User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুবই বিরক্তিকর একটা বই।লেখক অহেতুক কাহিনী প্যাঁচানো পছন্দ করে হয়তোবা।এই বই নাকি দ্য ভিঞ্চি কোডের সাথে তুলনীয়,এটা বাতিঘর প্রকাশনীর সবচেয়ে খারাপ বইগুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
AWSOME
Was this review helpful to you?
or
Good book. Nice story
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_আগস্ট_২০১৯ বইয়ের নাম: দ্য এইট; লেখক: ক্যাথরিন নেভিল; প্রকাশক: বাতিঘর প্রকাশনী; ধরন: থ্রিলার বইটির ব্যাককভারে লেখা আছে,“দ্য দা ভিঞ্চি কোড পড়ে যেসব পাঠক রোমাঞ্চিত হয়েছেন বহুস্তরবিশিষ্ট সিক্রেটের দ্য এইট পড়ে আরেকবার মুগ্ধ হবেন তারা”। বইটি পড়তে পড়তে বারবার আমি এই কথাটার সার্থকতা উপলব্ধি করেছি।সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি।কাহিনী যত এগিয়েছে এই মুগ্ধতা বেড়েছে,বিন্দুমাত্র কমেনি। বাস্তবিকই বহুস্তরবিশিষ্ট কাহিনী বলতে যা বোঝায় দ্য এইট তাই।বইটিতে মূলত বর্ণিত হয়েছে দুই সময়ের দুটি কাহিনী যা বইয়ের শেষে এসে মিলিত হয়েছে এক বিন্দুতে।দুটো কাহিনীই সমান্তরালভাবে চলেছে।একটি কাহিনীর শুরু ১৭৯০ সালে,অন্যটির ১৯৭২ সালে।এই দুই সময়ের দুই কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে দুই নারী।১৭৯০ সালে শুরু হওয়া কাহিনীতে মিরিয়ে,আর ১৯৭২ সালের কাহিনীতে ক্যাথারিন।মূলত তাদের ঘিরেই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।আর এই ভিন্ন সময়ের ভিন্ন চরিত্রের দুই নারীকে সংযুক্ত করেছে একটি অভিন্ন জিনিস,একটি দাবাবোর্ড।শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড যার মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছর আগের এক শক্তিশালী এবং বিপদজনক সিক্রেট ফর্মুলা। এই সিক্রেট ফর্মুলা জানার জন্য হাজার হাজার বছরে চেষ্টা করেছে হাজার হাজার মানুষ।যাদের মধ্যে রয়েছে নেপোলিয়ন,নিউটন,পিথাগোরাস,ক্যাথারিন দি গ্রেট,রিশেলু,রুশো,ভলতিয়ার সহ আরও অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি।এই ফর্মুলা জানতে হলে পেতে হবে সেই দাবাবোর্ড আর তার ঘুঁটি। ১৭৯০ সাল— এই কাহিনী শুরু হয় মন্তগ্লেইন অ্যাবি থেকে যেখানে নান হবার অপেক্ষায় আছে দুই এতিম খালাত বোন ভ্যালেণ্টাইন এবং মিরিয়ে।সেসময় বসন্তকাল চলছে।হঠাৎ অ্যাবিস অ্যাবির সব নানকে ডেকে পাঠায়।তাদের তিনি জানান তাদের এখানে মাটির নিচে আছে শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড।এই দাবাবোর্ডের গোপনীয়তা তখন হুমকির মুখে।তিনি তাই সিদ্ধান্ত নিলেন দাবাবোর্ডটি মাটি থেকে তুলবেন।তারপর তার সব ঘুঁটি ছড়িয়ে দিবেন বিভিন্ন জায়গায়।নানদের উপর দায়িত্ব পড়ে কাজটি করার।তাদের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে এগুলোকে। ১৯৭২ সাল— ২৩ বছর বয়সী ক্যাথারিন ভেলিস।সে কম্পিউটার,গণিত ও সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ।সে না চাইলেও জড়িয়ে পড়ে এই দাবাবোর্ড আর তার রহস্যের সাথে।