User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Talukder Amrin

      25 Apr 2025 10:08 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      My favourite writer. ❤️

      By Sharmin Afroz

      08 Jun 2025 06:24 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটা সম্পর্কে আপু যখন প্রথম ধারণা দিয়েছিল যে এটায় বন্ধুমহল থাকবে একটা, আর পাশাপাশি ঘুরাঘুরি আছে তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম এটা একটা চমৎকার বই হবে। আপু এসব জনরা লেখায় সবসময়ই বেস্ট আমার কাছে। এই বই পড়তে শুরু করার পর সেটা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে। চারটা জুটি একসাথে লেখা এবং তাদের আলাদাভাবে পাঠকদের মনে জায়গা করানো আমার কাছে মনে হয় অনেক টাফ একজন লেখকের জন্য। কিন্তু আপু এমনভাবে লিখেছে প্রতিটা জুটি যে ভালো লাগতে বাধ্য। সবার জীবনের ভিন্ন ভিন্ন গল্প থেকে তাদের পূর্ণতা লাভের জার্নিটা আসলেই প্রেম অপ্রেমের চৈত্রমাস ছিল। নামটা একেবারে স্বার্থক যেন! যদিও আমার সবগুলো জুটিই পছন্দ হয়েছে। কিন্তু ধ্রুব-পল্লবী আমার প্রিয় জুটি হয়ে গেছে পড়তে পড়তে মনের অজান্তেই! ওরা একদম আদর আদর একটা জুটি। আর যদি এককভাবে কোনো একটা চরিত্র পছন্দের কথা বলা হয় তাহলে আমার জন্য সেটা রঞ্জন। এই চরিত্রটার আবেদনই অন্যরকম,ভিন্নরকম!

      By Sakib

      24 May 2025 06:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #প্রেম_অপ্রেমের_চৈত্রমাস #পাঠ_অনুভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ প্রেম অপ্রেমের চৈত্রমাস •লেখকঃ মৌরি মরিয়ম •ধরনঃ রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ অধ্যয়ন •প্রচ্ছদঃ ফারিহা তাবাসসুম •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৮৩ •প্রকাশকালঃ এপ্রিল ২০২৫ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦ভূমিকাঃ মাঝে মাঝে যখন আমার খুব মন খারাপ হয়, তখন আমি যা করি তা আমার ভালো লাগা মুহূর্তগুলোতে করতে পারি না । অথচ যদি তখনও তা করতে পারতাম, তাহলে বোধহয় আমি নিজেকে তখন নিঃসন্দেহে পৃথিবীতে অন্যতম সুখী মানুষ বলে মনে করতাম । এই যে করতে পারি না বলে আফসোস, এই মনোকষ্টে ভুগতে গিয়ে মন খারাপের সময়ও আরো কষ্ট কষ্ট অনুভব হয় । আমার মন খারাপ, অদ্ভুতুড়ে অনুভূতিগুলো তার নামের মতো করেই অদ্ভুত আসলে । বোঝানো যায় না কিন্তু বলা হয় । কতশত অগুনতি বিশেষণের মতো । যাহোক যা বলছিলাম তা বলি বরং, আমার মন খারাপে আমি জগতের প্রিয় প্রিয় স্মৃতিগুলো সব মনে করার চেষ্টা করি । প্রিয় উপন্যাসগুলো পড়ার চেষ্টা করি । প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরের মূর্ছনায় ভাসতে ভাসতে নিজেকে মেলে দিতে চেষ্টা করি । এই সবগুলো করতে করতে যখন আমার হঠাৎ করে মনে হয় একটুও খারাপ লাগা নেই । যখন তখন কেনো যেন আমার ভালো লাগার জন্য বড্ড মন খারাপ হয়ে উঠে । এই পৃথিবীতে আসলে মন খারাপ নেই মানেই মন ভালো