User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আহহহ! অসাধারন এডভেঞ্চার,,রোমাঞ্চ,, রোমান্টিক,,টান টান উত্তেজনায় ভরা একটা থ্রিলার বই বললেও কম হবে☺️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
marattok
Was this review helpful to you?
or
নরমাল কোয়ালিটি
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বইটা পরে মনে হয়েছে, পুরো কাহিনিটা চোখের সামনেই হচ্ছে। আমি জীবনে যদি কোনো সিনেমা নির্মাণ করি তা হলে বইটার কাহিনির ভিত্তিতে নির্মাণ করব।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
This is the best Masud Rana book I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
Nice to read
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই। বইটি খুব ভালো।
Was this review helpful to you?
or
মাসুদ রানা হ্যাকার উপন্যাসটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
প্রতিটি মুহূর্তে আলাদা উত্তেজনা আমাকে জাপ্টে ধরে রেখেছে গল্পের মধ্যে? অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
It'a awesome book!I love it!!
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
Amar chotobelar kotha mone pore gelo.tnx rokomari. Abar ei boi ta samne anar jney
Was this review helpful to you?
or
নাসার ডিপ স্পেস প্রোব ভয়েজার টুতে রিসিভ হয় কিছু সিগনাল, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সৌরজগতের বাইরের কোটি মাইল দূর থেকে এসেছে এই সিগনাল। রানা এজেন্সিতে কর্মরত প্রতিভাবান হ্যাকার রায়হানের কল্যাণে সে খবর মাসুদ রানার কাছেও পৌঁছে যায়, ভয়েজার টু থেকে রিসিভ হওয়া প্রোগ্রাম অন করতেই রানার অফিসে দক্ষযজ্ঞ ঘটে গেল, সবগুলো কম্পিউটার চোখের সামনে হার্ডওয়্যার শুদ্ধ পুড়ে গেল। ইউনোকোড নামের এই ভয়ংকর কোড আগামী চারদিন পর পুরো পৃথিবীতে আক্রমণ করতে যাচ্ছে যা পৃথিবীর কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সব কম্পিউটারকে একযোগে ধ্বংস করে দেবে।..... রানার দায়িত্ব এবার সাইবার টেরোরিজমের হাত থেকে পুরো পৃথিবীকে রক্ষা করা যা মোটামুটি অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় সি আই এ কর্মকর্তার স্বার্থপরের মত চক্রান্তে আর অচেনা ভয়ংকর তিন খুনির কারনে।..... পৃথিবীতে মাত্র দশজন মানুষ আছে যারা এই ভয়ংকর প্রোগ্রামের এন্টিভাইরাস বানাতে সক্ষম, তাদের একে একে খুন করা হতে থাকে। সর্বশেষ জীবিত ইউনোকোড প্রোগ্রামার স্ট্যানলি ডোনেনকেও বাচাতে পারল না রানা।...... তারপরের টুইস্টটা আর না বলি , এখানে এসে আমি রীতিমতো শকড হয়েছি। দুইখন্ডের এই গল্পে এক মুহূর্তের জন্য বিরক্ত হওয়ার সুযোগ নেই, টানটান উত্তেজনা আর টুইস্টে ভরপুর একটা গল্প। বর্ননায় কোথাও অতিরঞ্জিত ভাব নেই, এমনকি রানার অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলার বর্ননাগুলোকেও একদমই বেমানান মনে হয় নি। এখনো পড়ে না থাকলে এক্ষুনি পড়ে ফেলতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
