Our User Product Reviews

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:অন্ধকারের একশ বছর লেখক: আনিসুল হক মুল্য: 120 টাকা ধরন: সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনা: সন্দেশ যে শিক্ষা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে শিখায় না, সেই শিক্ষাকে শিক্ষা বলতে আমি নারাজ-আইনস্টাইন। ধর্মান্ধতা উগ্রতার বিকাশ ঘটায়, আর উগ্রতা সৃজনশীল শিক্ষার পরিপন্থী সর্বদাই। যদি রাজন্যবর্গ আর ব্রাক্ষ্মণ্যবর্গ এক হয়ে যায়, তবে সেখান থেকে সকল শুদ্ধচিন্তা যে উঠে যায়, তার বাস্তব প্রমাণ আছে অনেক দেশে। বাংলাদেশকে ও ঠিক একই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে, এক সময়ে। সে সময়ে বাংলাদেশের এক ভবিষ্যত নির্মাণ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সৌভাগ্য, ইতিহাস কখনো সরলরেখায় চলে না। ফলে সে ভবিষ্যত হয়তো বাস্তবতার মুখ দেখে নি।আচ্ছা কী ছিল সেই ভবিষ্যতবাণীতে?? তা জানার জন্যই এই বইয়ের রিভিউ: এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ১৯৯৫ সাল, তাই সেইসময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বই রচিত। শফি আকবর, নাফিসা আকবর এই উপন্যাসের চরিত্র। কিন্তু ঘটনা যেহেতু খাদের দিকে ছুটে চলা এক দেশকে নিয়ে, তাই এর সাথে পরিস্ফুটিত হয় আরো নানান চরিত্র, শাহিদা বেগম, আব্দুল হাফিজ, জীববিজ্ঞানের শিক্ষক রফিকুল হক, এবং অবশ্যই মিজানী। উপন্যাস শুরু হয় শফি আকবরকে জামাতিয়া বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের মাধ্যমে, অপরাধ তিনি সমুদ্রতীরে বসে গুনগুন করে গেয়েছেন রবীন্দ্রসংগীত, যা হিন্দুয়ানি সংগীত, হিন্দুস্থানী সংগীত। জামাতিয়া কয়েদখানায় গ্রেফতার হন তিনি। সে কয়েদখানায় দেখা হয় এয়াকুব নামক এক বালকের সাথে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ফুটবল খেলার কারণে, ধর্মগ্রন্থ থেকে আদেশ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ধরনের খেলা ছাড়া বাকিসব নিষিদ্ধ, সেখানে স্থান পায়নি ফুটবল। সে কয়েদখানায় শফি আকবরের দেখা হয় জীববিজ্ঞানে পিএইচডি করা শিক্ষক রফিকুল হকের সাথে, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জীববিজ্ঞানের শাস্বত মতবাদ ডারউইনিজম পড়ানোর জন্য। এসব কিছুর পাশাপাশি চলেছে সমান্তরাল আখ্যান শফি আকবরের স্ত্রী নাফিসা আকবরের কাহিনী। স্বামীর চিন্তায় আকূল হয়ে যে ছুটেছে দ্বারে দ্বারে। তখন তার সাথে দেখা হয়, আবদুল হাফিজ এবং তার স্ত্রী শাহিদা বেগমের সাথে। আব্দুল হাফিজ জামাতিয়া বাহিনীর প্রধানের শ্বসুর। আব্দুল হাফিজের মাত্র ৯ বছর বয়সী বালিকার সাথে বিয়ে হয় শতবর্ষী মিজানীর সাথে। আচ্ছা কি হয় শফি আকবরের? সে কী জামাতিয়া আদালত থেকে বের হতে পারবে? অন্যদিকে আবদুল হাফিজের সাথে মিজানীর দুরত্ব তৈরী হয়। কিন্তু কেন এ দুরত্ব? আবদুল হাফিজ কী বেচে আসতে পারবে? রফিকুল হক, বালক ইয়াকুবের পরিণতিই বা কী? তা জানার জন্য প্রতি পাতায় পাতায় দেশের ভবিষ্যত দেখতে পেয়ে শিহরিত হবার জন্য হলেও এ বই পড়ুন। পাঠপ্রতিক্রিয়া: যে আনিসুল হক কে বর্তমানে দেখা যায়, সেই তিনিই যে অন্ধকারের একশ বছরের লেখক, তা বিশ্বাস করা একটু কষ্ট বৈকি। তবে এই বই শুদ্ধচিন্তাহীন বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিণতি কেমন হবে, তার একটি উৎকৃষ্ট দর্পণ বটে। 'পাক সার জমিন শদ বাদ' আনিসুল হকের এই বই উভয়ই একই ধারার বই। তবে হুমায়ুন আজাদ তার বইয়ে রগরগে ভাষায় তৎকালীন বর্তমানকে ব্যাখা করলেও, আনিসুল হক তৎকালীন সমাজের আলোকে ভবিষ্যৎকে উপস্থাপন করেছেন। তার ভাষাশৈলী, ধর্ম নিয়ে বিশ্লেষণ- নিরপেক্ষ, নির্মোহ এবং সচেতনতার সাথে করা হয়েছে। নাম নির্বাচনে লেখক যে অনবদ্যতার পরিচয় দিয়েছেন, তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। যেমন:গুল মে আজম, সালোয়ার হোসেন দাউদী, আতিউর রহমান মিজানী, খাদেম মোল্লা ইত্যাদি। আমার কাছে এই বইয়ের রেটিং ৫/৫।

আনিসুল হক স্যারের অন্যতম সৃষ্টি

আমার খুব পছন্দের উপন্যাস। মূলত এটা দিয়েই আনিসুল স্যারের বই পড়ার প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি। উপন্যাসের, কাহিনি, চরিত্র, বিষয়বস্তু সবকিছুই অসাধারণ লেগেছিলো।

this book is anisul haque's first novel and in my opinion the best one too. it is a political fantasy novel which displays the rise of the religious extremists and their horrible conspiracies to destroy Bangladesh's culture, economy and development. the writer shows how these extremists think of only themselves and misuse religion in order to manipulate people.but the writer did not mock any religion during this whole fantasy he rather showed respect to the true meaning of religion by criticizing it's manipulators. but this book's most amazing part is the rise and revolution of the so called "mango people". this book truly shows the writer's credibility, courage and also his ability to create a revolutionary masterpiece.