থাকা নয় । আর মন ভালো থাকলে আমি কেনো যেন স্মৃতিচারণ করতে ইচ্ছেও করি না, বরং মন খারাপের সময়ে মনে করার মতো করে আরো ভালো স্মৃতিগুলো জড়ো করতে বসে পড়ি । তাই কেনো যেন, কখনোই আমার কাজ করা হয়ে উঠে না । বোধহয় কখনও করা হবে না । ♦নামকরণঃ এই পৃথিবীতে বসন্ত ঋতুটাকে বড্ড কাছের মনে হয় কেনো জানো? কারণ এই ঋতুটা যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ওর মতো করে বয়ে যায় । একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এর মতো করে সুখ নিয়ে আসে । অদ্ভুত এক ধরনের সতেজতা নিয়ে আসে । কষ্টও নিয়ে আসে । আবার তার সাথে দমবাঁধা একধরনের মিশ্র অনুভব । বসন্ত যে মাস দুইটি দিয়ে ঘেরা তা হলো, ফাল্গুন চৈত্র । এই ঋতুকে মানুষ আসলে যে সুখ সুখ, হৃদয়ে দোল লেগে ভালো লাগার সুবিশাল ছায়ার মতো মনে করে তা বোধহয় মনে করে ফাল্গুন এর জন্যেই । যা মুদ্রার এপিঠ এর বয়ে চলা জীবন । তার বিপরীতে যেন চৈত্র এর খরা পৃথিবীতে বিরহ, বিচ্ছেদ, ক্লান্তি, নিঃসঙ্গতা নিয়ে আসার চেষ্টা করি । পৃথিবীতে মানুষ বলে সব বিশেষণ যেন নিজেরাই সমঝোতা করে নেয় সমান ভাবে সবার প্রতি বয়ে যাওয়ার জন্য । কারো জীবনে সুখ দুঃখ যেন তাই একে অপরের প্রতি হয়ে ওঠা না বলা সমঝোতার প্রতীক । বসন্ত ঋতুর এই অদ্ভুত দ্বৈরথে তাই পৃথিবীতে সব বিশেষণের মেলবন্ধন ঘটে নিজস্ব স্বকীয়তায় । কখনও তাই সুখ, কখনও দুঃখ বিরাজ করে । পৃথিবীতে সেভাবেই যেন আসে প্রেম অপ্রেমের মধ্যেকার অদ্ভুত রসায়নের এক মোহময় ছন্দ । যা নিজস্ব আলোড়নে আন্দোলিত করে, সুর তুলে বীণা বাজায় । বসন্ত এর এই অদ্ভুত দ্বৈরথই যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এর মতো করে তার সময়গুলোতে বয়ে যায় । ফাল্গুনে যেখানে শুধু স্নিগ্ধতা এবং শান্তি । চৈত্রে সেখানে বিরহ, বিচ্ছেদ এবং খরা নামক নিঃসঙ্গতার আহ্বান । এই বিশেষণগুলো অনুভবে তাই কোথাও একটা প্রেম অপ্রেমের মধ্যেকার সমান্তরাল রসায়নে যখন দুয়েরই আগমন ঘটে পৃথিবী জুড়ে যেন চৈত্রের আগমন ঘটে । যেখানে পৃথিবীতে শান্তি নামলেও কেমন যেন এক ধরনের অদ্ভুতুড়ে আলোড়ন । মনে শান্তি থাকলেও অদ্ভুত এক ধরনের নিঃশ্বাসের তোলপাড় । এরকমই প্রেম অপ্রেমের মধ্যেকার দ্বৈরথে চৈত্রমাসের অদ্ভুত বিশেষণ নিয়ে তৈরি হওয়া যাত্রায় পৃথিবী যেন শামিল হয় । ♦ফ্ল্যাপে লেখাঃ ‘প্রেম অপ্রেমের চৈত্রমাস’ উপন্যাসে প্রেম ও অপ্রেমের মধ্যে দোলাচল, ভালোবাসা ও বিচ্ছেদের মধ্যে টানাপোড়েন, আর চৈত্র মাসের রুক্ষতায় মিশে আছে জীবনের রঙিন সব উপাখ্যান । যেখানে আছে ধ্রুব ও রঞ্জনের মতো মানুষ যারা খোলা বইয়ের মতো, কিন্তু পৃষ্ঠাগুলো সাদা । আছে দস্যি ছেলে উৎসব, বিশ্বপ্রেমিক নওশাদ ও আধিপত্য বিস্তারকারী ইকবাল । এছাড়াও আছে পারফেকশনিস্ট পল্লবী, আহ্লাদী ছোঁয়া, আউলা মাস্টার অরিন ও জনমদুঃখী ফাল্গুনী । এদের সবার সুখ, দুঃখ, আবেগ, আকাঙ্ক্ষা, হতাশা আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে সম্পর্কের নানান মাত্রা । প্রেম কখনও আলোয়, কখনও