User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বই: দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সী মূল: আর্নেস্ট হোমিংওয়ে অনুবাদ: রওশন জামিল প্রকাশনী: প্রজাপতি প্রকাশন (সেবা প্রকাশনী) মুদ্রিত মূল্য: ৭৭ টাকা মাত্র ১৯৫২ সালে রচিত দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সী উপন্যাসটির জন্য ১৯৫৪ সালে আর্নেস্ট হোমিংওয়ে নোবেল পুরষ্কার পান। উপন্যাসটিতে লেখকের লেখনীর গভীরতা অনেক। কাহিনী সংক্ষেপ: একটি বুড়ো যার নাম সান্তিয়াগো, একটি ছেলে আর একটি মাছকে নিয়ে রচিত উপন্যাসটি। বুড়োটি পেশায় জেলে এবং ৮৪ দিন থেকে সে একটিও মাছ পায়নি। ছেলেটিই তার একমাত্র বন্ধু। চল্লিশ দিন পার হওয়ায় ছেলেটি তাকে ছেড়ে যায় তবে তার পরিবারের চাপে। ৮৫তম দিনে বুড়ো একটি ১৮ ফুট মাছ পায় কিন্তু মাছটিকে বশে আনতে তার দুইদিনের বেশি সময় লাগে। এজন্যে বুড়োটি অনেক গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যায়। এই দুইদিনে বুড়োর মনে অনেক কিছু চলতে থাকে। আর সবচেয়ে বেশি যেটা মনে পড়ে সেটা হল ছেলেটির সঙ্গ না পাওয়ার বেদনা। 'ছেলেটি যদি আজ থাকত' এই কথা বুড়োর মনে অনেকবার এসেছে। অবশেষে দুইদিন পরে সে মাছটিকে নিয়ে ফিরে আসার সময়ে হাঙরের আক্রমনের শিকার হয় বারবার। শেষপর্যন্ত ১৮ ফুট মাছের শুধু অবশিষ্ট মাথা কঙ্কাল আর লেজ নিয়ে ফিরে আসে বুড়ো। পাঠ প্রতিক্রিয়া: 'মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায় কিন্তু হারানো যায়না।' বুড়ো সান্তিয়াগোকে দিয়ে বলানো লেখকের এই উক্তিটি আসলেই ভাবার খোরাক জাগায়। অনুবাদটা অনেক সাবলীল মনে হয়েছে। আর পড়ার পুরো সময়টা জুড়ে আমি যেন সান্তিয়াগো কি করছে কি ভাবছে সেটাই দেখে চলেছি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সী লেখকঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে অনুবাদঃ রওশন জামিল ( যেটা আমি পড়েছিলাম) পৃষ্ঠাঃ ১৪০ মুল্যঃ ৫৯ টাকা (রকমারি মুল্য) প্রকাশকালঃ ১৯৮৭ ক্যাটাগরিঃ রহস্য,থ্রিলার,অ্যাডভেঞ্চার প্রচ্ছদঃ প্রকাশনীঃ সেবা বেশ ঘটনা বহুল জীবন ছিল আর্নেস্ট হেমিংওয়ের। বার বার দৈহিক-মানসিক আঘাতে জর্জরিত হয়েছে!যুদ্ধের ময়দানে তার অবদান- অবস্থান বেশ ছিল।বার বার আঘাতে উনি মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, উনার সকল সৃষ্টিকর্মে উনার এই মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত,উনার জীবনবোধ ছিল প্রবল, ১৯৫২ সালে উপন্যাস টি প্রকাশের পর সেই বছরে পুলিৎজার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পান। দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী হেমিংওয়ের ৪টি উপন্যাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম উপন্যাস। এই ছোট উপন্যাসটির কাহিনীও একটু খানি। কিউবার এক ব্রিদ্ধ-অসহায় জেলে সান্তিয়াগোকে নিয়ে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি, যে কিনা হেমিংওয়ের নিজেরই একরূপ। বুড়ো লোকটির রোগা-পাতলা শরীর। গলা ও ঘাড়ের নিচে কতগুলো গভীর বলি রেখা।