User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এটা কি ঐতিহাসিক উপন্যাস,নাকি ফিকশন থ্রিলার?
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ার আগে ভাবতে পারিনি এতটা থ্রিলার হবে। বইটি পড়ে অনেক ভালো লাগছে ।
Was this review helpful to you?
or
Egypt history good book to read
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। দারুণ অনুবাদ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক ভালো।ভালোভাবে ডেলিভারি পেয়েছি । এখনও পড়িনি। তবে যেহেতু H.R.H এর বই সুতরাং অনেক ভালোই হবে ।
Was this review helpful to you?
or
Great historical book but translation could be much better.
Was this review helpful to you?
or
One of the best books ever, amazing storyline
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমার কাছে খুব চমৎকার লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
Good enough
Was this review helpful to you?
or
awsome
Was this review helpful to you?
or
Excellent book.
Was this review helpful to you?
or
অনুনাদটা দারুণ।
Was this review helpful to you?
or
good to read
Was this review helpful to you?
or
one of the best.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ গল্প, চমৎকার অনুবাদ।
Was this review helpful to you?
or
jokhon taka kom thake tokhon eidhoroner boi order kori...first jokhon boi ta pai thokhon khub ekta valo lageni..ami kono boi ek dine pore sesh korte parina..but boi ta jokhon porte suru korlam boita chare uthtey parlam na.. amazing ekta boi...boi ta pore onek valo lagse
Was this review helpful to you?
or
কেউ যদি প্রাচীন ইতিহাসের সেই ফারাও ক্লিওপেট্রা, এন্টনি , জুলিয়াস সিজার এদের ব্যাপারে জানার জন্য এই বইটি হাতে নিয়ে থাকেন তবে ভুল পথে এসেছেন। এটা সম্পূর্ণই ফিকশনাল বই।ইতিহাসের সাথে তেমন মিল পাবেন না। কাহিনীর বক্তা হারমাচিস। আসলে সে এই কাহিনী কিছু প্যাপিরাস খন্ডে লিখে রেখেছিল যা তার কবর থেকেই উদ্ধার করা হয়। এই কাহিনীকে ভাগ্যের এক বিশাল ছেলে খেলা বললেও ভুল হবে না। হারমাচিসের জন্মের সময় থেকেই ভাগ্যের খেলা আরম্ভ হয়। হারমাচিসের মা'র ভবিষ্যৎ বাণীকে সকলেই বিশ্বাস করতো; তিনি মারা যাওয়ার আগে বলে যান তার পুত্রই হবে মিশরের পরবর্তী ফারাও। ঠিক এরপর থেকে ভাগ্যের চাকার ঘুর-ঘুরান্তি খেলা শুরু। যুবক হারমাচিস মিশরবাসীর মুখের দিকে চেয়ে বেড়িয়ে পড়ে রাজ্য উদ্ধারে। প্রতিদ্বন্দ্বী পরমা সুন্দরী ক্লিওপেট্রা। প্যাপিরাসে বলা আছে গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন নারীর কথা! নাম চারমিওন। কিন্তু দেবতার মতো দেখতে শক্ত-সমর্থ হারমাচিস কি ততোটা সংযমী ছিল ! পরিকল্পনা মাফিক আগাতে থাকা হারমাচিস হঠাৎ করেই যেন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়। চারমিওনের ভূমিকাই বা কি? এসব জানতে ঝটপট পড়তে হবে রাজনীতি,বিশ্বাস,প্রেম আর বিশ্বাসঘাতকতার এক অনবদ্য সংকলন ক্লিওপেট্রা :D
