User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
শেষ টা খুব কষ্টের ছিল ?
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি উপন্যাস। লেখক ১ম বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরের সময় নিয়ে খুব সুন্দর করে লিখেছেন এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
One of my favorite (Friends forever)
Was this review helpful to you?
or
The book shows 3 sides of human life. True love, friendship and pain. Erich Maria Remarque has become my favourite writer after I have read this book. The closing will make a normal person cry. The TRANSLATOR deserves a special thanks.
Was this review helpful to you?
or
বন্ধুত্ব, প্রেম আর দুঃখের এক আশ্চর্য মহাকাব্য। অসাধারন অনুবাদের কারনে খুবই সুখপাঠ্য একটি বই। তবে দুঃখময় কাহিনী ভাল না লাগলে না পড়াই শ্রেয়। অপার বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় পড়া শেষ। তবুও বিশ্ব সাহিত্যের এক অসাধারন সৃষ্টি একবার হলেও সবার পড়া উচিত। একবারই পড়েছি, দ্বিতীয় বার পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
Was this review helpful to you?
or
এরিক মারিয়া রেমার্কের একটা মাস্টারপিস "থ্রি কমরেডস" বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, জীবনসংগ্রাম এবং নিয়তির এক অনবদ্য উপাখ্যান। মাসুদ মাহমুদের প্রাঞ্জল ও সাবলীল অনুবাদে খুবই সুখপাঠ্য একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
এটা না পড়লে অনেক কিছুই যেনো বাকি থেকে যেতো, মন্ত্রমুগ্ধকর একটা কাহিনী।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি সংক্ষেপ ওরা তিন বন্ধু - রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া - দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল- লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে-দুঃখে একসাথে এরা সবাই। এই উপন্যাস সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মন্তব্য - এটি সম্ভবত লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস। . পাঠ প্রতিক্রিয়া যুদ্ধফেরত সৈনিকের পরবর্তী জীবনের গতিপ্রকৃতি, গতানুগতিক জীবনের বদলে যাওয়া, বদলে যাওয়া স্বভাব কিংবা আরো কিছু অনুভূতির উপাখ্যান। এরিক মারিয়া রেমার্ক অনুভূতিকে লিপিবদ্ধ করতে পারেন খুব সহজে। লেখনির মাধ্যমে এত জীবন্ত অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে খুব কম লেখকই পেরেছেন। প্রায় একই ধরনের অনুভূতি - কারোর বর্ণনায় একদমই ঠুনকো, আর কারোর বর্ণনায় প্রচন্ড শক্তিশালী। রেমার্ক সন্দেহাতীতভাবেই দ্বিতীয় দলে পড়েন। . এটাকে বলা যায় গল্পে গল্পে যুদ্ধের স্মৃতিচারণ কিংবা যুদ্ধফেরত সৈনিকের যুদ্ধের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে, রক্তরঞ্জিত অতীত ভুলে গিয়ে, ছোট্ট সুন্দর সংসার করার আপ্রাণ চেষ্টা। . কিন্তু সেই চেষ্টায় হঠাৎ করে যখন বিপর্যয় চলে আসে, তখন খুঁজে পাওয়া যায় অভূতপূর্ব এক বন্ধুত্বের উদাহরণ। হ্যাঁ, এটাকে আমি উদাহরণই বলবো। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধুত্বের মধ্যে এই তিনজনের বন্ধুত্ব এগিয়ে থাকবে একদম প্রথম দিকে। . প্রথমদিকে আমি কার্লকে ভেবেছিলাম নেহায়েতই একটা রেসিং কার, যেটার চেহারা দুমড়ানো মুচড়ানো হলেও, ইঞ্জিন খুব শক্তিশালী। দক্ষ চালকের চালনায় কল্পনাতীত গতিতে ছুটে রেস জিতিয়ে দিতে পারে। কিন্তু পরে বুঝলাম, এটা কেবল গাড়িই নয়, এটা এমন একটা মেশিন, যেটা সময়ে মানুষের জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করে। . বইটা পড়তে শুরু করার পর কাহিনিটা ঠিক যেন টানছিলো না। জোর করে পড়ছিলাম। মনে হচ্ছিল, ক্লাসিক বই আমার জন্য নয়। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে আগ্রহ বাড়তে থাকলো। সম্পর্কের ভিত তৈরি করে, ওটা বিল্ড আপ করার পথে হুট করে আশঙ্কার মেঘ, তারপর আশঙ্কার প্রহর সরে গিয়ে হুট করে একটু স্বস্তির ছোঁয়া, আরো কিছু ভালো মুহূর্ত … ; অনুভূতির ছুটোছুটির খেলা আমাকে আটকে রাখলো বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত। . কিছু কিছু লাইন এত বেশি ভালো লেগেছে যে, কী বলব! "বিষণ্ণতা, শ্রদ্ধাবোধ এবং নীরব জ্ঞানের মিশ্রণ নিয়ে যে ভালোবাসা - সেটাই সুখ।" সুখের এরচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা আর কী হতে পারে? . পরিণতি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ওই সম্পর্কে জানতে হলে, অনুভব করতে হলে এই অসাধারণ বইটা না পড়ে উপায় নেই। . বই পরিচিতি বইঃ থ্রি কমরেডস লেখকঃ এরিক মারিয়া রেমার্ক রুপান্তর: মাসুদ মাহমুদ প্রচ্ছদ: আলীম আজিজ পৃষ্ঠা: ২৫৬ মূল্য: ৭৬ প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী প্রকাশকালঃ ১৯৮৮
Was this review helpful to you?