সে কাজ করে একটি সিপিএ ফার্মে,যেখানে সে প্রথম নারী হিসেবে নিযুক্ত হবার সম্মানে সম্মানিত।কাজের সুত্রে তাকে যেতে হয় আলজেরিয়ায় যেখানে রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি। দ্য এইট এর লেখিকা ক্যাথারিন নেভিল।ভাবতে অবাক লাগে তিনি কিভাবে এত জটিল একটা প্লটের বই লিখলেন।উভয় কাহিনীতেই রয়েছে অসংখ্য চরিত্র যেখানে একই সাথে ঘটে চলেছে অসংখ্য ঘটনা।সেসব ঘটনা আর চরিত্রের হিসেব রাখতে আমিই পড়তে গিয়ে হিমশিম খেয়েছি।তিনি সেখানে কিভাবে সব হিসেব রেখে লিখলেন!উভয় কাহিনীতে দেখা যায় দুটি দল খেলছে যেখানে একদল ভাল,একদল খারাপ।আর দুটি দলের মানুষ সেখানে ঘুঁটি।হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এই খেলা,যে খেলা ঘিরে রচিত হয়েছে অজস্র ষড়যন্ত্র।মিরিয়ে আর ক্যাথারিন উভয়ই প্রথমে মনে করে তারা এই খেলায় সামান্য সৈনিক।পরবর্তীতে তারা আবিস্কার করে তারা মোটেও সাধারণ নয়,বরং তারাই এই খেলার মূল খেলোয়াড়। প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার একটি থ্রিলার।কিন্তু পড়ার সময় বিন্দুমাত্র বিরক্তিকর কিছু পাইনি।প্রতিটি পৃষ্ঠা আগ্রহের সাথে উল্টাতে বাধ্য হয়েছি।লেখিকা পুরোটা সময় আমার আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন।আর বইটির শেষ অংশতো সবচেয়ে উপভোগ্য।বইটির শেষে তিনি যে টুইস্টটি এনেছেন তা এক কথায় অনবদ্য।এই টুইস্টটিই দুই সময়ের দুই কাহিনীর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।বইটির একেবারে শেষে না আসা পর্যন্ত আমি ব্যাপারটা ধারনা করতে পারিনি,যদিও ব্যাপারটির একটি ক্লু অনেক আগেই ছিল। বইটি আমার কাছে যে এত উপভোগ্য হয়েছে তার কৃতিত্ব একা লেখিকার নয়।এই কৃতিত্বের সমান ভাগীদার অনুবাদকও।আর বইটির অনুবাদক আমাদের সবার প্রিয় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।তিনি বইটিতে অসাধারণ কাজ করেছেন।এত বিশাল ক্যানভাসের একটি জটিল লেখাকে তিনি যেভাবে সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার।যদিও কিছু নগণ্য জায়গায় অনুবাদ চোখে লেগেছে।যেমন তিনি কেমনে না লিখে কিভাবে,চলেন না লিখে চলুন লিখতে পারতেন।এটি অবশ্য একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত আর তেমন কোন ভুলও নয়।আর তিনি যে সুবিশাল কাজ করেছেন,এসব উপেক্ষা করা যায়।কিন্তু বইটির বিভিন্ন অংশে যে অজস্র বানান ভুল রয়েছে তা উপেক্ষা করা যায় না। বইটির নাকি ফায়ার নামক একটি সিকুয়েল আছে।যদিও সেটি প্রথমটার মত এত বিখ্যাত নয়।তারপরেও আমার ফায়ার পড়ার অত্যন্ত আগ্রহ রয়েছে।আশা করি ভবিষ্যতে বাতিঘর আর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিলে আমাদের দ্য এইট এর মতই ফায়ার এর একটি মানসম্পন্ন অনুবাদ উপহার দিবেন।সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
jara jara dan brawn er sob thriller boi porsen,,tader kache baki thriller gula tmn valo lage na..but ami sure j ei boi ta pore pura dan brown feel paben...
Was this review helpful to you?
or
Valo lage nai
Was this review helpful to you?
or
RUBBISH...
