User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রাফি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। সে একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি নিয়েছে। ঈশিতা একজন সাংবাদিক। যার কাজ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে লেখা। এরকমই একটি বিষয় ছিল নিউরাল কম্পিউটারের কোম্পানি ইনডেভার নিয়ে। রাফির বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই থাকত এক মেয়ে।নাম তার শারমিন। সে পড়াশোনা না জানলেও বা না পারলেও তার ছিল একটি অসম্ভব। যা কেউ আগে জানত না। রাফি তার এই গুণটি আবিষ্কার করে। এই গুণ এর মাধ্যমেই পরিচয় হয় রাফি এবং ঈশিতার। এরপর এই শারমিনকে নিয়েই শুরু হয় বিভিন্ন সমস্যা। তার সমস্যার মূল কারণ তার অসম্ভব গুণ। তারপরের ঘটনা গুলো জানতে পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের 'প্রডিজি' বইটি।
Was this review helpful to you?
or
plz r call back koren...
Was this review helpful to you?
or
#রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত ও #রকমারি_ডট_কম #বুক_রিভিউ_কনটেস্ট শারমিন এক গরীব চা দোকানীর মেয়ে, বাবা কে সাহায্য করে দোকানে, চা-বিস্কুট, শিংগারা-জিলাপির হিসাব করে দিতে। ইচ্ছা থাকলেও অসুস্থতারর জন্য পড়াশোনা ঠিক মতন করতে পারেনি। ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত এই মেয়ে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ সরাসরি না বুঝলেও চা-জিলাপী, শিঙাড়া র পরিমাণ আর দামের হিসাব কষতে পারে। ডিসলেক্সিয়া রোগে মানুষ লেখা বর্ণ উলটা - পালটা দেখে বর্ণ গুলো নাচানাচি করে মনে হয়। তারে জামিন পার মুভির দারশিল এর এই রোগ টি ছিল। এই চা দোকানের পাশেই এক ইউনিভার্সিটিতে নতুন জয়েন করা তরুণ শিক্ষক রাফি,কলিগ দের সাথে চা খেতে গিয়েই তার এ গুণটি ধরতে পারে। মেয়েটি হাজার যে ১০ শ বলত। রাফির মুখে কেবল একবার শুনেই হাজার শব্দের অর্থ বুঝে নেয়। এসব দেখেই রাফি বুঝতে পারে মেয়েটি একজন প্রডিজি।অসামান্য মেধার অধিকারী। সে মেয়েটিকে পড়তে সাহায্য করে। মেয়েটির গণিতের অসামান্য মেধা রাফি লুকিয়ে রাখতে চায়, কারন সবাই জানাজানি হলে মেয়ে তার পরিবার নিয়েই বিপদে পড়বে। কিন্তু গোপন রাখতে চাইলেও ভোটকা হান্নান এর নজরে পড়ে বাচ্চা মেয়েটা। মাস্তানের দাবি শারমিন কে টি ভি তে দেখিয়ে টাকা কামাবে।কোন রকমে তাকে রক্ষা করে রাফি। কিন্তু কত দিন? এদিকে সাংবাদিক ইশিতা, স্পষ্টভাষী । সম্পাদকের কথায় বব লাস্কি, এনডেভারের পরিচালক। তার সাক্ষাতকার নিতে যায়। তবে সেদিন রাতেই শারমিন তার ল্যাপটপ নিতে আসে লাস্কির লোকজন এনজিও র আড়ালে এরা করে যাচ্ছে হিউম্যান ট্রাফিকিং। মানুষের হার্ট পাচারের কাজ।প্রথম দিনেই শারমিন লাস্কির কথা শুনে, অফিস দেখে এমন কিছু কথা বার্তা বলে যার জন্য সেদিন এর রিপোর্ট কেড়ে নিতে ল্যাপটপ নিয়ে যেতে পাঠায়। এদিকে প্রডিজি মেয়েটির ঘটনাক্রমে চলে যায় বব লাস্কির দল এর হাতে। এর মাঝে রাফি-ঈশিতার পরিচয় ঘটে। শারমিন কে উদ্ধারে নামে তারা।এত মেধাবী একটা মেয়ে কে বাঁচাতে এক সাথে কাজ করে। এদের দলে যোগ দেয় নতুন মুখ, মুক্তিযোদ্ধা মাজু বাঙালী ... উদ্ধার হলেও কি মেয়েটার সেই মেধা টিকে থাকবে???? By তাসফিয়া প্রমি
Was this review helpful to you?