or
এরিক মারিয়া রেমার্ক (Erich Maria Remarque) (জুন ২২, ১৮৯৮ – সেপ্টেম্বর ২৫, ১৯৭০) যার পূর্ব নাম ছিল এরিক পল রেমার্ক। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ১৯১৭ সালে ১২ জুন প্রায় উনিশ বছর বয়সী রেমার্ককে বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে পাঠানো হয়। ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, যেখানে মাত্র একমাস যুদ্ধ করে তিনি ভয়াবহভাবে আহত হন, তার বাম পা, ডান বাহু এবং গলায় স্প্লিন্টার লাগে।তারপর সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় আর্মি হসপিটালে। এরপরে তাকে আর যুদ্ধে অংশ নিতে হয়নি। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় তিনি রচনা করেন তার প্রথম উপন্যাস “The Dream Room”.। রেমার্কের লেখা ‘থ্রী কমরেডস’-এর শেষ প্রচ্ছদের লেখাগুলি এরকম – “ওরা তিন বন্ধু – রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া- দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল- লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে- দুঃখে এক সাথে এরা সবাই।” বইয়ের প্রধান চরিত্র- রবার্ট লোকাম্প, ওটো কস্টার ও গোটফ্রীড লেন্ত্স।বইয়ের ঘটনা এগিয়েছে রবার্ট লোকাম্পের জবানীতে। তিন বন্ধুর বন্ধুত্বের শুরু জানা যায় না। এই বন্ধুত্বের মাঝে রবার্টের জীবনে আসে প্যাট্রিসিয়া হলম্যান। ভালোবাসার রূপে। আবার চলেও যায়।প্যাট্রিসিয়ার প্রতি রবার্টের অনুভুতি কেমন ছিলো? বই থেকে তুলে দিচ্ছি-প্যাট্রিসিয়াকে নিয়ে রবার্ট বেড়াতে গেছে শহর থেকে দূরে এক সমুদ্র সৈকতে। আনন্দেই কাটছিল তাদের সময়। কিন্তু হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়ে প্যাট্রিসিয়া-- "ওদিকে শ্বাসকষ্ট বেড়েই চলেছে প্যাটের। কাশছে মাঝে মাঝে। আর তার সাথে রক্ত উঠে আসছে দলা বেঁধে।"ভালোবাসার মানুষটির কষ্ট সহ্য করতে না পারা রর্বাটের ভাবনা-- "আর স্থির থাকতে পারছি না আমি। বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন। সমুদ্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে এখান থেকেও। গাছের পাতা থেকে গড়িয়ে পড়ছে শিশিরবিন্দু। কোন এক ইঞ্জিনের অস্পষ্ট ভেসে আসছে দক্ষিণ দিকের দিগন্তের বাইরে থেকে। আমি জানি, আমাদের জন্য এগিয়ে আসছে সাহায্যের হাত, অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে, এবড়োখেবড়ো পথ ধরে; তীব্র উজ্জ্বল আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে হেড-লাইট থেকে; রাস্তার সাথে ঘষা খেয়ে টায়ার থেকে শব্দ বেরুচ্ছে হুইসেলের মত, স্টিয়ারিং ধরে আছে দৃঢ়, অবিচল দু'টি হাত, অন্ধকারে ঠান্ডা ও নিশ্চিত দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে দু'টি চোখ-- আমার বন্ধুর চোখ, আমার শুভাকাঙ্খীর চোখ।..."বিশ্বখ্যাত এই বইটি সম্পর্কে "নিউ ইয়র্ক টাইমস" পত্রিকার মতামতটি জেনে রাখুন-- "এটি সম্ভবত এই লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস।... আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার গল্প।"
Was this review helpful to you?
