহা মধবিত্ত জীবন’ তবে গল্পের এগিয়ে চলার গতি একটু বেশিই দ্রুত ছিল। হয়তো প্রথম দিকের লেখা হওয়ায় এমনটা হয়েছে। তবে মধ্যবিত্ত জীবনের অসহায়ত্ব, একাকিত্বের কথা বারবার মনে পড়তে থাকে এই উপন্যাসের প্রতিটি পাতা পড়ার সাথে সাথে।

      By Trisha Mondol

      16 Dec 2019 10:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভালো একটা বই.... পারিবারিক কাহিনী... একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ মানুষের গল্প... তাদের স্বপ্ন, আশা, আকাঙ্ক্ষা সব কিছু সুন্দর ভাবে বর্ননা করা হয়েছে... হুমায়ুন আহমেদ এর বইয়ের বিশেষত্ব হলো চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া এই বইটি ও তেমন ই একটি বই... এক দোমে শেষ করার মত... এক কথায় অসাধারণ..

      By Mizanur Rahman

      27 Nov 2019 01:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালোই

      By afra

      09 Nov 2019 12:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শঙ্খনীল কারাগার' বইটি যেন এক জীবন্ত বই। বাস্তব জীবনের সাথে অনেকটাই মিল পাওয়া যায়। বইটির লেখক হুমায়ুনআহমেদ। বাস্তবতায় ভরা বইটি যেন যে কারও হৃদয় কে ক্ষত বিক্ষত করে দিতে পারে। বইটি এক নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে সুখ, দূঃখ, হাসি কান্না নিয়ে লেখা। শিরিন সুলতানা আর আজহার হোসেনের সংসার। তাদের সংসারেে অনেক অভাব কিন্তু সুখেরও কমতি নেই। শিরিন সুলতানার সংসারের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই কিন্তু কেন তার অনাগ্রহ? রাবেয়া,মন্টু, খোকা,রুনু,ঝুনু আর নিনু এরা হলেন শিরিন সুলতানা আর আজহারহোসেনের ছেলে মেয়ে। রাবেয়া সবার বড়। কিন্তু গায়ের রং কালো হওয়ায় বিয়ে হচ্ছে না রাবেয়ার। ঐ দিকে রুনু ঝুনু বিয়ের জন্য উপযুক্ত। রাবেয়া তার বাবা আজহার হোসেনকে বলেন তার জন্য ছেলে না খুজে রুনু ঝুনুকে বিয়ে দিতে আজহার হোসেন কি পারবেন বড় মেয়ে কে রেখে ছোট দুজনের বিয়ে দিতে? রুনু ঝুনু সমবয়সি। দুজনই খুব সুন্দরি। কিন্তু একটা ঘটনা রুনুর জীবনে ঝড় নিয়ে আসে। রুনুর জীবন বদলে যায় কি সেই ঘটনা? 'শঙ্খনীল কারাগার সিনেমা টা যারা দেখে ছেন আর ভাবছেন বইয়েও একই গল্প। তাদের বলছি বইটি পড়ে আপনি আরও বেশি অনুভব করতে পারবেন। বইটি সত্যই অসাধারণ। কোন প্রকার আড়ম্বরতা ছাড়াই লেখক ফুটিয়ে তুলেছে এক পরিবারের গল্প। বইটি আমার পারসোনাল ফেবারিট। বইটি পড়ে আমার সব থেকে বেশি কস্ট হয় রাবেয়ার জন্য। রাবেয়া সাধারণ এর মধ্যে অসাধারণ একটি চরিত্র। ১১০ টাকা মূল্যের বইটি পড়ে হারিয়ে যান সুখ দূঃখের ভেলাতে

      By Khaled Ahmed Tamim

      31 Oct 2019 12:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      রাবেয়া, খোকা, মন্টু, রুনু, ঝনু, মা-বাবাকে নিয়ে তাদের পরিবার। রাবেয়া তাদের সবার বড়, কোনো এক কারনে সে লেখা -পড়া ছেড়ে দিয়েছে। এখন সে বাসায় তার ছোট ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করে। খোকা এক কলেজের প্রফেসর। মন্টু, রুনু, ঝুনু স্কুলে যায়। একরাতে খোকা বাসায় ফিরে জানতে পারে তাদের মায়ের বাচ্চা হবে। পুরো রাতভর তারা তাদের মায়ের কষ্ট দেখতে তাকে। সকালের দিকে এম্বুলেন্স এনে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাদের মা বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান। এবং তাদেরকে আরেকটি বোন উপহার দিয়ে যান। মা মারা যাবার পর তাদের পরিবারে চলে আসে কেমন অন্যরকম একটা ভাব। ছোট ভাই বোনদের শাসন করার মত আর কেউ তাকে না। রুনু-ঝুনু বড় হতে থাকে। রুনুর বিবাহ ঠিক হয় মনসুরের সাথে। আবার বিবাহের আগে মনসুর এসে সে জানায়, সে নাকি এ বিবাহ করবে না। তবে ঝনুকে বিবাহ দিলে করতে রাজি আছে। খোকা যদিও রাজি ছিল না, কিন্ত সবার কথায় ঝনুর বিবাহ হয়ে যায় মনসুরের সাথে। এদিকে ঝনুর বিবাহের পর আস্তে আস্তে রুনু অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে এবং একসময় এর মধ্যে দিয়েই মারা যায়। আস্তে আস্তে সবই স্বাভাবিক হয়ে উঠে এবং তাদের পরিবারের সবার মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে। হঠাৎ একদিন রাবেয়া বলল, তাকে কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য। অথচ তার বয়স তিরিশ পেরিয়ে। বিবাহের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে না করে। তাদের সবার ছোট বোনটা নিনিও আস্তে আস্তে বড় হতে তাকে। মন্টুর মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে। কবি কবি ভাব। পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হয়। তার নাকি একটি বইও বেরিয়েছে। যেটি সে তার বড় বোন রাবেয়াকে উৎসর্গ করেছে, " দিতে পারো একশো ফানুস এনে? আজন্ম সজ্জল সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।" রাবেয়ার একসময় চাকরি হয়ে যায় একটি গার্লস হোষ্টেলে। সে সেখানে চলে যায়। এবং যাওয়ার দিন নিনুটাও তার সাথে চলে যায়। মন্টুও আজকাল রাত করে বাড়ি ফিরে খোকা খুব নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। রাবেয়া সেখানে পৌঁছে খোকার নিকট একটা চিঠি লিখলো। এবং এ চিঠিতে সে সবকিছু উল্লেখ করে বলল যে, আবিদ হোসেন নামের যে লোকটি তোর কাছে আমার জন্য চকলেটের পেকেট ও টাকা দিয়েছিল এই লোকটি আমার বাবা। তোদের যে বাবা তিনি আমার বাবা না। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর বাবা মা-কে বিবাহ করে নিয়ে আসেন পরপরই। গল্পটি পড়ে কেমন জানি হৃদয়ের গহীন ছুঁয়ে যায়। হৃদয়ের ভেতর হাহাকার করে উঠে।

