User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভাল একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বই : কাচের দেয়াল লেখক : সুচিত্রা ভট্টাচার্য প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স প্রথম প্রকাশ : ১৯৯২ অন্ধকার, ঘুপচি ন্যায়রত্নলেনের সুবীর জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে আসে বাড়ি থেকে। কঠোর পরিশ্রমে সাফল্যের মুখ দেখে সে। স্বচ্ছল ফ্ল্যাটে গড়ে ওঠে তার নতুন সংসার। স্ত্রী জয়া রুচিশীল শিক্ষিত। চিত্রশিল্পী হিসেবে তার নাম ডাক। একই সাথে আর্ট কলেজের অধ্যাপক। একসময় ভালবেসে বিয়ে করেছিল তারা। তাদের দুজনের সন্তান বৃষ্টি। কিন্তু সুখের সংসার টেকেনি। ভেঙে যায় হঠাৎ। আলাদা হয়ে বেঁকে যায় দুজনের গতিপথ। সুবীর আবার বিয়ে করে রীতাকে। তাদের ঘরে আসে পুত্র রাজা। জয়াও কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শুধু একাকী বেড়ে উঠতে থাকে বৃষ্টি। এই একাকীত্ব আঠারো বছর বয়সে এসে আগ্নেয়গিরির মত ফুসে ওঠে। যার অনলে পুড়ে বিহ্বল হয় জয়া সুবীর দুজনই। সুচিত্রা ভট্টাচার্যর "কাচের দেওয়াল" এ আধুনিক সমাজের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। ভাঙা পরিবারে বেড়ে ওঠা বৃষ্টির মনের অবচেতনের প্রতিচ্ছায়া লেখক এঁকেছেন অবলীলায়। বৃষ্টি চেয়েছিল বাবা মা কে সাথে নিয়ে সুন্দর জীবন। কিন্তু তার আরাধ্য জীবন সে পায়নি। নাবালিকা বলে তাকে থাকতে হয়েছে মায়ের কাছে। মায়ের অবহেলা আর তার একাকীত্ব এক হয়ে তার মনে গড়ে তুলেছে কঠিন প্রাচীর। ইচ্ছে হলেও বাবার কাছে চলে যেতে পারেনি। কারণ বাবার ঘরে আছে সৎ মা ও সৎ ভাই। নিজের অভিমানে, কষ্টে বৃষ্টি একসময় পা বাড়ায় বিকৃতমনা মুক্ত জীবনে। কিন্তু তারপর কি ঘটল তার জীবনে, তার একলা হাঁটার সে পথ বর্ননা করেছেন লেখক তার উপন্যাস জুড়ে। কাচের দেয়াল পড়তে গিয়ে হারিয়ে গেছি বারবার। তিনি যে জীবনের কথা লিখেছেন, এ সব জীবন নিত্য দেখতে পাই আমাদের চারপাশে। ভাঙনের চাপে জর্জরিত এইসব মানুষকে দেখে লেখক তাই বলেছেন, "প্রত্যেক মানুষ এক নির্দিষ্ট বিন্দুতে এসে নিজের কাছে অসহায়" সকল মানুষই নিজের চারপাশে অদৃশ্য দেয়াল তুলে রেখেছে। কিন্তু সেসকল দেয়াল মূলত ভঙ্গুর। এই ভঙ্গুর জীবনের কাহিনী নিয়েই রচিত সুচিত্রা ভট্টাচার্যর "কাচের দেওয়াল"।
Was this review helpful to you?
or
"আঠারো বছর বয়স" সুকান্ত ভট্টাচার্যের এক বিখ্যাত কবিতার নাম। এই কবিতায় কবি আঠারো বছর বয়সের সকল দিক এতো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন তা না বললেই না। একটা ছেলে কিংবা মেয়ে আঠারো বছরে পা দেয়ার পর তার মানসিক চিন্তাভাবনা, তার আচরণ- সবকিছুর পরিবর্তন কবি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন কবিতার মাধ্যমে। "কাচের দেয়াল" বইয়ের সাথে "আঠারো বছর বয়স" কবিতার একটা সম্পর্ক আছে। সে কারণেই কাচের দেয়াল বইয়ের কথা বলার আগে সুকান্তের আঠারো বছর বয়সের কথা বলে নিলাম। "কাচের দেয়াল" বইয়ের প্রধান চরিত্র বৃষ্টি। যার বয়স সবেমাত্র আঠারোয় পড়েছে। শান্তশিষ্ট মেয়ে বৃষ্টি। সেই শান্ত মেয়ে বৃষ্টির রূপ হটাৎ কেমন যেন বদলে গেলো। সুকান্তের "আঠারো বছর বয়স" কবিতার থেকেও বেশি দুঃসহ আর স্পর্ধিত চেহারা। বৃষ্টির বাবা সুবীর রায় আর মা জয়া রায়। বৃষ্টির বাবা-মা ডিভোর্সী। বৃষ্টি যখন অনেক ছোট তখন ওর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়। মেয়েকে নিয়ে আইনী লড়াই করে শেষপর্যন্ত জয়া রায় জিতে যায়। বৃষ্টি থাকতে শুরু করে মায়ের সাথে। সেদিন বৃষ্টির বাবা সুবীর রায় বলেছিলো, আঠারো বছর হওয়ার পর জয়া আর রাখতে পারবে না বৃষ্টিকে। ছোট্ট বৃষ্টির মনে সেই কথাটা ভালোভাবেই গেথেঁছে। মায়ের কাছে থাকলেও বৃষ্টির সাথে বাবার যোগাযোগ আছে। যখন খুশি দেখা করে। সেই ছোট্ট মেয়ে আজ আঠারো বছরের যুবতী। মাথায় এসেছে তার অন্যরকম এক খেলার প্ররোচনা। মাকে না মানার আর বাবার ভালবাসা যাচাইয়ের খেলায় মাতবে বৃষ্টি। অদ্ভূত আশ্চর্য এক চিন্তা! সেই আশ্চর্য টানাপোড়নের গল্প নিয়েই এই "কাচের দেয়াল"!