or
পুরানো বইয়ের দোকান। অনেক ছেঁড়া-ফাঁড়া মলিন বই। যেন এক ধ্বংসস্তুপ। আমি বই শিকারি। লক্ষ্য অক্ষত বই। যথাসম্ভব কম দামে। তখন সবে কলেজে উঠেছি। থ্রিলার পিয়াসী মন। সেবা প্রকাশনী প্রিয়ার মতন। বইয়ের ধ্বংসস্তুপের মাঝে একটা বই পেলাম। প্রায় অক্ষত। নাম “থ্রী কমরেডস”, লেখক এরিক মারিয়া রেমার্ক। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ। অনুবাদ করেছেন মাসুদ মাহমুদ। শেষ প্রচ্ছদের লেখাগুলি এরকম – “ওরা তিন বন্ধু – রবার্ট, গোটফ্রীড, ওটো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক। প্যাট্রিসিয়া- দুঃসাহসী এক মেয়ে। কার্ল- লক্কড়মার্কা চেহারার তেজি এক রেসিংকার। যুদ্ধোত্তর জার্মানীর চরম দুঃসময়ে সুখে- দুঃখে এক সাথে এরা সবাই।” বইটা বাড়িতে চলে এলো। অক্ষত থাকার সুবাদে। কিন্তু পড়া হলো না। তখন শুধু থ্রিলার, থ্রিলার আর থ্রিলার। এক সন্ধ্যায় পড়ার মতো থ্রিলারে টান পড়লো। বন্ধুদের কাছ থেকে আনবারও উপায় নেই। বাইরে তুমুল বৃষ্টি। অনেকটা বাধ্য হয়েই পড়তে শুরু করলাম “থ্রী কমরেডস”। তারপর কখন যে আমিও কমরেডদের একজন হয়ে গেলাম, বইটা পড়তে পড়তে! পড়ার মাঝে লোডশেডিং। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। অথচ আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি জার্মানীর পথে পথে। সঙ্গী রবার্ট লোকাম্প, ওটো কস্টার ও গোটফ্রীড লেন্ত্স। অন্যান্য চরিত্রগুলিও যেন অনেকদিনের চেনা। আত্মার আত্মীয়। বইয়ের ঘটনা এগিয়েছে রবার্ট লোকাম্পের জবানীতে। তিন বন্ধুর বন্ধুত্বের শুরু জানা যায় না। শেষ? পরিণতি জানা যায়, অনুভূতি নয়। কারণ- এটা চিরন্তন। এই বন্ধুত্বের মাঝে রবার্টের জীবনে আসে প্যাট্রিসিয়া হলম্যান। ভালোবাসার রূপে। আবার চলেও যায়। বইয়ের শেষে। চিরতরে। তবে তারো আগে যায় গোটফ্রীড আর কার্ল। ওরাও চিরতরে। চলে যায় চিরতরে। কিন্তু কী ভাবে? আসুন জানি এই বইয়ের কিছু কিছু অংশ থেকেই। বন্ধুত্বের খুনসুটিগুলি মোটামুটি ভাবে আমরা সকলেই কম-বেশি জানি, তাই এখানে থাক সে কথা, বন্ধুর উপর আরেক বন্ধুর ভরসার কথা শুনুন বরং-- প্যাট্রিসিয়াকে নিয়ে রবার্ট বেড়াতে গেছে শহর থেকে দূরে এক সমুদ্র সৈকতে। আনন্দেই কাটছিল তাদের সময়। কিন্তু হঠাৎ-ই অসুস্থ হয়ে পড়ে প্যাট্রিসিয়া-- "ওদিকে শ্বাসকষ্ট বেড়েই চলেছে প্যাটের। কাশছে মাঝে মাঝে। আর তার সাথে রক্ত উঠে আসছে দলা বেঁধে।" স্থানীয় ডাক্তার চিকিৎসায় অপারগ হলে দু'শ চল্লিশ কিলোমিটার দূর শহরে থাকা ডাক্তারকে দরকার হয়। খবর পেয়ে সেই ডাক্তারকে খুঁজে বের করে কার্লে চড়ে রওয়ানা করে