অন্ধকারে হাঁটে । চৈত্রমাসের রুক্ষ হাওয়ায় যেমন নতুন পাতার জন্ম হয়, তেমনি প্রেম ও অপ্রেমের চৈত্রমাসেও নতুন করে বাঁচার স্বাদ খুঁজে পায় চরিত্রগুলো । ‘প্রেম অপ্রেমের চৈত্রমাস’ একটি যাত্রা । জীবন, ভালোবাসা ও আত্ম-অন্বেষণের । ♦প্রচ্ছদঃ অনেক আগে মনে করতাম প্রিয় রং নীল থাকা সব প্রচ্ছদই আমার প্রিয় হয়ে উঠবে । কিন্তু সাধারণত সবুজে ঘেরা প্রচ্ছদগুলো দেখলে আমার খুব শান্তি লাগে । বোধহয় পৃথিবীটাকে ওরকম করে দেখতে পাই বলেই বাস্তবিক এক ধরনের রেশ টের পাই । এই শান্তিতে আলোড়ন তোলার মতো করে এক ধরনের কোমলতা মনে অনুভব হয় । মনে হয় যেন পৃথিবী জুড়ে স্নিগ্ধতা নেমেছে । এই প্রচ্ছদটি তাই উপন্যাসের কাহিনীর সাথে সাদৃশ্য রেখে যখন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তখন মনের কাছাকাছি হয়ে জায়গা নিতে খুব একটা সময় লাগে না । ভীষণ অর্থবহ প্রচ্ছদটির মাঝে সুন্দরবন এর ছাপ টের পাওয়া যায় যেন । সাথে গাছ গাছালির অদ্ভুত এক ধরনের গন্ধ যেন প্রচ্ছদটিতে প্রাণ আনে । সুন্দরবন যাওয়ার এই মুহূর্তটা প্রচ্ছদে তাই ভীষণ সুন্দর ভাবে বয়ে যায় । প্রচ্ছদটি তাই বেশ ভালো । তবে কোথাও যেন প্রচ্ছদটিতে পূর্ণতার সবটুকু খুঁজে পাওয়া হয় না । ♦পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ যেহেতু মনের অনুভূতি লিখতে লিখতে রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো চলে আসছে । এগুলো যেন জীবনেরই কেটে যাওয়া জীবনের বিভিন্ন ধাঁচ বয়ে যাওয়া রূপের মতো । কোথাও একটা বয়ে যায় নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে । যাহোক এই উপন্যাসটি আমার খুব দেরি করে পড়তে ইচ্ছে করেছিল কেন যেন! তবুও পড়া হয়ে গেল । এবং কেনো আমি এত তাড়াতাড়ি পড়ে ফেললাম এটা ভাবতে বসলেই কোথাও যেন বিরহের সুর তুলে দিচ্ছে মনে । ✓পটভূমিঃ এই উপন্যাসের পটভূমি সামাজিক । রোজকার জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক আলোড়নে মানুষের জীবনে যেসব ব্যাপারগুলো অহরহ ঘটে যায় । সুর তুলে পৃথিবীতে নিজস্ব গণ্ডিতে মেলে ধরে দিয়ে যায় সেরকমই এক প্রেক্ষাপটে তৈরি হওয়া উপন্যাসটির মাঝে তাই ভীষণ মিষ্টি এক ধরনের রেশ । সামাজিক জীবনে মানুষ নিঃশ্বাস নেয়ার মতো করে যেভাবে চারদিকে তাকিয়ে বিভিন্ন বিশেষণ নিয়ে পৃথিবীতে গড়ে ওঠা মানুষদেরকে দেখতে পায় সেরকম ভাবেই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে । চারদিকে সামাজিক টানাপোড়েন এবং রসায়নের অদ্ভুত আলোড়ন এই দুইয়ের মিশেলে তৈরি হওয়া অদ্ভুত এক সুরের মেলবন্ধনে তাই কোথাও যেন উপন্যাসটিকে ভীষণ ভারসাম্যপূর্ণ করে গড়ে তুলে । সমাজে নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে যেভাবে জীবনধারায় একের পর এক ঘটনা এসেছে, জীবনের সমান্তরালে ঘটনাপ্রবাহে মোড় এসেছে । আলোড়ন এসেছে সেভাবেই যেন নিজস্ব ধাঁচ এবং স্বকীয়তা বজায় রেখে উপন্যাসটি বয়ে গিয়েছে পুরোটা জুড়ে । এরকম দারুণ মিষ্টি এবং ঘটনার প্রয়োজনে সাজানো প্রেক্ষাপটে তাই উপন্যাসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় দৃশ্যপট । সেই দৃশ্যপট গুলোতে যেভাবে উপন্যাসটি উপস্থাপন করা হয়েছে তা বেশ অসাধারণ ছিল । হালকা মেজাজে, সরল ভাষায় ব্যবহৃত হওয়া উপন্যাসটি তাই ভীষণ কাছের এবং পাশের জীবনের গল্প বলে মনে হয় যেন । ✓আবহ গঠনঃ এই উপন্যাসে আবহ সৃষ্টি এবং গঠন তা দারুণ ভাবে করা হয়েছে । কোথাও যেন কোনো বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা নেই । যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বর্ণনা । ততটুকুই প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপট অনুযায়ী উপস্থাপন করার চেষ্টা । এই অসাধারণ মুহূর্তগুলো তাই পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বর্ণনাগুলোকে কাহিনী এবং জীবনধারারই একটা অংশ বলে মনে করতে সাহায্য করে যেন । তাদেরই নিজস্ব কিছু বলে মনে হয় । সুন্দরবন এবং খুলনার বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এর সূক্ষ্ম বর্ণনা যেন উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং দৃশ্যপটে দারুণ ভাবে উপন্যাসে ভারসাম্য এনেছে । ♦চরিত্র গঠনঃ এই ধরনের উপন্যাসে মূলত চরিত্র গঠন এবং গভীরতা দিয়ে সাজানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । জীবনের প্রয়োজনে বন্ধুত্ব হয়ে ওঠা জীবনবোধে কখনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে । জীবনেরই চলতে ফিরতে একেকটা গল্প হয়ে উঠে যেন । যে গল্পগুলো চলে যায়, থেকে যায়, কখনোবা হারিয়ে যায় । এরকমই চরিত্রগুলোকে তাই গঠন করা এবং উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে সাজানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ছিল । ♦চরিত্র বিশ্লেষণঃ •ধ্রুবঃ অতীতের প্রতি ফেরার কোনো টান না থাকা জীবনটাতে আসলে কোথাও না হারানোর ভয় । নিজের জীবনের ঘুড়িকে নিজের আকাশেই মেলতে দেয়ার চেষ্টা করা মানুষটির একটা অতীত আছে । যে অতীত তাকে স্মৃতিচারণ করতে বাধ্য করে । কিন্তু ফিরতে দেয় না । এরকম জীবন নিয়ে বয়ে যাওয়া মানুষটি বৈশিষ্ট্যগত এবং আচরণগত ভাবে অসাধারণ । দারুণ মানসিকতা এবং মানবিক স্বভাবের মানুষটি বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার চেষ্টাও করে যায় । •অরিনঃ এলোমেলো স্বভাবের মেয়েটি নিজের ইচ্ছেমতো চলার এক অদ্ভুত মানসিকতা নিয়ে যেন পৃথিবীতে এসেছে । নিজেকে নিয়ে কারো কাছে ব্যাখ্যা না দেয়া মানুষটির তাই কোনো তাড়া নেই । আত্মবিশ্বাসী হলেও কোথাও যেন ছেলেমানুষী এক ধাঁচ । এরকম পৃথিবীতে বিপরীত মুখী স্বভাব নিয়ে থাকা মানুষগুলো যেন সব বিশেষণেরই ভাগ পায় । কখনও হাসি কখনোবা কান্না, বোধহয় ওই আকাশের মেঘগুলোর মতো । •পল্লবীঃ বাবার ভীষণ যত্ন এবং আদরে বড় হওয়া মেয়েটি বাবাকে ভীষণ ভালোবাসে । সেরকম ভালোবাসা নিয়েই পৃথিবীতে বড় হতে থাকে সে । হাসিখুশি, বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের মেয়েটি খানিকটা যা মনে আনন্দ দেয় তা করার চেষ্টা করে যায় । কিছুটা একগুঁয়ে স্বভাবের মেয়েটির উপন্যাস জুড়ে কিছু কিছু পদক্ষেপ তাকে কেমন একটা অন্যরকম করে দেয় যেন । তবুও বাবার আদরে, মানুষকে ভালোবাসার অদ্ভুত এক গুণ নিয়ে জীবনে এগিয়ে যায় সে । •ফেরদৌস আনামঃ তার এই পৃথিবীতে সবথেকে বড় পরিচয় বোধহয়, একজন বাবা । বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হাসিখুশি এই মানুষটি নিজ সন্তানকে একা হাতে বড় করে যেন জীবনকে জড়িয়ে ধরেছেন নিজের পৃথিবী নামক সন্তানের দিকে তাকিয়ে । ভীষণ বিচক্ষণ, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া মানুষটি তাই ভালোবেসে যাওয়ার মতো মানুষ । •নওশাদঃ নিজের জীবনকে নিয়ে যেন দ্বিধায় পড়ে যাওয়া মানুষটি যখন নিজের জীবনের কূলে চলে আসে তখন যেন কোথাও গিয়ে দেখতে পায় সেই কূলে নামার মতো সিঁড়ি নেই । নামতে গেলেই পানিতে ভিজতে হবেই । খানিকটা দ্বিধায় জীবনে আসলে কী চায় এরকম ভাবতে থাকা মানুষটি বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের । হাসিঠাট্টা করে, প্রেম নিয়ে জীবনে এগিয়ে যায় সে । •রঞ্জনঃ এই পৃথিবীতে ভালোবাসা হঠাৎ করে কিভাবে হয়? এর উত্তর, মানুষের চাহনি দিয়ে । মানুষ একটু কেমন করে তাকালো । কেমন করে হাসলো । ব্যস, জীবনের মায়ায় জড়িয়ে যেতে হলো হঠাৎ করে । কোথাও পুরো পৃথিবীতে থেকেও নিঃসঙ্গ, চুপচাপ মনের কাছে কিছু একটা আটকে রাখা মানুষটি জীবনের সব কিছু ভালোবেসে ফেলে । ভালোবাসার মানুষটির সুখ আর দুদণ্ড শান্তির জন্য যার তীব্র নজর । এই নজরেও যেন অদ্ভুত চাহনি মিশে থাকে । •ছোঁয়াঃ এই পৃথিবীতে ছোঁয়া ঠিক সেই ধরনের মানুষ, যাদের উপস্থিতি তার চারপাশটাকে শান্তি দেয় । অদ্ভুত এক সুখ বিরাজ করে রাখে । হাস্যোজ্জ্বল, লজ্জা পাওয়া মানুষটি জীবনে একজনকে দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠে তার প্রতি আজন্মকালের জন্য মুগ্ধ হওয়ার জন্য তাড়া তাকে জীবনে এগিয়ে নিয়ে যায় । •উৎসবঃ দারুণ গোছালো, সিদ্ধান্ত নেয়ায় পটু স্বভাবের ছেলেটি নিজের জীবনের সব সিদ্ধান্তগুলো যেন খুব ভেবেচিন্তে নেয় । জীবনের এই মায়ারাজ্যে তাকে কোথাও যেন কেউ বেঁধে রাখতে চায়, কোথাও বা না । মানসিক ভাবে ভীষণ বুদ্ধিদীপ্ত স্বভাবের মানুষটিকে তাই বেশ লেগে যায় । •ফাল্গুনীঃ জীবনে মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এর মতো করে সুখ চলে আসার খুব তাড়া থাকে । আবার বোধহয় যায়ও খুব তাড়াতাড়ি কখনও কখনও । অতীতের অনেকগুলো কষ্টের স্মৃতি নিয়ে জীবনের যাত্রাপথে এগিয়ে যাওয়া নারীটি হঠাৎ করেই বিয়ের অনেকগুলো দিন পরে নিজ স্বামীকে ভালোবেসে ফেলে । সেই ভালোবাসার নিঃশ্বাসে তার জীবনে সুখ আসে । তবে সুখ যদি প্রেম হয়, তার জীবনে অপ্রেমের আলোড়নও তখন বয়ে যায় বিভিন্ন ভাবে । •ইকবালঃ নিজেকে নিয়ে ভাবতে বসার জীবনে এই সমাজের বিভিন্ন দায়িত্ববোধে মানুষটি নিজেকে নিয়ে ভাবতে বসা হয় না । কখনও সুযোগ হারিয়ে যায় । কখনোবা সময় । তবুও ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসে । মুহূর্তের আলোড়নে । পাশে থাকার চাহনিতে । যত্ন নিয়ে ভালোবাসা আসে যেন । দায়িত্ববান এবং সচেতন মানুষটি ভবিষ্যতের জন্যেও ভেবে নিয়ে যায় অনেক কিছু । •টুকিটাকি চরিত্রঃ এছাড়াও আরো কিছু উপন্যাসের প্রয়োজনে আসে । উপন্যাসে ভেসে আসে সেলিনা, যারা সমাজের সময়ের চোরাস্রোতে জীবনভর বয়ে যায় । সংসারের বিভিন্ন অদ্ভুত নিয়মকানুন মেনে বছরের পর বছর ধরে সংসার, পরিবারে যা করার এক অদ্ভুত স্বার্থগ্রাসী চিন্তা তাকে আকড়ে ধরে রাখে । এছাড়াও উপন্যাসে আছে বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের দিলু । যে কারো থেকে কাউকে নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছিল । অসাধারণ মানসিকতার একজন নারী । এছাড়াও উপন্যাসে আছেন বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের মোর্শেদ । এছাড়াও উপন্যাসে আছে লাবণ্য নামের একজন । যে ভালোবাসার মানুষকে নিজের মনের মতো করে সাজানোর ইচ্ছে করে । নিজের ইচ্ছায় তার মনে ভালোবাসা আসে । আবার বোধহয় চলেও যায় । এরকমই আরো কতশত চরিত্র যেন আসে উপন্যাসের পাতায় পাতায়, প্রেম অপ্রেমের ঋতুর পালাবদলে । আসে বিহন মজুমদার, আসে দিনা, আসে নীলা । এছাড়াও আসে ছন্দা । ♦প্রিয় চরিত্রঃ মানুষ একসময় বলে, তোমাকে পেয়ে ভীষণ গর্ববোধ হয় । জীবনে পাওয়ার জন্য ভীষণ আকুল হয়ে স্মৃতিচারণ করার মতো মুহূর্ত তৈরি হয় যেন । এই উপন্যাসের প্রিয় চরিত্র নিয়ে ভাবতে বসে আমার তাই মনে হয়েছিল যে দ্বিধান্বিত হবো । কিন্তু কোথাও খুব একটা হইনি । অথচ চরিত্রগুলোর অদ্ভুত রসায়নে এই উপন্যাসের অনেকগুলো চরিত্রই প্রিয় হতে পারতো । ধ্রুব তার অতীতের বিষয়গুলোকে যেভাবে বর্ণনা করে, দুঃখ পাওয়ার চেষ্টায় ভালোবাসাকে হাতড়ে বেড়ায়, অনুভব করে । সে একজন প্রিয় চরিত্র হতে পারতো । এছাড়াও প্রিয় চরিত্র হতে পারতো, রঞ্জন । ভালোবাসার মানুষটির জন্য যে সুখ চেয়েছিল পৃথিবীতে । এছাড়াও প্রিয় চরিত্র হয়ে থাকতে পারতো ইকবাল । যে পৃথিবীতে ভালোবাসতে চেয়েছিল । ভালোবাসা কেমন হয়, অনুভব করার অদ্ভুত এক টান যেন টের পায় সে । যাহোক যা বলছিলাম তা বলি বরং, এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ কাউকে জীবনে পাওয়ার জন্য গর্ববোধ করে । কিন্তু এই উপন্যাসে একজন আছেন, যাকে এই উপন্যাসের পৃথিবীতে পাওয়ার জন্য ভীষণ গর্ববোধ হয় । ভাগ্যিস মানুষটি ছিলেন । ফেরদৌস আনাম, এই মানুষটিকে মানুষ হিসেবে দেখে গর্ববোধ হয় । পিতা হিসেবে দেখে গর্ববোধ হয় । বন্ধু হিসেবেও হয় । অসাধারণ এই মানুষটিকে সবথেকে প্রিয় চরিত্র হওয়ার মতো তাই ভীষণ বলে মনের হয় । উনিই তাই এই প্রিয় উপন্যাসটির প্রিয় চরিত্র হয়ে থাক । ♦প্রিয় অংশঃ এই উপন্যাসটির পুরোটা জুড়েই আমার কেনো যেন খুব প্রিয় অংশ । প্রতিটি অংশের মধ্যেই আমি এক ধরনের ভালো লাগার আলোড়ন খুঁজে পাই । অদ্ভুত এক ধরনের দম আটকে আসা ভালো লাগার মতো মুহূর্ত । কেমন একটা যেন পৃথিবীতে লাগছে বলে মনে হয় । যাহোক এই উপন্যাসটিতে কাহিনী এবং ঘটনাপ্রবাহ এর প্রয়োজনে প্রেক্ষাপটে যেভাবে সুন্দরবন দেখানো হয়েছে তার যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তাই এই উপন্যাসের অন্যতম প্রিয় অংশ বলে মনে হয় আমার । যেভাবে বিভিন্ন অঞ্চল এবং জায়গার বর্ণনা করা হয়েছে, সুন্দরবনের অংশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা ভীষণ ভালো লাগার মতো । কটকা, জামতলা, কচিখালী , ডিমের চর ছাড়িয়ে যেভাবে কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে তা ভালো লেগে যায় । সেখানে যেভাবে উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং জীবনধারা বয়ে উঠেছে তা কোথাও ভালো লাগা দেয় । বন্ধুত্ব, জীবন, কথোপকথন, পাশে থাকা এরকম ছাত্রজীবনে বয়ে চলা বন্ধুত্বের এই বিষয়গুলোও বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে । এছাড়াও ছোঁয়ার সেই কুয়াশামাখা সকাল, অরিন এর ভিন্ন জোড়া জুতা, পল্লবীর ওয়াচ টাওয়ার কোথাও যেন নতুন আখ্যান এর সুর টানে । পর নারীর কতটুকু পর হলে পরেও আপনি ভাব জাগে! এই আবহে মেতে উঠে এই পৃথিবীতে যেন অভূতপূর্ব চৈত্রমাস নামে তার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা বোধহয় এই পৃথিবীতে আর সম্ভব হয়ে উঠে না । পল্লবীর ভালোবাসার জন্য নিজেকে ভাঙা, ফাল্গুনীর কষ্টের সাক্ষী এবং ধ্রুব এর অতীতের স্মৃতিও ভীষণ কাছের এবং প্রিয় হয়ে ধরা দেয় । উৎসব এর গানে, অন্য কারো জবাবে গানের উত্তরও আমার বেশ প্রিয় হয়ে উঠে । এছাড়াও বাবা মেয়ের সম্পর্কের রসায়ন এবং মুহূর্তগুলো বেশ প্রিয় মনে হয় । মনে হয় বিহন মজুমদার এর কারো চরিত্র বিশ্লেষণ নিয়ে অদ্ভুত সাজানো গোছানো ব্যাখ্যা । ১৫টা খামে দিয়ে যাওয়া ভালোবাসা বোধহয় এই পৃথিবীতে প্রকাশ পেয়ে উঠে না । এই উপন্যাসের প্রিয় অংশগুলোও তবুও প্রকাশ হয়ে যায় । এই উপন্যাসের যেন প্রতিটি সবকিছুই মনের কাছাকাছি হয়ে প্রিয় হয়ে যায় । ♦সংলাপঃ এই উপন্যাসটির বর্ণনা এতটাই সহজ, সাধারণ এবং মিষ্টি শব্দচয়নে ব্যবহৃত হয়েছে যে উপন্যাসটি পড়ার সময়ে সবকিছুতেই ভালোলাগা বেড়েছে । উপন্যাসের শব্দচয়ন এবং বাক্যালাপ বেশ ভালো । কাহিনী একই ধাঁচে বয়ে গিয়েছে যে কারণে তাই পড়তে বেশ লেগেছে । ♦লেখক প্রসঙ্গেঃ (এতক্ষণ খুব অপেক্ষায় ছিলাম জানেন, লেখক বিভাগটা আগে লেখার । কিন্তু লিখতে পারিনি । ধীরে ধীরে যেন এই জায়গাটিতে এসেছি । যখন এসেছি তখন ভালোলাগা যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে । যাহোক এই অংশটা কিন্তু ঢেকে দেয়া, আগে পড়বে না কেমন? একদম পড়া যাবে না) এই উপন্যাসটি পাঠক হিসেবে আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত পড়া লেখক মৌরি মরিয়ম এর সবথেকে সেরা উপন্যাস । আমি জানি না আমি কিভাবে ব্যাখ্যা করেছি । কিভাবে উপস্থাপন করছি । কিন্তু আমি যখন উপন্যাসটি পড়ছিলাম । আমি রীতিমতো অবাক হয়ে শুধু ভাবছিলাম, এরকম কেনো হচ্ছে । সত্যি বলছি, আমার মনে হয়েছিল এই উপন্যাসটি ভালো লাগবে । কিন্তু এতটা নয় । পড়তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, এতটা কেনো ভালো লাগলো । এই উপন্যাসে কাহিনীতে কোনো গভীরতা নেই, সোজা সরল ভাষায় লেখা উপন্যাস । তবুও যেভাবে প্রেক্ষাপট এবং পটভূমি উপস্থাপন করে বর্ণনা করা হয়েছে আমি রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছি । এই মুগ্ধতার ব্যাখ্যা আমি বোধহয় কোথাও সারাজীবনে দিতে পারবো না । ফুটিয়ে তুলতে পারবো না । কিন্তু এই যে লিখে গেলাম, এইটুকুই বোধহয় পারি । অথচ আমার যে কী নিদারুণ আফসোস হচ্ছে, তা শুধু আমিই জানি । আমি আরো ভালো করে অনুভব করতে পারছি না বলে । বন্ধুত্ব নিয়ে হওয়া উপন্যাস লেখক মৌরি মরিয়ম এর আগেও পড়েছি আমি, সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর । কিন্তু এই উপন্যাসটা আসলে ঠিক বন্ধুত্বের নয় যেন । নয় কোনো সুন্দরবন ভ্রমণ এরও । এই উপন্যাসটা যেন কোথাও একটা ভালোবাসার, জীবনের গল্পের । যেখানে ভালোবাসা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাবে আসে । একেকটা ভালোবাসার গল্প একেকরকম ভাবে জীবনের গল্পে এসে যোগ দেয় । এই উপন্যাসটি আমি জীবনে আর কতবার পড়বো জানি না, তবে প্রতিনিয়ত বোধহয় আবেগতাড়িত হয়ে ভেসে যাবো প্রতিটা বার । যাহোক ‘প্রেম অপ্রেমের চৈত্রমাস’ লেখক মৌরি মরিয়ম এর প্রকাশিত হওয়া পনেরোতম উপন্যাস । তার পরবর্তী লেখাগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো । ♦প্রকাশনীঃ প্রকাশনী হিসেবে অধ্যয়ন এর লেখা বেশ অনেকগুলো পড়া হয়ে গেল । তারা যেভাবে বইটি উপস্থাপন করে ফুটিয়ে তুলে সামনে এনে দিয়েছে তা বেশ মুগ্ধ হওয়ার মতো । দূর থেকে বইটি দেখতে কেনো যেন খুব ভালো লাগা কাজ করে আমার । সাথে বই বাঁধাই এবং পৃষ্ঠা বাঁধাইও বেশ ভালো । বইটি তাই পড়তে বেশ ভালো লাগা কাজ করেছে । তেমন একটা বানান ত্রুটি ছিল না । ♦রেটিংঃ ৫/৫ ♦উপসংহারঃ আমার পাঠক জীবনে কোনো উপসংহার নেই । নিশ্চুপ হঠাৎ করে থেমে যাওয়া সন্ধ্যা আছে । উদাসীন রাত আছে । যেখানে হঠাৎ করে অনেকগুলো দিন বই পড়া হয় না । অনেক মাস বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখা হয় না । তবুও আমার ফিরে আসা হয় এই জীবনে । কারণ আমার চাহনি বারবার ফিরে আসে এই ভালোবাসার গল্পে । এই জীবনে তাই কোনো উপসংহার নেই । এই এলোমেলো হওয়া তবুও জীবনে কিছু মনে করার মতো করে বলতে ইচ্ছে করে, এই বইটা আমার পড়া উচিত হয়নি । রেখে দেয়া উচিত ছিল । জমিয়ে রাখা শান্ত বরফের মতো করে । ধরলেই শান্তি, নিয়ে ফেললে গলে গিয়ে হাতে লেগে যায়, রেশ থেকে যায় কিন্তু শেষ হয়ে যায় । তবুও জীবনের গল্প তো এগিয়ে যায় । এগিয়ে যায় প্রতিটি বিশেষণে জীবনের এগিয়ে যাওয়া । সম্পর্কের টানাপোড়েন আর অদ্ভুত এক রসায়নে প্রেম অপ্রেমের দ্বৈরথে বসন্তে চৈত্রমাস নামে । এই পৃথিবীতে সম্পর্কের টানাপোড়েন আনে । যা খরা আনে । সুখ আনে । বিরহ আনে । তবুও মানুষ জীবন চায় । বেঁচে থাকার জন্য জীবন ।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!