or
বই:প্রডিজি মূল্য: ১৯৬৳ পৃষ্ঠা: ২০০ প্রকাশক : প্রথমা লেখক:মুহম্মদ জাফর ইকবাল ধরণ: সাইন্স ফিকশন প্রকাশকাল: ২০১২ কাহিনী : গরিব চা-দোকানির মেয়ে শারমিন। পড়াশোনা ঠিক মতন করতে পারেনি। ডিসলেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত এই মেয়ে যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ সরাসরি না বুঝলেও চা-জিলাপী, শিঙাড়া র পরিমাণ আর দামের হিসাব কষতে পারে। এই চা দোকানের পাশেই এক ইউনিভার্সিটিতে নতুন জয়েন করা তরুণ শিক্ষক রাফি,কলিগ দের সাথে চা খেতে গিয়েই তার এ গুণটি ধরতে পারে। বুঝতে পারে মেয়েটি একজন প্রডিজি।অসামান্য মেধার অধিকারী। গোপন রাখতে চাইলেও ভোটকা হান্নান এর নজরে পড়ে বাচ্চা মেয়েটা। কোন রকমে তাকে রক্ষা করে রাফি। কিন্তু কত দিন? একে একে শারমিনের নানা গুণের প্রকাশ পেতে থাকে এদিকে সাংবাদিক ইশিতা। সম্পাদকের কথায় বব লাস্কি, এনডেভারের পরিচালক। তার সাক্ষাতকার নিতে যায়। তবে ফলাফল সুখকর ছিলনা। সেদিন রাতেই শারমিন তার ল্যাপটপ হারায়। এনজিও র আড়ালে এরা করে যাচ্ছে হিউম্যাম ট্রাফিকিং। ঘটনাক্রমে শারমিন চলে যায় বব এর হাতে। এরর মাঝে রাফি-ঈশিতার পরিচয় ঘটে। শারমিন কে উদ্ধারে নামে তারা। এদের দলে যোগ দেয় নতুন মুখ। কে সে?? অসাধারণ প্রডিজি এই মেয়ে কি বেঁচে ফিরবে?? পাঠ-প্রতিক্রিয়া: বেশ ভাল লাগার বই, এরকম বই এখন মিস করি। নতুনত্ব ছিল বইটিতে,কয়েক সাল আগে পড়া, আজ আবার পড়লাম নতুন করে, নতুন বই এর ফিলিংস। তবে আমাদের চারপাশে কতশত প্রডিজি আছে, আমরা কি জানি??? কিংবা কত বব লাস্কি আছে?? রেটিং :৫/৫ রকমারি ঃঃ https://www.rokomari.com/book/4608/প্রডিজি
Was this review helpful to you?