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ ক্লিওপেট্রা। লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগারড। অনুবাদকঃ সায়েম সোলায়মান। ক্লিওপেট্রা সুন্দরের রানী । প্রাচীন মিশরের এক মন্দিরের পুরোহিতের ঘরে জন্ম নেয় এক ছেলে নাম হারমাচিস, ঠিক একই দিনে মিশরের তৎকালীন রাজার ঘরে জন্ম নেয় মিশরের ভবিষ্যৎ রানী ক্লিওপেট্রা। হারমাচিসের জন্মের আগে তার মা স্বপ্নে দেখেন তার ছেলে মিশরের রাজা হবে, তার নাকি অধিকাংশ স্বপ্ন সত্যি হয়। তার স্বপ্নের এই কথাটা রাজা জানতে পেরে হারমাচিসকে হত্যা করার জন্য পাঠান কিন্তু ঘটনাক্রমে হারমাচিস বেঁচে যায়। হারমাচিস বড় হতে থাকে তার বাবার আদর্শ নিয়ে। সে ছিল সবার চেয়ে আলাদা কারন তাকে যে মিশরের রাজা হতে হবে। একসময় হারমাচিসকে তার মামার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় শিক্ষা দীক্ষা নেওয়ার জন্য। তার মামার কাছ থেকে ফিরে এসে হারমাচিস তার মিশনে নেমে পড়ে । তার মিশন ছিল রানী ক্লিওপেট্রাকে সরিয়ে সিংহাসন দখল করা। যাই হোক বিভিন্ন কারনে হারমাচিস রানীর সহচর্য লাভ করে এবং রানীর রাজসভায় একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে। তাছাড়া সে রানীর মনও দখল করে ছিল। একটা সময় হারমাচিসও রানীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। রানীর খাস চাকরানী চারমিওন ছিল হারমাচিসের চাচাতো বোন । তারা দুজন মিলে ঠিক করে এক রাতে রাণীকে হত্যা করবে। কিন্তু প্রেমের প্রতিশোধ বলে একটা কথা আছে। সেই প্রতিশোধের জন্য মানুষ সব কিছুই করতে পারে।। রানীকে হত্যা করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলো। কে করল কাজটা ?? হারমাচিস কী সফল হয়েছিল?? মিশরের তার পরের ইতিহাসে কে জায়গা করে নিয়েছিল?? হারমাচিস নাকি ক্লিওপেট্রা ??? চারমিওনের কি হয়েছিল???? উওর জানতে চান?? তাহলে পড়ে ফেলুন বইটি এখনি। এই প্রশ্ন গুলোর পাশাপাশি আরও কিছু অজানা তথ্য জানতে পারবেন বইটি থেকে। আমার ভালো লেগেছে বইটি। আশা করি যে কারোরই ভালো লাগবে
Was this review helpful to you?
or
মিশরের প্রাচীন এক রাজবংশে জন্ম নিল "হারমাচিস"। তার মা স্বপ্ন দেখলেন একদিন তার ছেলে মিশরের রাজা হবেন। যেদিন হারমাচিস এর জন্ম হলো সেদিনই, তখনকার রাজার ঘরে জন্ম নিলো এক শিশুকন্যা ক্লিওপেট্রা। হারমাচিসের মা তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে দিলো বুড়ি দাইমা আটোয়াকে। এক কান দু'কান হতে হতে রাজার কানে পৌছে গেল একথা। রাজা সৈন্য পাঠিয়ে দিল হারমাচিসকে মারার জন্য। বুড়ি দাইমা আটোয়া নিজের নাতনিকে হারমাচিস বলে চিনিয়ে দিলো সৈন্যদের। এভাবে বেচে গেলো হারমাচিস।একটু বড় হবার পর হারমাচিস জানতে পারলো তার মায়ের স্বপ্নের কথা। তার বাবা যে কিনা প্রধান পুরোহিত হারমাচিসকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য পাঠিয়ে দিলো হারমাচিসের মামার কাছে। সেখানে হারমাচিস বিভিন্ন বিষয়সহ যাদুবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠলো।ইতোমধ্যে রাজার মৃত্যুর পর মিশরের রানী হয়ে সিংহাসনে বসেন সুন্দরী,বুদ্ধিমতী,বিদুষী ক্লিওপেট্রা।তাই হারমাচিসের উপরে দায়িত্ব পড়ে ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করার। রানী ক্লিওপেট্রার খাস দাসী চারমিওন ছিল হারমাচিসের চাচাতো বোন। চারমিওনের কৌশলে হারমাচিস রানীর নজরে আসে। এবং নিজের ব্যক্তিত্বের কারনে খাস জ্যোতিষী হিসেবে নিযুক্ত হন ক্লিওপেট্রার রাজসভায়। সবকিছুই ঠিকমতো চলছিল কিন্তু রানী ক্লিওপেট্রার রূপে মুগ্ধ হারমাচিস ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়ে যায়। সবাই তার কর্তব্যের কথা তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয় যে ক্লিওপেট্রা তার শত্রু তাকে হত্যা করতেই হবে।