User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good book.
Was this review helpful to you?
or
মজার একটি বই
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুবই মজার। প্রত্যেকটা গল্পেই হেসেছি???
Was this review helpful to you?
or
বইঃ আধ ডজন স্কুল লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এই গল্পে জাফর ইকবাল তার ছেলেবেলার কথা বলেছে। বাবার বদলির কল্যানে নানান জায়গায় যাওয়া এবং সেখানকার স্কুল এ পড়ার স্মৃতি ফুটে উঠেছে বইটিতে। নতুন নতুন বন্ধু, পড়াশোনা থেকে পালানোর অভিনব উপায়, নানান মজার ঘটনা পাওয়া যাবে বইটিতে। বগলে রসুন দিয়ে জ্বর বানানো, স্যারদের পানিশমেন্ট সবই আপনার শৈশবকে মনে করিয়ে দিবে।ছয়টি স্কুলে পড়া,সেখানকার স্যারদের কথা আপনাকে আপনার প্রিয় স্যারের কথা মনে করিয়ে দিবে।বইটির নানা দুষটুমি আপনার দুষটু ভার্সনকে মনে করিয়ে দিবে।
Was this review helpful to you?
or
পড়ে শেষ করলাম.... ? বইঃ- আধ ডজন স্কুল লেখকঃ- মুহম্মদ জাফর ইকবাল কারো জীবনি পড়তে আমার ভালো লাগে না কিন্তুু সেটা যদি হয় হুমায়ূন আহমেদের তবে বলবো জীবনি পড়তে বেশ ভালো লাগে। হুমায়ূন আহমেদের জীবনি গুলো যদি ভালো হয় তবে ছোট ভাই জাফর ইকবালের জীবনি গুলোও ভালোই হবে। তাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের স্কুল জীবনের স্মৃতি নিয়ে লেখা 'আধ ডজন স্কুল' বইটি নিয়ে বসা। পড়তে বসে বুঝতে পারলাম হুমায়ূন আহমেদের মতো জাফর ইকবালের জীবনি গুলো অসাধারণ। পড়তে গিয়ে একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল সেটা হলো আসলেই কী এমন হয়েছে তার জীবনে? না রং মাখিয়ে মিথ্যা গল্প বলে গেছে? এত সুন্দরই কী হয় মানুষের ছেলে বেলা? আমার হয়নি তো কি অন্যের ছেলে বেলা সুন্দর হতেই পারে। আসলে আমার ছেলে বেলাটা এতটাও আনন্দের ছিল না। তাই অন্যের মধুর ছেলেবেলা দেখলে আমার ইকটু হিংসা হয়। সেই যাইহোক যদি কেউ ছেলে বেলায় ফিরে যেতে চান তবে বইটি পড়তেই পারেন। এই বইতে অনেক গুলো ছোট গল্প আছে। প্রায় প্রতিটি গল্পই হাস্য রসে ভরপুর।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারী_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #রিভিউ_৫ (আগস্ট রিভিউ -১৪) প্রখ্যাত লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর এক লেখায় বলেছেন, "মানুষের শৈশব আর তার স্কুলজীবনের খুঁটিনাটি স্মৃতি মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে তার সমগ্র জীবনের চাইতে বেশী মনোরম আর উপাদেয়। " এই কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করার জন্যে একজনকেও পাওয়া যাবে না যার কাছে শৈশব আর স্কুলজীবনের স্মৃতি নিরানন্দ। টিনএজ বয়সীদের কাছে জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ' আধ ডজন স্কুল' এ তিনি তাঁর শৈশব আর স্কুলজীবনের সেইসব অনাবিল, ঐশ্বর্যময় দিনগুলোর কথা তাঁর সহজ- সরল, বোকা - বোকা কথামালার মাধ্যমে আমাদের সামনে উপস্থিত করেছেন। পুরো বইতেই তাঁর জীবনের টুকরো টুকরো স্মৃতি যা আনন্দ, ভয়, বেদনায় মেশানো বিভিন্ন হেডিং এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। শৈশব হয় একজন মানুষ ভবিষ্যৎ এ কি হবে তার প্রথম সোপান। তাই জাফর স্যার বইয়ের শুরুতে প্রথমেই জানাচ্ছেন, " কখন