User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Mohammad Atiqur Rahman

      06 May 2022 04:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent collection

      By shakkhar chakraborty

      04 Mar 2022 06:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর একটি বই

      By koushik Roy

      27 Jan 2022 12:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice Books

      By Tanzir Ahmed

      15 Oct 2021 11:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর

      By Kazi Falguni Eshita

      05 Oct 2021 04:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      I don’t like the sad ending here, otherwise, this is a masterpiece

      By Md Shamsuddin

      01 Aug 2021 06:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      great

      By Soad Mahmud

      23 Jul 2021 06:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক সুন্দর বই ছিল

      By Md abir hasan

      30 Jun 2021 03:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই টা অনেক ভালো ছিলো...

      By Mohammad Abdullah

      11 Jun 2021 11:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      wonderful book ?

      By Niranjan Mondal

      23 May 2021 07:19 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      very nice.

      By Mehbuba Priya

      15 May 2021 10:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় অসাধারণ

      By Protiva Ghosh

      14 Jan 2021 12:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Sabuj Morol

      21 Aug 2020 02:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ নন্দিত নরকে। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয়, ছেলেদের আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়। সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই। "নন্দিত নরকে, নিম্ন-মধ্যবৃত্ত পরিবার নিয়ে লেখা। এই মধ্যবৃত্ত পরিবারে মাত্র একজন উপার্জন কারি। পরিবারে একজন বেকার ছেলে আছে, নাম খোকা। পড়াশুনা শেষ করে একটি চাকরি করবে, সেই বেতনের টাকা দিয়ে, সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাবে, বোনের জন্য নীল-শাড়ি কিনে দিবে। পরিবারের সর্বকষ্ট দূর হবে, কত আশা তার মনে। এছাড়াও দু'বোন আছে, নাম-রাবেয়া, রুনু। রাবেয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, সে আট-দশটি মেয়ের মতো স্বভাবিক নয়। সে ঘুরতে ভালোবাসে, সারাদিন এ-ই বাড়ি ও-ই বাড়ি, মাঠের পর মাঠ চুষে বেড়ান। হঠাৎ একদিন গর্ভবতী হয় রাবেয়া। এটা তার পরিবার মেনে নিতে পারেন নাই, তাই প্রসব করাতে গিয়ে মারা যায়। এছাড়াও তাদের সৎ ভাই, নাম মন্টু ও তার বাবার বন্ধু মাষ্টার কাকা, থাকেন তাদের সাথে। হঠাৎ একদিন মন্টু বটি দিয়ে মাষ্টার কাকাকে, কুপিয়ে হত্যা করে। খোকার সেই আশা পূরণ হয়েছে? রাবেয়া কিভাবে গর্ভবতী হলেন? মন্টু ক্যান মাষ্টারকে হত্যা করলেন জানতে হলে? পড়ুন নন্দিত নরকে। উপন্যাসটি একটি পারিবারিক কাহিনি অবলম্বনে করা হয়েছে। একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ের অবস্থা তুলে ধরে আমাদের বর্তমান সমাজ সম্পর্কে সজাগ করে দেয়। দূরের মানুষকে পরিবারের আপন করার পরেও যে আপন হতে পারে না। তা প্রকাশ পেয়েছে এবং তার প্রতি রাগ ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।

      By Deb Mridha

      10 Feb 2020 04:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নাম দেখে অনেক পরিচিত লাগছিলো, পরে নামের মিনিং খুজতে গিয়েই বইটি পরতে বসছিলাম, গল্পের মধ্যে এমন কিছু ছিলো, যা কিনা শুরু থেকেই আকর্ষণীয়। নিম্ন মধ্যবিত্য ফ্যামিলির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে । তবে এর মধ্যে যে ব্যাপারটা বুঝানো হয়েছে যে ফ্যামিলির বাইরের কোনো লোক কখনোই একজন ফ্যামিলি মেমবার হতে পারে নাহ, যদি নাহ তার পাশবিক আচরন সংযত করতে নাহ পারে! কোনো ইন্টারভাল ছাড়াই বইটি একবারে পড়া শেষ করছিলাম। আশা করি ভালো লাগবে...

      By Emran Hossain

      16 Jan 2020 10:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন স্যারের বই নিয়ে কথা বলার মত যোগ্যতা নেই। তবুও নন্দিত নরকে উপন্যাস টা আমায় খুব ভাবিয়েছে।

      By Neel kontho

      07 Nov 2019 11:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটি মধ্যবিত্ত পরিবার এবং সেই পরিবারের স্বাভাবিক সুখ-দুঃখ, যাপিত জীবন নিয়ে রচিত এই উপন্যাস। খুব অল্প কথার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ ফুতিয়ে তুলেছেন অনেকগুলো চরিত্র, তাদের প্রত্যেককে করেছেন জীবন্ত। সেই সঙ্গে একটা নিরেট গল্প নিয়ে এসেছেন, পাঠকের মনে হয় গল্পটি তার নিজেরই। রাবেয়া যেন আমাদেরই বোন আর খোকা হয়ে ওঠে আমাদের নিজেরই প্রতিচ্ছবি। আর মন্টুর জন্য আমাদের কষ্ট হতে থাকে। একটি মধ্যবিত্ত জীবনের গল্প যা প্রতিদিন আমাদের মাঝে ঘটে চলে হুমায়ূন আহমেদ সে গল্প তুলে এনেছেন দারুণ মুনশিয়ানায়।

