User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অধীকাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের একটি কমন বিষয় নিয়ে বইটি রচনা করা হয়েছে বলেই হয়তো সমগ্র পৃথিবীতে সারা ফেলেছে বইটি। উপন্যাসে মূলত শ্রমিক শ্রেণীতে নারীর ক্ষমতায়ন দেখানো হয়। পাশাপাশি দেখানো হয় কীভাবে লেনিনের বিখ্যাত লাল মলাটের বই পড়ে সবার মাঝে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। লেনিনের চেতনা নিয়েই চা বাগানের শ্রমিকেরা রাশিয়াতে বিপ্লব ঘটান। এটি সম্পূর্ণ একটি বাস্তব কাহিনি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই:- মা লেখক:- ম্যাক্সিম গোর্কি ভাষান্তর:- পুষ্পময়ী বসু ঘরানা:- অনুবাদ উপন্যাস প্রকাশনি:- দি স্কাই পাবলিশার্স রকমারি মূল্য:- ২৫৫ টাকা অনেকেই প্রশ্ন করে ম্যাক্সিম গোর্কির মা ভালো? নাকি আনিছুল হকের মা ভালো? আমি মনে করি পৃথীবির সব মা যার যার জায়গা থেকে শ্রেষ্ঠ মা। আমার মা আমার কাছে পৃথীবির সব মায়ের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। ম্যাক্সিম গোর্কির মা রচনা করা হয়েছে রাশিয়ার এক দুখিনী মায়ের জীবনগাথার উপর ভিত্তি করে। যিনি প্রথমত স্বামী সন্তানের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর আনিছুল হকের মা আমাদের বাংলার এক দুখিনি মায়ের জীবনগাথা। যিনি অত্নঅভিমানে নিজের কোটিপতি স্বামীর ঘর ত্যাগ করেন। শতকষ্টে ছেলেকে বড় করে তুলেন। এবং দেশের প্রয়োজনে ছেলেকে বলি দিতেও কোন্ঠাবোধ করেন নি। আনাছুল হকের মা যেহেতু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং আমাদের সংস্কিতির উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে তাই আমাদের কাছে আনিছুল হকের মা বেশি ভালো লাগবে এটাই সাভাবিক। #রিভিউ:- উপন্যাসের প্রধান চচরিত্র পাভেল এবং তার মা। রাশিয়ার একটি বস্তিতে ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠে পাভেল। পাভেলের বাড়ির অবস্থা বস্তিবাসী অন্যসব বাড়ির মতোই। ছোটরা বড়দের দেখে দেখেই সব শিখে। পাভেলের বাবা তাঁর মায়ের উপরে অমানুষিক অত্যাচার করে। নেশারত অবস্থায় প্রহার করা নিত্যদিনেরর কাজ হয়ে যায়। পাভেলও তার মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করে না। বাবার মতোই নেশা করা তার নৈমিত্তিক কাজ। কিন্ত বাবা মারা যাওয়ার পর হঠাৎ করেই পরিবর্তন ঘটে পাভেল এর জীবনে। সে মদ খাওয়া ছেরে দেয়। নিয়মিত গির্জায় যায় এবং বই পড়া শুরু করে। মায়ের সবকাজে সাহায্য করে। মায়ের সুখ-দুঃখে সমান ভাগিদার হয় পাভেল। যা বস্তির অন্যসব ছেলেদের থেকে একদম আলাদা। মায়ের কষ্টের দিন ঘুচতে থাকে এবং একটি চাপা ভয় কাজ করে এই ভেবে যে 'এতো সুখ এই অভাগী মায়ের সইবে তো'? একটি কারখানায় কাজ করে পাভেল। সেখানকার বস্তিবাসী শ্রমিকদের দাবীআদায়ের আন্দোলনের মুখ্যপাত্র হয়ে উঠে পর্যায়ক্রমে। পাভেল তার মাকে শ্রমিক বিল্পব এর কথা বলে। মাকে বুঝায় উঁচু