User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
so good
Was this review helpful to you?
or
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী , হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা হিমু সিরিজের একটি বই । একদিন হিমু তার খালার কথা মতো এয়ারপোর্ট এ যায় রাশিয়ান এক মেয়েকে রিচিভ করতে । রাশিয়ান মেয়েটি বাংলাদেশ এ আসে কিছু কাজ করার জন্য । এক সময় হিমুর খালা হিমু কে বলে সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য । মেয়েটির কাজে সাহায্য করার জন্য হিমু ২ টা ছেলেকে টিক করে এক সময় মেয়েটির সাথে তাদের খুব ভালো সম্পর্ক হয় এবং মেয়েটি বাংলাদেশ এ থেকে যাই হিমুর মেসে ।
Was this review helpful to you?
or
not so informative.
Was this review helpful to you?
or
Onek valo legeche ei golpota
Was this review helpful to you?
or
???
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের বই গুলুতে প্রায় সময় রবীন্দ্রনাথের একটা এবং এই বইটায় সেটা স্পষ্টত বুঝাযায়। উপন্যাসের শেষ ভাগটা 'কবিগুরু'র ছোট গল্পের ন্যায় ইতি টানা হয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় উপন্যাসের শেষের দুইটা লাইনে 'হুমায়ূন আহমেদ' তার পাঠকদের সাথে একটা তামাশা সুচক খেলা খেলেছেন, বিসয়টা অত্যন্ত উপভোগ্য। © Abir Hossain
Was this review helpful to you?
or
Himu golpe nayika thakbe but sei naika himur preme porbe na seta impossible. Thik sei vabei ei golper Russian Pori himur preme pore jaye . Se mainly photographer and she hired Himu for her guider and that's how she fallen in love with. Himu . Himu takes her so many weird places of the city ,Dhaka and she got her Documentary done .
Was this review helpful to you?
or
আমার কেন জানি বইয়ের নামটা পছন্দ হয়নাই। এই কারণেই খুব সম্ভবত এতদিন পড়া হয় নাই। তবে বইটা ভাল, বেশ ভালই বলতে হয়। জাদুকরের কিছু কিছু লাইন একদম বুকে গিয়ে লাগলো যথারীতি।
Was this review helpful to you?
or
This book shows the facts which make himu different from the people of our society. How a simple talk with a little girl can make things going out of hand and a lot. This book is maybe a 6-7 stories in 1 story of himu but all in context.
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারের যে কয়টা বই আমি পরেছি তার মধ্যে এইটা অন্যতম ভাল।হিমু সিরিজের বই গুলার প্রথম দিকে থাকবে এটি
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই - হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী - জ্ঞানকোষ প্রকাশনী প্রকাশকাল - ২০১১ পৃষ্ঠা - ৯৬ দাম - ১৩২ (রকমারি) রেটিং - ৫/৫ ..... আসুন আরেকবার হিমুর সাথে হাঁটা যাক। এ দফায় আছেন একজন ডানা কাটা পরী। নাম এলিতা। হিমুর সাথে তাকে জড়িয়েছেন আর কেউ না, আমাদের সবার পরিচিত হিমুর মাজেদা খালা। মাজেদা খালার উদ্দেশ্য মহৎ। হিমুর প্রেমে পড়বে এলিতা ওরফে ডানা কাটা পরী এবং পরে এলিতার হাত ধরে হিমু যাবে আমেরিকা। যাহোক, বলে রাখি এলিতা আসছে ফটোগ্রাফি করতে। ৩য় বিশ্বের দেশের ক্ষুধা হবে তার ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্য। মাজেদা খালা হিমুকে এখন থেকেই