      By Sultan

      23 Sep 2019 12:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পটি একটি পরিবারের। গল্পটি খোকার। গল্পটি শফিকের। তবে মূল গল্পটির রাবেয়ার। রাবেয়া একটি মেয়ে। এদেশের এক দরিদ্র ঘরের মেয়ে। যার জন্ম হয়েছে পৃথিবী নামক এক নন্দিত নরকে! বারেয়ার পরিবারে ছয় জন সদস্য। মা-বাবা, ছোট বোন, ছোট ভাই মন্টু আর রাবেয়ার বড় ভাই। আরও থাকত তার বাবার ছোট বেলার বন্ধু, পরে যাকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের মাস্টার কাকা শফিক। শফিক আনন্দমোহন কলেজে লেখাপড়া শেষে ঘটনাচক্র তার বন্ধু বারেয়ার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এখানেই সে দিনযাপন করে এবং রাবেয়ার ভাই বোনদের পড়ায়। একদিন রাবেয়াকে হঠাত বাসায় পাওয়া যায় না। অনেক খোঁজাখুজির পর যখন তাকে তার মাস্টার কাকা স্কুল থেকে ফেরার পথে নিয়ে আসল। বাবা মা হাফ ছেড়ে বাঁচলো এই অবুজ মেয়েটিকে পেয়ে। রাবেয়া ছিল কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্থ। কেউ তাঁকে ভাল কথা বললে যেমন সে হাসত। খারাপ কথা বললেও সে হাসতো। কি এক অসাধারণ সরল সেই মেয়ে! কিছুদিন পর হঠাত চা খাওয়ার পর রাবেয়া যখন ওয়াক ওয়াক বমি করলো তখন পরিবারের সবাই বুঝতে পারলো কেউ রাবেয়ার সর্বনাশ করেছে। তার দাদা ভাই মাঝে মাঝে নীরবে খুব গোপনে জিজ্ঞাস করে, “বারেয়া তোকে কি কেউ চুমু খেয়েছিল”। রাবেয়া লজ্জিত হয়ে বলে ছিঃ এটা কি কেউ খায় নাকি দাদা।?" অবশ্য মা আরও খোলামেলা ভাবে মেয়ে রাবেয়াকে জিজ্ঞাস করে ” রাবেয়া বল কেউ তোর কাপড় খুলেছিল কি না?? তোর সাথে কেউ শুয়েছিল কি না??” অসুস্থ রাবেয়া কিছুই মনে করতে পারে না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তারপর...... তারপর কি হলো তা জানার জন্য পড়তে হবে পুরো বইটি!

      By Sanjit Kabir

      15 Sep 2019 08:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃনন্দিত নরকে। লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ। বুক রিভিউঃবাংলা কথাসাহিত্যে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য পাঠক মহলে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। 'নন্দিত নরকে' তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে উপন্যাসটিতে তেমন শৈল্পিকতার রূপ দান করতে না পারলেও, একটি বাঙালি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের হাসি, কাঁন্না, প্রেম, সংশয়, দারিদ্র, নিরাশা, স্বপ্ন, সুখ, দুঃখের আখ্যান অনেকটা প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। উপন্যাসের শেষে আমরা একটা বিয়োগান্তক পরিণতি দেখতে পাই। লেখক এখানে নিজেকে বেছে নেন উপন্যাসের কাহিনী কথক হিসেবে। কাহিনী কথকের নামও থাকে হুমায়ূন। গল্পে হুমায়ূনের সাথে ছিলেন তাঁর অপ্রকৃতস্থ এক বছরের বড় বোন রাবেয়া, ছোট বোন রুনু, বাবা, মা, বাবার বন্ধু তাদের বাড়িতে আশ্রিত মাস্টার কাকা, আর বাবার প্রথম ঘরের সন্তান মন্টু। প্রথম ঘরে কোন সন্তান না হওয়ায় হুমায়ূনের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। উপন্যাসটি সমাজের সকল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে। একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে যেমন পিতা'ই একমাত্র উপার্জনকারী থাকেন। মাকে সংসারের সকল চড়াই-উতরাই পেড়িয়ে সন্তানদের লালন-পালন করতে হয়। মাসের পনের দিন না পেরোতেই সংসারে হিসেব করে চলতে হয়। সন্তানদের সখ, আহ্লাদ পূরণ করতে না পারার দরুণ মা-বাবার মুখে যে হাতাশার ছাপ ফুটে ওঠে, সে সবকিছুই লেখক এখানে তুলে ধরেছেন সুনিপুণভাবে। উপন্যাসটিতে আসলে আমরা প্রধান চরিত্র হিসেবে কাউকেই দেখতে পাই না, সকলেই যার যার অবস্থানে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন উপন্যাসটি গঠনের ক্ষেত্রে। এই যেমন, হুমায়ূনের অপ্রকৃতস্থ বড় বোন রাবেয়ার কথাই ধরা যাক। প্রতিদিনের মতই একদিন সে ঘুরতে বের হয়, কিন্তু প্রতিদিন যেমন সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে আসে, সেদিন আর তেমনটি ঘটে না। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। অবশেষে তাকে স্কুলের পাশে পেয়ে বাড়ি নিয়ে আসে মাস্টার কাকা। এর কিছু দিনের মধ্যেই সন্তানসম্ভবা হয় রাবেয়া। এতে লজ্জায় মুখ লুকানোর অবস্থা হয় পিতা-মাতার। যা সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই আমরা দেখে থাকি, তারা সমাজের ভয়ে লজ্জার বিষয় কাউকে বলতে পারে না। কারণ নিম্ন মধ্যবিত্তের কাছে তাদের সম্মানই সব, তা চলে গেলে তাদের বেঁচে থাকা বৃথা হয়ে দাড়ায়। সন্তানসম্ভবা রাবেয়া অবশেষে রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যায়। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গল্প অন্যদিকে মোড় নেয়। উপন্যাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মাস্টার কাকা আর মন্টু। দুজন খুবই নির্লিপ্ত মানুষ হলেও, উপন্যাসে সবচেয়ে দুটি চাঞ্চল্যের জন্ম দেন তারা। রাবেয়া যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়, তখন শহরে ডাক্তার আনতে ছুটে যায় মাস্টার কাকা। তিনি যতক্ষণে ডাক্তার নিয়ে ফেরেন, ততক্ষণে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে রাবেয়া। মাস্টার কাকা ডাক্তার নিয়ে যখন এলেন তখন ঘটলো আরেকটি ঘটনা। যা পুরো উপন্যাসের মোড় পাল্টে দিলো। মন্টু মাছ কাটা বটি দিয়ে খুন করলো মাস্টার কাকাকে। তবে কি মাস্টার কাকা ধর্ষণ করেছিলো রাবেয়াকে? এটি এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। মাস্টার কাকাকে হত্যার কারণে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় মন্টুকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মন্টু এ কথা স্বীকার করে যে ঠান্ডা মাথায় বুঝেশুনেই সে মাস্টার কাকাকে খুন করেছে। তবে খুনের কারণ সে স্বীকার করে না। অবশেষে খুনের অভিযোগে মন্টুর ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। যা পাঠককুলের হৃদয়ে বড়সড় দাগ কেটে যায়। উপন্যাসটি মূলত নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনের চিত্র তুলে ধরলেও, মন্টুর মৃত্যুদণ্ড সকল আবেগপ্রবণ পাঠকে কাঁদিয়ে গেছে বলা যায়।