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
বইটি অসাধারন পড়ে দেখবেন জটিল প্লট
Was this review helpful to you?
or
এই বইটির লেখার মধ্যে আপনি ড্যান ব্রাউনের লেখার ছাপ খুজে পাবেন, যদিও এটি বহু আগে প্রকাশিত একটি বই। চমৎকার গল্প ,পাজল , সাস্পেন্সে ভর্তি একটি বই। এই বইয়ের পরবর্তী সিক্যুয়েল 'দ্যা ফায়ার' এর অনুবাদের জন্য অপেক্ষা করছি। বরাবরের মত মোঃ নাজিম উদ্দিন এবারও চমৎকার একটি বই বাছাই করেছেন অনুবাদের জন্য। পরে দেখুন পস্তাবেন না।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ-দ্য এইট বইটির ব্যাককভারে লেখা আছে,“দ্য দা ভিঞ্চি কোড পড়ে যেসব পাঠক রোমাঞ্চিত হয়েছেন বহুস্তরবিশিষ্ট সিক্রেটের দ্য এইট পড়ে আরেকবার মুগ্ধ হবেন তারা”।বইটি পড়তে পড়তে বারবার আমি এই কথাটার সার্থকতা উপলব্ধি করেছি।সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি।কাহিনী যত এগিয়েছে এই মুগ্ধতা বেড়েছে,বিন্দুমাত্র কমেনি। বাস্তবিকই বহুস্তরবিশিষ্ট কাহিনী বলতে যা বোঝায় দ্য এইট তাই।বইটিতে মূলত বর্ণিত হয়েছে দুই সময়ের দুটি কাহিনী যা বইয়ের শেষে এসে মিলিত হয়েছে এক বিন্দুতে।দুটো কাহিনীই সমান্তরালভাবে চলেছে।একটি কাহিনীর শুরু ১৭৯০ সালে,অন্যটির ১৯৭২ সালে।এই দুই সময়ের দুই কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে দুই নারী।১৭৯০ সালে শুরু হওয়া কাহিনীতে মিরিয়ে,আর ১৯৭২ সালের কাহিনীতে ক্যাথারিন।মূলত তাদের ঘিরেই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে।আর এই ভিন্ন সময়ের ভিন্ন চরিত্রের দুই নারীকে সংযুক্ত করেছে একটি অভিন্ন জিনিস,একটি দাবাবোর্ড।শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড যার মধ্যে লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছর আগের এক শক্তিশালী এবং বিপদজনক সিক্রেট ফর্মুলা। এই সিক্রেট ফর্মুলা জানার জন্য হাজার হাজার বছরে চেষ্টা করেছে হাজার হাজার মানুষ।যাদের মধ্যে রয়েছে নেপোলিয়ন,নিউটন,পিথাগোরাস,ক্যাথারিন দি গ্রেট,রিশেলু,রুশো,ভলতিয়ার সহ আরও অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি।এই ফর্মুলা জানতে হলে পেতে হবে সেই দাবাবোর্ড আর তার ঘুঁটি। ১৭৯০ সাল--- এই কাহিনী শুরু হয় মন্তগ্লেইন অ্যাবি থেকে যেখানে নান হবার অপেক্ষায় আছে দুই এতিম খালাত বোন ভ্যালেণ্টাইন এবং মিরিয়ে।সেসময় বসন্তকাল চলছে।হঠাৎ অ্যাবিস অ্যাবির সব নানকে ডেকে পাঠায়।তাদের তিনি জানান তাদের এখানে মাটির নিচে আছে শার্লেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ড।এই দাবাবোর্ডের গোপনীয়তা তখন হুমকির মুখে।তিনি তাই সিদ্ধান্ত নিলেন দাবাবোর্ডটি মাটি থেকে তুলবেন।তারপর তার সব ঘুঁটি ছড়িয়ে দিবেন বিভিন্ন জায়গায়।নানদের উপর দায়িত্ব পড়ে কাজটি করার।তাদের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে এগুলোকে। ১৯৭২ সাল— ২৩ বছর বয়সী ক্যাথারিন ভেলিস।