এলিতার বিয়ের উপযোগী করতে চান। তাই তাকে তার খালুর স্যুট টাই পড়ানো হল। মানে সেই চেনা হলুদ পাঞ্জাবীর হিমু এখন বিলুপ্ত। না। ঠিক বিলুপ্ত না। বিলুপ্তপ্রায় বলা চলে কারণ এখনো তার পা খালি। খালি পায়ে হাঁটতে গিয়েই তার সাথে পরিচয় হয় তানিজ এর সাথে। আমার মতে সে এই লেখার ছোট পরী। তানিজ অসাধারণ একটি মেয়ে। যার ইচ্ছা হিমুকে তার বাবার জুতা দেয়ার। তানিজের মা জুতা দিতে আগ্রহী নন। হিমুও জুতা নিতে আগ্রহী। তাই সে এখন দাঁড়িয়ে তানিজের বাসার গেটে। কৌতুহলী জনতার অভাব হয়না। তারা ঘটনা শুনে দাবি করে বসল, জুতা দে জুতা দে। এই হলো ঘটনার শুরু। এরপর লেখক নিজ দায়িত্বে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবেন জুতা সন্ত্রাসী আলম খানের সাথে। সেই সাথে থাকবে ইংলিশে এমএ করা পুলিশ অফিসার আবুল কালাম। যার স্ত্রী আলতা। আলতা এলিতা। নামে মিল পাচ্ছেন? নাম না কেবল আরো মিল আছে। এছাড়া হাটার সময় আপনি পক্ষীমানবের সাথে দেখা করতে পারবেন, দেখা হবে তানিজের বাবা মার সাথেও। চাইলে অংশ নিতে পারেন এলিতা তানিজের বার্থডে পার্টিতে। তাদের মাঝে পরিচয় হিমুই করিয়েছে। আর তানিজের মায়ের কাছে তানিজকে ফিরিয়ে দিতে হিমু জুড়ে দিয়েছে অসাধারণ এক শর্ত। মাঝে হিমুর জ্বর হবে একবার। সে সময় আপনি খুব অসাধারণ দৃশ্য পাবেন। মিস করা চলবেনা ওটা। সেই দৃশ্যটা দিয়ে অনেক বড় একটা ঘটনা আপনি দেখতে পাবেন কিন্তু। ধোঁয়া বাবার সাথে দেখা হয়েছে আগে? ধোঁয়া বাবার দরবারে এলিতার সাথে ঘুরে আসতে পারেন। কেন যাবেন সেটা আর না বলি। শেষ দৃশ্যে আসি। মাজেদা খালার প্ল্যান আংশিক সফল। ডানাকাটা পরী হিমুর সাথেই আছে। তবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কেন সে? তাও হিমুর মেসে? এটা জানতে মন চাইছে? কিংবা জানতে ইচ্ছা করছে কেন জুতা সন্ত্রাসী হঠাৎ পীর হয়ে গেল? আপনার সব জিজ্ঞাসার উত্তর দিবে সেন্স অফ হিউমারে ভরা বইটা। হুমায়ূন স্যারের সিগনেচার স্টাইলে লেখা বই 'হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী।' ...... বইটা প্রথমবার পড়েই হাসতে হাসতে দিশেহারা হয়েছি। পুরো সময়ে অসাধারণ কিছু ব্যাপার চোখে পড়েছে। ভয়ানক সুন্দর একটা বই। তানিজের মত একটা ছোট বোনের অভাব যেমন ফিল করেছি তেমনি মাজেদা খালার মত একজনকেও শ্রদ্ধা করতে চেয়েছি পুরোটা সময়। দেখা করতে মন চেয়েছে আবুল কালামের মত পুলিশ অফিসারের সাথেও। সেই সাথে মন চেয়েছে ইছহাকের মত কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ হোক। হিমু সিরিজের প্রায় সব বইয়ের মতই এই বই আপনাকে হাসাবে। কিছু একটা শিক্ষা দিবে। কিন্তু সেই শিক্ষাটা আপনি ধরতে পারবেন না। ধরতে পারলেও পছন্দ হবেনা। বইটা একবার মনে হবে অর্থহীন। আবার কখনো এটা অসাধারণ। সবমিলিয়ে খুব ভাল একটা বই। বইটা খুব সম্ভবত আপনার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী , হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা হিমু সিরিজের একটি বই । একদিন হিমু তার খালার কথা মতো এয়ারপোর্ট এ যায় রাশিয়ান এক মেয়েকে রিচিভ করতে । রাশিয়ান মেয়েটি বাংলাদেশ এ আসে কিছু কাজ করার জন্য । এক সময় হিমুর খালা হিমু কে বলে সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য । মেয়েটির কাজে সাহায্য করার জন্য হিমু ২ টা ছেলেকে টিক করে এক সময় মেয়েটির সাথে তাদের খুব ভালো সম্পর্ক হয় এবং মেয়েটি বাংলাদেশ এ থেকে যাই হিমুর মেসে ।