বয়সের ছাপ গালফ স্ট্রীমের স্রোতে ছোট্ট জেলে নৌকা ভাসিয়ে একাকী মাছ ধরে বেড়ায় বুড়ো সান্তিয়াগো। প্রায় মাস তিনেক ধরে ঘুরছে সে সমু্দ্রের বুকে, কিন্তু কোন মাছ পায় নি । তার সাথে ছোট ছেলেটা কাজ করতো, তার বাবা মা মনে করে বুড়ো টা অপয়া। এ কারনে এক প্রকার জোর করে তাকে অন্য নৌকায় পাঠিয়ে দেয়। সৌভাগ্যবশত ছেলেটা ওখানে যাওয়ার ৭দিনের মধ্যে বড় বড় তিনটি মাছ ধরে ফেলল। কিন্তু প্রতিদিন অসহায় বুড়ো লোকটিকে রোজ শুন্য হাতে ফিরে আসতে, একদিন যেখানে জেলেরা নৌকা বেধে রাখে, সেখান দিয়ে আসার সময় ছেলেটা বৃদ্ধের সাথে যেতে চাই সাগরে, তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয় তারা ৮৭ দিন পরেও মাছ পেয়েছিল,কিন্তু বৃদ্ধ কি ছেলে টিকে নেবে আবার?? কোথায় পাবে মাছ? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ "দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী" হেমিংওয়ের অসাধারন এক বই, বইটির ভূমিকা পড়ে আমি কিছুক্ষণ হতবাক হয়েছিলাম, বইটি শুরু করে গল্পের মধ্যে ডুবে গেছি। তবে আসলে এটিকে গল্প বলার চেয়ে জীবনবোধের কথা বলা যায়, কারন এই পুরো উপন্যাস টাই রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে এক বুড়োর জীবন সংগ্রাম তুলে ধরা হয়েছে।বুড়ো ব্যক্তি নিজের প্রতিরূপ আর সাগর জীবনের, নিজের লক্ষ্য অটুট থাকলে সব বাঁধা পেরিয়ে লক্ষ্যে ঠিকি পৌঁছান সম্ভব হবে, কেও সাথে না থাকলেও , থাকতে হবে মনোবল আর প্রত্যয়। হেমিংওয়ের নিজের ঘটনাবহুল জীবনে তাকে বহুবার মানসিক- শারীরিক আঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়তে হয়েছে, বাবা-মা মারা গেছেন, জীবনসঙ্গিনী ছিলনা, আঘাতে আঘাতে তিনি মানসিক শক্তি অর্জন করেছেন অনেক। পরে তিনি দেশ বিদেশ ঘুরেছেন। বইটি পড়লে মানসিক শক্তি বাড়বে, যুদ্ধ জয়ের শক্তি, লক্ষ্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারব! তবে বইটি পড়লে বেশ মন খারাপ লাগে, বাস্তবতা এটাই । এই বইটির জন্য তিনি পাওয়া নোবেল এর অর্থ এক জেলে গ্রাম এর পেছনে খরচ করেন, যেই গ্রাম কে মাথায় রেখে এই উপন্যাস। আসলে বইটি পড়তে গিয়ে বারংবার শুধু লেখকের জীবনী টেনে নিচ্ছে। বইটি সবার পড়া উচিৎ, অবশ্যই উচিৎ। রকমারি লিঙ্ক ঃ https://www.rokomari.com/book/48697/%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%93%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%80 রেটিং ঃ ১০/১০
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃ এক বৃদ্ধ জেলে, নাম তার সান্তিয়াগো। গলফ স্ট্রীমে মাছ ধরেই চলে যার জীবিকা নির্বাহ। কিন্তু গত চুরাশি দিন ধরে তাকে ফিরতে হয়েছে শূণ্য ডিঙ্গি নিয়ে, একটি মাছও জুটেনি তার কপালে। তাই তার মাছ ধরার একমাত্র সঙ্গী ম্যানোলিনকেও চাকরি নিতে হয় অন্য নৌকায়। পর পর চুরাশি দিন খালি হাতে ফিরলেও হতাশ হয়না বৃদ্ধ, আশায় বুক বেধে ছোট্ট ডিঙ্গি নিয়ে আবার পাড়ি জমায় সমুদ্রে। ভাগ্য এবার নিরাশ করেনা সান্তিয়াগোকে। পঁচাশিতম দিনে তার বড়শির আগায় আটকে যায় একটি বিশাল আকারের মার্লিন। বৃদ্ধ সান্তিয়াগোর শরীর দূর্বল হলেও মাছ ধরার কলাকৌশলে সে অত্যন্ত অভিজ্ঞ, আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে টানা তিনদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে পরাজিত করে অতিকায় মার্লিনটিকে। পিঠ আর হাতের ব্যাথায় কাতর সান্তিয়াগো এসময় বারবার অনুভব করে তার সাথী ম্যানোলিনের অভাব। অবশেষে ক্লান্ত, শ্রান্ত সান্তিয়াগো পরাজিত শত্রুকে ডিঙ্গির সাথে বেধে