User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ROKTER RONG. WRITER : QUAZI ANWAR HUSSAIN. PUBLISHED FROM SEBA PROKASHONI. IT IS THE FIRST BOOK, WHEN RANA MET UE SEN. WHAT IS HAPPENING AGAINST BANGLADESH? WHY COLONEL SHEIKH AGINST RANA? WHY THERE IS BARMA? WHAT IS THE CONNECTION OF THIS THREE COUNTRY? BANGLADESH, BARMA AND PAKISTAN? DOES EVERYONE IS FRIEND. WHO IS THE DOUBLE AGENT? COULD RANA IDENTIFY THEM OR HIM OR HER? WHAT IS THE MATTER OF UE SEN? WHY HE IS THERE? COULD RANA SAVE HIS LIFE? ..... YOU COULD GET THOSE ANSWERS WHILE READING THIS BOOK.... FOR ITS THRILL AND ENJOYMENT, MY PERSONAL RATING IS 98/100.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম:রক্তের রঙ(মাসুদ রানা) লেখক:কাজী আনোয়ার হোসেন। মূল্য:২৮ টাকা (৯৯' সালের প্রিন্ট) প্রচ্ছদ:আলীম আজিজ। প্রকাশনী:সেবা। অনলাইন পরিবেশক:রকমারি। রিভিউ:বরাবরের মতোই ছুটি কাটাতে কাটাতে ডাক পড়ল মাসুদ রানার।বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এর ডান হাত।ডাক দিয়েছেন জেনারেল রাহাত খান।বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের হেড।রাহাত খান ডাকা মানে কোন সাধারণ কেস নিশ্চয় না।কিন্তু এবারের কেসের কথা বলতে যেয়ে, কঠোর,রুক্ষ বুড়ো রাহাত খানের ভ্রু ও বেঁকে গেলো।সামান্য নয় ভালোই বেঁকে গেল।মুখ গেল চিমসে হয়ে।মনে আছে মুসলিম লিগের কথা?যুদ্ধের সময়কার তাদের ব্যবহার? সেই মুসলিম লীগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।ব্যাপারটা এইটুকু হলেও কাহিনী শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু কাহিনী কেবল শুরু।মুসলিমলীগের সাথে যোগ দিয়েছেন প্রাচ্যের দুর্ধর্ষ দস্যু উ সেন।এবার ভ্রু বেঁকে গেল রানার।এই ভ্রু বাঁকা লক্ষ্য করেই রাহাত খান উত্তর দিল,মরেনি উ সেন।জীবিত আছে এখনো।শুধু হারিয়েছে দুটো চোখ।একেত মুসলিমলীগ সাথে আবার উ সেন যোগ হয়েছে।বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।তো কাহিনী ত গেলো,কিন্তু রানার ডাক পড়ল কেন?রানার এখানে কাজটা কি? মুসলিমলীগ আর উ সেন পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ টাকে আবার টুকরো টুকরো করে দেয়ার।পরিকল্পনা ছিদ্রহীন। প্রথমে বাংলাদেশের মানুষদের মুখ থেকে খাবার কেড়ে নেয়া হবে,দুর্ভিক্ষ বাধিয়ে দেয়া হবে,ছন্নছাড় করে দিয়ে ভারতের নামে অপবাদ রটিয়ে দেয়া হবে।আর এইসব পরিকল্পনার নকশা রয়েছে উ সেনের কাছে এক ফাইলবন্দী অবস্থায়।রানাকে যে করেই হোক ফাইলটা উদ্ধার করে রাহাত খানের হাতে হস্তান্তর করতে হবে।কিন্তু এটা যে সে উ সেন।যে সে লোক নয়।তাই মাসুদ রানাকে ধরতে হলো,আব্বাস মির্জা ছদ্মনাম। কিছুটা কাহিনী এগিয়ে বলি। একসময় মাসুদ রানা ওরফে আব্বাস মির্জা দেখা করল,উ সেনের সাথে।বাংলাদেশের তরফ থেকে সাহায্য করবে এই পরিচয় নিয়ে।রাহাত খান সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন।সব পরিকল্পনা যখন বুঝিয়ে দেয়া হলো রানাকে তখনই ঘটল ঘটনা,রানার বন্ধু পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্সের কর্নেল শেখ প্রবেশ করল রুমে।আর ঢুকেই মাসুদ রানাকে দেখে বলল, 'আরে রানা তুমি এখানে?' এবার কি হবে রানার?কি ভাবে পারবে রানা বাঁচতে? আট হাজার ট্রেইনড গেরিলা বাহিনীর সাথে কি রানা একা পারবে? আদৌ কি রানা ফাইলটা নিয়ে জমা দিতে পারবে রাহাত খানের কাছে?কিন্তু ব্যাপারটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এটা উ সেন,কোন অগামগা লোক নয়।জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দারুন এই বইটা পড়তে হবে। মজার ব্যাপার হলো, এটা গেলো খন্ড এক এর কাহিনী,এবার খন্ড দুইতে কি অপেক্ষা করছে?আর মাসুদ রানা মানেই তো প্রতি পাতায় পাতায় প্রেম, ভালোবাসা আর বর্ণনাতীত থ্রিল। তাহোলে পাঠক,আপনি কি রানার সাথে সব বিপদের মুখে পড়তে প্রস্তুত? মাসুদ রানার বর্তমান বই গুলোর চেয়ে আগের গুলো যে মাস্টারপিস এটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।আর এ বইটা এক কথায় অসাধারন।আমি এক বসায় প্রথম খন্ড শেষ করেছি,অনেকদিন পর রানাকে এমন ভাবে পেয়ে সত্যিই দারুন লাগছে।আমি কথা দিচ্ছি আপনি বইটা পড়ে নিরাশ হবে না মোটেও। পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। রেটিং:৪.৮/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- রক্তের রঙ। লেখক- কাজী আনোয়ার হোসেন। সিরিজ- মাসুদ রানা। ধরন- অ্যাডভেঞ্চার, অ্যাকশন। পৃষ্ঠা- ১৫২। প্রকাশনী- সেবা। প্রধান চরিত্র- মাসুদ রানা, সোফিয়া মং ল্যাই, উ সেন, সরোজ গুপ্ত, মিসেস ফ্যান সু গুপ্ত, সুই থাই, জেনারেল এহতেশাম, কর্ণেল শেখ, প্যাপন মং লাই, ইয়েন ফ্যাঙ, ডক্টর হুয়াং। রানার এবারের মিশন বার্মার রেঙ্গুনে। ভারত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে একইরকম ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন ওর বস রাহাত খান। সেই ষড়যন্ত্রের একটা বড় অংশ হচ্ছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে মুসলিম বাংলা নামে নতুন করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই কার্যক্রমে পাকিস্তানি দুজন কর্মকর্তা ও কুখ্যাত বার্মিজ দস্যু উ সেন সরাসরি জড়িত বলে সংবাদদাতার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন রাহাত খান। সেটার ওপর পূর্ণ তদন্ত করে এবং তাদের সেসব পরিকল্পনা ব্যর্থ করার জন্যই রানাকে পাঠানো হয়েছে। মুসলিম বাংলার গেরিলাতে ছদ্মবেশে যোগদানের ভান করে মিয়ানমারের মাটিতে পা রাখে রানা। ওর কন্ট্যাক্ট মিষ্টার ও মিসেস গুপ্ত নামের দুজন ভারতীয় এজেন্ট। নানকিং হোটেলে ওদের সাথে দেখা করে রানা। কিন্তু নযরে পড়ে যায় উ সেনের রাইট হ্যান্ড ইয়েন ফ্যাঙ এর। ইয়টে আপাতত নযরদারীতে রাখা হয় ওকে। এবং যথাসময়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উ সেনের সামনে। আব্বাস মির্জা ছদ্মবেশে রানা উ সেনের সাথে দেখা করে। উ সেন একটা প্লেন দুঘর্টনায় অন্ধ হয়ে গেছে। তবে ওর বিশেষ চশমার কারনে ও ঠিকই সবকিছুর অবস্থান বুঝতে পারে। অনেকটা বাদুড়ের মতো। সেখানে পাকিস্তানি জেনারেল এহতেশামের সাথেও কথা হয় রানার। কিন্তু বিপদ বাড়াতেই সেখানে হাজির হয় একসময়ের রানার কলিগ কর্ণেল শেখ। সে এসেই চিনে ফেলে রানাকে। উপায়ন্তর না পেয়ে অ্যাকশনে নেমে যায় রানা। মারের চোটে সেখানেই মরে যায় উ সেন। আহত হয় কর্ণেল শেখ, জেনারেল এহতেশাম ও সাই থুই নামের সুন্দরী মেয়ে। মুসলিম বাংলা বিষয়ক ফাইলটি নিয়েই কেটে পড়ে রানা। ওদিকে রানাকে রেঙ্গুনেই অনুসরণ করে আসছিলো সোফিয়া। সেখানে ইয়টে কিছু কথা হয় ওদের মধ্যে তবে পূর্ণ সহযোগীতার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়না। সোফিয়া যখন বুঝতে পারে এই লোক উ সেনের কাজ করেনা তখন তার সাহায্য চায়। কিন্তু রানা প্রথমে তার কন্ট্যাক্ট গুপ্তদের বিপদ হতে পারে ভেবে আগে তাদের বাচাতে ছুটে যায়। বেচারা রানার দেরী হয়ে যায়। নানকিং হোটেলে যেয়ে ও দেখতে পায় সরোজ গুপ্তকে আগেই মেরে রাখা হয়েছে। তার আগেই সেখানে পৌছে গেছে ইয়েন ফ্যাঙ। ইয়েন ফ্যাঙকে আহত করে রানা। একটু পরেই মিসেস ফ্যান সু গুপ্ত আসে কক্ষে। স্বামীর অবস্থা দেখে