সে কম্পিউটার,গণিত ও সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ।সে না চাইলেও জড়িয়ে পড়ে এই দাবাবোর্ড আর তার রহস্যের সাথে।সে কাজ করে একটি সিপিএ ফার্মে,যেখানে সে প্রথম নারী হিসেবে নিযুক্ত হবার সম্মানে সম্মানিত।কাজের সুত্রে তাকে যেতে হয় আলজেরিয়ায় যেখানে রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি। দ্য এইট এর লেখিকা ক্যাথারিন নেভিল।ভাবতে অবাক লাগে তিনি কিভাবে এত জটিল একটা প্লটের বই লিখলেন।উভয় কাহিনীতেই রয়েছে অসংখ্য চরিত্র যেখানে একই সাথে ঘটে চলেছে অসংখ্য ঘটনা।সেসব ঘটনা আর চরিত্রের হিসেব রাখতে আমিই পড়তে গিয়ে হিমশিম খেয়েছি।তিনি সেখানে কিভাবে সব হিসেব রেখে লিখলেন!উভয় কাহিনীতে দেখা যায় দুটি দল খেলছে যেখানে একদল ভাল,একদল খারাপ।আর দুটি দলের মানুষ সেখানে ঘুঁটি।হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এই খেলা,যে খেলা ঘিরে রচিত হয়েছে অজস্র ষড়যন্ত্র।মিরিয়ে আর ক্যাথারিন উভয়ই প্রথমে মনে করে তারা এই খেলায় সামান্য সৈনিক।পরবর্তীতে তারা আবিস্কার করে তারা মোটেও সাধারণ নয়,বরং তারাই এই খেলার মূল খেলোয়াড়। প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার একটি থৃলার।কিন্তু পড়ার সময় বিন্দুমাত্র বিরক্তিকর কিছু পাইনি।প্রতিটি পৃষ্ঠা আগ্রহের সাথে উল্টাতে বাধ্য হয়েছি।লেখিকা পুরোটা সময় আমার আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছেন।আর বইটির শেষ অংশতো সবচেয়ে উপভোগ্য।বইটির শেষে তিনি যে টুইস্টটি এনেছেন তা এক কথায় অনবদ্য।এই টুইস্টটিই দুই সময়ের দুই কাহিনীর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে।বইটির একেবারে শেষে না আসা পর্যন্ত আমি ব্যাপারটা ধারনা করতে পারিনি,যদিও ব্যাপারটির একটি ক্লু অনেক আগেই ছিল। বইটি আমার কাছে যে এত উপভোগ্য হয়েছে তার কৃতিত্ব একা লেখিকার নয়।এই কৃতিত্বের সমান ভাগীদার অনুবাদকও।আর বইটির অনুবাদক আমাদের সবার প্রিয় মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।তিনি বইটিতে অসাধারণ কাজ করেছেন।এত বিশাল ক্যানভাসের একটি জটিল লেখাকে তিনি যেভাবে সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার।যদিও কিছু নগণ্য জায়গায় অনুবাদ চোখে লেগেছে।যেমন তিনি কেমনে না লিখে কিভাবে,চলেন না লিখে চলুন লিখতে পারতেন।এটি অবশ্য একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত আর তেমন কোন ভুলও নয়।আর তিনি যে সুবিশাল কাজ করেছেন,এসব উপেক্ষা করা যায়।কিন্তু বইটির বিভিন্ন অংশে যে অজস্র বানান ভুল রয়েছে তা উপেক্ষা করা যায় না। বইটির নাকি ফায়ার নামক একটি সিকুয়েল আছে।যদিও সেটি প্রথমটার মত এত বিখ্যাত নয়।তারপরেও আমার ফায়ার পড়ার অত্যন্ত আগ্রহ রয়েছে।আশা করি ভবিষ্যতে বাতিঘর আর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মিলে আমাদের দ্য এইট এর মতই ফায়ার এর একটি মানসম্পন্ন অনুবাদ উপহার দিবেন।