      By Kazi Asifuzzaman

      01 Nov 2017 01:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ নন্দিত নরকে বইয়ের ধরণঃ সামাজিক উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ (বর্তমান সংষ্করণ) প্রকাশকালঃ ১৯৭২ প্রকাশনীঃ খান ব্রাদার্স পৃষ্ঠাঃ ৬৩ মূদ্রিত মূল্যঃ ১০০ টাকা (বর্তমান) প্রিয় পাঠক, রিভিউয়ের শুরুতেই বলে রাখি, এটি কোন সংক্ষিপ্ত রিভিউ না। একজন রিভিউদাতা হিসেবে নয়। আলোচ্য বইটির একজন গুণগ্রাহী পাঠক হিসেবে লিখছি। যদিও প্রতিযোগীতায় দিচ্ছি এটা। তবে পুরষ্কার না পেলে কষ্ট নেই। আলোচ্য রিভিউ আমার মনের এক প্রচন্ড ভালবাসা ও হুমায়ুন স্যারের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকে লিখছি! লেখক পরিচিতিঃ বইটির লেখক হুমায়ুন আহমেদ। এর বেশি আর কিছু লিখছি না। কারণ কিছু কিছু মানুষের পরিচয় তুলে ধরার জন্যে শুধু তাদের নামটাই যথেষ্ঠ! কিছু প্রাক-কালিন তথ্যঃ ১. শঙ্খনীল কারগার প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের প্রথম লিখিত উপন্যাস হলেও নন্দিত নরকে তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ৬৩ পাতার এই উপন্যাসটি ১৯৭২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ২. ১৯৭০-এ লিখিত হলেও উপন্যাসটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কারণে সহসা প্রকাশিত হয় নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত মুখপত্র নামীয় একটি সংকলনে এ উপন্যাসটি প্রকাশ হওয়ার পর বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ও সাহিত্যিক আহমদ ছফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ এর শেষ দিকে খান ব্রাদার্স এ্যাণ্ড কোং, ঠিকানাঃ ৫৭ প্যারীদাস রোড, ঢাকা-১, বাংলাদেশ, এ উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশ করে। প্রকাশক হিসেবে কে, এম, ফারুক খানের নাম মুদ্রিত ছিল। মলাট ছিল বোর্ডের তৈরী। মূল্য রাখা হয়েছিল সাড়ে তিন টাকা। ৩. বইটির প্রথম সংষ্করণের প্রচ্ছদ আঁকেন লেখকের ছোট ভাই প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। দ্বিতীয় সংষ্করণের প্রচ্ছদশিল্পী ছিলেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। ৪. ২০০৫ সালে বইটির স্বত্ব কিনে নেন "দিব্য প্রকাশ" নামের একটি প্রকাশনী। এই সংষ্করণটিই এখন বাজারে পাওয়া যায়। প্রচ্ছদশিল্পী ধ্রুব এষ! প্রথম সংষ্করনের ভূমিকাঃ মাসিক ‘মুখপত্রে’র প্রথম বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় গল্পের নাম ‘নন্দিত নরকে’ দেখেই আকৃষ্ট হয়েছিলাম। কেননা ঐ নামের মধ্যেই যেন একটি নতুন জীবনদৃষ্টি, একটি অভিনব রুচি, চেনতার একটি নতুন আকাশ উঁকি দিচ্ছিল। লেখক তো বটেই, তাঁর নামটিও ছিল আমার সম্পূর্ণ অপরিচিতি। তবু পড়তে শুরু করলাম ঐ নামের মোহেই। পড়ে আমি অভিভূত হলাম। গল্পে সবিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছি একজন সূক্ষ্মদর্শী শিল্পীর; একজন কুশলী স্রষ্টার পাকা হাত। বাঙলা সাহিত্যক্ষেত্রে এক সুনিপুণ শিল্পীর, এক দক্ষ রূপকারের এক প্রজ্ঞাবান দ্রষ্টার জন্মলগ্ন যেন অনুভব করলাম। জীবনের প্রাত্যহিকতার ও তুচ্ছতার মধ্যেই যে ভিন্নমুখী প্রকৃতি ও প্রবৃত্তির জটাজটিল জীবনকাব্য তার মাধুর্য, তার ঐশ্বর্য, তার গ্লানি, তার দুর্বলতা, তার বঞ্চনা ও বিড়ম্বনা, তার শূন্যতার যন্ত্রণা ও আনন্দিত স্বপ্ন নিয়ে কলেবরে ও বৈচিত্র্যে স্ফীত হতে থাকে, এত অল্প বয়সেও লেখক তাঁর চিন্তা-চেতনায় তা ধারণ করতে পেরেছেন দেখে মুগ্ধ ও বিস্মিত। বিচিত্র বৈষয়িক ও বহুমুখী মানবিক সম্পর্কের মধ্যেই যে জীবনের সামগ্রিক স্বরূপ নিহিত, সে উপলব্ধিও লেখকের রয়েছে। তাই এ গল্পের ক্ষুদ্র পরিসরে অনেক মানুষের ভিড়, বহুজনের বিদ্যুৎ-দীপ্তি এবং খন্ড খন্ড চিত্রের সমাবেশ ঘটেছে। আপাতনিস্তরঙ্গ ঘরোয়া জীবনের বহুমুখী সম্পর্কের বর্ণালি কিন্তু অসংলগ্ন ও বিচিত্র আলেখ্যর মাধ্যমে লেখক বহুতে ঐক্যের সুষমা দান করেছেন। তাঁর দক্ষতা ঐ নৈপুণ্যেই নিহিত। বিড়ম্বিত জীবনে প্রীতি ও করুণার আশ্বাসই সম্বল। হুমায়ূন আহমেদ বয়সে তরুণ, মনে প্রাচীন দ্রষ্টা, মেজাজে জীবন-রসিক, স্বভাবে রূপদর্শী, যোগ্যতায় দক্ষ রূপকার। ভবিষ্যতে তিনি বিশিষ্ট জীবনশিল্পী হবেন-এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করব। -----আহমদ শরীফ, ১৬/৬/১৯৭২ বর্তমান সংষ্করণের ভূমিকাঃ যখন হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশিত হয়, তখন আমি দৈনিক বাংলার একজন সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। বইটি পড়ে আমার এত ভালো লেগেছিল যে, স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমি আমার কলামে সেই বইয়ের একটি নাতিদীর্ঘ আলোচনা করি। সেদিনই আমার মনে হয়েছিল, আমাদের কথাসাহিত্যে একজন নতুন কথাশিল্পীর আবির্ভাব ঘটেছে। এরপর সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ অনেকগুলো উপন্যাস রচনা করেছেন এবং ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। জনপ্রিয়তা সম্পর্কে কারো কারো মনে সন্দেহের উদ্রেক হয় এবং কেউ কেউ বাঁকা উক্তিও করে ফেলেন। কিন্তু দেখা গেছে, অনেক উৎকৃষ্ট রচনাই অত্যন্ত জনপ্রিয়। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সস্তা চতুর্থপ্রেণীর লেখকদের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি, সন্দেহ নেই, বিশাল পাঠকগোষ্ঠী তৈরি করেছেন, যা সাহিত্যের পক্ষে উপকারী। এ কথা বলতে আমার বিন্দু মাত্র দ্বিধা নেই যে, তিনি ভবিষ্যতে আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে কিংবদন্তির মর্যাদা পাবেন। -----শামসুর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠ, ১৩ নভেম্বর ১৯৯৮ সার-সংক্ষেপঃ গল্পটি একটি পরিবারের। গল্পটি খোকার। গল্পটি শফিকের। তবে মূল গল্পটির রাবেয়ার। রাবেয়া একটি মেয়ে। এদেশের এক দরিদ্র ঘরের মেয়ে। যার জন্ম হয়েছে পৃথিবী নামক এক নন্দিত নরকে! বারেয়ার পরিবারে ছয় জন সদস্য। মা-বাবা, ছোট বোন, ছোট ভাই মন্টু আর রাবেয়ার বড় ভাই। আরও থাকত তার বাবার ছোট বেলার বন্ধু, পরে যাকে তাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদের মাস্টার কাকা শফিক। শফিক আনন্দমোহন কলেজে লেখাপড়া শেষে ঘটনাচক্র তার বন্ধু বারেয়ার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এখানেই সে দিনযাপন করে এবং রাবেয়ার ভাই বোনদের পড়ায়। একদিন রাবেয়াকে হঠাত বাসায় পাওয়া যায় না। অনেক খোঁজাখুজির পর যখন তাকে তার মাস্টার কাকা স্কুল থেকে ফেরার পথে নিয়ে আসল। বাবা মা হাফ ছেড়ে বাঁচলো এই অবুজ মেয়েটিকে পেয়ে। রাবেয়া ছিল কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্থ। কেউ তাঁকে ভাল কথা বললে যেমন সে হাসত। খারাপ কথা বললেও সে হাসতো। কি এক অসাধারণ সরল সেই মেয়ে! কিছুদিন পর হঠাত চা খাওয়ার পর রাবেয়া যখন ওয়াক ওয়াক বমি করলো তখন পরিবারের সবাই বুঝতে পারলো কেউ রাবেয়ার সর্বনাশ করেছে। তার দাদা ভাই মাঝে মাঝে নীরবে খুব গোপনে জিজ্ঞাস করে, “বারেয়া তোকে কি কেউ চুমু খেয়েছিল”। রাবেয়া লজ্জিত হয়ে বলে ছিঃ এটা কি কেউ খায় নাকি দাদা।?" অবশ্য মা আরও খোলামেলা ভাবে মেয়ে রাবেয়াকে জিজ্ঞাস করে ” রাবেয়া বল কেউ তোর কাপড় খুলেছিল কি না?? তোর সাথে কেউ শুয়েছিল কি না??” অসুস্থ রাবেয়া কিছুই মনে করতে পারে না। শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তারপর...... তারপর কি হলো তা জানার জন্য পড়তে হবে পুরো বইটি! পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ "নন্দিত নরকে" বড়দের বই। লেখা হয়েছে উত্তম পুরুষে। গল্পে পরিবারের বড় ছেলে খোকা লিখেছে তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে। আলোচ্য বইয়ে আসলে কোন চরিত্রকেই প্রধান চরিত্র বলা যায় না , এখানে যেন প্রধান হয়ে উঠেছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনসংগ্রাম , দুঃখ , কষ্ট , হাসি , কান্না, যৌনতা। একটা পরিবারে যখন কোন একজন সদস্যের কোন বিপদ হয় তখন গোটা পরিবারটিকে যে কি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় তার এক জলন্ত চিত্র ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে। বইটি আপদমস্তক আমার ভালো লেগেছে। হুমায়ুন আহমেদ স্যার গোটা উপন্যাসটি লিখেছেন এক অদ্ভুত রহস্য মন্ডিত করে। গল্পের শেষে পাঠকের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জাগে। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাওয়া যায় না। লেখক আলোচ্য গল্পে কোথাও এসব প্রশ্নের উত্তর খোলাশা করেন নি। আর এখানেই লেখকের সার্থকতা। তবে হ্যা। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, তাই ভুল ত্রুটি ছিল। ছিল সমস্যা লেখনিতেও। অন্তত আমরা যেই হুমায়ুনীয় লেখনশৈলীর সাথে পরিচিত, তার অনেকটা অভাব দেখা যায় এই বইয়ে। হাজার হোক, প্রথম উপন্যাস। তাই ভুল ত্রুটি থাকাই স্বাভাবিক। এবার আসি বইটির বাহ্যিক দিকে। বইটি অতি চিকণ ও ছোট। এটি একটি স্বল্প দৈঘ্য উপন্যাস। অনেক ক্ষেত্রে ছোট গল্পের দৈর্ঘ্যও এর চেয়ে বেশী হয়। হুমায়ূন আহমেদ সীমিত পরিসরেই উপন্যাসের আবহ তৈরি করতে পেরেছিলেন। প্রথম উপন্যাসেই হুমায়ূন আহমেদ ব্যাপক পাঠকের মুগ্ধ মনোযোগ আকর্ষণ সক্ষম হয়েছিলেন। আগেই বলেছি, বইটির প্রচ্ছদ পরিবর্তন হয়েছে ৩ বার। তবে শেষ প্রচ্ছদটি আমার বেশি ভালো লেগেছে। স্যারের বইয়ের বাঁধাই আর কাগজের মান নিয়ে কথা বলাটা হয়তো বোকামী হবে। তবুও বলছি, কাগজের মান ও ছাপা অসাধারণ পর্যায়ের। রেটিংঃ দুঃখিত! হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের রেটিং দেবার ক্ষমতা আমার নেই!