একদিন হারমাচিস এবং চারমিওন মিলে ঠিক করে রানীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করবে। সেই মোতাবেক সুযোগ বুঝে হারমাচিস যায় রানীর কক্ষে কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে চারমিওন সবকিছু বলে দেয় ক্লিওপেট্রাকে। যার ফলে ধরা পড়ে যায় হারমাচিস। এরপর শুরু হয় নতুন অধ্যায় যে অধ্যায় বদলে দেয় মিশরের ইতিহাস হারমাচিস কি সফল হয়েছিল। নাকি বুদ্ধিমতী রানী ক্লিওপেট্রার কাছে হারিয়েছিল তার সবকিছু জানতে পড়ে ফেলুন ক্লিওপেট্রা বইটি। যেখানে জানতে পারবেন একজন রহস্যময়ী রানী ক্লিওপেট্রার কথা। যে কিনা তার সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্ত্বার কারনে বেচে আছেন এখনো।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ ক্লিওপেট্রা লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড রূপান্তরঃ সায়েম সোলায়মান মিশরের প্রাচীন এক রাজবংশে জন্ম নিল "হারমাচিস"। তার মা স্বপ্ন দেখলেন একদিন তার ছেলে মিশরের রাজা হবেন। যেদিন হারমাচিস এর জন্ম হলো সেদিনই, তখনকার রাজার ঘরে জন্ম নিলো এক শিশুকন্যা ক্লিওপেট্রা। হারমাচিসের মা তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে দিলো বুড়ি দাইমা আটোয়াকে। এক কান দু'কান হতে হতে রাজার কানে পৌছে গেল একথা। রাজা সৈন্য পাঠিয়ে দিল হারমাচিসকে মারার জন্য। বুড়ি দাইমা আটোয়া নিজের নাতনিকে হারমাচিস বলে চিনিয়ে দিলো সৈন্যদের। এভাবে বেচে গেলো হারমাচিস।একটু বড় হবার পর হারমাচিস জানতে পারলো তার মায়ের স্বপ্নের কথা। তার বাবা যে কিনা প্রধান পুরোহিত হারমাচিসকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য পাঠিয়ে দিলো হারমাচিসের মামার কাছে। সেখানে হারমাচিস বিভিন্ন বিষয়সহ যাদুবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠলো।ইতোমধ্যে রাজার মৃত্যুর পর মিশরের রানী হয়ে সিংহাসনে বসেন সুন্দরী,বুদ্ধিমতী,বিদুষী ক্লিওপেট্রা।তাই হারমাচিসের উপরে দায়িত্ব পড়ে ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করার। রানী ক্লিওপেট্রার খাস দাসী চারমিওন ছিল হারমাচিসের চাচাতো বোন। চারমিওনের কৌশলে হারমাচিস রানীর নজরে আসে। এবং নিজের ব্যক্তিত্বের কারনে খাস জ্যোতিষী হিসেবে নিযুক্ত হন ক্লিওপেট্রার রাজসভায়। সবকিছুই ঠিকমতো চলছিল কিন্তু রানী ক্লিওপেট্রার রূপে মুগ্ধ হারমাচিস ক্লিওপেট্রার প্রেমে পড়ে যায়। সবাই তার কর্তব্যের কথা তাকে বারবার মনে করিয়ে দেয় যে ক্লিওপেট্রা তার শত্রু তাকে হত্যা করতেই হবে।একদিন হারমাচিস এবং চারমিওন মিলে ঠিক করে রানীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করবে। সেই মোতাবেক সুযোগ বুঝে হারমাচিস যায় রানীর কক্ষে কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে চারমিওন সবকিছু বলে দেয় ক্লিওপেট্রাকে। যার ফলে ধরা পড়ে যায় হারমাচিস। এরপর শুরু হয় নতুন অধ্যায় যে অধ্যায় বদলে দেয় মিশরের ইতিহাস হারমাচিস কি সফল হয়েছিল। নাকি বুদ্ধিমতী রানী ক্লিওপেট্রার কাছে হারিয়েছিল তার সবকিছু জানতে পড়ে ফেলুন ক্লিওপেট্রা বইটি। যেখানে জানতে পারবেন একজন রহস্যময়ী রানী ক্লিওপেট্রার কথা। যে কিনা তার সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্ত্বার কারনে বেচে আছেন এখনো????
Was this review helpful to you?
or
সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রার কাছে নির্মম ভাবে হেরে গেল মিসরের শেষ বংশধর এবং অবিশ্বাস্য জ্ঞানের অধিকারী হারমাচিস। নবজাতক হারমাচিস রাজার সৈন্যর হাত থেকে বাচাল দাই মা অটয়া। বড় হয়ে জানতে পারল সে,রানী ক্লিওপেট্রা তার শত্রু। কিন্তু এত জ্ঞানের অধিকারী হওয়ার পরেও পারল না সিংহাসন উদ্ধার করতে। প্রেম,বিশ্বাসঘাতক আর তার পরিনতির এক অভূতপূর্ব কাহিনি ক্লিওপেট্রা।
Was this review helpful to you?
