User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে,,,,প্রচ্ছদও সুন্দর ছিল,,,???
Was this review helpful to you?
or
দেবদাস হচ্ছেন উপন্যাসের নায়ক, আর নায়িকা হলেন পার্বতী, যার ডাক নাম পারু।দেবদাস জমিদার ঘরের আর পারু একটু নিচু ঘরের, পাশাপাশি বাড়ি ছোট বেলা থেকে একসাথে খেলাধুলা, পাঠশালায় যাওয়া, কড়া রোদে গিয়ে মাছ ধরা ইত্যাদির মাধ্যমে পার হচ্ছিল দেবদাস ও পারুর শৈশব। মাস্টার মশাইকে জব্দ কড়ার কারণে দেবদাসের পাঠশালা যাওয়া থেকে মুক্তি মেলে কিন্তু পরে তাকে পাঠানো হয় কলকাতায় পড়াশোনা করার জন্য। এদিকে পারুও মাস্টার মশাইয়ের নামে মিথ্যে অভিযোগ দিলে তাকেও পাঠশালায় যেতে হয় না আর। কিন্তু দেবদাস কলকাতায় চলে গেলে পারুর একাকী সময় কাটে না পরে সে নিজ ইচ্ছায় পাঠশালায় যেতে শুরু করে। কলকাতায় কিছুদিন থাকার পরে শহরের সব কিছু মানিয়ে চলতে থাকা শিখে যায় দেবদাস, কিন্তু গ্রামে পারু দেবদাসকে নিয়েই স্বপ্ন বুনে যায়। গরমের ছুটিতে দেবদাস বাড়ি আসলে পারুকে দেখে দেবদাস এই কি সেই পারু যার সাথে কত খুনশুটি করেছি, কত বড় হয়ে গেছে পারু। এখন পারুর সাথে কথা বলতে শৈশবের মত সহজ হয়ে উঠে না, দুজনকেই লজ্জা এসে বাধা দেয়। ছেলেমেয়ে বড় হলে অভিভাবকদের মধ্যে বিয়ের চিন্তা এসে যায়, তাই পারুর দাদী দেবদাসের মাকে জানায় দেবদাস পারু একসাথে বড় হয়েছে দুজনের কত মিল তাদের বিয়ে দেয়া যায় কিনা। কিন্তু দেবদাসের মা জানায় এ কিছুতেই হতে পারে না, বাড়ির পাশে আত্মীয়তা করে লোক হাসানোর মত কোন কাজ করাতে পারব না। আর তাছাড়া পারুরা একটু নিচু জাতের বেচা-কেনা ঘরের কিনা। এসব কথা পারুর বাবার কানে গেলে তিনি ভীষণ রেগে যান তার মায়ের উপর কেন তিনি যেচে বিয়ের সমন্ধ নিয়ে গিয়ে ছোট হতে হলেন, তিনি বলেন মা আমাদের মেয়ে কি কম সুন্দর, এর থেকে ভালো ঘরে পারুর বিয়ে দেব আমি। এদিকে দেবদাসের মা তার বাবাকে জানায় যে পারুর দাদী দেবদাসের সহিত পারুর বিয়ে সমন্ধ... দেবদাসের বাবা এতটুকুই শুনে থামতে বলেন তার মাকে বাড়ির পাশে আত্মীয়তা করে লোক হাসাবো কোন দুঃখে। দেবদাসের মা স্বামীর কথা শুনে আরও দুশ্চিন্তা মুক্ত হন কেননা তারই তো এ সমন্ধে মন বসছে না। দেবদাসকেও সব আদ্যোপান্ত জানান, দেবদাস জিজ্ঞেস করে বাবার কি মত, মা জানায় বাবার কোন মত নেই লোক হাসানোর মত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পারু একদিন মধ্য রাতে দেবদাসের ঘরে এসে জানায় যে সে তাকে ভালবাসে। কিন্তু দেবদাস জানায় যে বা-মায়ের অমত এ কিছুতেই হতে পারে না। পারুর সব স্বপ্ন ভেঙে যায়, যাকে সে এতদিন ধরে আপন-আর ভেবে স্বপ্ন বুনছে সে-ই সব আশা ভেঙে দিলো, পারু চলে যায় নিজের বাড়িতে। দেবদাস