শ্রেণীর লোকজন কিভাবে শ্রমিকদের শেষণ করছে। আরও বলে তাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন এর কথা। এবং বিভিন্ন বই পড়ে মাকে শোনায়। আন্দোলনের অন্যতম মুখ্যপাত্র হয়ে উঠায় তাদের বাড়িতে বারতে থাকে শহরের অন্যান্য বিপ্লবী ছেলে-মেয়ের যারা প্রায় সবাই জেলখাটা দাগী আসামী। কিন্ত তাদের সবার ব্যাবহার খুব ভালো এবং সবাই মায়ের সাথে সন্তান সূলভ আচরণ করেন। তাদের ব্যবহারে মা মুগ্ধ হয়। কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য, তাদের সচেতনতা বৃদ্ধীর জন্য পাভেল গোপনে বিভিন্ন রকম পোষ্টার ফেস্টুন এবং লিফলেট বিতরণ করে। এবং কারখানার শ্রমিকদের একত্রিত করার জন্য গোপনে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। পাভেলের আন্দোলনের কথা মালিক পক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে, তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পাভেলকে জেলে নেওয়ার পরে পাভেলের সব বন্ধুরা সবসময় মায়ের খোঁজ খবর নেয়। মায়ের দেখাশোনা করে। মা সিদ্ধান্ত নেয় ছেলের আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার এবং পাভেলদের দলের একজন সক্রিয় বিপ্লবী কর্মী হিসাবে ছেলের ফাঁকা স্থান পূরণ করার চেষ্টা চালায়। মা কি পারবে তার দেশের গরীব,দুখী, মেহনতী মানুষগুলোর সঠিক অধীকার আদায়ের আন্দোলনকে সফল করতে???? নাকি ছেলের মতো কারাবাস বরণ করতে হবে তাকে?????? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- এমন একটি বইয়ের প্রতিক্রিয়া আসলে কিভাবে লিখবো ঠিক বুঝতে পারছি। অধীকাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের একটি কমন বিষয় নিয়ে বইটি রচনা করা হয়েছে বলেই হয়তো সমগ্র পৃথিবীতে সারা ফেলেছে বইটি। অনুবাদ আমাকে খুব বেশি টানে না। একটু কষ্ট করে হলেও মূল বই পড়ার চেষ্টা করি। এই বইটি আমার পড়া প্রথম আনুবাদ যা পড়ে মনে হয়েছে "অনুবাদ হিসাবে ভাষাগত প্রাঞ্জলতা আছে"। মূলত ভাষাগত প্রাঞ্জলতা না থাকাতেই আমি অনুবাদ পছন্দ করি না। পাভেলের বাবা যখন মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন পাভেলের উপরে খুব রাগ হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো "সেতো পারে বাবার অন্যায় আচরনের প্রতিবাদ করতে"। কিন্তু পরে যখন দেখলাম পাভেল মায়ের সাথে ভালো ব্যবহা করছে তাকে সব কাজে সাহায্য করছে তখন নিজের অজান্তেই চোখের কোনে আনন্দ অশ্রু জমা হয়ে যায়। আবার শেষের দিকে, মিছিলের পিছন থেকে যখন মা বারবার চেষ্টা করে সামনের সারিতে থাকা তার সন্তানকে একটি বার দেখার চেষ্টা করে। তখন আমার মনে হচ্ছিলো গর্বে আমার বুক একটু ফুলে উঠলে। কিছু সময়ের জন্য হলেও তাদের একজন বিপ্লবী হয়ে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে আমার খুব ভালো লেগেছে বইটি। ম্যাক্সিম গোর্কির বই প্রথমে পড়লাম মনে হচ্ছিলো এই লেখা আমার কতদিনের চেনা। সব সচেতন নাগরিকদের বইটি পড়া প্রয়োজন।