রওনা হয় তীরের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই তিনিদিনে সে অনেকদূর চলে এসেছে, তাই বন্দরে পৌছাতেও সময় নেহাত কম লাগবেনা। এদিকে সমুদ্রে মাছের রক্তের গন্ধ নেশা জাগায় দানবাকৃতির হাঙ্গরদের মনে। একে একে তারা এসে হামলা চালায় মাছটির উপর, খুবলে নিতে চায় সান্তিয়াগোর এত সাধনার মার্লিনের এক একটি অংশ। আর বৃদ্ধ সান্তিয়াগো হারপুন, বৈঠা, ছুরি, কোঁচ, হালের কাঠি ও মুগর নিয়ে একাকী প্রতিরোধ গড়তে থাকে হাঙ্গরদের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত কি সে মাছটিকে বাঁচাতে পেরেছিল হাঙ্গরের গ্রাস থেকে, নাকি মাছটির সাথে সাথে সে নিজেও হয়ে গেল হাঙ্গরের আহার। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই বইয়ের মূল বিষয় ছিল মনোবল। কিভাবে এক দুর্বল বৃদ্ধ চরম বিপদের মুখেও সাহস না হারিয়ে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গেছে, তা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে বইটিতে। তাই স্বীকার করতেই হবে যে এই বইয়ের মাধ্যমে নিজেও কিছুটা অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তবে সান্তিয়াগোর কাঁচা মাছ খাওয়ার বর্ণনাটা ভাল লাগেনি, চোখের সামনে যেন ভাসছিল। এছাড়া বাকি সবকিছুই ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থানকালীন “দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি” লিখেন। ১৯৫২ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী।] ১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরষ্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।তিনি নোবেল পুরষ্কারের সমুদয় অর্থ কিউবার দাতব্য সংস্থায় দান করে দেন। ১৯৮৬ সালে পদকটি হারিয়ে যায় কিন্তু কিউবার অষ্টাদশ রাষ্ট্রপতি রাউল কাস্ত্রোর তীব্র অসন্তোষের পরে পদকটি ফিরিয়ে দেয়া হয়।‘মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু কখনও পরাজিত হয় না’ হেমিংওয়ে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী’ এ একথা লিখেছেন। মানুষ হিসেবে তাঁর জীবন ছিল যেমন বর্ণাঢ্য তেমনি বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। তিনি ছিলেন আমুদে প্রকৃতির। খেলা, যুদ্ধ এবং মাছ ধরা ছিল তাঁর নেশা। নানা পেশায় কেটেছে তাঁর জীবন। প্রকৃতি ও নিয়তির সঙ্গে মানব জীবনের সম্বন্ধ নির্ণয়ে হেমিংওয়ের যে উৎসুক্য তা তিনি তুলে ধরেছেন ‘দি ওল্ডম্যান এ্যান্ড দি সী’ গ্রন্থে। সমুদ্রের বুকে সংগ্রামরত এক বৃদ্ধের মাছ ধরার কাহিনী ফুটে উঠেছে এ গ্রন্থে। বৃদ্ধের নাম সান্তিয়াগো। যার চেতনায় সমুদ্র সর্বদাই নারী এবং এমন কিছু, দান ও হরণ দুটো ক্ষমতাই যার আছে। তার দৃষ্টিতে সমুদ্রের যে রুদ্র রূপ সেখানে সমুদ্রের কোন হাত নেই। চাঁদ তাকে প্রভাবিত করে যেমন করে একজন মেয়েকে, ওভাবে।সান্তিয়াগো একা। একা, নিঃসঙ্গ বুড়ো মাছের সাথে লড়াই করে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসে আবার স্বপ্ন দেখে। আবার নতুন উদ্যোমে পরিকল্পনা করে মাছ ধরার। মানুষ যে মূলত একা এবং নিঃসঙ্গ তাকে বাঁচতে হয় লড়াই করে, সেকথাই হেমিংওয়ে তাঁর এ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদের মান মোটামুটি ভালই আর উপন্যাসের মান নিয়ে তো কিছু বলার নেই।
Was this review helpful to you?
or
'দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস।খুব সাধারণ একজন জেলের গল্প হলেও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের 'দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি' মূলত ঐ জেলের হার না মানা জীবনেরই গল্প।গল্পটি এমন -একজন বয়স্ক জেলে যিনি কিউবায় বাস করেন,জেলে জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকে সত্ত্বেও গল্পের প্রথমেই জানা যায় যে তিনি একটানা ৮৪ দিন ধরে একটি মাছও ধরতে পারেননি। কিন্তু ওনার কাছে এই ব্যর্থতা আসলে ব্যর্থতা নয় বরং জীবন যুদ্ধের আরেকটি ধাপ মাত্র। উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে উনি অনেক দূরের সাগরের জলে যাবেন যেখানে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যায় । যেই ভাবা সেই কাজ । পরের দিন ঠিকই বের হয়ে পড়েন দূর সাগরের উদ্দেশ্যে এবং জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় মারলিন মাছটি তিনি দেখতে পান এখানে। এই মাছটিকে নিয়েই শুরু হয়ে এবার গল্পের এক নতুন মাত্রা । এই মাত্রায় মাছটিকে ধীরে ধীরে শিকারে পরিণত করা, মাছটি ধরার জন্য জেলেটির ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং শিকার ও শিকারীর মাঝে শিকার চলাকালীন সময়ে গড়ে উঠা এক গল্প বর্ণনা করা হয়েছে ।এর প্রধান চরিত্র মাত্র ২টি।প্রথম প্রধান চরিত্র হল সান্তিয়াগো যিনি কিউবার অধিবাসী এবং পেশায় একজন জেলে,বয়সের ভারে অনেকটা বাঁকা হয়ে এসেছেন তবে তাঁর কিন্তু আছে দুর্দান্ত এক জোড়া চোখ যে চোখে কোন বার্ধক্য নেই, কোন ক্লান্তি নেই । সান্তিয়াগোর স্ত্রী মারা গিয়েছেন এবং তিনি নিঃসন্তান। দারিদ্রতার চরম সীমায় বাস করার পরেও তিনি যেন জীবনে তৃপ্ত। আর এই তৃপ্তির কারণ সাগর এবং মাছ ধরা সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান । সে নিজে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী । জানেন জীবন মানেই যুদ্ধ করা, সে যুদ্ধে জয়লাভ করা নয় । তিনি ৮৪ দিন নৌকা নিয়ে বের হয়েছে কিন্তু ধরে আনতে পারেননি একটি মাছও । এই অপবাদে তিনি তাঁর জেলেপাড়ার সবচেয়ে অলক্ষ্মী জেলেতে পরিণত হন । কিন্তু এতকিছুও তাঁকে দমাতে পারেনি । তিনি শিকার করেছেন সবচেয়ে বড় মারলিন মাছ একাই । ৩ দিন একটানা প্রকৃতি এবং নিজের শরীরের সাথে যুদ্ধ করে গিয়েছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মাছটি শিকার করার জন্য । পরিশেষে সফল না ব্যর্থ হয়েছেন সে বিষয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেননা বরং তাঁর জোড়া নীল চোখে ছিল স্বপ্ন। সান্তিয়াগো বাদেও এই উপন্যাসের আরেকটি চরিত্র হল ম্যানোলিন নামের একটি বালক, যে পূর্বে সান্তিয়াগোর নৌকায় কাজ করত।গল্পে এই বালকটিকে দেখা যায় সান্তিয়াগোর ভক্ত হিসেবে। সে সান্তিয়াগোর সেবা-যত্ন করত, তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করে দিত, খবরের কাগজ এনে দিত এবং সান্তিয়াগোর সাথে মনের সুখে আমেরিকান বাস্কেটবল খেলার গল্প করত পুরাতন পেপার থেকে ।খুব ছোট্ট একটা গল্প হলেও লেখক মনে হয়ে গল্পটিকে টেনে অনেক বেশিই বড় করে ফেলেছেন।তবে এই দীর্ঘ বর্ণনা পড়েই বুঝা যায় যে সাগর, জেলেদের জীবন এবং তাদের মাছধরা পেশা সম্পর্কে লেখকের অসাধারণ জ্ঞান রয়েছে। সাগর জীবনের নানান বর্ণনা ছাড়াও এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মানব জীবনের আসল উদ্দেশ্য- জীবন যুদ্ধ করা, মানব সম্প্রদায় এবং প্রকৃতির মাঝের সম্পর্ক, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, জীবনের প্রতি ভালোবাসা।আর প্রচণ্ডভাবে উঠে এসেছে হার না মানা এক বৃদ্ধ জেলের গল্প যা আমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকে অনেক কিছুই।যেমন:নিজের লক্ষ্য অটুট থাকলে সব বাঁধা পেরিয়ে লক্ষ্যে ঠিকি পৌঁছান সম্ভব হবে, কেও সাথে না থাকলেও , থাকতে হবে মনোবল আর প্রত্যয় ইত্যাদি।তাই জীবন চলার পথে অাপনি যদি হতাশ হয়ে পড়েন তবে বইটা অাপনার অবশ্যই পাঠ করা উচিত।উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।
Was this review helpful to you?
