User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এত জঘন্য অনুবাদ দীর্ঘদিন পড়িনি। মার্কেজকে এভাবে বলাৎকার করার জন্য অনুবাদক আলী আহমদের ওপর লানত। আঠারো বছর সময় নিয়ে এই বইয়ের বারোটি গল্প লিখেছিলেন মার্কেজ। প্রতিটি গল্পই খুব অদ্ভুত। হনুবাদকের দক্ষতায় বুঝতে পারিনি। যেটুকু বোধগম্য হয়েছে তাতে মনে হল, গল্পগুলোর মধ্য আলাদা স্বাদ আছে। আছে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
গার্বসিয়া মার্কেসকে বলা হয় "মানব জীবনের রূপকার"।"নিঃসঙ্গতার একশ বছর” এবং “কলেরার সময়ের প্রেম” এই ২টি বইয়েন মাধ্যমে সাড়া ফেলেছিলেন গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস।তাঁর ছোটগল্প সংকলন “বারো অভিযাত্রীর কাহিনী”। এই বইতে তিনি ১২টি ভিন্ন ধাঁচের জীবনকে রূপায়িত করেছেন। ভাগ্যবঞ্চিত এক পিতা রোমে এসেছে পোপের সাথে দেখা করতে, সাথে নিয়ে এসেছে বেহালার বাক্স সমান একটি বাক্স। বয়স্ক পথচারিণী এক কুকুরকে নিজে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার কবরের সামনে বসে কাঁদার জন্য। আতঙ্কিত এক স্বামী প্যারিসের এক হাসপাতালে স্ত্রীকে ফেলে রেখে যায়।ভুল করে এক মহিলা ঢুকে পড়ে মানসিক রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে।নিখুত বর্ণনা আর অনবদ্য গতিশীলতা সব মিলিয়ে “বারো অভিযাত্রীর কাহিনী"লেখকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিগুলোর একটি।
Was this review helpful to you?
or
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এর ''Doce cuentos peregrinos'' বইটির অনুবাদ 'বারো অভিযাত্রীর কাহিনী' । অনুবাদ করেছেন আলী আহমদ। ১২টি গল্পের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে বইটি । মজার ব্যাপার হল বইয়ের বারোটি গল্প লেখা হয়েছে আঠারো বছর ধরে। পাঁচটি ছিল চিত্রনাট্য ও জারনালাস্টিক নোট এবং একটি ছিল টেলিভিশনের ধারাবাহিক ।আরেকটি গল্প সৃষ্টি হয় বই প্রকাশের পনেরো বছর আগের একটি সাক্ষাতকার থেকে যা লেখকের এক বন্ধুর দ্বারা অনুলিখিত হয়েছিল! 'আজকের শিশু-কিশোররা যারা লেখক হতে চায়, তারা বড় হয়ে জানতে পারবে লেখার অভ্যাসে কতখানি অতৃপ্তি ভর করে থাকে আর কতখানি ঘষা-মাজার প্রয়োজন হয় তাতে।' লেখকের এ মন্তব্য থেকেই ধারণা পাওয়া যায় গল্পটি সম্পর্কে। 'বরফে তোমার রক্তের দাগ' গল্পের প্রধান দুই চরিত্র বিলি আর নেনা, যারা ইউরোপে যায় হানিমুন করতে। এক নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বইয়ের অন্য একটি গল্প 'আমি শুধু ফোনটি ব্যবহার করতে এসেছি' । 'মরে যাওয়া মানে আর বন্ধুদের সাথে একত্র হতে না পারা' লেখকের এমন মন্তব্য ভাবায় পাঠকদের ।। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার চরিত্রগুলোকে তুলে এনেছেন এই বইতে লেখক । ভাগ্যবঞ্চিত এক পিতা রোমে এসেছে পোপের সাথে দেখা করতে , বয়স্ক পথচারিনি একটি প্রশিক্ষিত কুকুর সাথে নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কুকুরটাকে সে নিজে প্রশিক্ষন দিয়েছেন তার কবরের সামনে কাঁদার জন্য, মাঝ পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক মহিলা ভুলে ঢুকে পড়ে মানসিক হাসপাতালে এবং আটকা পড়ে যায় এমন সব রহস্যময় গল্প নিয়ে রচিত এই বইটি । লেখকের অসাধারণ জাদুময় লেখনীর ফলে বইয়ের প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় ।।
Was this review helpful to you?
