User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ খুব বাজে। না সাবলীল, না সুপাঠ্য। খুব সুক্ষ্মভাবে নাস্তিকতাকে প্রমোট করা হয়েছে। তবে এটা পড়ে ইস্তাম্বুল শহরের বিষন্নতা অনুভব করেছি।
Was this review helpful to you?
or
আচ্ছা প্রথমে বলি যারা ক্লাসি পাঠক নন,আই মিন যারা স্লো মোশনের বই পড়তে চান না তারা এটা না পড়লে ভালো হয়।কারন এটা ব্যাসিক্যালি পামুকের শৈশবের স্মৃতিকথা প্লাস তার জন্মস্থান ইস্তাম্বুল এর ইতিহাসলিপি বলা যায়। আসলে একজন মানুষের এভারেজ শৈশব যেমনটা হয় আরকি পামুক যেহেতু মিডলক্লাস ফ্যামিলি বিলং করেছেন তাই তার ঐ শৈশব এবং বেড়ে উঠার দিনলিপি নিয়ে আমি অতোটা আগ্রহী না।কারন সেটা তেমন চিত্তাকর্ষক কিছু নয়।কিন্তু এই বই এর মূল মজা টা হলো ইস্তাম্বুল এর ইতিহাস,তার বিষন্নতা,তার মানুষজন,দোকানপাঠ,তার সাহিত্য,গোড়াপত্তনের ইতিহাস,বসফরাস এর বহমান ঢেও এর চিত্র এইসব কে পামুক যে নান্দনিকতায় এই বই এ হাজির করেছেন সেটা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে।পামুক এই শহরের ইতিহাসের সাথে তার শৈশবের মেলবন্ধন করে যে ন্যারেটিভ এই বই এ হাজির করেছেন এটাই এই বই কে সুখপাঠ্য করেছে। এখান থেকে আমরা জানতে পারি একটি বিরাট শহর কিভাবে বিষন্নতা কে শিল্পের চাদরে মুড়িয়ে নিয়েছে।কিভাবে বিষন্নতা পুরো একটি শহরের বাসিন্দাদের তার জালে জড়িয়ে দিব্যি যুগের পর যুগ পার করে চলেছে।এই বিষন্নতা নানা রুপ রং বৈচিত্র্য এবং এটা কিভাবে তাদের সাহিত্যে শিল্পে স্থান করে নিয়েছে।৷ হুজুন বা বিষন্নতা নিয়ে বেশ ক্লাসি একটা আলাপ করেছেন পামুক তার ইস্তাম্বুল একটি শহরের স্মৃতিচারণ এই বই তে।আমরা বিষন্নতা কে আধুনিকতার একটা ব্যারাম বলে ডিফাইন করে বিশেষ করে আমি এটা করতাম।কারণ বিষন্নতা ঠিক এই অর্থে আধুনিক ছেলেপুলেদের মাঝে আমরা দেখি।তারপর এটা থেকে ড্রাগস ইয়াবা ফেন্সি ডাইল হিরো লালন শুনে শুনে সেবন এইদিকে যায়।মানে প্রবণতা টা এমন। বাট পামুক এইখানে যে আলাপ টা পেশ করছেন তাতে বিষন্নতা ব্যাপারটা বেশ নান্দনিক একটা আকার পাই।পামুক কইতেছেন ইস্তাম্বুল এর চারজন বিষাদগ্রস্হ লেখক ই তাদের কবিতা গল্পে লেখায় ইস্তাম্বুল এর ইতিহাস একটা নান্দনিক উপায়ে হাজির করছেন।একজনের নাম কোকো আর তিনজনের নাম মনে আসতেছেনা সরি।আবার উনি এটার সাথে সুফি দ্বারার নান্দনিক যোগাযোগ টা ও অল্প পরিসরে দেখাইতে চাইলেন।বেশ ইন্টারেস্টিং একটা আলাপ আছে এইখানে।উনি মেইনলি সুফিজমে যে হুজুন এর উপস্থিতি ঐটাকে বেশ পবিত্র বলে উল্লেখ করছেন।অর্থাৎ তারা এটার মাধ্যমে ঈশ্বরের দিদার লাভের সেতুর মজবুততা তৈরি করেন।