or
লেখকের বন্ধুর উদ্ধারকৃত প্যাপিরাসের মাধ্যমে জানতে পারে হতভাগা এক যুবকের আত্মকাহিনী, যার নাম হারমাচিস। তার আত্মকাহিনীতে ফুটে ওঠে রানী ক্লিওপেট্রার সাথে তার যোগসূত্র। জ্ঞান -বিদ্যা, সুপুরুষ হওয়ার পরও কেন এত হতভাগা হারমাচিস আর তার সাথে রানী ক্লিওপেট্রার কি যোগসূত্র তা জানতে হলে পড়তে হবে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর ক্লিওপেট্রা। অসাধারণ লেখকের নৈপুণ্য লেখা আর অনুবাদকের অনুবাদ এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
#বই:ক্লিওপেট্রা #প্রকাশনী:সেবা #মুদ্রিত_মূল্য:৭৫টাকা #পৃষ্ঠা:২৪৩ #মূল_লেখক: হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড #রূপান্তর: সায়েম সোলায়মান #ব্যক্তিগত_রেটিং:৪.৫/৫ প্রথমেই বইএর দুটি বাক্য দিয়ে শুরু করছি। সময়ের চেয়ে বড় চিকিৎসক আর নেই। যেটি আস্তে আস্তে মনের আঘাত আর দেহের আঘাত দুটোই সারিয়ে দেয়। #বইএর ভেতরে যাওয়ার আগে বাইরের কিছু কথা বলি। সেবা প্রকাশনীর বই। ঠিক ছোটবেলা থেকে যেমন দেখে আসছি বা দেখে আসছেন তেমনি। স্পেশাল কিছুই নেই। সেই চিরচেনা নিউজপ্রিন্ট কাগজ। (যার মাঝে আমার আলাদা এক ভাল লাগা কাজ করে।) #বইএর উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর মাঝে প্রধান: ক্লিওপেট্রা, হারমাচিস, চারমিওন প্রমুখ। বইএর শেষে বিশেষ বিশেষ শব্দগুলোর অর্থ দেওয়া আছে। ফলে বইটা পাঠকের কাছে আরো বেশি সহজ হবে। এখন বইএর ভিতরে প্রবেশ করি: মিশরের এক প্রাচীন শহরের নাম অ্যাবাউদিস। মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রা। যে ক্লিওপেট্রা হারমাচিসের শত্রু, পুরো মিশরের শত্রু। বছরের পর বছর কঠিন সাধনা করে হারমাচিস সেই সিংহাসন ফিরে পাবার আশায়। নিজেকে প্রস্তুত করলো ক্লিওপেট্রাকে মোকাবিলা করার। অন্যদিকে চারমিওন হারমাচিসের চাচাতো বোন। সেও খুবই সুন্দরী। আর হারমাচিস ছিল অন্যতম এক বীরপুরুষ। সহজেই নারীর ভালবাসা পেতো সে। তাই হারমাচিসের সাথে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলে চারমিওন হারমাচিসকে। বুদ্ধিমতি এক মেয়ে চারমিওন। কিন্তু ক্লিওপেট্রা যে অন্যতম এক সুন্দরী। যার তুলনা আর কারো সাথে হয় না। এক রাতে হারমাচিস ঢুকল ক্লিওপেট্রার ঘরে। উদ্দেশ্য সে ক্লিওপেট্রাকে খুন করবে। কিন্তু কি হল তারপর?? সে কি পারবে ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করতে?? নাকি নিজেই ফেঁসে যাবে কোন ষড়যন্ত্রে?? বইটি পড়লে বোঝা যায় নারীর ভালবাসা কতোটা গভীর হতে পারে আবার নারীর রূপ কতোটা ভয়ংকর হতে পারে। প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও তার শেষ পরিণতি কি হতে পারে তার এক সুন্দর কাহিনি হচ্ছে ক্লিওপেট্রা।
Was this review helpful to you?