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা প্রথম কোনো পঠিত বই হচ্ছে হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী। এর আগে আমি তার লেখা জাদুকর গল্পটি স্কুলজীবনে পাঠ্যবইয়ে পড়েছিলাম। কল্পনার কোনো চরিত্রকে বাস্তব রূপ দেওয়াতে কথাসাহিত্যিকদের জুড়ি নেই। তবে হুমায়ূন আহমেদ স্যার ছিলেন এসবের ঊর্ধ্বে। কল্পনার চরিত্রকে মানুষের অন্তরে চিরদিনের জন্য গেঁথে দিয়েছেন অসংখ্য বার। হিমু সেরকম একটি কাল্পনিক চরিত্র। হিমু সিরিজের এই বইয়ে হিমু ও তার পারিপার্শ্বিক চরিত্রগুলোর অদ্ভুত সব কাণ্ডের মধ্যেও যেন কোনো আশ্চর্য বা বিস্ময়ের কিছু লুকিয়ে থাকে। আর এই বিষয়টি পাঠককে বইটির শেষ পর্যন্ত পড়তে আঁকড়ে ধরে রাখে।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃ বাবা-মা রাশিয়ান, এলিতা জন্মসূত্রে আমেরিকান। ফটোগ্রাফির উপর কোর্স করেছে। বাংলাদেশে আসছে ছবি তুলতে। নাম The Food, ঢাকায় আসবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে। মাজেদা খালা ঠিক করেছে হিমু হবে তার গার্ড। মাজেদা খালার মতে এলিতা দেখতে পরীর মত, একদাম ডানাকাটা পরী। হিমু গাড়ি স্যান্ডেল ছাড়াই খালুর স্যুট টাইয়ের সঙ্গে খালি পায়ে বের হয়েছে। অথচ কেউ বিষয়টা ধরতে পারছে না, একজন মানুষ স্যুট টাই পরে খালি পায়ে হাঁটছে কেউ পায়ের দিকে তাকাচ্ছে না, অথচ এই তানিজা মেয়েটা ভিন্ন, সে অবাক হয়ে বললো, "আপনার পায়ে জুতো নেই কেন" মেয়ের মা বিরক্ত হয়েছেন, জুতো থেকে জুতো আদায়ের আন্দোলনে সূত্রপাত ঘটেছে, নেতৃত্বে আছেআলম সাহেব, ভীড় বাড়ছে, সেই সাথে একটু পর পর হুংকার আসছে জুতা দে, জুতা দে... ঘটনা প্রবাহ এবাবেই চলতে থাকে যেখানে দৃশ্যপটে দেখা যায় জুতো সন্ত্রাসী আলম, বালক হাজতি কাদের, যারা সঙ্গী হয় হিমুর সাথে রাশিয়ান পরীর গাইড হিসেবে। আরো আছেন পেনসিল ওসি যার স্ত্রী আলতার সাথে মিল পান রাশিয়ান পরী এলিতার সাথে, আরো আছেন ধোঁয়া বাবা, যার খাদ্য হল ধোঁয়া, যদিও এলিতার মতে সে একজন ক্রিমিনাল... কোন এক বৃষ্টিস্নাত রজনীতে ঢাকা নগরীতে হিমু ছাড়াও একজন মানুষ ঘুরে বেড়ায়। সে অন্যদের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা। অন্ধকারেও তার চোখে থাকে কালো চশমা। হাতে ধবধবে সাদা গ্লাভস। এরা মানুষের খুব কাছে কখনো আসে না, দূরে দাঁড়িয়ে পাখির মত শব্দ করে। হিমু এদের নাম দিয়েছে পক্ষী মানব। এক বৃষ্টিস্নাত রাতে হিমু বের হয়েছে পক্ষী মানবের সন্ধানে, একজন রাশিয়ান পরী। হিমুর হেয়ালিপনা, কাদের, পেনসিল ওসি আর আলমের আবেগী মনভাব, মাজেদা খালার পরিকল্পনা সব মিলিয়ে এই হাসি-কান্না, জীবনের কিছু অতীতের সময় সৃতিচারণের সঙ্গী হতে হলে পড়ে ফেলুন এই অসাধারণ বইটি পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ রাশিয়ান পরীর সাথে হিমুর মাঝে লেখক যে অসাধারণ দৃশ্য বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা আসলেই মনোমুগ্ধকর। সেই সাথে মাজেদা খালা, আলম, কাদের পেনসিল ওসি, ধোঁয়া বাবা চরিত্র গুলোও হিমুর এই বইটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। হাসি-কান্না, কখনও মজার ঘটনার সমানে পরে যাওয়া যেন এক অসাধারণ বাস্তবিক মেলবন্ধন, মনেই হবে না বইটির চরিত্র গুলো লেখকের কল্পনার ফলপ্রসূ। কখনও পাঠককে বইটিতে আবেগপ্রবণ করে ফেলবে, আবার