আতকে উঠে সে। রানা ও সে মিলে প্ল্যান করে রানাকে সরোজ সাজিয়ে বার্মার বর্ডার পার করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাবে মিসেস গুপ্ত। কিন্তু একটা মেডিসিনের প্রভাবে রানাই উল্টো বন্দী হয়ে পড়ে মিসেস গুপ্তের হাতে। তারপর ইয়েন ফ্যাঙকে খুন করে মিসেস গুপ্ত। এরপর বন্দী রানাকে ট্রেনে করে নিয়ে যায় মৃত উ সেনের আরেকটি ভবনে। এই সময়ে বেচারা প্যারালাইজড রানার ওপর মাঝেমাঝেই চলে যৌনতার প্রয়োগ। তাদের অনুসরণ করে সোফিয়াও আসে কিন্তু সে কোনো সাহায্য করতে পারেনা। নিজস্ব কিছু স্বার্থ আদায়ের জন্য রানাকে নিয়ে যায় মিসেস গুপ্ত উ সেনের আড্ডায়। তার ইচ্ছা রানাকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়ে বিনিময়ে আমেরিকান পাসপোর্ট ও কিছু টাকা নিয়ে কেটে পড়া। কিন্তু বেচারী জানেওনা তারজন্য সেখানে অপেক্ষা করছে চরম বিস্ময় ও কঠিন মৃত্যু। সেই একই জিনিস অপেক্ষা করছে রানার জন্যও। বইটা অনেক আগের। ১৯৭৩সালে প্রথম প্রকাশ পাওয়া। বেশ দ্রুত পঠনযোগ্য। এই বইয়ের একটা বিশেষ ভিন্ন দিক হলো রানার বন্দীত্ব। রানা বন্দী হয়, ধোলাই খায়, এটা সাধারন ব্যাপার। কিন্তু মিসেস গুপ্তর হাতে বেচারা যেভাবে নাজেহাল হয় তা মাথা আউলিয়ে দেবার মতো। উ সেন মাসুদ রানার অন্যতম প্রধান একজন ভিলেন। এই বইতেই উ সেন রানাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয় যা পরবর্তীতে সেই উ সেন নামের আরেকটি বইতে গড়ায়। সেখান থেকে আবার উ সেন নামক আরো একটি বইয়ে তারা পুণরায় মুখোমুখি হয়। আরেকটা ভিন্ন ব্যাপার হলো এখানে উ সেন ও রানা একে অপরের শত্রু হলেও ঠিকই আবার যোগ্যতার জন্য একে অপরের প্রতি সম্মানও বজায় রাখে। আশা করি মাসুদ রানা ভক্তদের ভালো লাগবে পড়তে। রেটিং- ৪.২০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের অসাধারন সৃষ্টি এক চরিত্র মাসুদ রানা। এই মাসুদ রানাকে নিয়ে গুপ্তচর বৃত্তীয় কাহিনী নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন রচনা করেছেন চার শতাধিক এর উপরে কাহিনী নিয়ে বইগুলো।মাসুদ রানা চরিত্রটিতে কাজী আনোয়ার হোসেন তুলে ধরেছেন প্রখর বুদ্ধিমান, গতি সম্পন্ন, শক্তিশালি , অকোতভয়, সাহসী প্রেমিক সাথে পুরুষত্ব। সম্পন্ন আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক ভক্ত ছিলাম মাসুদ রানা সিরিজের। তার অ্যকশান ধর্মী থ্রিলার গুলো আমাকে সব সময় রোমাঞ্চিত করে এসেছে। মাসুদ রানা সিরিজের " রক্তের রং" বইটিতে রয়েছে ব্যাপক থ্রিলার আর চমকপ্রদ অ্যাকাশন। বইটি মুল কাহিনী যদি বলতে চাই তাহলে বলতে হয় ভারত – বাংলাদেশ- বার্মা সীমান্তের কাছাকাছি কোথাও এক জটিল ষড়যন্ত্রের আবাস পেয়েছেন জেনারেল রাহাত খান। তার ধারনা হচ্ছে” মুসলিম বাংলা” সংক্রান্ত গুজবের সত্যতা আছে কিনা। ষড়যন্ত্র বানচাল করতে দায়িত্ব অপর্ন করা হয় মাসুদ রানার কাছে ।বিশাল সমুদ্রের উপর ছোট এক ইয়েটে করে নয়শো মাইল পাড় হয়ে ইয়ানগন পৌঁছে মাসুদ রানা। জানতে পারেন প্রাচ্যের দুধর্ষতম দস্যু উ সেন বেচে আছে মারা যাননি প্লান ক্র্যাশে। বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন তিনি।রানা ছদ্দ পরিচয়ে ঢুকে পড়েন তার দলে। উসেন দলে আট হাজার ট্রেইনড গেরিলা রয়েছে। ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হলে ওকে এদের মোকাবেলা করতে হবে। রানার শক্তি সমর্থ দিয়ে কিভাবে এই মিশন সফল কারেন তা জানতে পড়ে ফেলুন এই বইটি। বইটির পাতাই পাতাই পাবেন আ্যডভেঞ্চার আর নানা আ্যকশনের বণর্না। আশাকরি পাঠক অনেক রোমান্সিত হবে বইটি পড়ে। যাদের মাসুদ রানার বই ভাল লাগে অবশ্যই মিস করবেন না।