or
বইটা সম্ভবতঃ সবার শেষে পড়লাম। এটার অগনিত রিভিউ দেখেছি কিন্তু কেন যেন পড়ার আগ্রহ হয়নি। আমার এই রোগ আছে। অনেক বিখ্যাত বই; যেগুলো সবাই পড়ে; সেগুলো কেন যেন পড়তে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু মাঝেমধ্যে বই কেনার নেশা উঠলে নিজেকে সামলানো যায় না। তখন পকেটে টাকা না থাকলে কম দামি বই কিনি। সেই সুবাদে ক্লিওপেট্রা কেনা। কেনার পরেও ফেলে রাখছি প্রায় ২০ দিন। বর্তমানে আমার বই পড়ার সবচেয়ে ভালো স্থান হচ্ছে লোকাল বাস। দুই ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে বসে যথেষ্ট আরামে বই পড়া যায়। বরাবরের মত কালকেও পড়লাম। বইটা কয়েক পৃষ্ঠা পড়েছিলাম ১৫ দিন আগে। কাল শুরু করার পরে দেখি বই ছেড়ে আর উঠতে পারি না। একদিকে বই পড়ার সময় নেই, অপর দিকে না শেষ করে উঠতে পারি না। উভয় সংকটে পড়লাম। অবশেষে শেষ করলাম পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারীকে নিয়ে লেখা গল্প। হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের গল্প অনেকের কাছে নেশার মত হলেও কোনো কারনে আমার ভালো লাগে না। খারাপ লাগে তাও না। তবে ক্লিওপেট্রা অসাধারন বই এটা স্বীকার করতেই হবে। প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, অভিশাপ আর তার পরিণতির অসামান্য কাহিনী। আর সেবার অনুবাদ নিয়ে কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। তবে প্রচ্ছদটা ভালো লাগে নাই। কাহিনী সংক্ষেপঃ মিশরের প্রাচীন শহর অ্যাবাউদিসে জন্ম নিলো এক শিশু। জন্মের সময় তার মা স্বপ্ন দেখলো তার ছেলে একদিন মিসরের রাজা হবে। জন্মের পর থেকে শুরু হয়ে গেলো নবজাতকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। গোপন পরিচয়ে বড় হলো সেই শিশু হারমাচিস। তখন মিশরের সিংহাসনে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী ক্লিওপেট্রা। তাকে হত্যা করে মিশরকে দখল করতে হবে। ঘটনাক্রমে রাণীর প্রিয় পাত্র হলো হারমাচিস। এক রাতে খঞ্জর নিয়ে ঢুকলো রাণীর কক্ষে। আজ রাতেই রাণীকে খুন করবে। কিন্তু তা কি পেরেছিলো হারমাচিস? এরপরে বাকিটা হয়ত সবাই জানেন। যদি না জানেন তাহলে আপনি এখনো বইটা পড়েন নাই। তারাতারি পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
excellent
Was this review helpful to you?
or
❝পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত আবেগের নাম প্রেম এবং একমাত্র বোকারাই সে আবেগে আ ক্রা ন্ত হয়❞ বই: ক্লিওপেট্রা লেখক: হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড রূপান্তর: সায়েম সোলাইমান পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪৩ প্রকাশনী: সেবা ◾কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের নায়ক হারমাচিস, যার শরীরে বইছে প্রাচীন মিশরীয় রাজ র ক্ত। সে অনুযায়ী মিশরের পুরোহিত এবং ফারাও হবার জন্য সে ই যোগ্য উত্তরসূরী। তার যেদিন জন্ম হলো সেদিন তার মা স্বপ্নে দেখলো সে একদিন মিশরের রাজা হবে। দিন যায়, মাস যায়, বছর গড়ায় হারমাচিসও দিনে দিনে বেড়ে ওঠে। শক্তি, সৌন্দর্য্য, বুদ্ধিমত্তাতে সবদিকে সে ছাড়িয়ে যায় সবাইকে। সে যখন জানতে পারল মিশরের রাজা হিসেবে সবাই তাকে দেখতে চায়, তখন থেকেই পুরোপুরি নিজেকে তৈরি করছিল। সিংহাসন তখন ছিল ক্লিওপেট্রার দখলে, সে শা স ন করছিল পুরো মিশর। শ ত্রু র হাত থেকে মিশর রক্ষার জন্য ক্লিওপেট্রাকে মারার জন্য সবাই মনোনীত করল হারমিচিসকে। কিন্তু মা রা র জন্য তো প্রাসাদে ঢুকতে হবে। নাটকীয়ভাবে প্রাসাদেও তার জায়গা হলো আর তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করলো ক্লিওপেট্রার খাস দা সী চারমিওন যে কি না হারমিচিসের চাচাতো বোন। বহু দীক্ষায় দীক্ষিত হারমাচিসের একটা