or
From: প্রডিজি Writer: Redwan Nasir #নাম_প্রডিজি #লেখক_মুহম্মদ_জাফর_ইকবাল স্যার #ধরন_সাইন্স_ফিকশন #মূল্য:২০০ টাকা . গল্পটা মূলত শারমিন নামের অসাধারন ম্যাথম্যাটিক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি মেয়েকে নিয়ে,যে একটি বস্তিতে দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।তার বাবা মফস্বল শহরের একটি ইউনিভার্সিটির সামনে টং ঘরে দোকান দেন।একদিন নাস্তা করতে এসে ঘটনাক্রমে সেই ইউনিভার্সিটির নতুন শিক্ষক রাফি লক্ষ করেন শারমিন নামের টং দোকানীর মেয়েটা যেকোন সংখ্যার সাথে যেকোন সংখ্যার গুন করতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই!তিনি এতে অবাক হয়ে যান। প্রসঙ্গক্রমে তিনি মেয়েটিকে যাচাই করার জন্য অনেক বড় বড় সংখ্যার গুন করতে দেন এবং মেয়েটি সব সঠিক উত্তর দেয়! . ঘটনাক্রমে শারমিনের এ অসাধারন প্রতিভার খবর পান সাংবাদিক ইশিতা এবং নিউরাল কম্পিউটার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান "এনডেভার"।এনডেভার নামক প্রতিষ্ঠান টি শারমিনকে ধরে নিয়ে তার মাথায় ইকুইপমেন্ট বসিয়ে তার ব্রেন দিয়ে নিউরাল কম্পিউটার বানাতে চায়।কিন্তু প্রফেসর রাফি এবং ইশিতা কোনভাবেই তা হতে দিবে না।এজন্য এনডেভারের প্রধান বব লাস্কি, শারমিনের সাথে তাদের দুজনকেও ধরে নিয়ে যায় এনডেভারের ভেতর। . এরপরই তাদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে মাজু বাঙালি নামক একজন দেশপ্রেমিক,যেকিনা এনডেভারে অক্সিজেন সাপ্লাই করত। অবশেষে কিভাবে মাজু বাঙালি এবং রাফির কলিগ প্রফেসর সোহানার সহায়তায় শারমিন,রাফি এবং ইশিতা বের হল এনডেভার থেকে? এবং ইশিতা আর রাফির সম্পর্ক ই বা কোথায় গড়াল? তা জানতে পড়ে ফেলুন চমৎকার সাইন্স ফিকশন বইটি.....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষের ডিসলেক্সিয়া নামক জেনেটিক ডিসঅর্ডার ছিল। 'তারে জামিন পার' ছবি থেকে আমরা প্রায় সবাই জানি ব্যক্তির এ ডিসঅর্ডার থাকলে সে লিখতে বা পড়তে জানে না, তার মনে হয় অক্ষর গুলো যেন জীবন্ত, অক্ষর গুলো যেন তাদের আকৃতি পরিবর্তন করছে। আইনস্টাইন, পাবলো পিকাসো, টমাস এডিসন, ওয়াল্ট ডিজনি, টম ক্রুজ ইতিহাস নির্মাণকারী এই বিখ্যাত মানুষগুলো ডিসলেক্সিক ছিল। এইরকমই এক ডিসলেক্সিক মানুষ শারমিন নামের 13 বছরের বালিকাকে নিয়ে লেখকের এ উপন্যাস। সে ডিসলেক্সিক তো বটেই তার সাথে সাথে গনিতবিদ রামানুজনের মত প্রডিজিও, যে মাথার মধ্যে বড় বড় গণিত করে ফেলতে পারে। খুব দ্রুতই যে কোনো কিছু শিখে ফেলতে পারে। তো পড়ে নেই এ উপন্যাসের রিভিউ: শারমিন কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেও পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাফি, ঈশিতা সহ আরো অনেকে। শারমিন টঙের দোকানে তার বাবাকে সাহায্য করে। ঈশিতা সাংবাদিক, রাফি শিক্ষক। তিনজন তিন মেরুর হলেও এমন এক ঘটনা ঘটে যা তাদেরকে এক সরলরেখায় নিয়ে আসে, যা তাদের জীবনের অস্তিত্বের জন্যই হয়ে উঠে হুমকিস্বরুপ। কী ছিল সেই ঘটনা? একজন গনিতে পারদর্শী মেয়ের কী ই বা বিপদ হতে পারে? জানতে হলে স্যারের এ উপন্যাস পড়ে ফেলুন। পাঠ প্রতিক্রিয়া: লেখকের এ উপন্যাস বলা যেতে পারে চমৎকার উপন্যাস গুলোর একটি। এ উপন্যাসে লেখকের গল্পের যে ছন্দ তা পাঠককে মুগ্ধ করবে অবশ্যই। সাম্রাজ্যবাদীদের শুধুমাত্র তার নিজের স্বার্থ দেখার যে নগ্ন মানসিকতা, তা কালসচেতন লেখকের হাত ধরে উঠে এসেছে খুবই চমৎকার ভাবে। এ বই অন্য কোনো জায়গা থেকে যদি পড়েও থাকেন তাহলে এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক, আরে এ বই তো কালেকশনে থাকার মত। কিশোর উপন্যাস হিসেবে এর রেটিং আমার কাছে 5/5।
Was this review helpful to you?