সেই দিনটির অপেক্ষায় থাকব। এক নজরে বইয়ের নাম-দ্য এইট লেখিকা-ক্যাথারিন নেভিল অনুবাদক-মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন অনুবাদ প্রকাশক-বাতিঘর প্রকাশনী অনুবাদ প্রকাশকাল-সেপ্টেম্বর,২০১১ প্রচ্ছদ-দিলান গায়ের মূল্য-৪৫০ টাকা আমার রেটিং-৪.৫/৫ পরিশেষে বলতে পারি যারা এখনো বইটি পড়েননি পড়ে ফেলুন,বিন্দুমাত্র হতাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই আছে যা প্রকাশনের অনেক দিন পর পড়লে মাথায় একটা আক্ষেপ শুধু ঘোরপাক খায়। আর তা হল, কেন আমি আগে এই বইটা পড়লাম না? তেমনই একটা বই কিছুক্ষন আগে পড়ে শেষ করলাম। ক্যাথেরিন নেভিলের ১৯৮৮ সাল প্রকাশিত দ্য এইট। দ্য এইট একটি অদ্ভুত বুদ্ধিদীপ্ত ও গঠনের দিক দিয়ে জটিল একটা কন্সপিরেসি থ্রিলার উপন্যাস। এই গল্পটি দুই স্তরবিশিষ্ট, কিন্তু একইসাথে দুইজন ভিন্ন মহিলার একই রহস্য উদ্গাঠনের মিশন। একটি ঘটনা শুরু হয়েছে ১৭৯০ সালে আর একটি বর্তমান সময়কালে ১৯৭২ সালে (সেই সময়কালের জন্য বর্তমান)। গল্পের শুরু হয়েছে ১৭৯০ সালে ফ্রান্সের মন্তেগ্লেইন অ্যাবিতে ফ্রেঞ্চ বিপ্লবের সময়। মিরিয়ে এবং ভেলেন্টাইন নামক দুই শিক্ষানবিশ নান বোনের উপর আরও বেশ কয়েকজনের সাথে দায়িত্ব পরে একটি গোপন রহস্যকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে নিজেদের প্রানের বিনিময়ে হলেও রক্ষা করা । সেই রহস্য হল হাজার বছরের পুরানো এক বিস্ময়কর রহস্য যা লুকায়িত আছে ফ্রাঙ্কিশ সাম্রাজ্যের বিখ্যাত প্রথম রাজা শারলেমেইনের কিংবদন্তীতুল্য দাবাবোর্ডে। অপরদিকে ১৯৭২ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় কাহিনীতে কম্পিউটার, গনিত ও সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ ২৩ বছরের তরুণী ক্যাথারিন ভেলিস জড়িয়ে পরে এই রহস্যের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই গোপন দাবাবোর্ডটি করায়ত্ত করে রহস্যটি উদ্ঘাটন করতে হাজার বছর ধরে শত শত মানুষ এর পিছনে লেগে থাকে। দুইটি দল খেলে যাচ্ছে, ভালো ও মন্দ, সাদা ও কালো। দাবার ঘুটির মত এই খেলা চলছে হাজার বছর ধরে। এই সাদা ও কালোর খেলায় কে জয়ী হবে? দ্য এইট অনেক শক্তিশালী রহস্যে ভরপুর কাহিনী। লেখককে অনেক বছর ধরে মাথা ঘামিয়ে, মাথা খাটিয়ে অনেক রিসার্চ করে এই কাহিনী লিখতে হয়েছে তা খুব সহজেই বুঝা যায়। এই ধরনের অসাধারন বিশাল এক পটভূমিতে একজন লেখক কীভাবে এমন অদ্ভুত সুন্দর রহস্য তৈরি করে পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে রহস্য উন্মোচন করেন তা সবসময় আমার আশ্চর্য লাগে। এই বইয়ের কাহিনী যেন অনেক কিছুকেই ছাড়িয়ে যেতে চায়। এই গল্পে কে নেই? পৃথিবীর অনেক মহারথীকে এই রহস্য উন্মোচনের বিভিন্ন সময় আমরা পাই। ফ্রাঙ্কিশ সম্রাট শারলেমেইন, দার্শনিক রুশো, ভলতেয়ার, নিউটন, ক্যাথারিন দ্য গ্রেট, ফিবোনাচ্চি, পিথাগোরাস, বাখ, দ্য রিশেলু, রোবসপিরিয়ে, কবি ওয়ার্ডসওয়ারথ, ব্লেক, তয়িরে আর ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপারতে সহ আরো অনেক ইতিহাসের এই সকল