দীক্ষাই বাকি ছিল তা হলো নারী। কখনো নারীসঙ্গ না পাওয়া হারমাচিস নিজেকে দমিয়ে রাখতে না পেরে সে মোহনীয় রূপে মোহিত হয়ে ভালোবেসে ফেলল ক্লিওপেট্রাকে। বোকা হারমাচিস, অ ন্ধ প্রে ম চোখে এতটাই পট্টি দিয়ে রেখেছিল যে বুঝতেই পারল না সব অভিনয়। ফলস্বরূপ ভবিষ্যৎ ফারাও পায় ব ন্দী ত্ব। দিন কাটতে থাকে দিনের মতো। তারপর একদিন তীব্রভাবে হেরে যাওয়া হারমাচিস সুযোগ পায় পা লা নোর। কথায় আছে, “জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়।” কী হয় তারপর? মনপ্রাণ দেওয়া ক্লিওপেট্রার থেকে সে কি পারে প্র তি শো ধ নিতে পারে? নাকি এবারও প্রখর বুদ্ধিমত্তায় হারিয়ে দেয় তাকে যেমনটা হারিয়েছিল অন্য শা স ক দে র? ◾পাঠ-প্রতিক্রিয়া: ইতিহাসের পাতায় ক্লিওপেট্রা নন্দিত ও নি ন্দি ত এক নাম। লেখক কিছুটা বাস্তব কিছুটা কল্পনার আদলে মিশিয়ে লিখেছেন। তাছাড়া ঝরঝরে অনুবাদ পড়ার মাঝে মোটেও ব্যাঘাত ঘটায়নি। যতক্ষণ পড়ছিলাম গল্পের মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম। হারমাচিস, চারমিওন, ক্লিওপেট্রার দুঃ খ যেন নিজেও অনুভব করছিলাম। “ধাতুর খঞ্জরের চেয়ে নারীর রূপের খঞ্জর বড্ড ধারালো”। এ কথা কেবল ক্লিওপেট্রার ক্ষেত্রেই বোধহয় মানানসই। যেমন রূপ তেমনই বুদ্ধির ধার। একের ভেতরে দশের স্বাদ পেতে চাইলে পড়ে ফেলুন চমৎকার বইটি। কী নেই? ত্রিভুজ প্রেম, রহস্য, ইতিহাস, প্র তি শো ধ, ছ ল না, ট্র্যা জে ডি র স্বাদ সব পাবেন এক মলাটে। পড়তে পড়তে এরপরের কাহিনী কোথায় যায় সে গল্পটা না-হয় আপনাদের জন্যই তোলা থাক। ইতিহাস না-হয় আপনাদের সাথেই কথা বলুক যেমনটা বলেছে প্যাপিরাস খণ্ডে হারমাচিস।
Was this review helpful to you?
or
Eta onno ekjon er pov theke motamuti cleopetra er jibon kahini ?,,,,,,,
Was this review helpful to you?
or
Not a historical one, it is, nonetheless, an enjoyable book.
Was this review helpful to you?
or
প্রেম বা মোহের কাছে হেরে গেল প্রজন্মের স্বপ্নাশা ও কর্মনিষ্ঠা
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা প্রয়োজনীয় তথ্য- নামঃ ক্লিওপেট্রা লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড রুপান্তরঃ সায়েম সোলায়মান প্রকাশকঃ কাজী আনোয়ার হোসেন পুনর্মুদ্রণঃ ২০১৬ সাল রকমারি মূল্যঃ ৮৭ টাকা, পৃষ্ঠাঃ ২৪৩ সেবা প্রকাশনী। লেখক পরিচিতিঃ ২২ জুন ১৮৫৬ সালে, ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্মগ্রহণ করেন স্যর হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। ১৮৭৭ সালে 'মেরি এলিজাবেথ লিলি জ্যাকসন' নামে একজন মেয়ের প্রেমে পড়েন তিনি। তাকে বিয়ে করার ঝোঁক নিয়ে, বছরখানেক বাদে বাবাকে এই সংক্রান্তে জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন স্যর হেনরি। কিন্তু, তার সেই ইচ্ছে ধোপে টিকেনি বরং বাবার কাছ থেকে বিয়ের পূর্বেই তার ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারে উপদেশ পান তিনি। পরবর্তীতে, লিলি একজন ব্যাংকার-কে বিয়ে করেন আর স্যর হেনরি বিয়ে করেন তারই বোনের বান্ধবী 'ম্যারিয়ানা লুইসা' কে। তার নিজ জীবনের মতই এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে-ই তিনি রচনা করে গেছেন একের পর এক অভিনব কাহিনী। ১৯১২ সালে তিনি 'স্যর' উপাধি পান। কাহিনী সংক্ষেপঃ প্রথমদিকে, লেখকের বন্ধুর সঙ্গে এক চোরের সর্দার আলি'র আলাপের মাধ্যমে তাদের জোট বেঁধে পিরামিডের অভ্যন্তরে প্রবেশের সাথে সাথেই যে অভিযানের সূচনা ঘটলো, তার সমাপ্তি হলো একটি সাধারণ কফিন ও তার ভেতরকার অবহেলিত মমি এবং তিনটি প্যাপিরাসের খন্ড আবিষ্কারের মাধ্যমে। লেখকের কাছে ঐ খন্ড গুলো পৌছুলে, বন্ধ হয়ে গেলো লেখকের কলম আর মুখ খুললো ঐ অবহেলিত মমির কাটা