কি করতে হবে বা কখন কি বলতে হবে আমি কিছুতেই ঠিক করতে পারতাম না। তাই কথা বলতাম খুব কম কাজ করতাম আরো কম।" এই যে প্রথমেই তাঁর বোকা- বোকা সরল উক্তি এই বোকা ভাবের কারণেই তিনি স্কুলজীবনের পুরোটা সময়ই কখনো দুষ্টুমি করে পাড় পেয়ে গেছেন কখনো বোকা ভাবের কারণে বড় বিপদের হাত থেকেও বেঁচে গেছেন। স্যারের বাবার পুলিশে চাকরির সুবাদে তাকে নানা সময়ে নানা স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছে। যার শুরুটা হয়েছিল সিলেটের প্রাইমারী স্কুলে আর শেষ বগুড়ার জিলা স্কুলে। বাঙালী সমাজে যেহেতু পরিবারগুলোতে কাজের লোক রাখার চল থাকে তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেই পরিবারের ছেলে- মেয়েরা বাবা- মায়ের কাছে গৎবাঁধা শিক্ষার বাইরে আজব বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে বাড়ীর সেই কাজের ছেলে/ মেয়েটার কাছে। তখন সেই কাজের মানুষটাই হয়ে উঠে তাদের প্রথম শিক্ষক বাবা- মায়ের বাইরে। জাফর স্যারেরও প্রথম শিক্ষক ছিল তাদের বাসার কাজের ছেলে রফিক। যার থেকে তিনি শিখেছিলেন মাকড়শার পেট থেকে সুতা বের করা, রক্তচোষা দেখলে কিভাবে তারা রক্ত টানতে না পাড়ে। মোটকথা স্কুলে ভর্তির আগেই শিশুসুলভ দুষ্টুমির কিছুটা শিক্ষা রফিকের মাধ্যমে তাঁর হয়েছিল। এরপর স্কুলে ভর্তি হলে সেখানে তাঁর সাথে ঘটে আরো মজার আর অদ্ভুত সব ঘটনা। একটা ঘটনা, ' স্যারের প্রাইমারী স্কুলের নিয়ম ছিল স্কুল ছুটির দিন সবাই স্যারের গলায় ফুলের মালা পরাবে কিন্তু স্যার ফুল না পাওয়ায় তার বাবা তাকে বিস্কুটের মালা তৈরি করে দিলে সে স্যারের গলায় মালা পরানোরত ছাত্রদের হুড়োহুড়ির ভিতরে দূর থেকে বিস্কুটের মালা ছুড়ে দিলে সেটা স্যারের কানে ঝুলতে থাকে। শেষে স্যার যখন বুঝে কেউ বিস্কুটের মালা দিয়েছে তখন বিস্কুট খেতে খেতে কে মালা দিয়েছে জানতে চাইলে লাজুক স্যার তার মুখ লুকিয়ে ফেলে। ' আরেকটা ঘটনা, স্যার যখম বান্দরবনে ক্লাশ টু'তে পড়ে তখন তাদের মগ ড্রইং টিচার তাদের বেগুন আঁকতে বলে যিনি বাচ্চাদের কিছুই শিখান না খালি আঁকতে বলেন। বেঁগুন এঁকে স্যার সবার চেয়ে বেশী ১২০০ নাম্বার পেয়ে আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠেছিলেন'। এমনিভাবে রসুন দিয়ে গায়ে জ্বর তোলা, পরীক্ষার খাতায় কোকাকোলার বোতলের ছবি আঁকা, প্রথম বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লেখা, ব্যাঙের ছাতা খোঁজা, চিকেন পক্স হওয়ার পড়ে উপহার না পাওয়ার দুক্ষ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখা ঘটনাগুলো পড়তে পড়তে কখনো হাসিতে গড়াগড়ি খেয়েছি আবার কখনো স্যারের নির্বুদ্ধিতার কারণে মনে মায়াও জন্মিয়েছে। বইটা পাঠ করতে করতে এই যুবক বয়সে এসেও মন যেন কখন আর আজন্ম স্পর্শ না করতে পাড়া শৈশব আর স্কুলজীবনের অম্লমধুর ঘটনার কথা মনের দরজায় কড়া নেড়ে যাচ্ছিল তা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছিলাম। যারা স্কুলজীবন পাড় করে এসেছেন তাদের জন্য এ বই স্মৃতি রোমন্থনের এক দলিল আর যারা এখনো স্কুলে পড়ছ তাদের কিভাবে আরো স্কুলজীবন হাস্যপরিহাসে ভরিয়ে তুলা যায় তার প্রচেষ্টার প্রয়াস। #বইয়ের_নাম : আধ ডজন স্কুল লেখক : মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Was this review helpful to you?