মহানব্যাক্তিত্তের ফিকশনাল সংশ্লিষ্টতা লেখক অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। কাহিনী শুরু হওয়ার পর থেকেই শুধু মাথায় ঘুরছিল যে কী হতে পারে এই সিক্রেট, কী থাকতে পারে একটি সামান্য দাবাবোর্ডে? ধীরে ধীরে একটু একটু করে রহস্যের খোলস খুলতে থাকে, আর ততই আমার আগ্রহ বাড়ে সামনে কি আছে? গল্পে ভায়োলেন্স, একশন অনেক কম যেটা কাহিনীর সাথে পুরোপুরি খাপ খায়। তবে রিয়েলিস্টিক এডভেঞ্চার আর পাজলে ভরপুর এই থ্রিলারটি। লেখকের লেখায় কোন ধরনের বিরক্তিকর উপাদান নেই এটা আমি নিশ্চিত করছি। কোন মাত্রাতিরিক্ত বিবরন নেই, পাজল সমাধানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সময় অপচয় করা হয় নাই। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যা সামনে আসছে তাই সমাধান করা হচ্ছে, তাই আরো বেশী ভালো লেগেছে। আমি মহিলা লেখকদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমার ধারণা ছিল মহিলা লেখকরা ভালো কোন থ্রিলার ফিকশন লিখতে পারেননা। কিন্তু ক্যাথারিন নেভিল আমার ধারণাকে পুরোপুরি পাল্টে দিলেন। স্যালুট উনার প্রতি। যারা ড্যান ব্রাউনের বিশ্ববিখ্যাত থ্রিলার দ্য ডা ভিঞ্ছি কোড আর এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স পড়ে পুরাই ফিদা হয়ে আছেন, তাদেরকে বলছি কষ্ট করে এই পুরানো থ্রিলারটি পড়ে দেখার জন্য। ১০০% নিশ্চয়তা দিচ্ছি যদি ব্রাউন ভালো লাগে আপনার তাহলে দ্য এইট অবশ্যই ভালো লাগবে। কারো কারো হয়ত দ্য ডা ভিঞ্ছি কোড আর এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স এর চেয়েও বেশী ভালো লাগতে পারে। আমি যেহেতু ব্রাউনের উক্ত দুটি বই অনেক আগে (২০০৫ এ) একটু অল্প বয়সে পড়েছিলাম তাই ওই বইদুটা আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে। আমি নিশ্চিত দ্য এইট যদি আমি সেই সময়ে পড়তাম তাহলে হয়তবা ভিঞ্ছি কোডের চেয়েও বেশী ভালো লাগত। আ ফাইভ স্টার থ্রিলার ফর মি। আর একটা বিষয়, ড্যান ব্রাউনের লাস্ট দুইটা বইয়ের ফিনিশিং আমি এবং আরও অনেকেই বই শেষ হওয়ার অনেক আগেই বুঝতে পেড়েছিলাম। প্রচুর থ্রিলার পড়ার কারনে এখন আমি মেক্সিমাম বইয়ের ফিনিশিং কী হবে তা আগে থেকেই বুঝতে পারি। কিন্তু মাই গড, এই বইয়ের ফিনিশিং আমি একদমই ধরতে পারিনি শেষ করার আগ পর্যন্ত। আমার চিন্তার পুরাই অপজিট। বইটির অনুবাদ পড়েছি আমি। অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন। অরিজিনাল ইংলিশ আমি খুঁজে পাইনি। ইংলিশটা পেলে হয়ত বাংলাটা পড়ার চিন্তা করতাম না। কিন্তু অনুবাদ পড়ার পর বুঝলাম, ইংলিশ বইটি পড়ে এই বিশাল ক্যানভাসের জটিল বই (তারওপর ৬০০+ পৃষ্ঠা) বুঝে আনন্দ নেয়া আমার পক্ষেও সম্ভবত সম্ভব হত না (যদিও আমি গত নয় বছর ধরে প্রচুর ইংলিশ পড়েছি) অনেক সুন্দর অনুবাদ করেছেন উনি। সুতরাং হ্যাটস অফ টু দ্য অনুবাদক। শেষ করছি একটি উক্তি দিয়ে- "জীবন এক ধরনের দাবা"- বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন