User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ছোট্ট শহর ওরাও। সব কিছু আর দশটা সাধারন শহরের মতই চলছিল। একদিন শহরের উদয় হল ইঁদুরের । অসুস্থ ইঁদুর! এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছে । মরে পড়ে থাকছে! সমস্ত শহর যেন ইঁদুরের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ছ’হাজার-আট হাজার এভাবে করে বাড়ছে ইঁদুরের সংখ্যা কিংবা মরা ইঁদুর এর সংখ্যা। অন্যদিকে সমস্ত শহর জুড়ে আতঙ্ক ! ধীরে ধীরে শহরের মানুষেরা আক্রান্ত হল প্লেগ রোগে। মিশেল নামের দারোয়ান মারাই গেলই প্লেগ এ। অন্যদিকে র্যাবেয়া নামের সাংবাদিক বেশ নাক গলানো শুরু করল। এদিকে ডাক্তার রিও র বন্ধুপ্রতীম গ্রাদ এর প্রতিবেশি কর্টাড আত্মহত্যার চেস্টা করল। কিছুটা পাগলাটে ধরনের এই লোক এর আত্মহত্যা চেষ্টার কারন কি? এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়ার জন্য বন্ধ হয়ে গেল শহরের প্রধান ফটক। বাইরে থেকে কেউ না আসতে পারছে, না যেতে! প্রিয় মানুষদের সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম ফোন বুথ আর টেলিগ্রাম। খুব সাবধানে প্রতিষেধক সিরাম এল আর জবাব এল স্টক শেষ হবার কারনে, আবার চলছে সিরাম তৈরির কাজ । এসবের মধ্যে একদিন কমে এল মৃত্যুর হার! কিন্তু একি? আবার প্লেগের কারনে মারা পড়ছে মানুষ! এসবের শেষ কোথায়? প্লেগ থেকে কি সেই শহর বেঁচে ছিল? প্রতিক্রিয়াঃ প্লেগ বা কলেরা একসময় দুনিয়াতে বেশ রাজত্ব করে নিয়েছে। হাজার হাজার গ্রাম উজার হয়ে গিয়েছে। যারা পাঠক তাঁদের কাছে ভালোই লাগবে বইটি। তবে পুরো গল্প শেষ করলে বুঝতে পারবেন আসলে গল্পটি প্রতীকী। অন্তত আমার কাছে প্রতীকী বলেই মনে হয়েছে। প্লেগের মতই অনেক ঝড়-ঝঞ্জা আমাদের জীবনে আসে আবার মিলিয়ে যায়। আবার আসে আবার মিলে যায়, এভাবেই চক্রাকারে ঘুরতে থাকে জীবন। সেভাবেই কেউ বেঁচে থাকতে পারে প্লেগের সাথে যুদ্ধে আবার কেউ বা হারিয়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
মানুষের জীবনকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল আলবেয়ার কাম্যুর।জীবনের সূক্ষ্ম অনুভতিগুলোকে কলমের নিপুন আঁচড়ে দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। "দি প্লেগ" গ্রন্থটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা বললেও অত্যুক্তি হবেনা।প্রাচীনকালে প্লেগ ছিল এক আতঙ্কের নাম।বহু সমৃদ্ধ জনপদ এই মহামারীর আক্রমনে উজাড় হয়ে যেত।তেমনি একটি শহরকে নিয়েই উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে। মূলত ইঁদুরের মাধ্যমে এই রোগ বিস্তার করে।আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দ্রুত মৃত্যুমুখে পতিত হয়।প্লেগের বিস্তার রোধের জন্য শহরটির বাইরে যাওয়া বা বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করা পুরোপুরি বন্ধকরে দেওয়া হয়। এই চরম পরিস্থিতিতে পতিত একদল মানুষের বেঁচে থাকার তীব্র সংগ্রাম কাহিনীই হল দি প্লেগ।তারা স্বপ্ন দেখে যে একদিন আবার সব আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।তারা মিলিত হতে পারবে শহরের বাইরে অবস্থানকারী তাদের পরিজনদের সাথে। সংকটের মুহূর্তে জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে কিছু মানুষ কিভাবে আর্তমানবতার সেবায় ঝাপিয় পড়ে তা লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। বহু শ্রম আর ত্যাগের পর শহরটিকে প্লেগমুক্ত হিসেবে ঘোষনা করা হয়;তুলে নেওয়া হয় শহরে প্রবেশ ও শহর ত্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা।মানুষ আবার তাদের প্রিয়জনের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ততদিনে অনেক মানুষ প্লেগের করাল গ্রাসে পতিত হয়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছে। কোনো রোগ মহামারীর আকার ধারন করলে মানুষ যে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তার এক প্রাঞ্জল বিবরণ হল দি প্লেগ।মৃত্যু আর মানবতার এরূপ মিলবন্ধন বিশ্বসাহিত্যে খুব কমই আছে।