মাসুদ রানা সিরিজের বই মানেই ধামাকা। এরকমই আরেকটি বই "হ্যাকার"। নাম দেখেই বোঝা যায় বইটি কতটা ইউনিক। বইটি মূলত ইউনিকোড বিষয়ে লেখা যা দিয়ে যেকোনো বাইনারি কোড ভেঙে দেওয়া সম্ভব। শুধু তাই না এর সাহায্যে পুরো পৃথিবীর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক নষ্ট করে দেওয়া সম্ভব!! বইটি পড়ার এক পর্যায় নেশা হয়ে যাবে৷ কম্পিউটার সম্পর্কে যাদের একটু হলেও ধারণা আছে তাদের অবশ্যই বইটি ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইয়ের নামঃ হ্যাকার বইয়ের ধরণঃ স্পাই থ্রিলার / গুপ্তচরভিত্তিক রোমাঞ্চোপন্যাস। লেখকঃ কাজী আনোয়ার হোসেন প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী প্রকাশকালঃ ২০০৮ পৃষ্ঠাঃ ২৯৬ মুল্যঃ ৮৬ টাকা (মুদ্রিত মূল্য); ৭৭ টাকা (রকমারি মূল্য) লেখক পরিচিতিঃ জুলাই ১৯, ১৯৩৬, ঢাকা) একজন বাংলাদেশী লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ৪ ভাই, ৭ বোন । তিনি ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাস করেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া পেয়েছেন সিনেমা পত্রিকা ও জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার। বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখাঃ একটা খবর একই সঙ্গে কীভাবে ভালো আর মন্দ হয়, বলতে পারেন? ঠিক আছে, উদাহরণ দেয়া যাক। নাসার ডিপ স্পেস প্রোব ভয়েজার-টু'তে রিসিভ করা হয়েছে অত্যাশ্চর্য এক সিগন্যাল—ভিনগ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার অকাট্য প্রমাণ। সুসংবাদ, তাই না? কিন্তু খারাপ খবরটা হচ্ছে, ওটার ভিতর লুকিয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর কোড, যা আগামী চারদিন পর সারা পৃথিবীর কম্পিউটার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। আর এর পিছনে যারা জড়িত, তারা কোনও ভিনগ্রহবাসী নয়, এই গ্রহেরই দু-পেয়ে জানোয়ার। এই মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে সভ্যতাকে বাঁচাতে হ্যাকিং, সাইবার-ক্রাইম আর সাইবার-টেররিজমের সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা অন্ধকার জগতে ঢুঁ মারতে চলেছে মাসুদ রানা। কিন্তু কাজটা সহজ নয় মোটেই। উদয় হয়েছে ওর পুরনো শত্রু ডগলাস বুলক ওরফে বুলডগ। যে-কোনও মূল্যে রানাকে ঠেকাতে মরিয়া সে। রয়েছে অচেনা শত্রুর লেলিয়ে দেয়া ভয়ঙ্কর খুনীরাও। আগামী ৯০ ঘণ্টা নরক দর্শন করে ফিরবে রানা। পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি মাসুদ রানা পড়ি। সেই ক্লাস সিক্স-সেভেন থেকে। রানার বইয়ের সব থেকে বেশি ভাল লাগার জায়গাটা হলো এর লেখনী। ঘোস্ট রাইটারদের দ্বারা লিখিত হওয়া সত্ত্বেও কোন বইয়েরই লেখনীশৈলী আলাদা মনে হয় না! যা হোক, এসব কথা মে বি আমার মুখে আপনারা আগেও শুনেছেন। তাই গাজীর পাঠ করে লাভ নেই। টপিকে আসি। আজকের টপিক হলো রানা সিরিজের "হ্যাকার" বইটি। হ্যাকার আমার পড়া প্রথম রানা বই। তাই এই বইটি নিয়ে বেশ মজার একটি স্মৃতি আছে আমার। আপনাদের সাথে তা শেয়ার করবো কিনা ভাবছি... আচ্ছা করেই ফেলি। আগেই বলেছি এটি আমার পড়া প্রথম রানা বই। ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন। এক বড় ভাইয়ের বাসা থেকে মেরে দিছিলাম বইটা। তবে সেটা ছিল প্রথম খন্ড। পড়তে বসলাম। কাটখোট্টা ইংরেজী উচ্চারণ। অর্ধেক পড়ি, তার অর্ধেক বুঝি। তাছাড়া এসব বাইনারি-ফাইনারি, কোড-ফোড কোন কিছুই বুঝতাম না। ক্লাস সিক্সের পোলা! অত কিছু কি বুঝি! কিন্তু তার পরও পড়া চালিয়ে গেলাম। আস্তে আস্তে আগ্রহ বাড়তে থাকলো। মনে হলো একি পড়তেছি! এরকম জিনিস বাংলাদেশে লেখা হয়! সারাজীবন তো হলিউড মুভিতে দেখেছি এসব! একটু পর পর বইটা নেড়ে চেড়ে দেখি! অনুবাদ না তো! এরপর একটা সময় বইটা শেষ হলো। গল্পে মাসুদ রানা তখন মহা বিপদে। কিভাবে ছাড়া পাবে যখনই জানতে গেছি, দেখি নিচে লেখা "আগামী খন্ডে সমাপ্য"! বুঝুন অবস্থা??? টানা ২ দিন থাকলাম হ্যাঙ্গোভারে। এরপর কি হলো... এরপর কি হলো... এই ভাবতে ভাবতে দিন চলে গেলো। পাগলের মত খুজতে শুরু করলাম পরের পর্ব। কিন্তু পাই না! বহু খোজাখুজির পর একদিন পেলাম। কিন্তু দোকানদার কাকু বেচতে চাইলেন না। ছোটদের নাকি মাসুদ রানা পড়া নিষেধ! ব্যাস! মনটাই খারাপ হয়ে গেল। বাসাও বলতে পারি না কিনে দিতে। টিফিনের টাকা বাচিয়ে কিনতাম তো বই। বাসার কেউ কিছু জানতো না। লুকিয়ে লুকিয়ে বই পড়তাম। ধরা পড়লে সর্বনাশ! আর সেটা যদি মাসুদ রানা হয় তাইলে তো কথাই নেই! কিন্তু এই ঘটনার এক বছর পরে বইটির ভলিউম বের হয় আর আমারও টেনশান কমে। এবার আসি কিছু তাত্ত্বিক কথায়। হ্যাকার বইটি প্রথম প্রকাশ পায় খন্ড আকারে ২০০৭ বা ২০০৮ সালে। ভলিউম বের হয় তার পরের বছর। রানা সিরিজের ৩৮৫ ও ৩৮৬ নাম্বার বই নিয়ে প্রকাশিত এটি। হ্যাকার বইটি রানা সিরিজের অন্যান্য বইয়ের থেকে অনেকটা আলাদা। কারণ রানা সিরিজের খুব হাতে গোনা ৩/৪টি বই আছে যা মৌলিক কাহিনী নির্ভর। হ্যাকার তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া এটি মাসুদ রানা সিরিজের অন্যতম সেরা বই হিসেবে বিবেচিত হয়! বইয়ের কাহিনীর কথা বলি। উপরক্ত "বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা"র মাধ্যমে আপনারা হয়ত ইতোমধ্যেই কাহিনী সংক্ষেপটা জেনেছেন। আমি কিছু জিনিস শুধু বলতে চাই। বইটি এক কথায় চমৎকার। কম্পিউটার, কোডিং, প্রোগ্রামিং আর হ্যাকিং এর মধ্য দিয়ে চলে গেছে এক গভীর ষড়যন্ত্রের জাল। প্রচন্ড টানটান উত্তেজনা নিয়ে চলে গেছে কাহিনী। এই বইয়ে আছে একশান , টেকনোলজি, সায়েন্স ফিকশন, থ্রীল, এমনকি প্রেমও। তবে হ্যা! এবার প্রেমটা মাসুদ রানা করে নি। করেছে অন্য কেউ! ;) বইয়ের প্রথমেই একটা খুনের ঘটনার উল্লেখ আছে। ওটা পড়েই পাঠক আর বইটি ছাড়তে পারবেন না কথা দিচ্ছি! বইটির চরিত্রগুলোর মধ্যে রায়হান রসিদকে খুব ভালো লেগেছে আমার। এরকম ট্যালেন্ট আসলেই আমাদের দেশে অনেক আছে। যার একটু ভাল ক্যারিয়ারের আশায় দেশের বাইরে চলে যান আর পশ্চিমাদের হাতের পুতুল হয়ে যান। অথচ এরা যদি দেশের উপকারে আসে তাহলে আমাদের দেশের উন্নতি হতে খুব বেশিদিন লাগবে না! বইটির প্রচ্ছদটি বেশ ভাল লেগেছে আমার। বইয়ের প্রিন্ট, বাঁধাই, কাগজের মান বরাবরের মতই। সব শেষে বলতে চাই, সুপ্রিয় পাঠক, বইটি পড়ে দেখুন। এমনকি যদি আপনি রানা ভক্ত নাও হয়ে থাকেন, তাও পড়ুন। কথা দিচ্ছি, ভালো লাগবে! ধন্যবাদ! হ্যাপি রিডিং! ও হ্যা! আপনারা হয়ত ভাবছেন গোটা রিভিউতে বইটি নিয়ে কোন সমালোচনার কথা উল্লেখ নেই কেন বা কোন নেগেটিভ কথা নেই কেন??? আসলে রানা সিরিজের প্রথম পড়া বই তো। তাই মুগ্ধতার জায়গাটা এতটাই বেশি যে ছোটখাটো খারাপ দিকগুলো চোখেই পড়ে না! :) রেটিংঃ ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
একটা খবর একই সঙ্গে কীভাবে ভালো আর মন্দ হয়, বলতে পারেন? ঠিক আছে, উদাহরণ দেয়া যাক। নাসার ডিপ স্পেস প্রোব ভয়েজার-টু'তে রিসিভ করা হয়েছে অত্যাশ্চর্য এক সিগন্যাল—ভিনগ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার অকাট্য প্রমাণ। সুসংবাদ, তাই না? কিন্তু খারাপ খবরটা হচ্ছে, ওটার ভিতর লুকিয়ে আছে এক ভয়ঙ্কর কোড, যা আগামী চারদিন পর সারা পৃথিবীর কম্পিউটার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে। আর এর পিছনে যারা জড়িত, তারা কোনও ভিনগ্রহবাসী নয়, এই গ্রহেরই দু-পেয়ে জানোয়ার। এই মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে সভ্যতাকে বাঁচাতে হ্যাকিং, সাইবার-ক্রাইম আর সাইবার-টেররিজমের সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা অন্ধকার জগতে ঢুঁ মারতে চলেছে মাসুদ রানা। কিন্তু কাজটা সহজ নয় মোটেই। উদয় হয়েছে ওর পুরনো শত্রু ডগলাস বুলক ওরফে বুলডগ। যে-কোনও মূল্যে রানাকে ঠেকাতে মরিয়া সে। রয়েছে অচেনা শত্রুর লেলিয়ে দেয়া ভয়ঙ্কর খুনীরাও। আগামী ৯০ ঘণ্টা নরক দর্শন করে ফিরবে রানা। হ্যাকার। গত একযুগের মধ্যে বর্তমান প্রজন্মের রানাপাঠকদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রশংসিত রানা-কাহিনী। কত অসংখ্যবার যে বিভিন্ন রানাভক্তদের পছন্দের তালিকায় একদম উপরের দিকে এই বইটার নাম দেখেছি তার ইয়াত্তা নাই। স্কুল-কলেজ লাইফে একসময় নিয়মিত মাসুদ রানার বইগুলো গোগ্রাসে নাকেমুখে গুজলেও গত আট-দশ বছরে রানা পড়া প্রায় থেমেই গেছিল, মাঝে মধ্যে দুয়েকটা ছাড়া। হ্যাকার বইটি যখন প্রকাশিত হয়েছে (২০০৮সাল) তখন থেকেই এই বইটির মুহুর্মুহ নাম শুনলেও তাই পড়া হয়ে উঠেনি এতদিন... কিন্তু সম্প্রতি যখন নিশ্চিতভাবে জানতে পারলাম বইটি রানার অন্যান্য কাহিনীগুলোর মত ছায়া অবলম্বন না, সম্পুর্ণ মৌলিক, তখন স্বভাবতই আগ্রহ চরমে ওঠে বইটা পড়ার জন্য। এবং বহু দিন পরে অবশেষে পড়েই ফেললাম হ্যাকার।
Was this review helpful to you?
or
Good.
Was this review helpful to you?
or
বইটা পরার পর কত যে স্বপ্ন দেখেছি নিজেকে একজন ইউনিক ভেবে তা বোঝাতে পারবো না। অসাধারন একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
ইউনোকোড। কম্পিউটিং জগতে সবচেয়ে শক্তিশালী কোড। আমাদের প্রচলিত বাইনারি কোডের যেকোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিতে পারে নিমেষেই। এই কোড দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া যায় পৃথিবীর সকল নেটওয়ার্ক ও তার সাথে যুক্ত সকল কম্পিউটার। ইউনোকোডের স্রষ্টা দশজন। তারাই কোডটি ডেভেলপ করেছে। প্রত্যেককে বলা হয় এক একজন ইউনো। দশজন ইউনো ব্যতীত এই কোড সম্পর্কে পৃথিবীর কেউই কিছু জানে না। সবাই তা বিশ্বাস করলেও বিশ্বাস করেনা শুধু একজন ইউনো। উনার ধারনা তাদের বাইরেও একজন ইউনো রয়েছে। সকল ইউনোরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারা এই কোড সম্পর্কে কাউকেই কিছু জানাবে না। কারন এটার ক্ষমতা সম্পর্কে একমাত্র তারাই জানে। কিন্তু হঠাৎই পৃথিবীতে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এক এক করে মারা পড়তে থাকে এক একজন ইউনো। হত্যাকান্ড এমনভাবে চালানো হয় যাতে সেটা মনে হয় স্রেফ একটা দূর্ঘটনা। কে এই হত্যাকান্ড চালাচ্ছে সে নিয়ে কেউ তদন্ত চালায় না। কারন ইউনোদের পরিচয় পৃথিবীর কারো জানা নেই। তাদের মৃত্যুও তেমন গুরুত্ব দেবার মত ঘটনা নয়। ইউনোদের মারার পেছনে একটাই পরিকল্পনা। ইউনোকোড দিয়ে তৈরি একটা ভাইরাস দিয়ে সমস্ত পৃথিবীর কম্পিউটার সিষ্টেম ধ্বংস করে দেওয়া।