এর বাইরে উনি আরো বলতেছেন ইস্তাম্বুলের শিল্প সংগীত চিত্রকলা ইভেন মানব জীবনেও হুজুন এর বেশ উপস্থিথি আছে।সব ইস্তাম্বুলিয়ান জন্ম সূত্রে তার ধ্বসে যাওয়া বীরত্বপূর্ণ ইস্তামবুলের অদৃশ্য হাহাকার সাথে নিয়ে আসে আর পরবর্তী জীবনে তাদের উপর এটার প্রভাব ব্যাপক থাকে।অর্থাৎ তারা রাস্তা ঘাট সেতু ব্রীজ কফি হাউস সবকিছুতে এর ছোঁয়া আছে আর একজন মানুষ এসবের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে হুজুনে নিমজ্জিত হয়।ইস্তাম্বুল যদিও দেখা হয়নি তবে চোখ বন্দ করে ব্যাপারটা কল্পনা করলে কেমন যেনো ফিল হয়। এখানে উনি আরো ব্যাপক ইতিহাস টানছেন ঐগুলা ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারছিনা আর মাথায় ও নাই।আমি জাস্ট একটু কিউরিয়াস এই ব্যাপারে যে হুজুন কি সব জায়গায় সব দেশের কালচারে সৃষ্টিতে শিল্পে সমানভাবে ক্রিয়াশীল কিনা এই ব্যাপারে।একটা ব্যাথা,দুঃখ বোধ এইসব ঠিক মনে আর মাথায় ক্রিয়াশীল না হলে গানের সুরে,পেইন্টিং,কবিতায় ঠিক নির্যাস আবেগ টা আসেনা।এটার সাইকোলজিক ব্যাখ্যা কি হইতে পারে। আবার জগজিৎ সিং এর গজল শুনতেছিলাম গতকাল।পাকিস্তানের একটা ট্রিবিউট প্রোগ্রাম।অনেক পুরাণা,ফারিহা পারভেজ গাইতেছিলেন।তো ঐখানে নতুন যে কথাটা শুনলাম সেটা হলো,জাগজিৎ এর একটা যুবক ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায় আর তারপর তার স্ত্রী চিত্রা সিং ও একসাথে গাইতে শুরু করেন প্রথম গজল ছিলো" হোটো সে চু লও তুম,মেরা গীত আমার কর দো" এটা এভারগ্রীন ক্লাসিক হয়ে আছে তারপর একে একে সব কালজয়ী গজল জগজিৎ গাইলেন তার সমস্ত আবেগ দিয়ে।তাহলে হুজুন এর এইদিকটা কি আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নিতে পারি,আই মিন এটার এডাপ্টেশনটা কিভাবে হবে,ধরেন পরিবেশ এমন না হলে তো কি করা যাবে।।। এটা ছাড়া এই বই এ আরেকটা ইনটারেস্টিং যে ব্যাপার পামুক বারেবারে অবতীর্ণ করেছেন সেটা হলো পশ্চিমী সভ্যতার অনুকরণ কিভাবে একটি পুরো শহর,তার ঐতিহ্য,হেরিটেজ,মানুষের মন ও মগজ কে নড়বড়ে করে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব কে শেষ করে দিয়েছে।যদিও অনেকেই তাকে পশ্চিমা ঘেঁষা বলে অভিযোগ করেন,তার নোবেল প্রাপ্তিও এটার কল্যাণে বলেন আমি তাদের অনুরোধ করবো এটা পড়ার জন্য।এখানে পামুক বারেবারে একটা ব্যাপার স্পষ্ট করতে চেয়েছেন যে পশ্চিম এর সভ্যতা কেবল তার নিজের জন্য ঠিক আছে,এর এডাপ্টেশন কোন মঙ্গলজনক কিছু হতে পারেনা।সে সভ্যতার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে পাশাদের প্রাসাদগুলোতপ ধাও ধাও করে জ্বলা আগুণে পামুক যেনো নিজেকে পোড়ানোটা দেখাতে চেয়েছেন।