কখন কোন মজার ঘটনায় হাসির রেখা তৈরি করে দিবে মুখে। হুমায়ুন আহমেদ এর এই কিছুটা হেয়ালিপনা, ভবঘুরে এই হিমু চরিত্রটিকে ভাল লাগে না এমন বাংলাদশী বইপোকা আমার মনে হয় না আছে, আসলেই তিনি তার লিখুনিতে পাঠক'কে ধরে রাখার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে, যা সব পাঠককেই আকৃষ্ট করে। বইটির কিছু অসাধারণ উক্তিঃ "ভালো কাজ চিন্তা ভাবনা করে করতে হয় না। মন্দ কাজ অনেক চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়।" "সব এসিড ভয়ংকর না। ভিনিগার এসিড হলেও সুখাদ্য" "এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে যে কিছুই জানে না, যেমন চর বছরের নিচের বয়সের শিশু।" " মানুষ মীথ তৈরি করতে ভালোবাসে।" "পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস কিন্তু আলতাকে সব সময় পায়ে পরে থাকতে হয় এর উপরে সে উঠতে পারে না।" "বুদ্ধিহীনরাই তর্কবাজ হয়। বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।" “বাটারফ্লাই এফেক্ট” নামে একটা বিষয় আছে। পৃথিবীর এক প্রান্তে প্রজাপতির পাখার কাঁপনে অন্য প্রান্তে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এই হলো বাটারফ্লাই এফেক্ট।" " হারিয়ে যাওয়া সব সময়ই আনন্দের।" "বাঙ্গালী মেয়েরা দামি জিনিস তা সে যতই ক্ষতিকর হোক, ফেলে না। ডেট এক্সপায়ার হওয়া অষুধও জমা করে রাখে।" "সাঁতার জেনে মরার চেয়ে সঁতার না জেনে মরে যাওয়া ভালো। অল্প পরিশ্রমে মৃত্যু। বাঁচার জন্যে হাত পা ছুড়ে ক্লান্ত হতে হয় না।" "এই পৃথিবীতে সবই সম্ভব আবার সবই অসম্ভব।" "বিচিত্র কারণে অন্যের দুর্দশায় আমরা আনন্দ পাই।" "মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক।" " তুচ্ছ ঘটনার বড় পরিবর্তন হয়।" "সুখী সেই জন যার কেউ নাই।" "মানব জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয়। অর্থের সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান, ভালবাসার সন্ধান, ঈশ্বরের সন্ধান।"
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই - হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী - জ্ঞানকোষ প্রকাশনী প্রকাশকাল - ২০১১ পৃষ্ঠা - ৯৬ রকমারি মূল্য - ১৩২ রেটিং:- ৫/৫ ডানা কাটা পরী এলিতা। এলিতা এসেছে ফটোগ্রাফি করতে। ৩য় বিশ্বের খুদা প্রদর্শনই হবে তার ফটোগ্রাফির মূল উদ্দেশ্য। হিমুর মাজেদা খালার ইচ্ছা এই ডানা কাটা পরীটি হিমুর প্রেমে পরুক এবং এলিতার হাত ধরে চলে যাক আমেরিকা। মাজেদা খালা হিমুকে এখন থেকেই এলিতার উপযুক্ত করতে চান।তাই হলুদ পাঞ্জাবীর পরিবর্তে তার খালুর স্যুট টাই পড়ানো হলো। সেই চেনা হিমু এখন বিলুপ্তপ্রায়। স্যুট ট্রাই পরে খালি পায়ে হাঁটতে গিয়েই তার সাথে পরিচয় হয় তানিজের। তানিজ অসাধারণ একটি মেয়ে। যার ইচ্ছা হিমুকে তার বাবার জুতা দেয়ার। তানিজের মা জুতা দিতে আগ্রহী নয়। হিমুও জুতা নিতে আগ্রহী। তাই সে এখন দাঁড়িয়ে তানিজের বাসার গেটে। কৌতুহলী জনতার অভাব হয়না। তারা ঘটনা শুনে দাবি করে বসল, জুতা দে জুতা দে। এই হলো ঘটনার শুরু। এরপর লেখক নিজ দায়িত্বে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবেন জুতা সন্ত্রাসী আলম খানের সাথে। সেই সাথে থাকবে ইংলিশে এমএ করা পুলিশ অফিসার আবুল কালাম। যার স্ত্রী আলতা। আলতা এলিতা। নামে মিল পাচ্ছেন? নাম না কেবল আরো মিল আছে। এছাড়া হাটার সময় আপনি