or
স্যার জাফর ইকবাল এর কথা আর কি বলব? এক অসাধারন লেখক। কি সুন্দর লেখুনীগাঁথা। তার বইগুলো সত্যিই পড়তে অনেক ভাল লাগে।আমি ছোটবেলা থেকেই স্যারের বইগুলোর ব্যাপক ভক্ত।স্যারের লেখা “ আধ ডজন স্কুল” বইটি পড়লাম । স্যারের এই স্মৃতিচারণ মুলক বইটি পড়ে আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে যায়।ইস কত্ত মজার জীবনটা ছিল। স্যার তার স্কুল জীবনের ইতিকথা গুলো বেশ ভাল করেই ফুটিয়ে তুলেছেন বইটিতে । স্যারের স্কুল জীবনের মজার স্মৃতিগুলো পাঠকদের কাছে বেশ সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। স্যারের বাবা সরকারী চাকুরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টিং পড়তো। যার ফলে প্রতি বছরের স্যার জাফর ইকবালের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া লাগত ফলে প্রায় প্রতি বছরেরই স্কুল পরিবর্তন করা লাগত। আর এই বইটি জুড়ে লেখক বিভিন্ন স্কুলের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন কাহিনী তুলে ধরেছেন।সাথে বিভিন্ন বন্ধুবান্ধবদের সাথে দুষ্টমি মজা আর বাঁদরামির বেশ কিছু ঘটনাও শেয়ার করেছেন।বিভিন্ন শিক্ষিকার কথা স্কুলে বিভিন্ন আনন্দ বেদনার কথাও তুলে ধরেন লেখক। প্রায় ৩০টির মত ঘটনা তিনি এই বইটিতে বণর্না করেছেন। স্যারের স্মৃতিচারণ গুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভাল লেগেছে। স্যার জাফর ইকবাল ছোট বেলায় কেমন ছিলেন বা কেমন পরিবেশের সাথে গড়ে উঠেছেন এই বইটি পড়ে বুঝতে পারবেন।পাঠক একজন সফল মানুষের স্মৃতিচারণা পড়তে কার না কার ভাল লাগে আশাকরি স্যার জাফর ইকবালের এই স্মৃতিচারণা বইটি ও আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। যারা জাফর ইকবালের ভক্ত তাদের কাছে তো কোন কথায় নেই এছাড়া সব ধরনের পাঠকদেরই ভাল লাগার খোড়াক হবে।তাই মিস না করে পড়ে ফেলেন।
Was this review helpful to you?