যার রেশ অনেক গভীর। আরো দীর্ঘ বক্তব্য হয়তো দেওয়া যায় বাট আমি এটা আপাতত এইখানে সংক্ষিপ্ত রাখলাম। সবমিলিয়ে এই বই এর মধ্য দিয়ে আপনি দেখবেন পামুকের চোখে ঐতিহাসিক একটা শহরের ইতিহাস।এই জার্নি আনন্দের,ভালোলাগার,বিষন্নতার,দারুণ এক অনুভূতি দিয়ে যাবে আপনাকে। সবশেষে অনুবাদকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা,এতো সুন্দর এবং প্রাঞ্জল অনুবাদ এর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
‘ইস্তাম্বুল: একটি শহরের স্মৃতিচারণ’ ২০০৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তুর্কি লেখক ওরহান পামুক এর লেখা ইস্তাম্বুল শহরের স্মৃতিচারনা করে লেখা একটি ইতিহাস নির্ভর বই । লেখক এর জন্মস্থান এইটি , তিনি তার জন্মস্থান নিয়ে স্মৃতিচারন করেছেন তার এই বইটি তে । তিনি তুরষ্কের জীবিত থাকা ঔপন্যাসিক দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । তুরস্কের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত ঔপন্যাসিক আমাদের নিয়ে যান ইস্তাম্বুলের স্মৃতিস্তম্ভ এবং হৃত স্বর্গের মধ্যে দিয়ে, ধ্বংসপ্রাপ্ত অটোমান প্রাসাদ, পিছনের রাস্তাগুলো এবং জলপথের মধ্যে দিয়ে -যে শহরে তাঁর জন্ম , যে শহরে তাঁর কল্পনার পীঠস্থান। ওরহান পামুক অসংখ্য বই লিখেছেন তার মধ্যে দ্য হোয়াইট ক্যাসল, দ্য ব্ল্যাক বুক , দ্য নিউ লাইফ ইত্যাদি অন্যতম । বইটি বাংলা তে অনুবাদ করেছেন সৌরীন নাগ । তার জন্ম ১৯৩৬ সালে টাঙ্গাইলে । বইটি বাংলা তে প্রথম অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সন্দেশ প্রকাশনী থেকে । বই টির প্রকাশক লুতফর রহমান চৌধুরী এবং প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । অসাধারন ক্ষমতাধর এ লেখক তার বইটি তে তার নিজের জন্মস্থান নিয়ে বিভিন্ন কথা লিখেছেন । লেখার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন স্থানে তার জন্মভুমির ছবি সংযোজন করেছেন যা পাঠকের কাছে জন্মভুমি কে বোঝানোর জন্য দরকারী বলে মনে করেছেন । তিনি অত্যান্ত সাবলীল ভাষায় তার জন্মভুমি কে পাঠকদের নিকট তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এবং তার লেখনীর জন্য তার বর্ননা পাঠকেরা সাদরেই গ্রহন করবেন । তিনি তার বইটি তে তার শিশু কালের কথা বলেছেন , এবং পাশাপাশি তিনি এতো সুন্দর ভাবে বইটিতে তার জন্মস্থানের কথা বলেছেন যা পাঠকদের মনে ইস্তাম্বুল ভ্রমনের শখ জাগাতে পারে ।
Was this review helpful to you?
or
অপূর্ব... আরো অনুবাদ গ্রন্থ আশা করছি।
Was this review helpful to you?