      By Hasan

      31 Oct 2019 12:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুরাটা সময় একটা মোহে আটকা ছিলাম। এখনো আছি যদিও। পড়তে পড়তে বারবার ''পথের পাচাঁলীর'' দূরগার আর অপুর কথা মনে পড়ে যাচছিল। দূরগাটা যদি মারা না যেত তাহলে বড় হয়ে নিশচয় রাবেয়া আপার মত হতো। হুমায়ুন আহমেদ এর নিকট কৃতজঞ থাকব আমাদের সাধারণ জীবনকে অসাধারণ করে লেখার জনযে, যাদের কথা একসময় কেউ লিখতে চায়নি। রিনুর মৃতয কাঁদিয়েছে, মনতুর লেখা রাবেয়া আপাকে উৎসরগ করে কবিতার লাইনদুটোও কাদিঁয়েছিল। কী যেন- থাক আর কষট না বাড়াই। এমনিতেই সারাকষণ চোখের কোণটা ভিঁজে ছিল।

      By Abdullah Muktadir

      26 Oct 2019 12:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাকৃবিতে শিক্ষকতা করার সময়ে তিনি শঙ্খনীল কারাগার উপন্যাসটি লিখেছিলেন। কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরে উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোনো যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে শব্দ।

      By Kawsar Ahmed

      24 Oct 2019 01:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসের একটি চরিত্র খোকা, আরেকটি রাবেয়া। ভাইবোন সম্পর্ক দুজনের। এছাড়াও তাদের আরও বোন রয়েছে। বিচিত্রময় সংসার এদের। ঘটনার ঘূর্ণনে সংসারের ছন্দ পতন শুরু হয় বাড়ির অতি অাদরের একটি কন্যার অকাল মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। সকল চরিত্র কাছে থেকেও যেন বহু দূরে ছিটকে চলে যায় একে অপরের। এতগুলো ভাইবোনের সংসারে খোকা একাই থেকে যায় তাদের বাড়িতে। উপন্যাসের শেষে রাবেয়ার চিঠিটা দিয়েছে ভালো লাগার অন্যরকম ফ্লেভার।

      By S M NAHID

      22 Oct 2019 10:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      I think if anyone want to know about the as usual life of the lower middle class family he or she should obviously try this one from Sir Humayun Ahmed. I always like the simple story telling of Sir Humayun. He is a genius in this field I think. He can easily say the truth s of one's life, and this part charms me. Actually I am a greatest fan of him. It is our story the story of Bangladeshi low layings. So happy reading ?