কলকাতায় চলে যায় কিন্তু সে আর পড়শোনা বা কলকাতা কোন কিছুতেই তার ভালো লাগে না, যে মানুষ টা তাকে ভালবাসে তাকে কষ্ট দিয়ে ভাল থাকতে পারে না, সে আবার বাড়ি চলে আসে। এরই মধ্যে পারুর বিয়ে ঠিক হয় জমিদার ঘরে, বরের বয়স চল্লিশের কিছু বেশি আগের বউ মারা গেছেন। বাড়ি এসে দেবদাস পারুর দেখা আর পায় না, একদিন পুকুর ঘাটে পারুর সহিত দেখা হয় দেবদাসের, সে জানায় তাকে ছাড়া সেও থাকতে পারছে না, বলে পারু তুমি যদি রাজি থাকো মা-বাবা যেভাবেই হোক রাজি করাবো আমি। কিন্তু পারু জানায় তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আর তাছাড়া সে আর এখন তাকে চায় না পথ ছেড়ে দিলে সে বাড়ি যায়, দেবদাস পারুর এমন ছলনায় অবাক হয়ে যায় এই কি সেই পারু যে মধ্য রাতে তাহার সহিত দেখা করতে এসেছিল। রাগে দেবদাস পারুর কপালে আঘাত করে রক্ত বের হলে নিজের জামা ছিড়ে পারুর কপালে বেধে দেয়। চাঁদের যেমন সৌন্দর্য আছে এবং আছে তার কলঙ্ক, তেমনি তোমার কপালে দিলাম কলঙ্ক। পারু বলে এ আমার কলঙ্ক নয় দেবদা এ আমার গৌরব, কারণ পারু দেবদাসকেই যে ভালবেসে মনে প্রাণে। কিন্তু দেবদাস তাহা যানে না। পারুর বিয়ে হয়ে যায়, জমিদার গৃহিণী হয়ে উঠে সে। আর দেবদাস মদে আসক্ত হয় এবং চন্দ্রমুখীর সহিত পরিচয় ঘটে চুনিলালের মাধ্যমে। চন্দ্রমুখী হলেন একজন পতিতা, তাহার সহিত কত মানুষের ঘনিষ্ঠতা কিন্তু দেবদাসকে সে ভালবেসে ফেলে যদিও সে নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানেই যে সে কাউকে ভালবাসতে পারে না, কেননা সে একজন পতিতা। দেবদাসও তা বুঝতে পারে যে তার প্রতি চন্দ্রমুখীর দূর্বলতা কিন্তু দেবদাস তো পারুকেই ভালবেসেছে তার মনে অন্য কারো স্থান নাই। দেবদাসের পিতার মৃত্যু ঘটলে জমিদারি ভাগ হয়ে যায়, জমিদারির ভাগ পেয়ে দেবদাস আরও বেশি মদে আসক্ত হয়, এর ফলে সে লিভার প্লীহায় আক্রান্ত হয় এবং সে বুঝতে পারে যে তাহার সময় শেষ। কিন্তু পারুকে সে কথা দিয়েছিল সে মৃত্যুর পূর্বে আর একবার দেখা দিবে প্রতিজ্ঞা করেছিল, তাই পারুর ঠিকানায় গরু গাড়ি করে রওনা দেয়, গাড়ির পারুর বাড়ির কাছে আসে কিন্তু ততক্ষনে নড়াচড়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে দেবদাস। গাড়োয়ান তাকে গাছতলায় রেখে যান এবং সেখানেই মৃত্যু ঘটে দেবদাসের। পরদিন সকালে পুলিশ এসে চিহ্নিত করেন এটি দেবদাস মূখুযে্যর লাশ। খবর শুনে তাকে দেখতে ছুটে আসে পারু কিন্তু ততক্ষনে দেবদাসের লাশের শেষ ক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে যায়। (ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ) (আমার মতামত, দেবদাস হতে হলে শুধু চুল দাড়ি-মোছ রাখলেই হয় না, বাপের জমিদারি থাকা লাগে)?