মাথা!!! (i) প্যাপিরাস-১: অপ্রত্যাশিত স্বপ্নের ব্যাখ্যার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জিভের লাগাম ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে, নিষ্পাপ রক্তে কলুষিত হলো অন্য সবার সাথে বাচ্চা ছেলে হারমাচিসের নিয়তিও। সতেরো বছরের হারমাচিস গেলো বিভিন্ন বিষয়ে পান্ডিত্য আর সংযম শিক্ষা নিতে এবং পাঁচ বছর একমাস পর নিজ জন্মভূমিতে এসে এক কঠিন শপথ গ্রহণ করলো। (ii)প্যাপিরাস-২: যাদুকর আখ্যা পাওয়া হারমাচিস কড়া নাড়লো ক্লিওপেট্রার মনের দরজায়। আর? অন্য কেউ এসে কড়া নাড়তে চাইলো হারমাচিসের মনের দরজায়। ধীর লয়ে নাচ-গানের যে আসর বয়ে গেলো হারমাচিসের মনে, তা কার জন্য? ওর-ই চাচাত বোন চারমিওনের-ই বা ভূমিকা কি? বিদ্রোহের আগুনে পুড়ে যে অভিলাষে খঞ্জর নিয়ে হারমাচিস ঢুকলো 'পৃথিবীর ঐশ্বর্য' খ্যাত ক্লিওপেট্রার শয়নকক্ষে, তা কি সে চরিতার্থ করতে সমর্থ হবে নাকি সুরের মূর্ছনায় তার এত বছরের সাধনা লুন্ঠিত হবে ক্লিওপেট্রার বাহুডোরে? বিশ্বাসঘাতকতা! কূট-চাল!! নির্বুদ্ধিতা, আকুলতা আর মুখোশ উন্মোচনের মত আরো কিছু কাহিনীর সাক্ষ্য দিলো খন্ডটি। (iii)প্যাপিরাস-৩: নতুন জীবন, নতুন সাধনা আর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে যে মানুষটি ফিরে এলো, সে আর যাই হোক নিজ প্রতিজ্ঞা আর সংযমের অপমান করতে পারবে না। একের পর এক কূট-চাল দিয়ে নিজ জীবনকে কলঙ্কিত করেও ভ্রূ-ক্ষেপ নেই তার। এরপর কি বিজয় লগ্ন এসেছিলো সেই মানুষটির জীবনে? পাঠক........আপনিও আমার-ই মত কান পেতে অধীর আগ্রহে শুনে আসুন তো, চারমিওনের জনম জনমের সাধ মিটিয়ে "ভালোবাসি" কথাটির প্রতিধ্বনি তার কাছে ফিরে এসেছিলো কিনা! পাঠ প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যঃ বিভ্রান্তি-ই হচ্ছে সঠিক প্রতিক্রিয়া! চোখ যা পড়ছে মস্তিষ্ক তার অন্য ব্যাখ্যা করতে চাইছিলো বার বার। আচ্ছা, কি হতো যদি ঐ প্যাপিরাস খন্ড গুলো 'অ্যান্টনি'-র হতো? তখন কি যুদ্ধের কলা-কৌশল আর তার সাথে সত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার পর নিজ কৃত অন্যায় আর নিজের প্রেমিকাকে মনে-প্রাণে ভালোবেসেও তাকে বিশ্বাস করতে চাওয়ার আকুলতায় ভরা থাকত লিখা গুলো? অথবা খন্ড গুলো ক্লিওপেট্রার হলে? তাতে কি রাজনৈতিক চাল, একাকিত্ব, ক্ষমতার মোহ, এক ভালোবাসার মানুষের সত্যিকার উদ্দেশ্য জানতে পেরে অন্য কারো মাঝে 'সত্য-প্রেম' খুঁজে পাওয়ার কথা লিখা থাকত? কিংবা যদি বেদনার আঁচড়ে ভরে উঠতো ঐ খন্ডগুলো চারমিওনের হয়ে? আমিও যেনো শুনতে পাচ্ছি, হারমাচিসকে ঘিরে বেজে ওঠা ক্লিওপেট্রার ঐ গান- "মনে করো কোন এক সাগরে ভাসছি আমরা রাতে, হৃদয় ছিঁড়ে বেরুতে চায় অতুলনীয় এক সুর, যাতে ফিসফিস করে কথা বলতে পারি আমি তোমার সাথে-" ; ১) প্রত্যক্ষভাবে নারীর জিভের ব্যাপারে যে তত্ত্ব উঠে এসেছে এক বাক্যে, তেমনি পরোক্ষভাবে হাজারো বাক্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্য একটি তত্ত্ব! আর তা হলো- "পুরুষের হৃদয় ছাড়া সম্ভবত আর সব কিছুকেই বেঁধে রাখা সম্ভব"। এই দু'টো তত্ত্বের কোনোটাই চির-কালীন ভাবে সব নারী-পুরুষের জন্যই 'সত্য-নয়' বলেই আমার মতামত। তবে যেটুকু কারণে বা যাদের জন্য এই সব বাক্য প্রতিষ্ঠিত, তাদের জন্য অবশ্যই সত্য বৈ আর কিছু নয়। ২)কেউ কারো মতামত জোর করে কারো মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। যার যার মতাদর্শ সময়ের সাথে সে নিজেই সংস্কার করে। আর সত্যিকারের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ নিজের মতাদর্শ স্বীয় জীবনে কিংবা তার নিজের লিখায় ফুটিয়ে তোলে, কারো মতামত-কে আঘাত করার মাধ্যমে নয়। তারা মুচকি হাসিতে 'নির্বিকারতা' ফুটিয়ে তুলতে জানে।
Was this review helpful to you?