      By Sultan

      17 Oct 2019 11:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্বল্প পরিসরে লেখা ‘শঙ্খনীল কারাগার’ তাঁর সবচেয়ে অনন্য সাধারণ উপন্যাসিকা। শুধু তাঁরই নয়, বরং এটি গোটা বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য একটি উপন্যাসিকা। বইটার নাম তিনি কবি রফিক কায়সারের কবিতা ‘শঙ্খনীল কারাগার’ এর নামে দেন। তিনি সোমেন চন্দ্রের লেখা “ইঁদুর” ছোটগল্প পড়ে মধ্যবিত্তদের জীবন নিয়ে গল্প লিখতে উৎসাহিত হন। যার ফল “শঙ্খনীল কারাগার” ও “নন্দিত নরকে”। “নন্দিত নরকে” তাঁর প্রকাশিত ১ম উপন্যাস হলেও “শঙ্খনীল কারাগার” তাঁর লেখা ১ম উপন্যাসিকা। এরপরে তাঁর আড়াইশো’রও অধিক সংখ্যক বই প্রকাশিত হয়। তবে আমি মনে করি তাঁর কোনো বইই সাহিত্যগুণে “শঙ্খনীল কারাগার”কে অতিক্রম করতে পারে নি। *** খোকা(কথক), রাবেয়া, মন্টু, রুনু, ঝুনু, কিটকি, নিনু, ওভারশীয়ার কাকু, সুহাসিনী মাসি, শিরিন সুলতানা(খোকার মা), খোকার ছোটখালা, খোকার বড়মামা, মনসুর, আজহার হোসেন(খোকার বাবা), আবিদ হোসেন(রাবেয়ার আসল বাবা)। *** উপন্যাসিকাটির কথক ‘খোকা’। তারা ছয় ভাইবোন। তার বড় বোন রাবেয়া। তার বাবা আর রাবেয়ার বাবা ভিন্ন দুই ব্যাক্তি। রাবেয়ার মায়ের আগে এক ধনীর সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেই পরিবারে জন্মায় রাবেয়া। রাবেয়ার বাবার সাথে রাবেয়ার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। রাবেয়ার মায়ের বাবার বাড়ি অভিজাত শ্রেণীর। রাবেয়ার মায়ের জীবন, রূপলাবণ্য সবই ছিল বড়লোকি। তিনি ভালো গান করতে জানতেন। তাঁর বাবার বাড়ি আশ্রয় নেন গরীব শিক্ষার্থী আজহার হোসেন। একদিন তিনি রাবেয়ার মায়ের মুখে গান শুনে তাঁর প্রেমে পড়ে যান। তার কয়েকমাস বাদে রাবেয়ার মায়ের সাথে বিয়ে হয় তাঁর। রাবেয়ার মা তাঁর বাবার বাড়ির সবকিছু ছেড়ে আজহার সাহেবের সংসারে যান। দীর্ঘ ২৩বছরের সংসারে একে একে খোকা ও তার বাকি চার ভাইবোন জন্মায়। সবচেয়ে ছোট মেয়ে নিনুর জন্মের সময় মারা যান খোকার মা। খোকার মা যেহেতু জন্মগত অভিজাত শ্রেণীর এবং খোকার বাবা যেহেতু দরিদ্র ঘরের ছেলে সেহেতু খোকার মায়ের সাথে তাঁর অন্তরঙ্গ হতো না। তবুও তিনি পছন্দ এবং সম্মান করতেন তাঁর স্ত্রীকে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী থাকতেন চুপচাপ, গম্ভীর। রাবেয়া ছাড়া তাঁর অন্যান্য সন্তানরাও তাঁর স্নেহ পায়নি তেমন। আসলে তাঁর মনে খুব দুঃখ থাকতো লুকিয়ে। সেজন্যই গানপাগলী হয়েও তিনি সংসারে ২৩ বছরের জীবনে আর কখনও গান করেন নি। খোকা তার ছোটখালার মেয়ে কিটকিকে ভালোবাসতো। কিটকিও খোকাকে ভালোবাসতো। কিন্তু তারা সপরিবারে পাঁচবছরের জন্য ম্যানিলায় যায়। সেখান থেকে একসময় ফিরে আসে ঠিকই, কিন্তু তাঁর সাথে খোকার বিয়ে হয় না। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে কাহিনী। তবে কাহিনীর পরতে পরতে গভীর বিষাদ পরিলক্ষিত হয়। খোকার ছোটবোন রুনু বিয়ের আসরে বসলেও তার বিয়া হয় না মনের মানুষের সাথে। সে দুঃখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। রাবেয়ারও বিয়ে হয় না। কারণ তার গায়ের রং কালো। খোকার ছোট ভাই মন্টু লেখাপড়ায় অমনোযোগী। কিন্তু সে একজন কবি। তার চমৎকার সব কবিতা ছাপা হতো পত্রিকায়। এভাবেই দিন চলে যেতে থাকে তাদের। কাছের মানুষগুলো ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকে। রাবেয়া শহরের এক মহিলা হোস্টেলের সুপারিন্টেনডেন্ট হয়ে পরিবার থেকে কিছুটা দূরে চলে যায়। মন্টুও তার সদ্য যৌবনের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর খোকা ক্রমেই পুরানো দিনের প্রাচুর্যতার স্মৃতি অন্তরে জমিয়ে রেখে নিঃসঙ্গতার বেদনায় ডুবতে থাকে। ** নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন কখনোই চিরস্থায়ী আনন্দের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। এর পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে দুঃখ, বেদনা, হারানোর ভয়, শূন্যতার আর্তনাদ, নিঃসঙ্গতার হাহাকার। সেখানে সুখ দুঃখ আসে পালাক্রমে। নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন মানুষকে নিয়ে পাশা খেলতে ভালোবাসে। কখনো পাশার দানে হারিয়ে দেয় আবার কখনো সমৃদ্ধশালী করে। সেজন্যই নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবন সবসময়ই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। যখন কেউ নিঃসঙ্গতায় ভুগতে থাকে তখন তার পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে যায়, যা ছিল পূর্ণতায় ভরপুর। যখন সে শূন্যতার হাহাকারে ভুগতে থাকে তখন তার মধুর স্মৃতি বেদনাবিধুর চাপা আর্তনাদ করে ওঠে। উপন্যাসিকাটি যৌনতা বহির্ভূত। দরিদ্র মধ্যবিত্তদের জীবনীগাঁথা যেন স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে খোকার জবানীতে। চরিত্র-চিত্রন সার্থক হয়েছে। প্লট নির্বাচনটাও ছিল অসাধারণ। চারপাশে এত লোকজন থাকা সত্ত্বেও খোকা সেভাবেই নিঃসঙ্গতা অনুভব করে যেভাবে কারাগারে বন্দীরা নিঃসঙ্গতায় ভোগে। পরিশেষে নামটাও উপন্যাসিকার প্রতিনিধিত্ব করেছে। সার্থক নামকরণে ভূমিকা রেখেছে উপন্যাসিকার এই প্লট।

      By Tasaddek Bhuiyan (সোহাগ)