or
তুর্কি ভাষায় "হুজুন" শব্দের অর্থ হচ্ছে বিষন্নতা | হুজুনের উৎস আরবি ভাষা থেকে, হাদিসে এসেছে হুজন বা হাজেন | যে বছর হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার প্রিয় স্ত্রী বিবি খাদিজা (রাঃ) এবং চাচা আবু তালিব দুজনকে একসাথে হারান সেই বছরকে বলা হয়ে থাকে Ām al-Ḥuzn বা বিষন্নতার বছর | সুফী দরবেশদের কাছে এই হুজুন মানে আধ্যাত্বিক কষ্ট-বোধ | কিন্তু এই কষ্ট-বোধ এর কারণ ছিল আল্লাহের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত থাকার কষ্ট | "হুজুন" শব্দটির সাথে পরিচয় হয় তুর্কি লেখক সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ওরহান পামুকের লেখা অসাধারণ এক স্মৃতিচারণ মূলকগ্রন্থ " ইস্তাম্বুল- একটি শহরের স্মৃতিচারণ " এর পাতা থেকে | পঞ্চাশ দশকে জন্ম নেয়া শিশু ওরহান পামুকের চোখ খুঁজে ফেরে অটোমান সাম্রাজ্যের যুগে ভেঙে পড়া পাশা'দের প্রাসাদ , দালানকোঠা আর শহরের ধ্বংসাবশেষ আর তার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া হুজুন কে | সেই শৈশব থেকে ওরহান পামুক কে তাড়িয়ে বেরিয়েছে এই হুজুন | "ইস্তাম্বুল- একটি শহরের স্মৃতিচারণ " বইতে ওরহান পামুকের সেই হুজুন বা বিষন্নতা গভীরভাবে উপলদ্ধি করতে গিয়ে একসময় কখন যেন ওরহান পামুকের চোখে নিজের শহর ঢাকা'কে দেখতে শুরু করলাম | সে সময়কার ইস্তাম্বুলের ভেঙেপড়া জরাজীর্ণ প্রাসাদ আর কাঠের তৈরী প্রাসাদ বা ইয়ালির সাথে মিশে থাকা হুজুনের মাঝে অতীতের জৌলুষতাকে খুঁজে পেতেন ওরহান পামুক | যে হুজুন বা বিষন্নতার চাদরে সারা ইস্তাম্বুল শহর আর তার অধিবাসীরা নির্জীব আর নির্লিপ্ততার মাঝে একের পর এক দিনরাত কাটিয়ে দিত, সেই একই হুজুনের রেশ ধরে ওরহান পামুক খুঁজে পেয়েছিলেন এক আনন্দময় বিষণ্ণতাকে | এ যেন পুরোনো গৌরবময় স্মৃতি রোমন্থনের এক অজানা আনন্দ | ইস্তাম্বুল ভ্রমণের সময় সেই ওরহান পামুকের হুজুন বা বিষন্নতাকে কে উপলদ্ধি করলাম জনাকীর্ণ রাস্তায় মানুষের ভিড়ে, এই শহরের এক অজানা অচেনা সঙ্গীহীন নিঃস্বঙ্গ আমার 'আমি'কে | এই বিষন্নতায় ছিলোনা কোনো কষ্ট কিন্তু তারপর একে একরকম বিষন্নতায়ই বলা যায় | ইস্তাম্বুল শহরের এই হুজুন বা বিষন্নতার খুঁজে পেয়েছিলাম কখনো রাস্তায় অনেক মানুষের ভিড়ে, আবার কখনো বা মেট্রো রেলের একাকী কামরায় অথবা টপকাপি প্রাসাদের পাশে বসফরাসের দিকে তাকিয়ে খুঁজে পেয়েছিলাম সেই হুজুনকে | ওরহান পামুকের এই হুজুন বা বিষন্নতার চমৎকার বিশ্লেষণ যেন আমারি শৈশবের হুজুনকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আমার আমিকে | ওরহান পামুকের এই হুজুন বা বিষন্নতা মনে হয় আমার মনের অজান্তে তাড়িয়ে বেরিয়েছে আমার শৈশব থেকে তারুণ্যে হয়তো এখনো | আমাদের সবার মাঝের এই হুজুন বা বিষন্নতাকে সত্যিকার অর্থে আমরা কজন চিনতে পেরেছি ? ওরহান পামুকের লেখা এই অসাধারন স্মৃতিচারন বইটি সৌরীন নাগের অসধারন অনুবাদশৈলীর কারনে পাঠকে তাড়িত করবে তার নিজ শহর অথবা জন্মস্থানের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
এতো সুন্দর একটি বই শুরু করেও মাত্র ৩০ পৃষ্ঠা পড়ে রেখে দিয়েছি। সাধারনত স্মৃতিচারনমূলক বই হয় সহজ সরল ও সাবলিল কিন্তু অনুবাদক মনে হয় সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা আমি বুঝতে পারছি না্ । সোফির জগৎ এর মতো একটি দর্শনের বই আমার বুঝতে কোন সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু এটা পড়ার ক্ষেত্রে কেন ব্যর্থ্ হচ্ছি। নতুন করে অন্য কারো অনুবাদ করা দরকার। যদিও আবার চেস্টা করবো বইটি শেষ করার এবং এই অনুবাদক থেকে দুরে থাকবো।
Was this review helpful to you?
