User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সমাজসেবিকা মিসেস নিবেদিতা, স্বামী আর্য, দুই ছেলে অনিন্দ্য এবং সুনন্দ। এই চারজন মানুষকে দিয়েই এই সংসার, পরিবার। ছোট্ট পরিবার। খুব সুখী হওয়ার কথা। কিন্তু হয় নি। পরিবারের চার সদস্য চার রকম। যে যার যার মতো আছে। কাউকে নিয়ে কেউ ভাবে না। কারো জন্য কারো উদ্বেগ নেই- কেমন যেন ছন্নছাড়া সবাই, সবকিছু!!! মিসেস নিবেদিতা তো একজন সমাজসেবিকা। বাবার প্রতিষ্ঠা করা "সুহাসিনী ওয়ালফেয়ার সোসাইটি" নিবেদিতার ধ্যান-জ্ঞান। সমাজের মানুষদের কথা ভাবতে গিয়ে নিজের সংসার, স্বামী আর ছেলেদের কথা ভাবার সময় হয়ে উঠে নি! নিবেদিতার স্বামী আর্য একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মজীবী। চাকরিজীবন শুরু হয় কলেজের শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে পড়াতে জড়তা আসার কারণে শিক্ষকতা বেশি দিন করা হয় নি তার। তারপর ছোটখাটো একটা চাকরিতে ঢুকে পার করে দিলেন এতগুলা বছর। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন নিজের ভিতর। সারাদিন পড়ার টেবিলে মুখ গুজেঁ বসে থাকার মাঝেই তার সুখ, আনন্দ। বড় ছেলে অনিন্দ্য। বড় উদাসীন আর ঘরকুনো একটা ছেলে। বাবা-মায়ের প্রতি তীব্র ক্ষোভ তার। সম্প্রতি মায়ের চাপে বিয়ে করছে শরণ্যা নামের একটি মেয়েকে। শরণ্যা এ বাড়ির নিয়ম-কানুন দেখে হতাশ। ছোট ছেলে সুনন্দ। অনিন্দ্যর মতো ঘরকুনো না হলেও ঘরের প্রতি কোন টান নেই। বহুদিন ধরপ বাড়ি ছাড়া সুনন্দ্য। কি এক অদ্ভূত জীবনযাপন! এরই মাঝে সুহাসিনীর সমিতি থেকে ক্ষমতা থেকে নিবেদিতাকে সড়ানোর চক্রান্ত শুরু করে। পুত্রবধূ শরণ্যা সন্তানসম্ভবা হয়। অনিন্দ্য এ মুহূর্তে বাচ্চা নিতে রাজি না। ঘটে যায় এক বড় দূর্ঘটনা। আর এভাবেই এগিয়ে যায় ছন্নছাড়া এই পরিবারের গল্পের কাহিনী!!!!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ৫ বই : আলো-ছায়া লেখক : সুচিত্রা ভট্টাচার্য পৃষ্ঠা : ১৫৭ মূল্য : ২৫০ টাকা নিবেদিতা মুখার্জী শহরের স্বনামধন্য সমাজসেবী। সমাজের অসহায়, দুস্থ, নির্যাতিত মানুষদের পাশে দাড়ানো, নিরাশ্রয়ীদের আশ্রয় দেওয়াই তার কাজ। তার সংস্থার নাম, সুহাসিনী। সুহাসিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বাবা। কিন্তু ৩৫বছর ধরে শক্ত করে এর হাল ধরে রেখেছেন তিনি। এই সুহাসিনীর জন্য ঘর, সংসার, স্বামী, সন্তান কারো দিকে ফিরে তাকাননি। তার ফলে কতবড় ভুল করেছেন, তার প্রমান পেলেন বড় ছেলের বিয়ে দেওয়ার পর। অনুধাবন করলেন, এ জীবনে তিনি কিছুই পাননি। তার ব্যর্থ জীবনের পুরোটাই একাকীত্বের অন্ধকারে ঢাকা। পাঠ প্রতিক্রিয়া : সুচিত্রা ভট্টাচার্য বেশিরভাগ সময়ই নারীদের নিয়ে লিখেছেন। তার উপন্যাসের প্রধান চরিত্র সে সকল নারী, যারা শক্ত হাতে সংসারের হাল ধরে। সংসার টিকিয়ে রাখতে জীবন সংগ্রামে নামে। কিন্তু আলো ছায়া লিখতে গিয়ে তিনি একটু ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন। একজন নারী সংসার বিমুখ হলে, তার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তারই উদাহরন এই উপন্যাস। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিবেদিতা, সারাজীবন সমাজ সেবা করতে গিয়ে নিজের সংসারের প্রতি নজর দেয়ার সময় পাননি। ফলাফলে তার দুই ছেলে বড় হয়েছিল দুই রকম মানুষিক অসুখ নিয়ে। এই অসুস্থতা প্রকট হয়ে ওঠে বড় ছেলে অনিন্দ্যর বিয়ের পর। বাড়ীর বউ শারণ্য কে মুখোমুখি হতে হয় অদ্ভুত এক মানুষিক অত্যাচারে। উপন্যাসটি আমার কাছে আহামরি কিছু মনে নাহলেও, খারাপ লাগেনি। বরং একজন মেয়ে একটা সংসারের জন্য কতটা অপরিহার্য, সেটা প্রকট ভাবে এই উপন্যাসে ফুটে উঠেছে। একটা মেয়ে যেমন ভেসে যাওয়া সংসার কে বাঁচাতে পারে, তেমন একজন নারীর সুনজরের অভাবে একটা সংসার শেষ হয়ে যেতে পারে