      By Abu Sayed Noyon

      24 May 2017 11:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের সাথে কোনো উপমা খুঁজে পাচ্ছি না! একটু আগে অনলাইন নিউজে দেখলাম, "সাত বছর ধর্ষন করার পর সাধু পুরুষ সাধন"। ঠিক এই শিরোনামের সাথে গল্পের হুবহু মিল রয়েছে। তবে মিলটা কোথায়? বা কিভাবে হলো? তা জানতে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত চোখ বুলাতে হবে। মধ্যবিত্ত পরিবারের চেয়ে নিম্ন পরিবার। কোনো রকমে সংসার চলে বাবার টাকায়। গল্প বলছেন 'হুমায়ুন'। পরিবারের বড় ছেলে। দুই বোন, রাবেয়া আর রূনু। রাবেয়া বড্ড পাগলাটে আর অস্বাভাবিক। সবাই বলে, সে একটা পাগল। পাশের বাড়ির নাহার ভাবির দেওয়া অভিযোগে বাবা যেই মার দিল রাবেয়াকে। অসহায় রাবেয়ার দাতে দাত চেপে মার খাওয়ার নির্মম দৃশ্য যখন পাঠকের সামনে ভেসে উঠবে, পাঠকের মন হয়তো আর্তনাদের চিৎকার দিয়ে উঠবে ক্ষণিকের জন্য! আর ছোট বোন রুনুর বয়স তের হবে। সে খুশি মনে স্কুলে যায়, আসে। মন্টু হুমায়ূনের ছোট ভাই। সে এখন বিবিএর ছাত্র! প্রচন্ড রকমের ফুটবল পাগল ছেলে। তাদের সবাইকে পড়ায় কাকা। কাকা বিয়ে করেনি। সারাদিন পার হয় অ্যস্ট্রলজির ব‌ই পড়েই কাটিয়ে দেয়! স্কুলের বেতন পেলেই একগাদা ব‌ই কিনে আনে। বলা যায়, কাকা একজন ব‌ইপোকা। সকল ছেলেমেয়েদের অনেক আদর, স্নেহ, মমতায় ভরিয়ে রাখে কাকা। সবাই কাকাকে প্রচন্ড ভালোবাসে! আর হুমায়ূন? পাশের বাড়ির শীলু কে হুমায়ুনের প্রচন্ড ভালো লাগে। কিন্তু কেউই জানেনা সেই আত্ম প্রেমের কথা! বলতে চাইলে, সে কাউকে জানাতে চায় না! কারণ, পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে একটা চাকরী নিয়ে পরিবারকে সুখে, শান্তিতে ভরে দিতে চায় সে! সে কি পারবে? পেরেছে?সাড়ে চারশ টাকা মাইনের বেতনের চাকুরী পেল হুমায়ুন। বাড়িতে খুশির আমেজ পরিপূর্ণ! কাকা মিষ্টি কিনে আনল এক গামলা। যে যেভাবে পারছে মিষ্টি খাচ্ছে! এতসব উৎসবের আমেজ ভাটা পড়ল রাবেয়ার সাথে ঘটা আকস্মিক এক ঘটনায়! বমি করল রাবেয়া। ডাক্তার বলছে, পেটে বাচ্চা! সবার চোখ বড় বড় হয়ে উঠছে! গরু জবাই করার সময়ের গরুর চোখ যেভাবে বের হয়ে উঠে ঠিক তেমনি! সবাই ভাবছে, রাবেয়ার অস্বাভাবিকতার সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির কেউ হয়তো এ সর্বনাশ করেছে। রক্ত পড়ছে রাবেয়ার মুখ দিয়ে! সবাই চুপ হয়ে আছে। বাবা বসে আছে খাটের কোনায়। ছোট বোন রুনু দাদা হুমায়ূনের সাথে লেপ্টে দাড়িয়ে আছে চোখে এক ফালি জল নিয়ে! কি হবে এই পরিবারের? সমাজ‌ই বা কি বলবে? সমাজের পশুটে, ঘৃণিত চোখের চাহনিতে কি বাবার মুখ নিচু হয়ে যাবে না? নাকি রাবেয়ার অস্বাভাবিকত্ব লেখকের গল্প পরিবর্তনের হাতিয়ার? গল্পের আকস্মিক পরিবর্তনের জন্য কেউই প্রস্তুত নয়! লেখকের কলম বোধহয় ভুলেই রাস্তা বিকিয়ে অন্য দিকে চলে গেছে! কি সেই পরিবর্তন? লেখকের কলমের ডগার ভাষা জানতে পুরো বইটি পড়তে হবে, মনযোগ দিয়ে।লেখকের প্রশংসা কিভাবে করব? শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা ব্যক্তির মুখের প্রশংসা শুনেই গল্পের মোহনীয়তা বুঝে গিয়েছিলাম খানিকটা। তবে গল্প যে হঠাৎ এমন মোড় নিবে তা ভাবিনি! ব‌ইটি ছোট হলেও অন্যরকম এক অনুভূতি আসবে পাঠকের মনে। রাবেয়ার অসহায়ত্ব যখধ কেহ নিজের চোখের সামনে কল্পনা করতে চেষ্টা করবেন তখন চোখের উপর অস্পষ্টতা ভেসে উঠবে! আর চোখের জল? সে তো হয়ে যাবে ঝর্নাধারা! শেষ করার পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের অজান্তেই যেন বললাম, "শেষ হ‌ইয়াও হ‌ইলনা শেষ"! আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনাকে। অসহায় রাবেয়ার অস্বাভাবিকতার শেষ দেখতে ব‌ইয়ের পাতায় চোখ বুলাতে পারেন আপনিও। আর ভীষন অস্বস্তিতে পরা পরিবারের সকলের চোখের ভাষা লেখকের মুখে শুনতে চাইলে আজ‌ই শুরু করতে পারেন, চমৎকার এই বইটি!