Was this review helpful to you?
or
#বই_দেবদাস #লেখক_শরৎচন্দ্র_চট্টোপাধ্যায় #প্রধান_চরিত্র_পারু_দেবদাস_ও_চন্দ্রমুখী ধরন - চিরায়ত উপন্যাস প্রকাশনায় - দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল) মুদ্রিত মুল্য - ১১০ টাকা #উপমাঃ যাহারা কখনো মুক্তর মালা দেখে নাই তাহাদের যদি একখানা মুক্তর মালা লইবার জন্য বলা হয় তাহা প্রথমে বোধ করি লইতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করিবেনা কারন তাহারা যে ইহার কদর বোঝেনা। কিন্তু যখন বুঝিতে পারে তখন যদি দুই খানা মালা সামনে পাইয়া যায় বোধ করি দুইখানাই ধরিবার প্রয়াস করিয়া থাকে। কিন্তু সে হয়তো ভুলিয়া যায় দুই খানার লোভ তাহার শোভা পায় না। ইহাতে হিতে বিপরীত হইতে পারে। #বই_আলোচনাঃ প্রথমেই বলিয়া রাখি আমার আগে অনেকেই দেবদাস লইয়া অনেক কিছুই লিখিয়াছে, আমি তাহাদের ন্যায় পারিবোনা। তবু দেবদাস পড়িয়া লেখিবার ইচ্ছা দমন করিতে পারিলাম না। তাই সংক্ষেপে কিছু তুলিয়া ধরিবার সাহস করিলাম। বাল্যপ্রেম বলিয়া একটা কথা আছে, তাহার প্রভাব যে কতটা গভির হইতে পারে তাহা বই খানা পড়িলে বুঝিতে পারা যায়। ছোট বেলায় খেলার ছলে যাহাকে আপন করিয়া লইয়াছিলো পারু তাহাকেই জীবন সঙ্গী হিসাবে মানিয়া লইবে ইহা পারু হয়তো নিজেও তাহা জানিত না। কিন্তু হিন্দু সমাজে যে জাত বলিয়া একটা কথা প্রচলিত আছে। ভালোবাসিলেই যে হিন্দু সমাজের জাত তাহা মানিয়া লইবে তা তো নয়। প্রান দিয়া দিব তবু জাত রক্ষা করিবো ইহাই জাহাদের ভাষ্য তাহাদের নিকট ভালোবাসার আর কতটুকই বা মুল্য? দেবদাসের ছোট্ট একটা ভুল যে তাহার জীবনে ওলট পালট করিয়া দিবে ইহা তো কল্পনাতীত। একটিবার ভুল সংশোধন করিবার সুযোগ টাও যে পাইবে না ইহাওতো সে ধারনা করিতে পারে নাই। দেবদাস পারু কে লইয়া সবাই কম বেশি জানে কিন্তু যার সম্পর্কে সকলের একটু কম জানা-শোনা যে চরিত্র খানি আমাকে সারাক্ষন মোহিত করিয়া রাখিয়াছিলো সে হইলো চন্দ্রমুখি। সমাজ যাহাকে ঠাই দেই নাই, যাহার কোন আত্ম-সম্মান নাই, যাহার কলঙ্কের ডর নাই, যাহার ভালোবাসার অধিকার নাই, তাহারাও যে ভালোবাসিতে পারে এবং যাহাকে ভালোবাসিবে তাহার জন্য প্রয়োজনে স্বর্গীয় সুখ ত্যাগ করিতেও পিছপা হইবে না, চন্দ্রমুখী তাহার জলন্ত উদাহরন। কিন্তু তাহাতে হইবে কি ভালোবাসিলেই কি তাহা গ্রহন যোগ্য হইবে? যে সমাজ পার্বতীর ন্যায় প্রতিমার ভালবাসাকেই গ্রহন করিয়া লয় নাই সেইখানে চন্দ্রমুখীর ভালোবাসা কি স্থান পাইবে? পার্বতী ও চন্দ্রমুখী দুজনেই যখন দেবদাস কে ভালোসিয়া ফেলিলো, দেবদাস প্রথমে চন্দ্রমুখী কে ঘৃনা করিলেও পরবর্তীতে ভালোবাসিতেও আরম্ভ করিয়াছিলো। কাকেই বা প্রকৃত