কস্টার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জার্মানির পথ, সে কালের সব থেকে দ্রুতগতির গাড়িরও দু'শ চল্লিশ কিঃমিঃ পাড়ি দিতে কমপক্ষে তিন ঘন্টা লাগবে বলে সবার ধারণা। এদিকে মরণাপন্ন প্যাট্রিসিয়া। বন্ধু কস্টার বলেছে দুই ঘন্টার মধ্যে ডাক্তারকে নিয়ে পৌঁছাবে যে করেই হোক। এ অবস্থায় জানুন ভালোবাসার মানুষটির কষ্ট সহ্য করতে না পারা রর্বাটের ভাবনা-- "আর স্থির থাকতে পারছি না আমি। বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন। সমুদ্রের গর্জন শোনা যাচ্ছে এখান থেকেও। গাছের পাতা থেকে গড়িয়ে পড়ছে শিশিনবিন্দু। কোন এক ইন্জিনের অস্পষ্ট ভেসে আসছে দক্ষিণদিকের দিগন্তের বাইরে থেকে। আমি জানি, আমাদের জন্য এগিয়ে আসছে সাহায্যের হাত, অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে, এবড়োখেবড়ো পথ ধরে; তীব্র উজ্জ্বল আলো ঠিকরে বেরুচ্ছে হেড-লাইট থেকে; রাস্তার সাথে ঘষা খেয়ে টায়ার থেকে শব্দ বেরুচ্ছে হুইসেলের মত, স্টিয়ারিং ধরে আছে দৃঢ়, অবিচল দু'টি হাত, অন্ধকারে ঠান্ডা ও নিশ্চিত দৃষ্টি ফেলে তাকিয়ে আছে দু'টি চোখ-- আমার বন্ধুর চোখ, আমার শুভাকাঙ্খীর চোখ।..." এমন বন্ধু, এমন শুভাকাঙ্খী হয়তো একজনও পেয়ে ওঠা হয় না সিংহভাগ মানুষের এক জীবনে; রবার্ট পেয়েছিল দু'জন। কিন্তু দু'জনকেই ধরে আর রাখতে পারলো কই সে। চলে গেল গোটফ্রীড-- অস্থির অমানবিক রাজনীতির বলি হিসেবে।"গোটফ্রীড আমার দিকে তাকিয়ে আছে স্থিরভাবে।" এবং বইয়ের শেষে এসে প্যাট্রিসিয়াও চলে গেল রর্বাটকে ছেড়ে। তারও আগে কাজের সন্ধানে কষ্টার চলে যায় দূরের এক শহরে। আর সামান্য একটা যন্ত্র, গাড়ি হয়েও কার্ল যে ভাবে মিশে ছিল এই তিন বন্ধুর জীবনে তাতে করে আপনি হয়তো তার পরিনতির কথাও জানতে চাইতে পারেন। কার্লের পরিণতি জানতে চাইলে বইটা পড়ুন আগ্রহী পাঠক; নিতান্তই পাষাণ-হৃদয় না হলে আপনি চোখের জল ধরে রাখতে পারবেন না, এই কথা জোর দিয়েই বলছি। শেষ করবার আগে বিশ্বখ্যাত এই বইটি সম্পর্কে "নিউ ইয়র্ক টাইমস" পত্রিকার মতামতটি জেনে রাখুন-- "এটি সম্ভবত এই লেখকের সবচেয়ে কোমল, অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী উপন্যাস।... আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার গল্প।" ভালোবাসা এবং বন্ধুত্ব- এর মাঝে বইটিতে উঠে এসেছে আরো অনেক কিছু। যুদ্ধের পরিণতি। মানবতার অপমান ও বিপর্যয়। আবার এই মানবতাকে বিজয়ী করবার লক্ষ্যে মানুষের অকান্ত সংগ্রামের কথা। তবু যদি প্রশ্ন করা হয়- কিসের গল্প থ্রী কমরেডস? নির্দ্বিধায় উত্তর দেব- বন্ধুত্বের গল্প। ভালোবাসার গল্প।
Was this review helpful to you?