or
বুড়ো জেলে সান্তিয়াগো। সমুদ্রে একাকী মাছ শিকার করে বেড়ায়। টানা চুরাশি দিন একটি মাছও পায়নি সে। বেশ কয়েকদিন হল সাথের ছেলেটিও তাকে ছেড়ে অন্য নৌকায় চলে গেছে। ছেলেটি অবশ্য ইচ্ছে করে যায়নি, ওর বাবা-মা জোড় করে নিয়ে গেছে। তারা বলে বুড়ো নির্ঘাত অপয়া! তবে ছেলেটির মন অতি ভাল। ও প্রতিদিন নৌকা থেকে ফেরার পথে বুড়োকে সাহায্য করে। পথে দুজন বেসবল নিয়ে কথা বলে। বেসবলে বুড়োর প্রচন্ড আগ্রহ। অতঃপর পঁচাশি তম দিনে বুড়ো বড়শিতে বিশাল এক মার্লিন মাছ গাঁথে! যা প্রায় নৌকার দ্বিগুণ! বুড়ো কেবল বড়শিতে সুতো ছাড়ে আর মাছ তার চেনা শহর ছাড়িয়ে তাকে নিয়ে ছুটতে থাকে অকুল সমুদ্রপানে। বুড়ো কেবল ছেলেটির অভাব বোধ করতে থাকে। দৈত্যাকার এই মাছের মাঝে কোন ক্লান্তি দেখা যায় না। ক্রমেই সে বুড়োকে গহীন সমুদ্রে টেনে নিয়ে চলে। এতে মাছের উপর বুড়ো মোটেও রাগ করে না, সে বরং মাছটি না খেয়ে ছুটছে বলে কষ্ট পায়! সে বলে- "আমরা দুটিভাই একত্রে ছুটছি! ভাই তোমায় বড় ভালবাসি" সে নিজেও কখনো হতাশ বা ক্লান্ত হয় না। সারাক্ষণ রশি সামলাতে তার হাত ফেটে রক্ত ছোটে, একসময় একহাত অবশ হয়ে যায়। এতে মাছটাকে সামলানো ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে ওঠে। এভাবে টানা দুটিদিন ছোটার পরে মাছটি ক্লান্ত হয়ে পরে। কিন্তু এদিকে বুড়ো শুধু কাঁচামাছ খেয়ে দূর্বল হয়ে পরে। মাছের গায়ে হারপুন গাঁথার শক্তিও সে হারিয়ে ফেলে। অতঃপর বহুকষ্টে এই বিশাল দৈত্যের গায়ে সে হারপুন গাঁথে। এতে সমুদ্রের লোনাজলে কালমেঘের সৃষ্টি হয়। সে যখন নৌকার সাথে মাছ বেধে বাড়ির দিকে রওনা করে তখন রক্তের গন্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে হাঙ্গর এসে আক্রমন করে। এদের সাথে সাথে বীরের মত লড়ে কয়েকটি হত্যা করে। বুড়ো চিৎকার করে বলে "আমরা দুই ভাই রাক্ষসদের হত্যা করেছি!" বারবার বলে "ভাই আমায় ক্ষমা করো!" "তুমিও আমায় হত্যা করো ভাই! এতে কোন দোষ হবে না" প্রথমবারেই লেজের বেশকিছু মাংস রাক্ষসরা নিয়ে যায়, এতে বুড়ো প্রচন্ড ব্যাথা পায়! পরে দলবেঁধে আবার আসে ওরা! প্রাণপণ লড়ে বুড়ো, এতে হারপুন এবং মুগুর হারিয়ে নিরস্ত্র হয়ে পরে সে। ওরা আবার আসছে! কিন্তু বুড়ো নিরস্ত্র! সে কি পারবে তার প্রিয় মাছটিকে কূলে নিয়ে যেতে? উত্তর পাঠক বই থেকেই জেনে নিবেন। কারন বইটি আপনাকে পড়তেই হবে! সারাটা সময় বুড়োর একাকী কথোপকথন সত্যিই ভোলবার নয়! পড়তে যখন হবেই এখনই শুরু করে দিন কালজয়ী উপন্যাস... "The old man and the sea"