or
স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা “প্রডিজি” উপন্যাসটি পড়লাম।এটা ভাল ছিল। সত্যিই ভাল ছিল। জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য বই(সাইন্স ফিকশন) এর তুলোনায় এটার প্লটটা একটু ভিন্ন ধরণের ছিল। তাও আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে । আর উনার বই এ সচরাচর যা দেখা যায় না, একটু রোমান্টিসিজম এর টাচ ও ছিল বইটাতে। যদিও খুবই অল্প। স্যারের লেখার একটা অসাধারণ দিক হচ্ছে যে খুব অল্প কথায় এত্তহ সুন্দর করে অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন! এই বইটা তার আদর্শ উদাহরণ।কাহিনী একটা ছোট্ট কিউট মেয়েকে ঘিরে । বই এর নাম শুনেই বোঝা যায় যে মেয়েটা একটা চাইল্ড প্রডিজি। তার ক্ষমতা হল সে যে কোন ধরণের গাণিতিক সমস্যার সমাধান মুখে মুখে করে ফেলতে পারে। ঘটনাক্রমে এক নবীন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তা আবিষ্কার করে ফেলে। এরপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে। গল্পের আরেক কাহিনীতে এক বিদেশি কোম্পানী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে/ গবেষণা করতে আসে। কিন্তু এর পিছনে লুকিয়ে আছে ভয়ংকর এক সত্য। এই দুই কাহিনীর মিশেলে বই এর ঘটনা এগিয়ে যায়। বই এর চরিত্র গুলোর মধ্যে ঈশিতাকে ভাল লেগেছে, স্যার এর বই এর নারী চরিত্র গুলো সবসময় স্ট্রংই হয়। কিন্তু এদেশের মেয়েরা যদি সত্যি ঈশিতার মত হতে পারে , তাহলে সেটা সবার জন্যেই ভাল হত। আর প্রধান ছেলে চরিত্র যে রাফি তাকে আরেকটু শক্ত দেখান গেলে ভাল হত। অনেক যায়গাতেই দূর্বলতার পরিচয় দিয়েছে ছেলেটা। সব মিলিয়ে মোটামুটি উপোভোগ্য একটা বই। তবে চাইলেই বইটা আরেকটু বড় আর গল্প আরো সুন্দর করে তুলে ধরা যেত ।পাঠক মিস করবেন না ভিন্নতার স্বাদ কিছুটা হলেও পাবেন বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
সায়মার কথা কি কারো মনে আছে? সায়মা একটা ছোট্ট মেয়ে যে ছবি আকতো,গল্প লিখতো আর কবিতা লিখতো। জাফর ইকবাল স্যারকে সে কবিতা পাঠাতো। হঠাৎ ওর জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল। এক্সিডেন্টে ও সব হারিয়ে ফেললো। হাত পা কোনটাই ঠিক থাকলোনা। স্যার ওকে কথা দিয়েছিলেন বই মেলাতে ওর একটা বই প্রকাশ করে দিবেন। প্রডিজি বইয়ের উৎসর্গ পত্রে স্যার সায়মার কথা লিখেছেন। শুধু মাত্র এতটুকু পড়লেই এই বইটা পড়তে ইচ্ছে হবে। বইয়ের ভিতরে যত আনন্দ আর যত কথা লুকিয়ে আছে তা না হয় পড়ার পরেই জেনে নেই।
Was this review helpful to you?
or
শারমিন মানুষগুলোর কথা বুঝতে পারছিল না, কিন্তু এক-দুটি শব্দ থেকে অনুমান করছিল, তাকে দিয়ে কোনো একটা পরীক্ষা করবে. নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর কোন পরীক্ষা. পরীক্ষাটি কী, সে বুঝতে পারছিল না, কিন্তু সে প্রস্তুত হয়ে রইল. হঠাত করে তার চোখে ঘুম নেমে আসতে থাকে. সঙ্গে সঙ্গে শারমিন বুঝে যায়, যন্ত্র দিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে চাইছে. কিন্তু শারমিন ঘুমাবে না, সে কিছুতেই ঘুমাবেনা. শারমিন জোর করে নিজেকে জাগিয়ে রাখল. হঠাত ঢেউয়ের মত করে ঘুম এসে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু শারমিন তাকে কিছুতেই বসিয়ে নিতে দিলনা, দাতে দাত চেপে জেগে রইল। চমত্কার একটি সাইন্স ফিকশন।
Was this review helpful to you?