      26 Dec 2018 03:04 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বইয়ের নাম: শঙ্খনীল কারাগার। লেখক: হুমায়ূন আহমেদ। ধরণ: সমকালীন উপন্যাস প্রকাশন: দিব্যপ্রকাশ। প্রথম দিব্যপ্রকাশ সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ। প্রচ্ছদের আলোকচিত্র: গোলাম মুস্তফা। অনলাইন পরিবেশক: www.rokomari.com পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৭ মুদ্রিত মূল্য: ১০০/- ব্যক্তিগত রেটিং: ৮.৯/১০ ISBN: 984 483 202 0 'শঙ্খনীল কারাগার' রফিক কায়সারেএ একটি কবিতার নাম। কবির অনুমতিক্রমে নামটি পুনরায় ব্যবহৃত হয়েছে। 'নন্দিত নরকে' লেখকের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস হলেও 'শঙ্খনীল কারাগার' প্রথম লেখা উপন্যাস। #লেখকের কথা: সোমেন চন্দের লেখা অসাধারণ ছোট গল্প 'ইঁদুর' পড়ার পরই নিম্ন মধ্যবিত্তদের নিয়ে গল্প লেখার একটা সুতীব্র ইচ্ছা হয়। 'নন্দিত নরকে', 'শঙ্খনীল কারাগার' ও 'মনসুবিজন' নামে তিনটি আলাদা গল্প প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লিখে ফেলি। নিজের উপরে বিশ্বাসের অভাবের জন্যই লেখাগুলো দীর্ঘদিন আড়ালে পড়ে থাকে। যাইহোক জনাব আহমদ ছফা ও বন্ধু রফিক কায়সারের আগ্রহে 'নন্দিত নরকে' প্রকাশিত হয় মাস ছয়েক আগে। এবারে প্রকাশিত হলো 'শঙ্খনীল কারাগার'। 'নন্দিত নরকে'র সঙ্গে এই গল্পের কোনো মিল নেই। দুটি গল্পই উত্তম পুরুষে বলা এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের গল্প এই মিলটুকু ছাড়া। নামধাম দুটি বইতেই প্রায় এক। প্রথমত নতুন নাম খুঁজে পাইনি বলে, দ্বিতীয়ত এই নামগুলোর প্রতি আমি ভয়ানক দুর্বল বলে। কার্যকারণ ছাড়াই যেমন কারো কারো কিছু কিছু দুর্বলতা থাকে, এও সেই রকম। আন্তরিক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কিছু কিছু ছাপার ভুল রয়ে গিয়েছে। ভুলগুলো অন্যমনস্ক পাঠকের চোখ এড়িয়ে যাবে এইটুকুই যা ক্ষীণ আশা। #কাহিনী সংক্ষেপ: খোকা, রাবেয়া, রুনু, ঝুনু, মন্টু ও তাদের মা-বাবাকে নিয়ে এই উপন্যাস। শুরু হয় খোকার মায়ের প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে। কাহিনীর প্রয়োজনে চলে আসে কিটকি! শিরিন সুলতানা নামের উনিশ বছরের একটি মেয়ে সূর্য ওঠার আগে ছাদে বসে হারমোনিয়ামে গলা সাধত, ঘড়ির কাঁটার মতো নিয়মে। সাতটার দিকে গানের মাস্টার শৈলেন পোদ্দার আসতেন গান শেখাতে। তিনি আধ ঘণ্টা থাকতেন। এই সমস্ত সময়টা আজহার হোসেন নামের এক গরীব আশ্রিত ছেলে কান পেতে অপেক্ষা করত ছাদের চিলেকোঠার ঘরটায়, সেখানেই সে থাকত। একদিন মেয়েটা কী একটা গান গাইল যেন, খুব ভালো লাগলো ছেলেটির। বেরিয়ে এসে কুণ্ঠিতভাবে বলল, আরেকবার গান-না। মাত্র একবার। শিরিন সুলতানা গান তো গানইনি, ছাদের গান বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপর থেকে লজ্জিত ছেলেটি অপরাধী মুখে আরও দু'বছর কাটিয়ে দিল চিলেকোঠার ঘরটাতে। এই দুই বছরে শিরিন সুলতানার সঙ্গে তার একটি কথাও হয়নি। শুধু দেখা গেল দু'জনে বিয়ে করে দেড়শ টাকা ভাড়ার একটা ঘুপচি ঘরে এসে উঠেছেন। কী করে এটা সম্ভব? তা আমার কাছে একটি রহস্য! কিটকি যে, খুব ছোটবেলায় খালাকে চুপিসারে বলেছিল বড় হয়ে খোকা ভাইকে বিয়ে করবে। সে-ও কি সময়ের বহমানতায় হারিয়ে যাবে! রুনুকে প্রচণ্ড পছন্দ করা ছেলেটা কেন বিয়ের আগের দিন ঝুনুকে বিয়ের প্রস্তাব দিল? রুনু কি সেই লজ্জায় গলায় ফাঁস বা বিষ খেয়েছিল? কে এই আবির হোসেন, যে আঠারো বছর পর বিদেশ থেকে ফেরার সময় রাবেয়ার জন্য চকোলেট এনেছিলেন! #পাঠ প্রতিক্রিয়া: আমি হুমায়ূন আহমেদ তেমন পড়ি না। কেননা, পাঠকবর্গ'র নাকি নবীন লেখকদের মাঝে হুমায়ূন স্যারের ছায়া খুঁজে পান। আমি বাপু সেই ছায়ায় পড়তে চাই না। তবে আশা রাখছি হুমায়ূন আহমেদ পড়ে শেষ করব। কারণ, নিঃসন্দেহে এটা বিশ্বাস করি যে, হুমায়ূন স্যার বাঙালী পাঠকদের মাঝে একটা ঐতিহ্য চালু করে গিয়েছেন। নন্দিত নরকে পড়ে আমি অনেকক্ষণ মোহে ছিলাম। বারবার ভেবেছি, এভাবে কেন শেষ হলো? কতটা আবেগ মিশ্রিত লেখা! শঙ্খনীল কারাগার সম্বন্ধে যা বলব তাই কম হয়ে যাবে। তরুণ বয়সে লেখকের মুন্সিয়ানা দেখে আমি অবাক! পাঠক ধরে রাখার অসাধারণ নৈপুন্যতা। একদম শেষের দিকে রাবেয়া একটা চিঠি লিখে। কি ছিল সেই চিঠিতে? #যা ভালো লাগেনি: হুমায়ূন আহমেদও ভুল করতে পারেন? আরে তিনিও একজন মানুষ, মানুষ মাত্রই ভুল। তবে লেখক যে সূক্ষ্ম ভুলটি করেছেন সেটা আমাকে বেশ মর্মাহত করেছে। হয়ত হুমায়ূন স্যারের কাছে উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্যই আমি ব্যথিত হয়েছিলাম। উপন্যাসের শুরুতে রাবেয়াকে খোকার পাঁচ বছরের বড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু উপন্যাসের ক্রান্তি লগ্নে এসে সেই রাবেয়াকে খোকার ছয় বছরের বড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। মৃত্যু! আমাদের সকলের কাছে এক বেদনার্ত মুহূর্ত। পুরো উপন্যাসে লেখক আবগের ছড়াছড়ি করেছেন কিন্তু মৃত্যুর বেলায় আমি অন্য এক হুমায়ূন আহমেদকে দেখেছি! বলছি না যে, মৃত্যু নিয়ে রসিয়ে রসিয়ে লিখতে... #সেরা উক্তি: * "দিতে পার একশ' ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।" * জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ভুগছি। * সব মানুষই কবি; কেউ লিখতে পারে, কেউ পারে না। * কিছু কিছু কান্না আছে, যা শুনলেই কষ্টটা সম্বন্ধে শুধু যে একটা ধারণাই হয় তা-ই না, ঠিক সেই পরিমাণ কষ্ট নিজেরও হতে থাকে। * মেয়েরা লজ্জা পেলে এত বেশি অপ্রস্তুত হয় যে, যে লজ্জা দিয়েছে তার অস্বস্তির সীমা থাকে না। * ভালোবাসার বিয়ে হলে সেখানে অসামঞ্জস্য হয়, অশান্তি আসে কিন্তু মূল সুরটি কখনো কেটে যায় না। আপনার পাঠ শুভ হোক :) written by: Tasaddek Bhuiyan(সোহাগ)

      By Md Fazle Rabbi Riyad

      23 Feb 2017 01:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      শঙ্খনীল কারাগার আমার কাছে হুমায়ুন আহমেদের লেখা সবচেয়ে পছন্দের বই। বইয়ের শেষ লাইনগুলো এরকম- "কোনো কোনো রাতে অপূর্ব জোছনা হয়। সারা ঘর নরম আলোয় ভাসতে থাকে। ভাবি, একা একা বেড়ালে বেশ হতো। আবার চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলি। যেন বাইরের উথাল পাথাল চাঁদের আলোর সঙ্গে আমার কোন যোগ নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে। একঘেয়ে কান্নার সুরের মত সে শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জাম গাছের পাতার সর সর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শূন্যতায় কী বিপুল বিষণ্ণতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবছি।" বইটি শেষ করার দিন কয়েক পরেও লাইনগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। পাঠক পড়ার মাঝে কখন যে নিজেই চরিত্রের ভেতর হারিয়ে যাবেন তা বোঝা যাবে বইটি শেষ করে একরাশ কষ্ট নিয়ে বাস্তব জগতে ফিরে এলে। শঙ্খনীল কারাগার বেঁচে থাকুক বাঙালি পাঠকদের মাঝে আজীবন। এই বই নিজে পড়ুন অন্যকে পড়তে বাধ্য করুন...

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ শঙ্খনীল কারাগার(হার্ডকভার) লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ দিব্য প্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ৭৮ মুদ্রিত মুল্যঃ ১০০৳ রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি এবং বড় হয়েছি তাঁদের প্রত্যেকের জীবনের গল্পগুলো প্রায় একই রকম। শুধু সময়টার পরিবর্তন হয়, ভাগ্যের নয়। আমরা সকলে হয়তোবা আমাদের গল্পগুলো সেরকমভাবে গুছিয়ে বলতে পারিনা। কিন্তু লেখকেরা তা পারেন। আর তাঁদের কলমের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠে মধ্যবিত্ত পরিবারের, সমাজের গল্পসব। ঠিক তেমনই এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন “শঙ্খনীল কারাগার” নামের উপন্যাস। উপন্যাসটির লেখক হুমায়ুন আহমেদ একজন গল্পকথক। উত্তম-পুরুষে তিনি অবলীলায় বলে যান তাঁর পরিবারের কাহিনি। সে পরিবারের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, জন্ম-মৃত্যু, চাওয়া-পাওয়ার মিশ্রিত অনুভূতি এক ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে যা জীবনকে (রুপক-অর্থে) শঙ্খনীল কারাগার-এ রূপান্তরিত করে। উপন্যাসে হুমায়ুন আহমেদের নাম খোকা। তিনি একটি কলেজের শিক্ষক। তাঁর পাঁচ বছরের বড়বোন রাবেয়া। কালো বলে তার বিয়ে হয়নি। সংসারের সমস্ত চাপ তাঁর কাঁধে এসে পরায় ইন্টারমিডিয়েটের পর আর পড়াশোনা হয়নি। ছোটভাই মন্টু একজন নামী-লেখক, বই লিখে পুরস্কারও পেয়েছে এজন্যে। ছোট বোন রুনু-ঝুনুর খুনসুটি আর বাবা-মাকে নিয়ে কেটে যাচ্ছিলো তার দিনকাল। খোকাদের সাথে বাবার একধরণের টান থাকলেও মায়ের সাথে সকলেরই ছিল পিছুটান বিহীন সম্পর্ক। এটি বড় করে ধরা পড়ে যখন তাঁর মায়ের মৃত্যু হয় ষষ্ঠ সন্তান নিনুর জন্ম দিতে গিয়ে। সংসার আগের মতনই চলে যেমন চলতো মায়ের মৃত্যুর আগে। অথচ তারা জানে তাদের বাবা-মার বিয়ে, ভালোবাসার বিয়ে। কিন্তু এ-সম্পর্ক তাদের চাকর-মুনিবের সম্পর্ক ছাড়া কিছুই মনে হয়নি। এরই মাঝে হঠাৎ একদিন তাদের সংসারে এসে উপস্থিত হয় আবিদ হোসেন। চকলেট নিয়ে আসে রাবেয়ার জন্যে। রাবেয়ার জন্যে অকৃত্রিম স্নেহ-ভালোবাসা কাজ করে তার। কিন্তু রাবেয়ার বাবা-মা লোকটিকে সহ্যই করতে পারে না, কিন্তু কেন? রাবেয়ার সাথে আবিদ হোসেনের সম্পর্ক এক রহস্যের সৃষ্টি করলেও খোকা সব দেখে উদাসীন থাকে। খোকার জীবনেও আসে প্রেম। সে ভালোবাসতো তার খালাতো বোন কিটকিকে। কিন্তু মুখ ফুটে কখনো বলতে পারেনি। তারও হঠাৎ বিয়ে হয়ে যায় একদিন। খোকার কিছুই করার থাকেনা। রুনুর জন্যে বিয়ের প্রস্তাব আসে ছোটবেলার খেলার সাথী মনসুরের সাথে। কিন্তু বিয়ে হয়ে যায় ঝুনুর সাথে। কি এক তুচ্ছ কারনে রুনুর সাথে বিয়েটা হয়না। আর সেই মানসিক আঘাত সইতে না পেরে মৃত্যুর মধ্যদিয়ে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে। রুনুর মৃত্যুতে পরিবারটির ছন্দ-পতন ঘটে। কোথায় যেন শূন্যতা কাজ করে। রাবেয়া আবার সিদ্ধান্ত নেয় পড়াশোনা করার। পড়াশোনা সমাপ্তি শেষে সে-তার গ্রামের বাড়ি চলে যায় স্কুলের চাকরি নিয়ে। এই পরিবারের গল্পের সমাপ্তি হয়তোবা ঘটেনা। কিন্তু উপন্যাসেরতো সমাপ্তি ঘটতে হয়। তাই রাবেয়ার একটি চিঠি দিয়ে শেষ হয় উপন্যাসের। সে চিঠিতে ওঠে আসে তার মায়ের কথা, আবিদ হোসেনের সাথে তার সম্পর্কের কথা, ভাইবোনদের প্রতি গভীর স্নেহ-ভালোবাসার কথা। সেই চিঠিই পুরো গল্পটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে। কি লেখা সেই ছিল চিঠিতে? তা-না-হয় পাঠকদের জন্যে তোলা রইল! পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ুন আহমেদের প্রথম দিকের লেখা বলে হয়ত যথেষ্ট আবেগের উপস্থিতি আছে উপন্যাসটিতে। পড়ার পর আপনার মাঝে একধরনের হাহাকার বিরাজ করবে। তাসত্ত্বেও একটি পরিপূর্ণ ও সার্থক পারিবারিক উপন্যাস “শঙ্খনীল কারাগার”। যা পাঠে জীবন সম্পর্কে আপনি পাবেন গভীর ধারণা। পড়ে মনে হবে “আরে, এটাতো আমার জীবনেরই গল্প!” এমন চমৎকার বইটি এক-নিঃশ্বাসে শেষ না করে উপায় নেই। রকমারি আপনার জন্যে স্বল্পমূল্যে রেখেছে এই অপূর্ব বইটি। আজই কিনে ফেলুন। লিঙ্কটি আপনাদের সুবিধার জন্যে দিলাম। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/51238/শঙ্খনীল-কারাগার

      By Supriya dey

      24 Nov 2016 12:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নাম:শঙ্খনীল কারাগার লেখক:হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা:দিব্য প্রকাশ মূল্য:১০০৳ "দিতে পার একশ' ফানুস এনে আজন্ম সলজ্জ সাধ,একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।" উপন্যাসের শুরুতেই হাহাকারময় বাক্যগুলো যেন বুঝিয়ে দেয় কোনো ইচ্ছেকে পূর্ণ করার প্রবল আকুতি।যেন প্রতিটা মানুষই তাদের নিজস্ব কষ্টের দেওয়ালে বন্দী,কষ্টের রং নীল,তাই হয়তো লেখক জীবনটাকেই নীল কারাগার বলেছেন।কিন্তু ঔপন্যাসিক তাঁর প্রথম উপন্যাসে কেন জীবনকে কষ্টের দেওয়াল বললেন?এর উত্তর জানতেই পড়ে ফেললাম "শঙ্খনীল কারাগার"। উপন্যাসের সারসংক্ষেপ লেখার আগে বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া দরকার।এটি লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস "নন্দিত নরকে" যা লেখককে পৌঁছে দিয়েছে সম্মানের উচ্চ শিখরে।মজার বিষয় হচ্ছে,লেখক দুটো উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র-রাবেয়া,খোকা ও মন্টু,এই নামগুলো একই রেখেছেন,সাথে উপন্যাসও এগিয়ে গিয়েছে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে।এই বিষয়ে লেখক বলেছেন যে তিনি প্রথম দিকে কোনো নতুন নাম খুঁজে পান নি।যদিও আমার ব্যক্তিভাবে মনে হয়,লেখক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ বৈশিষ্ট্য দিয়ে এইরূপে পাঠককে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস পেয়েছেন।যাই হোক,এই ব্যাপারে ঔপন্যাসিকের উক্তিই সঠিক বলে মেনে নিলাম। এবার আসি উপন্যাসের সারসংক্ষেপ বর্ণনে। এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার,যা মা,বাবা,আর পাঁচ ভাই-বোন দিয়ে ঘেরা।ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া রাবেয়া,খোকা,মন্টু,রুনু,ঝুনু তাদের মায়ের মধ্যে সবসময় এক শীতলতা,নিস্পৃহতা দেখে এসেছে।তাদের মা যেন থেকেও নেই,মায়ের আদর ভালোবাসা ও তারা উপভোগ করে নি।কিন্তু কেন এই শীতলতা?এর উত্তর হিসেবে তারা শুধুমাত্র জানে ধনী পরিবারের মেয়ে শিরিন ভালোবেসে পালিয়ে আসা বাড়ির আশ্রিত ছেলের সঙ্গে।সেই ছেলেটিই তাদের বাবা।কিন্তু খোকারা কখনো তাদের মা-বাবার মধ্যে যেন সেই ভালোবাসা দেখতে পায় নি।এক সময়ের উঠতি খ্যাতিমান গায়িকা শিরিনের কেন এই গুটিয়ে নেওয়া?এর উত্তর তারা কখনো খুঁজেও দেখে নি।মিসেস শিরিন যে এই সংসারে কতটা দূরের তা প্রতীয়মান হয় যখন তিনি ছোট মেয়ে নিনুকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান।তার মারা যাওয়াতে যেন সংসারের কোথাও কোনো ছন্দ কাটে না।বড় মেয়ে রাবেয়া পরম মমতায় সংসার গুছিয়ে নেয়,আগলে রাখে ছোট ভাই-বোনদের।এক সময় ভাই-বোনেরা বড় হয়।প্রতিবেশী মনসুরের সাথে রুনুর বিয়ের প্রস্তাব আসে।কিন্তু রাবেয়াকে বাদ দিয়ে রুনুর জন্য কেন বিয়ের প্রস্তাব আসা?সমাজের এটা কেমন নোংরামি? অথচ এক ভুল বোঝাবুঝিতে রুনুর বিয়ে ভেঙে যায়,মনসুরের সাথে বিয়ে হয় ঝুনুর।সব ঠিকঠাক থাকলেও রুনু এই শোক সামলাতে না পেরে পাড়ি জমায় অজানা দেশে।কোথায় যেন সংসারটির সুর কেটে যায়!! এর মধ্যে একদিন আবিদ হোসেন নামের একজন রাবেয়ার জন্য চকলেট পাঠায়,যার কথা খোকার কাছে তার বাবা এড়িয়ে যায়।কে এই আবিদ হোসেন?রাবেয়ার সাথে তার সম্পর্কই বা কি?খোকা এই ব্যাপারেও উদাসীন থাকে।এই ঔদাসিন্যতার মধ্যেই বিয়ে হয়ে যায় খোকাদের খালাতো বোন কিটকির,যে খোকার ছোটবেলার ভালোবাসা।এতো আঘাত-প্রতিঘাতের ঘটনাবলী শেষ হয় রাবেয়ার নতুন এক জীবনের মধ্য দিয়ে।কেমন ছিল সেই জীবন?রাবেয়া তার সেই জীবনের ঘটনা একটি চিঠির মাধ্যমে খোকাকে জানায়।সেই চিঠিতে তাদের মায়ের সম্পর্কে এক অজানা তথ্য ও জানায় রাবেয়া।যার মাধ্যমে পুরো উপন্যাস হঠাৎ করে পাঠকদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।কি ছিল সেই চিঠিতে?না থাক,আমি আর বলব না।পাঠক,আপনারাই পড়ে নিন কথাসাহিত্যিকের এই সুন্দর পারিবারিক উপন্যাসটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও তিনি অসাধারণ গল্পময়তায় প্রতিটি ঘটনা ছবির মতো ফুটে তুলেছেন পুরো বইটিতে।এছাড়াও প্রতিটি চরিত্র নিজেদের চারপাশে দেওয়াল তুলে নিজেদের যেভাবে কষ্টের কারাগারে বন্দী করেছে সেই রূপক বর্ণনার সাথে বইয়ের নামকরণ পুরোপুরি মানানসই হওয়ায় উপন্যাস পাঠে আনন্দ পেয়েছি।যদিও কিছু জায়গায় বর্ণনার অসংগতি আছে,তাও পুরো উপন্যাস একেবারে শেষ না করে থাকা যাবে না।সেই হিসেবে উপন্যাসটির রেটিং-৪/৫।

      By Md shahidul islam nahid

      13 Nov 2016 06:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চরিত্রগুলো আমাদের এত প্রিয় হবার কারণ বোধ হয় চরিত্রগুলো আমাদের খুব পরিচিত। গল্পের কাহিনিটাও আমাদের জীবন থেকেই নেওয়া। চরিত্রগুলো আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, গেঁথে যায় আমাদের অন্তঃস্থলে। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরো বইটাকে লেখা দিয়ে কেমন একটা মায়ার চাদরে জড়িয়ে রাখেন, কেমন একটা মায়ময় ওম ওম ভাব! রুনু,ঝুনু, মন্টু, খোকা, রাবেয়া আপা - এ চরিতগুলো তো আমরাই। কিংবা আমাদের পাশের বাড়ির অতি পরিচিত মানুষজন। চিরকালীন মফস্বল সমাজের এমন জীবন্ত, নিটোল আখ্যান আর ক'জন ফাঁদতে পেরেছেন! 'শঙ্খনীল কারাগার'-এর চরিত্রগুলো হৃদয়ের গভীরে কোথায় যেন অনুরণিত করে যায়, উদাস করে যায় মনটাকে। নিজের অজান্তে, সঙ্গোপনে হাহাকার বেরিয়ে আসে মানুষগুলোর জন্য। ইচ্ছা করে গলা ছেড়ে বলে ওঠি- "দিতে পারো একশো ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।"

      By murad

      23 Jun 2016 03:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের চরিত্রগুলো আমাদের এত প্রিয় হবার কারণ বোধ হয় চরিত্রগুলো আমাদের খুব পরিচিত। গল্পের কাহিনিটাও আমাদের জীবন থেকেই নেওয়া। চরিত্রগুলো আমাদের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, গেঁথে যায় আমাদের অন্তঃস্থলে। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পুরো বইটাকে লেখা দিয়ে কেমন একটা মায়ার চাদরে জড়িয়ে রাখেন, কেমন একটা মায়ময় ওম ওম ভাব! রুনু,ঝুনু, মন্টু, খোকা, রাবেয়া আপা - এ চরিতগুলো তো আমরাই। কিংবা আমাদের পাশের বাড়ির অতি পরিচিত মানুষজন। চিরকালীন মফস্বল সমাজের এমন জীবন্ত, নিটোল আখ্যান আর ক'জন ফাঁদতে পেরেছেন! শঙ্খনীল কারাগারের কাহিনী জীবন থেকেই নেওয়া, যেকোন সাধারণ, সহজ সরল মানুষকে তার বেড়ে উঠার গল্প বলতে বললে সে এরকমই কিছু শুনাবে। এই বই এক পরিবারকে নিয়ে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা আর সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে বেড়ে যাওয়া দূরত্ব নিয়ে। মাঝে মাঝে এমন হয় না যে, আমাদের আপন জনেরা আমাদের আপনই থাকে, কিন্তু আমরা আর তাদেরকে আপন করে কাছে পাই না? সে হয়তো আমার বোন, সে হয়তো আমার ভাই, কিন্তু একটা সময় আসে যখন সে অন্য কারো স্ত্রী, অন্য কারো বাবা। এই সম্পর্কের ডাল-পালা গজানোতে কত পুরনো সম্পর্ক যে হৃদয়ের গভীরে থেকেও ধরা ছোঁয়ার আড়াল থেকে যায়, তা নিয়েই শঙ্খনীল কারাগার। 'শঙ্খনীল কারাগার'-এর চরিত্রগুলো হৃদয়ের গভীরে কোথায় যেন অনুরণিত করে যায়, উদাস করে যায় মনটাকে। নিজের অজান্তে, সঙ্গোপনে হাহাকার বেরিয়ে আসে মানুষগুলোর জন্য। ইচ্ছা করে গলা ছেড়ে বলে ওঠি- "দিতে পারো একশো ফানুস এনে? আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।

      By Rakibul Hasan

      25 Mar 2021 04:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Amar pora sobcheye valo laga boiyer majhe ei boite annotomo. Eti humayun ahmader anootomo creation.

      By ফয়সাল আহমেদ

      02 Nov 2019 12:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃশঙ্খনীল কারাগার লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃদিব্য প্রকাশ মূল্যঃ১১০টাকা হুমায়ূন আহমেদের একটি দুর্দান্ত সৃষ্টি এই শঙ্খনীল কারাগার । ক্লাসিক উপন্যাস বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের পারিপার্শ্বিক জীবনধারা আয়নার মতো করে তুলে এনেছেন এ বইটিতে । বইয়ের প্রকাশভঙ্গী অতীব সহজ এবং আকর্ষণীয়।হুমায়ূন আহমেদ তাঁর দ্বিতীয় প্রকাশিত বই 'শঙ্খনীল কারাগার' এর গল্পে দেখেছি নিম্ন মধ্যবিত্ত মায়ের মূল মোড় সারা জীবন নিরব থাকা এবং রাবেয়ার সাথে অন্যের চেয়ে আলাদা হওয়াটাই খোকার শেষ চিঠি। বইয়ের মাঝামাঝি গল্পটি গ্রীষ্মের আম হিসাবে পাকা হয় যা আপনাকে আরও আনন্দ দেয় এবং কখনও কখনও অশ্রু ফোঁটা নিয়ে আসে যা চাঁদের আলো হিসাবে চকচক করে তোলে। স্যাডেন এবং হেসে যাওয়ার জন্য আপনি নিঃসন্দেহে এই বইগুলি পড়তে পারেন।এই বইটি কত আশ্চর্যজনক তা বর্ণনা করার মতো কোনও শব্দ আমার কাছে নেই। হুমায়ূন স্যারের সৃষ্টি পরাবাস্তব। আমি আমার দেশের সেরা গল্পকার হিসাবে তাকে মনে করি এবং এ বইটি তার সেরা সৃষ্টির মধ্যে একটি ।

      By Sinthiya

      14 Oct 2019 03:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দিতে পারো একশ ফানুস এনে! আজন্ম সলজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই। এই কথাটাই অনেক প্রিয়।তারপর জানতে পারি এটি হুমায়ূন স্যার এর শঙ্খনীল কারাগার বইয়ের লিখা।"শঙ্খনীল কারাগার" এই নামটাই খুব আকর্ষণীয়।আর বরাবরের মতো বইটি পড়ার ভুত চাপে অতঃপর বইটি পড়ে ফেলি।আসলেই আমরা একা।আমরা যতো বড় হতে থাকি ততো আপনজনদের থেকে দূরে চলে যাই আর একটা সময় এসে পুরোপুরি একা হয়ে যাই।

      By Jannat Jahan Srishty

      01 Dec 2019 03:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার কাছে হুমায়ুন আহমেদের বই বরাবরই ভালো লাগে। এটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।তবে এই বইটা একটু বেশি ভালো লাগায় বই টি গিফট হিসেবে দিয়েছিলাম। যাকে গিফট দিয়েছিলাম তার গল্পটা খুবই ভালো লেগেছে। সবাইকে রেকমেন্ড করার জন্যই রিভিউ দেয়া। আশা করি সবার ভালো লাগবে পড়ে।

      By nasima

      04 Jan 2018 12:33 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা।।২।। বইঃ শংখনীল কারাগার। লেখকঃ হুমায়ূন আহমদ ধরনঃউপন্যাস প্রচ্ছদঃ কাইয়ুম চৌধুরী প্রকাশনাঃ অন্যপ্রকাশ রকমারি মূল্যঃ৯০ পৃষ্ঠাঃ৮৫ সংক্ষিপ্ত রিভিউঃ আমাদের সমাজকে বয়ে নিয়ে চলা এক শ্রেনির নাম হলো মধ্যবিত্ত। এ শ্রেনির মানুষের থাকে না কোনো বিশেষ অনুভূতি। কারণ এদের সমস্ত জীবনে একটাই অনুভূতি তার নাম হলো “অভাব।’এই অভাব এই শ্রেণির মানুষের সমস্ত অনুভূতিকে ভোঁতা করে দেয়। তবে শত অভাবের মাঝেও একটা জিনিসের অভাব এই শ্রেণির মানুষের থাকে না। তা হলো ভালোবাসা। ভালোবাসার অভাব এদের মাঝে পাওয়া যায় না। আর কিছু পারুক বা না পারুক হৃদয় উজার করে ভালোবাসতে পারে। ভালোবাসার মাঝে কোনো কৃপণতা এরা করেও না, কেউ করলে তা সহ্য করতে পারে না। তেমনি একটি পরিবার হলো ‘’শংখনীল কারাগার’’ উপন্যাসের শিরিন সুলতানা ও আজহার হোসেনের পরিবার।মধ্যবিত্ত এই পরিবারে অভাব ছিলো কিন্তু ছিলো না একে অন্যের প্রতি ভালোবাসার অভাব। বাংলাদেশের অন্যান্য পরিবারের মতোই একটি পরিবার আজহার হোসেনের। স্ত্রী শিরিন সুলতানা।রাবেয়া,খোকা,মন্টু,রুনু,ঝুনু ও ছোট বোন নিনু এই নিয়ে সংসার। ভালোবাসার কমতি না থাকলেও শিরিন সুলতানা তার নিজ সংসারের প্রতি তেমন আগ্রহী ছিলেন না। হঠাৎ তিনি যেন অন্য মানুষ হয়ে যেতেন। এ যেন থেকেও না থাকা? কিন্তু কেন তার এই উদাসীনতা? সমবয়সী রুনু ও ঝুনু।দুজনে একই সাথে বেড়ে ওঠা। তবুও শেষে কেন তাদের জীবনে নেমে আসে এক ঝড়? এভাবে একের পর এক ঘটনা পাঠককে শংখনীল কারাগার বইটি পড়তে বাধ্য করবে।এবং ঝড় বয়ে দিবে পাঠকের মনেও। বইটি পাঠকের মনে এক হতাশার জন্ম দিবে। জন্ম দিবে আফসোসের।কিন্তু আফসোস করবেন কার জন্য? শিরিন সুুলতানা, রুনু নাকি রাবেয়ার জন্য? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ ‘দিতে পার একশ’ ফানুস এনে, আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই।‘এই লাইন দুটি আমাকে অনেক ভাবিয়েছে।যখনি আমি এই বইটার কথা ভাবি আমার চোখে সামনে যেন রাবেয়া আপার চেহারা ভেসে ওঠে। বইটি পড়তে গেলে যখন এই দুটি লাইন আপনার চোখে পড়বে ,তখন নিজের অজান্তে বলবেন,আরে!এটাতো আমার মনের কথা! হয়তো কোনো একদিন আপনি চেয়েছেন কিছু করার কিন্তু আপনার সাধ ছিলো সাধ্য ছিলো না। আর প্রতিটা সংলাপ,চরিত্র আপনার মনকে বিষাদে ভরে দিবে।

      By A MAHMUD

      15 Oct 2019 11:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছাত্র জীবনে লেখা প্রথম উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’। প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। শুধু তাই নয় এটাই ছিল লেখকের প্রথম চলচ্চিত্র। যদিও তিনি নিজে পরিচালনায় ছিলেন না। তবে এই চলচ্চিত্রর জন্যেই তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারের পুরস্কার জেতেন। বলা যায় জীবনের শুরুতে যত অর্জন তার বেশিরভাগ এসেছে এই শঙ্খনীল কারাগার থেকে। অসাধারণ এই উপন্যাসটি না পড়ে থাকলে আজই শুরু করুন।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!