পক্ষীমানবের সাথে দেখা করতে পারবেন, দেখা হবে তানিজের বাবা মার সাথেও। চাইলে অংশ নিতে পারেন এলিতা তানিজের বার্থডে পার্টিতে। তাদের মাঝে পরিচয় হিমুই করিয়েছে। আর তানিজের মায়ের কাছে তানিজকে ফিরিয়ে দিতে হিমু জুড়ে দিয়েছে অসাধারণ এক শর্ত। মাঝে হিমুর জ্বর হবে একবার। সে সময় আপনি খুব অসাধারণ দৃশ্য পাবেন। মিস করা চলবেনা ওটা। সেই দৃশ্যটা দিয়ে অনেক বড় একটা ঘটনা আপনি দেখতে পাবেন কিন্তু। ধোঁয়া বাবার সাথে দেখা হয়েছে আগে? ধোঁয়া বাবার দরবারে এলিতার সাথে ঘুরে আসতে পারেন। কেন যাবেন সেটা আর না বলি। শেষ দৃশ্যে আসি। মাজেদা খালার প্ল্যান আংশিক সফল। ডানাকাটা পরী হিমুর সাথেই আছে। তবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে কেন সে? তাও হিমুর মেসে? এটা জানতে মন চাইছে? কিংবা জানতে ইচ্ছা করছে কেন জুতা সন্ত্রাসী হঠাৎ পীর হয়ে গেল? আপনার সব জিজ্ঞাসার উত্তর দিবে সেন্স অফ হিউমারে ভরা বইটা। হুমায়ূন স্যারের সিগনেচার স্টাইলে লেখা বই 'হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী।' ...... বইটা প্রথমবার পড়েই হাসতে হাসতে দিশেহারা হয়েছি। পুরো সময়ে অসাধারণ কিছু ব্যাপার চোখে পড়েছে। ভয়ানক সুন্দর একটা বই। তানিজের মত একটা ছোট বোনের অভাব যেমন ফিল করেছি তেমনি মাজেদা খালার মত একজনকেও শ্রদ্ধা করতে চেয়েছি পুরোটা সময়। দেখা করতে মন চেয়েছে আবুল কালামের মত পুলিশ অফিসারের সাথেও। সেই সাথে মন চেয়েছে ইছহাকের মত কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ হোক। হিমু সিরিজের প্রায় সব বইয়ের মতই এই বই আপনাকে হাসাবে। কিছু একটা শিক্ষা দিবে। কিন্তু সেই শিক্ষাটা আপনি ধরতে পারবেন না। ধরতে পারলেও পছন্দ হবেনা। বইটা একবার মনে হবে অর্থহীন। আবার কখনো এটা অসাধারণ। সবমিলিয়ে খুব ভাল একটা বই। বইটা খুব সম্ভবত আপনার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
ইদানীং মাজেদা খালা হিমু কে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।কিভাবে হিমুর বিয়ে দিয়ে ছেলেটার একটা সদ্গতি করা যায় তা নিয়ে তিনি অস্থির। তিনি একটা রাশিয়ান কন্যার সাথে হিমুর বিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে কৌশলে বাংলাদেশে ডেকে আনিয়েছেন। হিমু এখন কোট টাই পরে আছে।আজ হিমু কে তিনি কোট টাই পড়িয়ে অভ্যস্ত হওয়ার বলেছেন।নয়তো দেখা যাবে বিয়ের দিন কোট পরলে গা কুট কুট করবে।টাই গলায় ফাসের মত লাগবে।সব ঠিকঠাক কিন্তু কোন জুতা হিমুর পায়ে লাগছে না।মোজাসহ, মোজা ছাড়া কোন ভাবেই জুতা পরা গেল নাহ। হিমু নিজেকে আয়নায় দেখছে। তাকে নকল হিমুর মত দেখাচ্ছে।যে নাকি ব্রিফকেস নিয়ে ঘুরে।সে আবার বিরাট বড় লোক,সন্ধাবেলা ক্লাবে যায়,বোতল খায়। হিমু এখন খালি পায়ে ঘুরছে।ঢাকা শহরের মানুষের কৌতূহল যেন কমে গেছে।একটা লোক সুট টাই পরে খালি পায়ে হাটছে কিন্তু কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। ঘটনার এ পর্যায়ে এসে জুতা নিয়ে একটা মজার কাহিনী ঘটল।যার কারনে হিমু কে থানায় যেতে হল।থানা থেকে ফেরার সময় হাজতি আলম আর কাদের কে নিয়ে ফিরল। এর রাশিয়া থেকে আসা এলিতার সাথে থেকে থেকে ছবি তোলা।কাহিনীর সাথে যুক্ত হল থানার ওসি আবুল কালাম আর ধোঁয়া বাবা। বইটিতে যেমন হাসির খোরাক আছে তেমনি দুঃখের ছোঁয়া।এই বইটি আমার পড়া হুমায়ুন স্যারের শ্রেষ্ঠ ত্রিশটি বইয়ের একটি।