User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কেমন লাগবে যদি জানতে পারেন আপনাকে যে স্কুলে পোস্টিং দেয়া হয়েছে সেটার কোনো বাস্তব অস্তিত্বই নেই! কিন্তু আপনি সরকার থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক এবং প্রথম পোস্টিং সেই স্কুলে, রাজনীতির বেড়া টপকে জীবনস্রোত কতটা সইতে পারবেন? আর না পারলেই পরিণতিটা কেমন হবে? #কাহিনী_সংক্ষেপ গল্পটা সোমনাথের, কলেজের প্রফেসর, রিটায়ার্ড হতে কেবল মাস দুই বাকি । কিন্তু সব ঝামেলা থেকে নিজেকে শামুখের খোলসের ভেতর আটকে রেখেই যার শান্তি! অশান্তি তার বাপু দরকার নেই। কিন্তু হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল। সমিতির চাঁদা তোলতে মানা করা প্রথম বর্ষের মেয়েটার সাথে তিনিও প্রতিবাদ জুড়লেন। কিন্তু কতটা? সোমনাথের বড় মেয়ে তুতুল, বিয়ে হয়েছে প্রতীকের সাথে। প্রতীক কুমার একজন বড়মাপের সরকারি চাকরিজীবী, অতএব তিনি সব্যসাচী। মানে ডান হাতের সাথে সাথে বামও চলে। তাতেই সমৃদ্ধি পরিবারের। ছেলে রুপাই আর মা - বৌকে নিয়ে থাকে নিজের ফ্ল্যাটে। সোমনাথের ছোটমেয়ে মিতুলের পোস্টিং হয়েছে মাটিকুমড়া বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু হায়! কই সেই স্কুলঘর? কিচ্ছুটি নেই, অথচ চল্লিশ বছর আগের প্রস্তাবিত স্কুলে তাদের নিত্য হাজিরা দিতে হবে, নাহলে চাকরি থাকবে না আবার মাসান্তে মাইনেও জুটছে না। ডি আই অফিসে বারবার দৌড়েও কোনো প্রতিফল হয়নি। তবুও আশা ছাড়েনি মিতুল আর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রেখা দিদি। রেখা দিদির স্বামী এম এল এ, চাইলেই সরকারি প্রেশারে ঝামেলাটা সমাধান করতে পারেন কিন্তু অসম্মত রেখা দিদি, পঞ্চাশ বছরে এসে এখন স্বনির্ভর হবার পণ নিলেন তিনি। একদিন ফেরার পথে মিতুলের সাথে দেখা হয়ে যায় অতনু দাদার, অতনু তার বোন তুতুলের প্রাক্তন। ধীরে ধীরে গল্পের মাঝে জড়িয়ে পড়ল সেও। এক দীর্ঘ পরিকল্পিত রাজনৈতিক চাল আর সাথে কতগুলো মুখ মিতুল, তুতুল, প্রতীক, সোমনাথ, রেখাদিদি, অতনু, সনৎ..... সব যখন ঝাপসা হয়ে গেল তখনো জলছবির মত বেঁচে থাকে আত্মপ্রত্যয়। সহজে ছেড়ে দেয়া যায়? কিন্তু যখন সময় বিরূপ হয় তখন বাস্তবতাও যেন জলছবির মত জড়। তবে কি...... #প্রতিক্রিয়া বইটার সবচেয়ে স্ট্রং দিক ছিল চরিত্র নির্মাণ, লেখিকা সেই কাজটা খুব ভালো ভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছেন। সুচিত্রা মানবচরিত্রকে বেশ নিরীক্ষা করেছেন আর তারই প্রতিফলন বই এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় বুনে চলা গল্প। লেখিকার শব্দভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ। সচরাচর যেসব ভঙিমা প্রকাশ হয় সেটাকেই তিনি ভিন্নরূপে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন। গল্পে চারিত্রিক দ্বৈততা বেশ প্রস্ফুটিত। কখনো চরিত্রগুলো বেশ শক্তিশালী, আপোষহীন, কখনো বেশ থিতিয়ে পড়া। বস্তুত বাস্তব জিনিসটাই তিনি দেখাতে পেরেছেন। চারিত্রিক একরোখ গল্পের প্রবাহকে কলুষিত করে নি, এটা বেশ চোখে পড়ার মত একটা দিক। অতঃপর বাচনভঙ্গি নিয়ে বললে, বলা উচিত লেখিকা প্রায় সার্থক। কিছু জায়গাতে আবেগের অসঙ্গতি চোখে পড়ার মত। গল্পের প্রবাহে ত্রুটি তেমন নেই। সমান্তরালে চলতে থাকা প্রতিটা ঘটনাকেই আলাদাভাবে বুঝে শেষ পর্যন্ত যেতে পারবেন কোনো পাঠক। তবে বেশ কিছু জায়গাতে তিনি অতিবর্ণনাতে চলে গিয়েছেন। টুইস্ট রাখতে পারেননি তেমন। হালকথা, বইটা একদম সাদাসিধে ভাবে এগিয়েছে বেশ উপভোগ্য প্রবাহ নিয়ে। সব মিলিয়ে লেখিকার সেরা সাহিত্যকর্মের একটি এটি!