or
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের লেখা 'আধ ডজন স্কুল' এর নামে আধ ডজন কথাটা কেন আসল, পুরো এক ডজন কেন এল না সেই ব্যাখ্যা কিন্তু আমার অজানা! এই বইটি পড়ার আগে শুধু নাম দেখে ভেবেছিলাম এটা হয়ত স্যারের সমগ্র টাইপের কোন বই হবে যেখানে স্কুলবয়সীদের নিয়ে তাঁর লেখা আধ ডজন উপন্যাস থাকবে। কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে প্রথমেই সে ভুল ভেঙেছে। 'আধ ডজন স্কুল' কোন গল্পের বা উপন্যাসের বই না। এটি মূলত স্যারের আত্মজৈবনিক রচনা যেখানে তিনি তার ছেলেবেলার কথা তুলে ধরেছেন। সেদিক থেকে ধরতে গেলে এই বইটিকে হুমায়ুন আহমেদের 'আমার ছেলেবেলা' বইটির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। কিন্তু আলোচ্য বইটির একটি প্রধান বিশেষত্ব হল, এই বইয়ে উল্লেখিত সিংহভাগ ঘটনাতেই স্যারের স্কুলজীবনের স্মৃতি উঁকি দিয়ে গেছে। হয়ত সেকারণেই বইটির নাম রাখা হয়েছে 'আধ ডজন স্কুল।' এই বইয়ের শেষে উল্লেখিত একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন স্যার যা থেকে জানা যায়, আমেরিকায় থাকতে এক স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাকে তিনি তার স্কুলজীবনের মজার মজার গল্পগুলো বলতেন যা শুনে বাচ্চাটি বলত, 'ইশ! কি মজাই না হত তোমাদের স্কুলে! আমি যদি কোথাও পেতাম তোমাদের মত একটা স্কুল।' একটা বাচ্চার মুখে তাঁর বাংলাদেশের স্কুল সম্পর্কে উচ্ছ্বাসই হয়ত স্যারকে অনুপ্রাণিত করেছে নিজের স্কুল জীবনের মজার মজার স্মৃতিগুলো পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে। তো, এমনই আনুমানিক ত্রিশটার মত আলাদা আলাদা ঘটনার বর্ণনা আছে এই বইতে। শুরুটা হয়েছে স্যারের একদম বাচ্চা বয়সের কথা দিয়ে, যখন তিনি মাত্র তিন বছর বয়সী এবং তখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেন নাই। তখন থেকেই নাকি তিনি কি ভীষণ 'বোকা' ছিলেন, সেই স্বীকারোক্তি দিয়ে এই বইয়ে স্যারের আত্মকথনের প্রারম্ভ। এরপর একে একে এসেছে বাচ্চা বয়সে না বুঝে করা অপরাধগুলোর কথা, এক মামার কথা (এই মামার কথা হুমায়ুন আহমেদ ও মুহাম্মদ জাফর ইকবালের অনেক লেখাতেই ঘুরে ফিরে এসেছে), প্রথম স্কুলে যাবার কথা, স্কুলে প্রথম পিটুনি খাবার কথা, স্কুলে প্রথম প্রথম তিনি কতটা লাজুক ছিলেন সেই কথা, আস্তে আস্তে স্কুলের অন্য বন্ধুদের সাথে 'বাঁদরামি'তে হাত পাকানোর কথা, বাবার বদলি চাকরির কারণে কদিন পর পর বাসস্থান এবং সেই কারণে স্কুলও বদলানোর কথা, বিভিন্ন স্কুলের অনেক বিচিত্র স্বভাবের শিক্ষক শিক্ষিকার কথাসহ স্কুল জীবনের অনেক আনন্দ-বেদনার স্মৃতি এই বইতে চারণ করেছেন লেখক। পাঠক এই বইয়ের প্রতিটি ঘটনা পড়তে পড়তে হারিয়ে যাবে নিজেদেরই শৈশবের স্কুলজীবনে আর অবাক হয়ে ভাববে, স্যারের ছোটবেলার স্কুলজীবনের স্মৃতির সাথে তাদের নিজস্ব স্মৃতির যে অসম্ভব রকমের মিল। আসলে প্রতিটা মানুষের জন্যই তাদের স্কুলজীবনের স্মৃতি অনেক বেশি স্পেশাল। স্যারের কাছেও সেটি অবশ্যই স্পেশাল ছিল এবং সেইসব স্পেশাল স্মৃতিগুলোকেই তিনি নিজের লেখনীগুণে এত বেশি উপভোগ্য করে উপস্থাপন করেছেন যে এই বইয়ের প্রতিটি ঘটনাই শেষ পর্যন্ত পাঠকের সামনে 'স্পেশাল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি' হয়ে উঠবে!