ইউনোরা বেচে থাকলে এই ভাইরাসের জন্য এন্টিভাইরাস তৈরি করে ফেলবে বলেই মেরে ফেলা হচ্ছে তাদের। এই ভাইরাসটিকে কে তৈরি করেছে তাও জানা নেই কারুই। তাহলে কি সত্যিই দশজনের বাইরেও কোন ইউনো আছে নাকি দশজনের ভেতর থেকেই কেউ ঘটাচ্ছে এই কাজ। রায়হান রশিদ। রানা এজেন্সির আইটি স্পেশালিষ্ট। সাইবার জগতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে একবার ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ডাবল আর। কে এই ডাবল আর তা আজও কেউ জানে না। কিন্তু রানা এজেন্সির প্রধান মাসুদ রানা ঠিকই বের করে ফেলেন ডাবল আরকে। এই ডাবল আরই হল রায়হান রশিদ। পৃথিবীর সকল দেশ ডাবল আরকে খুজলেও রানা তাকে কোথাও তুলে দেয়নি কারন ততদিনে রায়হান তার ভূল বুঝতে পেরেছিল। তাই মাসুদ রানা তাকে চাকরি দেন রানা এজেন্সিতে। ইউনোকোড দিয়ে তৈরি ভাইরাস আপলোড করে দেওয়া হয়েছে নাসার ওয়েবসাইটে একটি স্পেসশিপের সিগনাল হিসেবে। ভাইরাসটি এতই নিখুত আর শক্তিশালী যে এটা ভাইরাস বলে কারও সন্দেহই হয় নি।ভাইরাসটি ছিয়ানব্বই ঘন্টা পরে নিজ থেকেই জীবন্ত হয়ে উঠবে।আর ধ্বংস করে দেবে পৃথিবীর সাইবার জগৎ। ভাইরাসের ব্যাপারটি সবার চোখ এড়িয়ে গেলেও চোখ এড়ায়নি রায়হানের। নাসার ওয়েবসাইট হ্যাক করে সে খুজে পায় এটা। আর এটার তান্ডব নিজ চোখে পরখ করে রানা এজেন্সির নেটওয়ার্ক সিষ্টেমে। চারদিন পর সব কম্পিউটার ধ্বংস হয়ে যাবে সেটা তো হতে পারে না। মিশনে নামে রানা এজেন্সির প্রধান মাসুদ রানা আর আইটি স্পেশালিষ্ট রায়হান। ভাইরাসটি ঠেকানোর একটিমাত্র উপায়। একটা ইউনোকোড দিয়ে তৈরি এন্টিভাইরাস। কিন্তু সেজন্যে খুজে বের করতে হবে একজন ইউনোকে। সেটাও খুব সহজ কাজ নয়। যে ভাইরাস তৈরি করছে সে চায় না এটা ঠেকানোর মত কেউ থাকুক। কম্পিউটিংয়ে যাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ আছে তাদের কাছে অসাধারন লাগবে বইটি সেই গ্যারান্টি দিতে পারি। পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশনেরও স্বাদ পাবেন পাঠকরা। মাসুদ রানার তুখোড় তদন্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থিতি তো মাসুদ রানা সিরিজের অন্য বইয়ের মত। পাশাপাশি অসংখ্য ছোট বড় চমকের সাথে আছে হালকা রোমান্স। এক কথায় অসাধারনের চেয়েও বেশি কিছু।
Was this review helpful to you?
or
সেই ২০১০-১১ সালে পড়েছিলা। আমার পড়া সেরা মাসুদ রানার বই। সংগ্রহে রাখার জন্য রকমারি থেকে নিচ্ছি৷ মাসুদ রানার ভক্তদেরও উচিত সংগ্রে রাখা।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রথম মাসুদ রানা সিরিজের বই এটি। এক কথায় অনবদ্য। শেষ দিকের ট্যুইস্টটা ছিল অসাধারণ। যারা বইটি পড়েনি তারা বিরাট কিছু মিস করেছে। রানা সিরিজের প্রেমে পড়ার জন্য এই একটা বই পড়াই যথেষ্ট।