or
১২টি গল্পের মাধ্যমে সাজানো গ্যাব্রিয়েল মার্কেসের এই অসাধারণ গল্পগ্রন্থের বাংলা নামকরণ হয়েছে 'বারো অভিযাত্রীর কাহিনী।' এই নামকরণ নিয়েই প্রথমে কথা বলা যাক। বইটির মূল ''Doce cuentos peregrinos''। এই স্প্যানিশ শব্দত্রয়কে সরাসরি আক্ষরিক অনুবাদ করা হয়েছে বাংলায়। এবং এতে আমি কোন সমস্যা দেখছি না। অন্যান্য ভাষায় বইয়ের নামকরণের ক্ষেত্রে ভাবানুবাদের সাহায্য নিতে হয়েছে, কেননা সেসব ভাষায় বইটির শিরোনামের আক্ষরিক অনুবাদ খুব একটা শ্রুতিমধুর হয়নি। তবে যদিও আমাদের বাংলা ভাষায় শিরোনামটির সম্পূর্ণ আক্ষরিক অনুবাদের সত্ত্বেও তা শ্রুতিমধুর হয়েছে, তবু অন্য একটি সমস্যা থেকেই যায়। প্রথমবার নামটি শুনলে ছোটদের বই বলে মনে হয়। এ কারণে আমার মনে হয় বইটির এই বাংলা সংস্করণের প্রণেতা আলী আহমদ বইয়ের আরও ভাল কোন নাম বাছতে পারতেন। এবার বইয়ের গল্পগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বলছি। নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকারের উপন্যাসসমূহে যে জাদু ও চমৎকার লেখনীর পরিচয় পাওয়া যায়, তা তার ছোটগল্পসমূহে সাধারণত খুঁজে পাওয়া ভার। তবে সাহিত্যাঙ্গনে ছোটগল্প দিয়ে তিনি মাত করতে না পারলেও, কখনো কখনো তার কিছু ছোটগল্পে উপন্যাসের যাদুময়তার ছায়া লক্ষণীয়। এই বইয়েরও দুইটি গল্প - 'আমি শুধু ফোনটি ব্যবহার করতে এসেছি' আর 'বরফে তোমার রক্তের দাগ' এ লেখক তার সাহিত্য প্রতিভার চূড়ান্ত সাক্ষর রাখতে সমর্থ হয়েছেন। 'আমি শুধু ফোনটি ব্যবহার করতে এসেছি' গল্পটির কাহিনী চমকপ্রদ। এক নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই কাহিনী যখন এক দুর্ঘটনার মাধ্যমে অন্যদিকে মোড় নেয় আর তারপরের ঘটনাপ্রবাহে তার সাথে তার স্বামীর ভুল বোঝাবুঝির শুরু হয়, যার বর্ননা আসলেই অসাধারণ। পরবর্তিতে গল্পটি যেভাবে এগিয়ে চলে, সেটি যেমন পাঠকের নজর কাড়তে বাধ্য, তেমনি গল্পের পরিণতিও উৎকৃষ্ট ছোটগল্পের পরিচায়করূপে আবির্ভুত হয়। 'বরফে তোমার রক্তের দাগ' গল্পের প্রধান দুই চরিত্র বিলি আর নেনা, যারা ইউরোপে যায় হানিমুন করতে। ঘটনার শুরু তাদের বিয়ের তৃতীয় দিনে, যদিও নেনা তখনই দুই মাসের গর্ভবতী। হঠাৎ এক দুর্গটনার শিকার হয় নেনা। তাকে নেয়া হয় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে। ঐ হাসপাতালে সপ্তাহে মাত্র একদিন দেখা করা যায় রোগীর সাথে। তাই একদিন স্ত্রীর দেখা করে পরবর্তি সাক্ষাতের জন্য ছয় ছয়টা দিন অপেক্ষা করতে হবে বিলিকে! ছয়দিন পর স্ত্রীর সাথে দেখা করার দিন যখন এল, বিলি হাসপাতালে গিয়ে শুনল তার স্ত্রী নাকি হাসপাতালে ভর্তির ৬ ঘন্টা পরই মারা গেছে। এই ঘটনায় কাহিনী জমে ওঠে। প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয় বিলি। উপর্যুক্ত দুইটি গল্প ছাড়াও আরও দশটি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের গল্পের দেখা মিলবে আলোচ্য বইটিতে। মোটের উপর সেগুলোও মোটামুটি ভালোই।অসাধারণ অবশ্য নয়। তবে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া কালজয়ী লেখক। তাই তার হাতের ছোঁয়ায় অনেকাংশে অসাধারণের পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া প্রতিটি গল্পই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে পাস মার্ক পেয়ে পাস করবে পাঠকের ভালো লাগার মাপকাঠিতে। এবং শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি গল্পই পাঠককে গল্পের গভীরে নিয়ে যাবে। প্রতিটি গল্পই সুখপাঠ্য এবং আশ্চর্য সুন্দর বর্ননাশৈলিতে রচিত। প্রতিটি গল্পেই দেখা মিলবে বৈচিত্র্যপূর্ণ অসংখ্য চরিত্রের। তাই প্রতিটি গল্পই ভালো লাগবে পাঠকের এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে লেখকের অন্যান্য লেখাসমূহ পড়তে। আর যেসব পাঠক একদমই প্রথমবার গার্সিয়ার লেখা পড়বে, তারা আবিষ্কার করবে সাহিত্যের এক অনন্য মাত্রার, যার সৃষ্টি হয়েছে গার্সিয়ার কলমের যাদুতে।
Was this review helpful to you?