or
এরিক মারিয়া রোমার্ক এর প্রত্যেকটি উপন্যাসই মানব হৃদয়ে গভীর দাগ কাটতে সক্ষম।সাধারণত যুদ্ধ ও তার ভয়াবহ পরিণতি তার লোখায় ভাষারূপ পেয়ে থাকে।তবে এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে "থ্রী কমরেডস" কিছুটা হলেও ব্যতীক্রমধর্মী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিন সৈনিক- রবার্ট,গোটফ্রীড এবং ওটো...তিন বন্ধুর এক আত্মা।কিছুটা উশৃঙ্খল আর আবেগপ্রবণ।তাদের গর্বের ধণ লক্কড়মার্কা এক তেজি রেসিং কার "কার্ল"।যেকোন রেসের গাড়িকে বোকা বানাতে তার জুড়ি নেই। আর ঘটনাক্রমে তাদের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে প্যাট্রিসিয়া নামের এক দুঃসাহসী মেয়ের।যুদ্ধোত্তর জার্মানির চরম দুঃসময়ে সুখে-দুঃখে এরা এরা একসাথে থাকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও তাদেরকে ছেড়ে গেছে গোটফ্রীড।একমাত্র সম্পদ "কার্ল"কে বিক্রি করেও শেষ রক্ষা হয়নি প্যাট্রিসিয়ার। উপন্যসটি সম্পর্কে "নিউজ উইক"এ বলা হয়েছে,"পূর্ববর্তী উপন্যাসগুলোর চেয়েও উৎকৃষ্ট।" আর "নিউ ইয়র্ক টাইমস" এর মতে,"অনুভূতিময় এবং মর্মস্পর্শী...আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার গল্প।" পবিত্র ও নির্মল ভালোবাসা মানুকে যে কতটা শুদ্ধ ও পরিশীলিত করে তা বইটিতে দারুনভাবে ফুটে উঠেছে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি এখনো আমি শেষ করিনি। এখনো ২৩ পাতা বাকি আছে। সত্যি কথা বলতে কাল রাতে বইটি পরে আমি ঘুমাতে পারিনি। এই পর্যন্ত পরে মনে হচ্ছে আমার জীবন থেকে আমার একটি বন্ধু চিরকালের জন্য হারিয়ে গেছে। এখনো বুঝতে পারছি না, কীভাবে শেষ হবে বইটা।
Was this review helpful to you?
or
এরিক মারিয়া রেমার্কের আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস।সাথে অনুবাদক মাসুদ মাহমুদের ও দারুণ একটি অনুবাদ।রেমার্কের আরেকটি বই "দ্য রোড ব্যাক" এর ও অসাধারন অনুবাদ করেছেন এই অনুবাদক। বাংলায় "থ্রি কমরেডস" বইটির যতগুলো অনুবাদ আছে,তার মাঝে সেবার এই অনুবাদটি সবার সেরা নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
থ্রি কমরেডস-আমার পড়া অনুবাদ উপন্যাসগুলোর মাঝে অন্যতম সেরা।বর্তমানে বাজারে থাকা বইটির অনুবাদগুলোর মাঝে এটির অবস্থান প্রথমে থাকা উচিত। অনুবাদক কী অসাধারণ ভাবে রেমার্কের ভাষা ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলায়। এটিকে এক ধরনের রোমান্টিক উপন্যাস বলা চলে।তবে সচরাচর রোমান্টিক উপন্যাসের মতো নয় মোটেই। উপন্যাসটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জার্মানীতে ফ্রন্ট ফেরত তিন যুবকের-রবার্ট,গোটফ্রিড এবং ওটোর জীবন কাহিনী,তাদের বন্ধুত্বের অসাধারণ কাহিনী,,,কার্ল নামের এক লক্কর ঝক্কর কিন্তু অসাধারণ গতিসম্পন্ন রেসিং কারের কাহিনী,,, উপন্যাসটি প্যাট নামের অসাধারণ চরিত্রের এক মেয়ের কাহিনী,,,,তার সাথে গোটফ্রীডের অসাধারণ এক প্রেমের কাহিনী,,,,এবং সর্বশেষে অসাধারণ এক বাস্তব জীবনবোধের কাহিনী। রেমার্কের প্রতিটি বইতেই অসাধারন বাস্তববোধের প্রয়োগ রয়েছে,বইটি তার একটি উদাহরণ মাত্র। সংরক্ষণ করে রাখার মতো একটি বই