      By Tanzila Azad Mow

      22 May 2017 06:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই- অপরাহ্ণ লেখক- হুমায়ূন আহমেদ অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গে মনিরউদ্দিন এর। স্বপ্ন মনে না থাক্লেও তার মায়া মনিরউদ্দিন কে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল ঘুম ভাঙ্গার পরেও। একবার তাকায় পাশে শুয়ে থাকা কিশোরী বধূ শরিফা এর দিকে। স্বপ্নের তাড়না আর মায়ার ধুম্রজালকে মাথায় নিয়েই বিছানা ছাড়ে সে। ঘর থেকে বের হয়ে শুনতে পায় ট্রেন এর ঝিকঝিক শব্দ।সেই শব্দ ও তার মনে নতুন করে চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি করে। শব্দকে আরও ভাল মত শুনতে সে এগিয়ে যায় উঠোন পেড়িয়ে। আর তখনি ঘটে দুর্ঘটনা। সাপ মুহূর্তের মাঝে ছোবল দিয়ে যায় তার পায়ে। কিশোরী বধূ শরিফাকে ডাক দেয় সে। শরিফা বিছানা ছেড়ে এসে দেখে তার স্বামীর পায়ে সাপ কামর দিয়েছে। সব সময় স্বামীর কথা মন দিয়ে শুনলেও আজ নিজের মত করে নিজের বুদ্ধিতে সে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করে। মনিরউদ্দিন মাথায় সেই স্বপ্ন আর মায়ার ধুম্রজালে তখনও কিছুটা আচ্ছন্ন থাকে। সেই আচ্ছন্নতা তাকে তার ছেলেবেলা,তার সব চাইতে কাছের মানুষদের কথা মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় কত কস্টে সে এই সংসার গুছিয়ে ছিল। ঘর বেধে ছিল শরিফা এর সাথে। অভাবের সংসার এ বড় হওয়া তার ছোটো শালা কে ওয়াদা করা কচুয়া পাঞ্জাবী কিনে দেবার কথা। এটাই কি সারাজিবনের কৃত কর্মের নিমিষে পুনরাবৃত্তি হবার সময়??!! এটাই কি মৃত্যু পূর্ববর্তী সময়??!! এটাই কি তবে মৃত্যু??!! #উপলব্ধি- আমরা জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে কত রুপেই না জীবনকে সাজাই। আর তাতে শামিল হয় আমাদের আশে পাশের কত মানুষ।জানতে অজান্তে কত ভাবেই তাদের ক্রেডিট থাকে আমাদের জীবনে।আবার কত মানুষের ভরসা থাকে আমাদের উপর। একটুকু সুখ খুঁজে পাওয়া হয় এই ভরসার উপর। যতই মনমানিল্য হোক আর ভুল বোঝাবুঝি হোক দিন শেষে তখন আমরা একে অপরের সাহায্য এগিয়ে আসার, ভরসা দেবার চেষ্টা করি। দিন শেষে সব কিছুকে ধুয়ে মুছে সঠিক একটি সিদ্ধান্ত নেবার চেষ্টা করি। সে ক্ষেত্রে কি কোন পরিবর্তন হয়??!! আর তাই তো সেই বেলার নাম দেয়া হয়েছে অপরাহ্ণ। বিঃদ্রঃ-বই নিয়ে দ্বিতীয় রিভিউ আর এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রিভিউ। কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা রাখি। অপরাহ্ণ - হুমায়ূন আহমেদ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ, ক্যাটাগরিঃ সমকালীন উপন্যাস, মূল্যঃ 119, লিংকঃ www.rokomari.com/book/130 , সার সংক্ষেপঃ ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বেশ শক্ত বাতাস দিচ্ছে। ঠাণ্ডা কনকনে হাওয়া। হয়ত বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও। খবির হোসেন তাকিয়ে আছেন অন্তুর দিকে। অন্তু ছোট ছোট পা ফেলে এগুচ্ছে। যেন কেউ তাকে থামাতে পারবে না।ভূমিকা... ROKOMARI.COM

      By neloy ahmed

      09 Mar 2017 05:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      নন্দিত নরকে হুমায়ূন আহমেদ এর লিখা প্রথম উপন্যাস, যা অন্যান্য ভাষাতেও অনূদিত হয়েছে। অসাধারন উপন্যাসটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। টানাপোড়ার সংসার হলেও নিজেদের ছোট ভাবতে নারাজ মধ্যবিত্তরা।সর্বদা নিজেদের সম্মান ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা। অন্যের করুনা বা সাহায্য তো আরও সহ্য হয় না। উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র হুমায়ূন। হ্যা, লেখক তার প্রথম চরিত্রের নাম দিয়েছেন নিজের নাম এই। সে এবার এম.এস.সি ফাইনাল দিবে। আর দশটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের মতই তার অসীম স্বপ্ন। হে তার পরিবারের দুঃখ ঘোচাবে, তার বনের জন্য সুন্দর শাড়ি কিনবে। সেই স্বপ্নের মাঝে একদিন আসে আরেকটি স্বপ্ন। পাশের বাড়ির অনেকটা উচ্চবিত্ত পরিবারের শিলু। তাকে নিয়েও সে সপ্প দেখে, আপন মনে কথা বলে তার সাথে। আর একটি চরিত্র হচ্ছে রাবেয়া। বয়স ১৪ কিন্তু মানসিক বয়স বেশ কম। মানসিক ভারসাম্যহীন কিছুটা। মধ্যবিত্ত পরিবারে এরকম একটা মানুষকে নিয়ে টিকে থাকার কষ্ট ও ভালভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আরও আছে মাস্টার কাকা, বাবার স্কুলের বন্ধু। নিজের সংসার নেই, তাদের সংসার এর থাকে সে। আছে মন্টু।উপন্যাসটি লেখক শেষ করেন মন্টুকে নিয়ে একটি ট্র্যাজেডি দিয়ে। যারা পড়েননি তারা যাতে আরও উপভোগ করতে পারেন তাই ট্র্যাজেডি টা আর নাই বললাম। এভাবে ছোট বড় স্বপ্ন, কষ্ট, সীমাবদ্ধ্যতা, সফলতা, ট্র্যাজেডি নিয়ে গড়া একটি অসাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। প্রথম উপন্যাস হলেও স্যার এর একটি যুগান্তকারী সৃষ্টি এই উপন্যাসটি। রেটিং: স্যার এর সৃষ্টি এর রেটিং করার মত যোগ্যতা বা সাহস কোনটিই আমার হয় নি। সবশেষে, অসাধারন উপন্যাস এটি, যারা পড়েননি অবশ্যই পড়ে দেখবেন।

    • Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ নন্দিত নরকে লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনীঃ দিব্য প্রকাশ প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী, ২০০৫ (দিব্য প্রকাশ সংস্করণ) প্রচ্ছদঃ গোলাম মুস্তফা পৃষ্ঠাঃ ৬৪ মুদ্রিত মুল্যঃ ১০০৳ #রিভিউঃ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কালজয়ী উপন্যাস “নন্দিত নরকে”। এটি তার প্রথম উপন্যাস এবং বিখ্যাত ব্যক্তি ও পণ্ডিত ড. আহমদ শরীফ এর ভূমিকা লিখেন। যেখানে তিনি হুমায়ুনকে এই লেখার জন্যে জীবনশিল্পী বলে অভিহিত করেছেন। উপন্যাসটির অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। এই উপন্যাসে এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা ওঠে এসেছে। হুমায়ুন আহমেদ উত্তম পুরুষে গল্প বলে যান। তাঁর নাম খোকা। তাঁর পরিবারে আছে বাবা-মা, ভাই মন্টু, ছোটবোন রুনু, অপ্রকৃতস্থ এক বছরের বড় বোন রাবেয়া। আর আছে বাবার বন্ধু মাস্টার কাকা। খোকা এম.এস.সি পাশ করে চাকরির আশায় বসে আছে। সে ভালোবাসে তার পরিবারের সদস্যদের, আর ভালোবাসে শিলুকে। তার বোন রুনু যে কিনা গোপনে কবিতা লিখে। ভাই মন্টু যার কাছে ফুটবল খেলা নেশার মত। কিন্তু ইস্পাতের মত তার নার্ভ। তাদের অপ্রকৃতস্থ বোন রাবেয়া হঠাৎ একদিন হারিয়ে যায়। খুঁজে বের করে মাস্টার কাকা। কিছুদিন পরেই সন্তানসম্ভবা হয় রাবেয়া। হয়ত কাছের কেউ তার নিজের গোপন বাসনা মিটিয়েছে। কিন্তু রাবেয়া কিছুই বলতে পারে না। গভীর সঙ্কটের মুখে পরে পুরো পরিবার। মন্টু বটি দিয়ে খুন করে মাস্টার কাকা-কে। ফাঁসি হয় মন্টুর। কেন খুন করলো মন্টু? জানতে হলে অসাধারণ এই বইটি পরতে হবে। খুব সহজ ভাষায় লেখক গল্পটি বর্ণনা করেছেন। লেখকের সূক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা প্রমানিত হয় যে আসলেই “নন্দিত নরকে” একটি মাস্টারপিস!

      By murad

      18 Jun 2016 02:38 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূনের প্রায় লেখাতেই এই নিঃসঙ্গ, একা বিচিত্র মানুষটির সন্ধান পাওয়া যায়। যে কোন হুমায়ূন পাঠক উপলব্ধি করবেন নূরের বক্তব্যগুলোকে আমার মত করে যে চারটি বিন্দুতে আমি সাজিয়েছি সেগুলোই তাঁর সকল সাহিত্যের মূল সূর হিসেবে এখনও বর্তমান। এবং সূক্ষ্মদর্শী পাঠক লক্ষ করবেন ‘নন্দিত নরকে’ থেকেই হুমায়ূনের এমন যাত্রা। ২০০০-সালে প্রকাশিত ‘শুভ্র’ পর্যন্ত সে যাত্রায় প্রসারণ ঘটেছে, ঘটেছে ব্যাপ্তি, কিন্তু যাত্রাপথটি কমবেশি অপরিবর্তিত এমন কি তাঁর মিসির আলী বা হিমু সিরিজের বইগুলো এর অন্যথা নয় ।‘নন্দিত নরকে’-র গল্পটি ঢাকা শহরের সাধারণ মধ্যবিত্ত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। প্রথম পুরুষের বক্তা খোকার (প্রকৃত নাম হুমায়ূন) দৃষ্টিকোণ থেকেই উপন্যাসটির মানুষগুলো নির্মিত ও নির্ণিত। পাগল যুবতী বোন রাবেয়ার এক বছরের ছোট খোকা। পরিবারে মা-বাবা ছাড়াও আরো যারা আছে তারা হলো ভাই মন্টু ও তেরো বছরেরা ছোট বোন রুনু। ছোট বাসার এ সংসারটির কথা প্রথম থেকেই পাঠককে আকৃষ্ট করতে থাকে রাবেয়ার অপ্রকৃতিস্থ ভাবনা ও তার অপ্রকাশিত অশ্লীল কথাবার্তা। অশ্লীল কথাগুলো কিন্তু হুমায়ূন তাঁর প্রকাশিত প্রথম এ উপন্যাসটিতে প্রকাশ করেন নি যেমনটি তিনি আরও পরের উপন্যাসগুলোতে করেছেন। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা চলে, ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত ‘কবি’-র প্রধান চরিত্র আতাহর মনে মনে কিছু অশ্লীল চিন্তা করেছিল যা হুমায়ূন প্রকাশ করেছেন: ‘আতাহার মনে মনে বলল – ‘ফের বলি তোর পশ্চাদ্দেশ দিয়ে ঢুকিয়ে দেব শালা চালবাজ’ (পৃ. ৩৫-৩৬)। ‘নন্দিত নরকে’-র দ্বিতীয় পৃষ্ঠাতেই খোকার বাবা-মার রাত্রিকালীন কথাবার্তা ও আচরণের ইঙ্গিতও বাংলাদেশী উপন্যাস পাঠকের জন্য খানিকটা ভিন্নতা বৈকি। মধ্যবিত্ত এ পরিবারটির মানুষগুলোর দৈনিককার ভালোলাগা মন্দলাগা ভালোবাসাবাসির সবকিছু ইঙ্গিতে ইঙ্গিতে বা কখনও কখনও সামান্য বর্ণনা নিয়ে যখন উপস্থিত হতে থাকে তথন সাধারণ পাঠকের ভাল লাগে কেননা ঐ রকম একটি প্রতিশোধের অংশীদার তো পাঠক নিজেও।

      By azhar mahmud

      14 Oct 2020 01:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘নন্দিত নরকে' বইটি শেষ করলাম। শেষের দিকে যতই এগিয়ে যাচ্ছি ততই চোখের কোণে জল জমছে। হয়তো আমি অতিরিক্ত আবেগি। তবে উপন্যাসের কাহিনীটা হৃদয়ে লেগেছে। একটি পরিবারের গল্প কি সুন্দর ভাবে প্রকাশ করলেন প্রিয় লেখক। শেষ পৃষ্ঠায় এসে মনে হলো আরও কয়েকশো পৃষ্ঠা চাইলে লেখা যেতে পারতো। বইটি শেষ হলেও এরপরের গল্পটা জানার জন্য বেশ আগ্রহ হচ্ছে। এটাই বোধহয় হুমায়ূন আহমেদের যাদু। শেষ করেও তিনি শেষ করেন না। এখন আমার জানতে ইচ্ছে করছে গল্পের হুমায়ূন কাকে বিয়ে করেছে? মন্টু কেন মাস্টার কাকাকে মেরে ফেলেছে? রাবেয়ার সাথে কে নোংরা কাজ করেছে? এখন রুনুরা কেমন আছেন? শীলুরা এখন কোথায়? শীলুও কি হুমায়ূনকে ভালোবাসে? আরও কত কত প্রশ্ন যে মাথায় ঘুরছে।