or
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস (স্পেনীয় ভাষায় তাঁর পূর্ণ নাম Gabriel José de la Concordia García Márquez গাব্রিয়েল্ খ়োসে দে লা কোঙ্কোর্দিয়া গার্সিয়া মার্কেস্, জন্ম মার্চ ৬, ১৯২৭, আরাকাতাকা, মাগদালেনা), যিনি গাবো নামেও পরিচিত, একজন কলম্বীয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও সক্রিয় রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৮২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। নিঃসঙ্গতার এক শতাব্দী বইয়ের লেখক হিসেবে তিনি বিশেষ পরিচিত। গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস জীবনের বেশিরভাগ সময় বসবাস করেছেন মেক্সিকো এবং ইউরোপে। বর্তমানে তিনি মূলত মেক্সিকো সিটিতে বসবাস করেন। মার্কেস ১৯৫০ সালে আইন পড়া বন্ধ করে এল এস্পেক্তাদোর সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তাঁর প্রথম ছোটগল্প লা তের্সেরা রেসিগ্নাসিওন এল এসপেক্তাদোর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
Was this review helpful to you?
or
আলী আহমদ এর করা অনুবাদ 'বারো অভিযাত্রীর কাহিনী' গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এর ''Doce cuentos peregrinos'' বইটির অনুবাদ।এই বইতে তিনি ১২টি ভিন্ন ধাঁচের গল্পকে একত্রিত করেছেন।এই বইয়ের দুইটি গল্পে 'আমি শুধু ফোনটি ব্যবহার করতে এসেছি' আর 'বরফে তোমার রক্তের দাগ' এ নোবেলজয়ী এই সাহিত্যিকারের অসাধারণ লেখনী খুঁজে পাওয়া যায়। আর বাদবাকি গল্পগুলোতে তার চমৎকার লেখনীর বহিঃপ্রকাশ কমই ফুটে ওঠে। 'আমি শুধু ফোনটি ব্যবহার করতে এসেছি' এ গল্পের কাহিনী এক নারীকে নিয়ে। যার সাধারন জীবনযাপন এক দুর্ঘটনায় বদলে যায়। মোড় নেয় এক নতুন দিকে।এবং এইসব ঘটনা প্রবাহের সাথে মিল রেখে শুরু হয়ে যায় তার স্বামীর সাথে তার মনমালিন্য ও ভুল বোঝাবুঝি। এরপর কাহিনী এগিয়ে চলে এবং চমৎকার পরিণতি ঘটে কাহিনীর। যার বর্ণনা ও শেষটা পাঠককে মুগ্ধ করবে। 'বরফে তোমার রক্তের দাগ' গল্প বিলি আর নেনা নামের এক দম্পতির। নতুন বিয়ের পর তারা হানিমুন করতে যায় ইউরোপে।নিনা দুই মাসের গর্ভবতী থাকে যা জানা যায় বিয়ের তৃতীয় দিনে।হঠাৎ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নেনাকে নেয়া হয় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে।যে হাসপাতালে সপ্তাহে মাত্র একদিন রোগীর সাথে দেখা করা জায়।একবার দেখা করার ছয়দিন পর স্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্যে বিলি হাসপাতালে গিয়ে শুনল তার স্ত্রী নাকি হাসপাতালে ভর্তির ৬ ঘন্টা পরই মারা গেছে। কিন্তু এ কথা বিশ্বাস করেনা বিলি। প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হয় বিলি।কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি বিলি প্রতিশোধ নিতে পারল,নাকি পারলনা।পারলে কিভাবে পারল।এর শেষ জানতে পাঠককে পরতে হবে পুরো গল্প। বাকি গল্পগুলোর কাহিনীও এমন চমকপ্রদ ও নতুনত্বে ভরা।ভাগ্যবঞ্চিত এক পিতা বেহালার বাক্স সমান একটি বাক্স নিয়ে রোমে এসেছে পোপের সাথে দেখা করত।ভুল করে এক মহিলা ঢুকে পড়ে মানসিক রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে।বয়স্ক পথচারিণী এককুকুরকে নিজে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার কবরের সামনে বসে কাঁদার জন্য। এমন ভাবে প্রতিটি গল্পই বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলেছে আকর্ষণীয় ভাবে।