ভালোবাসিলো দেবদাস? পরিণতি বা কি হইলো? কোথায় পারু? কোথায় দেবদাস? আর কোথায়ই বা চন্দ্রমুখী? বই লইয়া আর বেশি লিখিবোনা শেষে পরিণতি চলিয়া আসিতে পারে। বাকিটা পড়িয়া জানিয়া লইবেন। #উপলব্ধিঃ রামায়ন পড়িবার কালে দেখিয়া ছিলাম, লক্ষণ সীতা কে রক্ষা করিবার জন্য গণ্ডী বা রেখা টানিয়া যায় আর এও বলিয়া যায় যে রাম বা লক্ষণ কেউ না আসা পর্যন্ত যে এই রেখা অতিক্রম না করে। কিন্তু সীতা তাহার কথা রক্ষা করিতে পারিলোনা তাই রাবন তাহাকে হরন করিবার সুযোগ পাইলো। এই কথা বলিবার উদ্দেশ্য হইলো মানুষ মনের অজান্তেই কিছু ভুল করিয়া থাকে যখন করে তখন সে উপলব্ধি করিতে পারেনা যে সে আসলে কি করিতেছে তাহার পরিণতি বা কি হইবে। যদি একবার ভাবিতো মনের অজান্তেই আজ যে ভুল করিতেছে হয়তো নিয়তি তাহাকে ভুল শুধরাইবার সুযোগ টা পর্যন্ত দিবেনা। কিছু কিছু অভিমানি মানুষ থাকে যাহারা আসলে প্রিয় মানুষটার প্রতি একটু বেশি অধিকার দাবী করিয়া বসে। সেই কারনেই হয়তো মানুষটির ছোট্ট ভুলটাকে ক্ষমা করিতে পারেনা। কেমন করিয়াই বা করিবে যাহাকে ভালোবাসে সে ভুল করিতে পারে তাহা যে বিশ্বাস করিতেই কষ্ট হয়, তাই ছোট ভুল গুলো বড় হইয়া সামনে আসিয়া দাড়ায়। আজ আর পারিবো না.........। শুধু একটি কথা পারু কে জিজ্ঞেস করিতে বড়ো ইচ্ছা হয়...... পারু কেন সেদিন তোমার দেবদা কে ক্ষমা করিতে পারো নাই? দেবদাস তুমিই বা কেন চন্দ্রমুখী কে ভালোবাসিয়াও গ্রহন করিতে সংকোচ বোধ করিয়াছিলে? চন্দ্র তুমিই বা কেন সেদিন সব জানিয়াও দেবদাস কে একলা ছাড়িয়া দিলে? #শরৎ_বাণী ১. ভালোবেসে শুধু হাতে ফিরে আসাটাই বড় যাতনা, তারপরে আবার নতুন করে ভালোবাসতে যাবার মত বিড়ম্বনা সংসারে আর নেই। ২. স্বামীর মঙ্গল চিন্তার কাছে স্ত্রীর সব তুচ্ছ হয়া উচিৎ। ৩. যাকে ভালোবসিনা সে যদি জোর করে ভালোবাসার কথা সোনায় এমন বিপদ আর নেই। ৪. ভালোবাসা এক, আর রূপের মোহ আরএক। ৪. চঞ্চল এবং অস্থিরচিত্ত বলে স্ত্রী লোকের যত অখ্যাতি ততখানি অখ্যাতির যোগ্য তারা নয়। ৫. মানুষের মঙ্কে বিশ্বাস নেই। ৬. স্ত্রী লোকের মন বড় চঞ্চল, বড় অবিশ্বাসী। ৭. সতর্ক এবং অভিজ্ঞ লোকের স্বভাব এই যে, তাহারা চক্ষুর নিমিষে কোন দ্রব্যের দোষগুণ সম্বন্ধে দৃঢ় মতামত প্রকাশ করে না। ৮. মানুষ দুঃসময়ের মাঝে যখন আশা-নিরাশার কুলকিনারা দেখিতে পায়না, দুর্বল মনে বড় ভয়ে ভয়ে আশার দিকটাই চাপিয়া ধরিয়া থাকে। বিঃ দ্রঃ দেবদাস লইয়া লেখিবার যোগ্য আমি নই। যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি। বই লইয়া তেমন লিখি নাই, মূল বক্তব্য ফাঁস হইয়া যাইবার ভয়ে। ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা করিবেন।