or
দাইমা অটোয়া। নিজের আপন নাতী কে খুনে মিশর রাজের হাতে খুন হতে দিলেন, মিশরের ভবিষ্যৎ রাজাকে বাঁচানোর জন্য। হ্যাঁ মিশরের ভবিষ্যৎ রাজা হবেন হারমাচিস। এই ভবিষ্যৎবানী করেছেন তাঁর মা। জন্মসূত্রে পুরোহিত পরিবারের এই ছেলে। মিশরের মাটিতে হারমাচিস আর এ যাবতকালের সবথেকে সুন্দরী নারী ক্লিওপেট্রার জন্ম এক দিনে। ভাগ্যের জন্যে ক্লিওপেট্রা জন্মেছেন তৎকালীন রাজার ঘরে, আর হারমাচিস জন্মেছেন পুরোহিতের ঘরে। এদিকে সময় গড়ায়, এক দিকে হারমাচিস শিক্ষা নিচ্ছে ক্লিওপট্রাকে পরাজিত করে মিশরে, মিশরীয় রাজ্য কায়েমের। এদিকে অনেক পড়াশোনা, অনেক দীক্ষার পর, মামা আর চাচাতো বোন চারমিয়নের সাহায্যে ক্লিওপেট্রার প্রাসাদে প্রবেশ করে হারমাচিস। এক জাদুকর আর জ্যোতিষ হিসেবে প্রবেশ করে এই হারমাচিস। নিজের জাদু আর কতকটা রূপ আর গুণের জোরেই মোহিত করে ফেলেছিল ক্লিওপেট্রাকে। অন্যদিকে পুরোহিত হলেও, সে মানুষ। কামনা বাসনার উর্দ্ধে সে না। একদিকে পরমা সুন্দরী চারমিয়ন যেমন হারমাচিস কে ভালবাসে, ঠিক সেভাবেই হারমাচিসের প্রতি আসক্ত ক্লিওপেট্রা, অন্যদিকে এই ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্য কে উপেক্ষা করে কারো পক্ষেও সম্ভব ছিলনা। তারপরও একদিন এই হারমাচিস, কোমরে তলোয়ার নিয়ে একদিন গেল ক্লিওপেট্রাকে খুন করতে। কিন্তু এরপর? এমন কি ঘটে গেল যার ফলে হাজার বছর পর গলাকাটা হারমাচিসের মমির পাশে পাওয়া গেল প্যাপিরাসে লেখা তাঁর জীবনের না বলা অনেক রহস্য। যার মিশরের রাজার আসনে বসার কথা পুরো দুনিয়া শাসন করার কথা, তাঁর মমি, এতই অযত্নে পড়েছিল যে কেউ সেই মমি যে মূল্যবান হতে পারে কিংবা সেই মমিতে যে অনেক অজানা রহস্য আছে, তা কেউ ভাবেইনি। কি সেই রহস্য? ক্লিওপেট্রা কে কি খুন করতে পেরেছিল হারমাচিস? কি হল চারমিয়নের?? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বইটা পড়ে যতদূর মনে হয়েছে, এই বই এর অধিকাংশ বাস্তব। আমি যতটা আগে জানতাম ক্লিওপেট্রা কিছুটা অত্যাচারী ছিল আর সৌন্দর্যের কথা তো বলা বাহুল্য! ঠিক জানার কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেটা বলতে গেলে সাস্পেন্স নষ্ট হয়ে যাবে বলে বললাম না। তবে সতি বলতে হারমাচিসের উপর রাগ হয়েছে আমার বেশ। হাজার হাজার মানুষের আশা কে ধ্বংস করে দিয়েছে। অন্যদিকে চারমিয়নের জন্য কিছুটা খারাপ লেগেছে। আবার ক্লিওপেট্রা, উনি যে কেবল সৌন্দর্যে না, বুদ্ধি-বৃত্তিতেও তীক্ষ্ণ ছিলেন, বলাই বাহুল্য। না পড়লে আজওই পড়ে ফেলবেন, ভালো লাগবেই।
Was this review helpful to you?
or
it's one of the greatest book that i have ever read.