      By Golam Murtoza Ali

      30 Oct 2019 01:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটা অনেকেই আগে পড়ে ফেলেছেন জানা কথা। কিন্তু পরে পড়েও আমার অনেক ভালো লেগেছে। চমৎকার দুই ঘন্টা সময় কেটেছে হুমায়ূন সাহিত্য নিয়ে। বইটা পড়ে মন খারাপ হয়েছে বলাই বাহুল্য। নিম্নমধ্যবিত্ত প্লটে হুমায়ূন আহমেদ বেশিরভাগ উপন্যাস লিখেছেন কিন্তু প্রতিটাই আলাদা কাহিনি আর গল্পে নিজস্বতা ধরে রেখেছে। রাবেয়ার পরিণতিতে খারাপ লেগেছে। বইয়ের একটা চরিত্রের উপর খুব রাগ লেগেছে আর বাকিদের কথা নাইবা বললাম! পরিশেষে একটা কথাই বলব, প্রবল বেদনার মাঝেও সূক্ষ্ম ভালোলাগার আবেশ ছিল। আর একটা ব্যাপার বুঝলাম, কিছু মানুষ কখনোই মুখে ভালোবাসি বলে না, তাঁরা সময় সুযোগ পেলেই তা প্রমাণ করে দেয়। পড়ে মনেই হয়নি এটা হুমায়ূন আহমেদের প্রথম লেখা উপন্যাস ছিল! হ্যাপি রিডিং।

      By Mohsin

      11 Oct 2019 08:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ছোট একটি উপন্যাস তবে ভালো লেগেছে। অনেকটা করুণ,কান্না আসার মত।

      By Alamgir Hossan

      19 May 2021 08:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      i have nothing to say about Humayun sirs book....just buy it.

      By Mahbuba Supti

      22 May 2017 06:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "নন্দিত নরকে" বইটি মূলতঃ এক নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের কাহিনী। এই মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে হুমায়ূন যার ডাকনাম খোকা। যে এবার এমএসসি পরীক্ষা দিবে। তার ছোট বোন রাবেয়া, রুনু, ছোট ভাই মন্টু। আছে এই সংসারে বাবা, মা আর মাষ্টার কাকা। তবে এই মাষ্টার কাকা এ পরিবারের কেউ না। তবে তিনি বাইরের লোক হলেও এ পরিবারের সাথে এতোটাই ঘনিষ্ট যে কেউ তাকে দেখলে বুঝতেই পারবে না। এমনকি খোকা নিজেও ছোটবেলায় ভাবত তার বাবারই আপন ভাই হবে মাষ্টার কাকা। রাবেয়া হুমায়ূনের বড় বোন। তার মাথায় একটু সমস্যা আছে। কিন্তু টাকাপয়সার অভাবে বোনটাকে ভালো চিকিৎসা করাতে পারে না। রাবেয়া মেয়েটি সারাক্ষণ বাইরে ঘুরে বেড়ায়। কিছুটা উন্মাদ প্রকৃতির মেয়েটি। ছোট বোন রুনু। বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে তার বড় ভাই খোকাকে ভীষণ ভালবাসে। তার খেলার সাথী পাশের বাসার শিলু। শিলুরা ভীষণ বড়লোক। শিলুই তার পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। আর এই শিলুকেই খোকা মনে মনে পচ্ছন্দ করে। মন্টু খোকার ছোট ভাই। মাষ্টার কাকা ভাগ্য গণনা করতে পারেন। মন্টুর জন্মের ভাগ্য গণনা করে বলেছিলেন, মন্টু খুব সাহসী, বদমেজাজি এবং প্রেমিক পুরুষ।এই মাষ্টার কাকা আর মন্টু একসাথে রাতে ঘুমায়। মাষ্টার কাকা এখনো বিয়ে করেনি। হয়তো আর করবেনও না। এই পরিবারের ভীষণ বদরাগী হলেন বাবা। তাকে পরিবারের সবাই খুব ভয় পায়। আর মা হলেম সবচেয়ে সহজ-সরল একজন মানুষ। এ পরিবারে আরেকজন সদস্য ছিল। একটি কুকুরছানা। নাম পলা। মন্টু কুকুরছানাকে নিয়ে আসলেও রাবেয়া মন্টুর থেকে কিনে নেয়। রুনুর বান্ধবী শিলুর বড় ভাই হারুন রাবেয়াকে পচ্ছন্দ করে ফেলে এবং সে এটাও ঠিক করে রাবেয়াকে বিয়ে করবে। কিন্তু শিলুর মা রাবেয়ার থেকে বাচানোর জন্য হারুনকে নাহার নামের একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন। এভাবেই চলে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হটাৎ একদিন রাবেয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাষ্টার কাকা সকালবেলা শহর থেকে বড় ডাক্তার আনেন। কাকা বাড়িতে আসার পরপরই মন্টু মাছ কাটার বটি দিয়ে কাকাকে কোপ মারে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় মন্টুকে। তারপর? তারপরের কাহিনী লুকিয়ে আছে "নন্দিত নরক" বইটিতে। পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন স্যারের এই বইটিতে ফুটে উঠেছে এক নিম্ন মধ্যবিত্তের সংসারের প্রতিচ্ছবি। যেখানে আছে সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন সবকিছুই। বইটি পড়ার সময় চোখের কোনে আপনাআপনি ভিজে উঠে। বইয়ের প্রতিটা মুহূর্তই চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে যায়। খুব প্রিয় এবং অসাধারণ এই বইয়ের রেটিং করার দুঃসাহস আমি করতে পারলাম না। ভালো লাগার লাইন: মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতি শুরু হয় ছেলেদেরও আগে। তারা তাদের কচি চোখেও পৃথিবীর নোংরামি দেখতে পায়। সে নোংরামির বড় শিকার তারাই। তাই প্রকৃতি তাদের কাছে অন্ধকারের খবর পাঠায় অনেক আগেই।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!