or
স্কুল পালিয়ে ধুলোমাখা পথগুলোর স্নিগ্ধ সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পথচলা কিংবা কল্পনাগুলোকে রং তুলির আঁচড়ে প্রানবন্ত করে তোলা... চোখের সামনে একটি শহরকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়তে দেখা... এবং আবার জেগে ওঠা। বলছিলাম স্মৃতি, জীবনী ,পুরনো ঐতিহ্যের সম্মেলন অরহান পামুক রচিত " ইস্তাম্বুলঃ একটি শহরের স্মৃতিচারণ " বইটির কথা। "স্মৃতি চারণা" শব্দটি শুনলেই মনে আসে একটি কথা "অতীতের পুনরজাগরন"। এই প্রবন্ধটি কে শুধু শহরের স্মৃতিচারণ বললে কোথাও যেন একটু অসম্পূর্ণ বোধ হয়। শহরের সাথে সাথে লেখকের নিজ জীবনের ব্যাপক প্রতিফলন সেই সাথে একটি সাম্রাজ্যের নিঃশেষ হয়ে যাবার ইতিহাস প্রভৃতি রচনাটিকে সম্পূর্ণতা দান করেছে। একদম শুরু থেকে দেখলে বোঝা যায় প্রবন্ধটির সার্থকতা ... পরিচ্ছেদ গুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে যে কেউ একনজর দেখলেই ইস্তাম্বুল শহরটি সম্পর্কে নিজের মানসপটে একটি চিত্র দাড় করাতে পারে। বইটির বিভিন্ন পাতায় উঠে এসেছে ইস্তাম্বুল শহরটির পুরনো ঐতিহ্য- ইতিহাস... তুর্কি ঔপন্যাসিক হামদি তারপিনার, তুর্কি কবি ইয়াহিয়া কামাল, গ্যাঁটে , নার্ভাল, রেসাত এক্রেম কোকুর বারবার স্মরন সেইসাথে সাদা কালো ছবিগুলো বিভিন্ন ঘটনাকে করে তুলেছে অধিক প্রানবন্ত। সবকিছুই লেখকের নিজ চোখে দেখা এবং দেখা থেকেই কলমে তার প্রতিফলন । পারিবারিক দ্বন্দ্ব টানাপড়েন আর্থিক অবস্থার একটু একটু করে ভেঙ্গে পরা সে যেন পুরো ইস্তাম্বুল শহরটির ই ভেঙ্গে পড়ার নামান্তর!! আর সবকিছু ছাপিয়ে প্রাধান্য পেয়েছে লেখকের কল্পনার রাজ্যে একাধিকবার বিচরণ এবং বসফরাস এর মনোমুগ্ধকর নীল সৌন্দর্য। অনুবাদকের প্রতি জানাই অশেষ শ্রদ্ধা যিনি মূল বইটির অনেকখানি স্বাদ আস্বাদনে পাঠকদের সহায়তা করেছেন।