or
জাফর ইকবাল এর লেখা আমি আগে থেকেই খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই বইটা অন্য সব বই কে হার মানায়। বইটা আসলেই চরম। এটা তার বেস্ট উপন্যাস। এই রকম সায়েন্স ফিকশন খুব কমই পাওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলি কি অ্যাডভেঞ্চার রচনা, সায়েন্স ফিকশন বলি— শিশুতোষ রচনার ক্ষেত্রে মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটি অদ্বিতীয় নাম। আমার স্কুলজীবনের মধুর স্মৃতির অংশ এই সায়েন্স ফিকশনগুলো- প্রডিজি পড়ি ক্লাস টেনে পড়ার সময়! মূলত-গরিব চা-দোকানির মেয়ে শারমিনকে নিয়েই এর পরিব্যাপ্তি। শারমিনের রয়েছে একটি অসাধারণ ক্ষমতা! সে যেকোন আকারের অংক মুহূর্তেই কষে উত্তর বলে দিতে পারে। শারমিনদের টংয়ের পাশের ইউনিভার্সিটিতে নতুন জয়েন করা তরুণ শিক্ষক রাফি তার এ গুণটি ধরতে পারে প্রথম টংয়ে চায়ের বিল দিতে গিয়ে। এরপর জানাজানি হলেই শারমিনের উপর দিয়ে যত বিপদ আসতে থাকে একের পর এক। ভার্সিটির ছাত্রনেতা বোটকা হান্নান চাঁদাবাজি করে, সে শারমিনকে তুলে নিতে চায়! তার দাবি সে শারমিনের প্রতিভাকে টিভিতে শো করে তাদেরকে সাহায্য করতে চায়। রাফির বাধায় সে তা পারে না। তারপর, আসে বিদেশীদের দল, টার্গেট তথ্য প্রযুক্তির বড়বড় কাজে শারমিনের মস্তিষ্ককে ব্যবহার করা- সেক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ হয়, রাফি এবং ভার্সিটির ছাত্রদের প্রতিরোধে। ইতোমধ্যে রাফির সাথে পরিচয় হয় তরুণী সংবাদকর্মী ঈষিতার- সে দেশবিরোধী সকল চক্রের বিরুদ্ধে একটি সাহসী প্রতীক। বব লাস্কি—বিদেশী অপশক্তির প্রতীকে ফুটে উঠেছে এ কল্পকাহিনীতে। তার বিশাল কম্পিউটারের ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যাবের অন্তরালে চলতে থাকে মানুষ হত্যা করে হৃদপিন্ডের ব্যবসা! এন্ডেভারের সাথে যোগসাজশ আছে কিছু এনজিওর। ভাইটামিন সাপ্লাইয়ের নামে অসুস্থ করে চিকিৎসার নামে এন্ডেভারে নিয়ে যায় শিশুদের- যাদের আর কখনো কিছু পাওয়া যায়না, এমনিভাবে হত্যা করে একের পর এক শিশুকে যাদের একজন মকবুল, মকবুলের মায়ের কাছে এন্ডেভার এবং এনজিওর কর্মকান্ডের সকল অপকর্মের বিবরণ শোনে— এবং এর বিরুদ্ধে চলে ঈষিতার সাহসী অ্যাডভেঞ্চার! শারমিনের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে রাফি সে ল্যাবের ডাটাবেস হ্যাক করে এন্ডেভারের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়। তারপর, ঈষিতা এন্ডেভারের কার্যক্রমের প্রমাণ সংগ্রহের মিশনে যায়। তবে,শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে রাফি, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে! ধরা পড়ে ঈষিতা আর শারমিন!! তবে, শেষমেশ, মুক্তিযোদ্ধা মাজু বাঙালির সহায়তায় তারা রক্ষা পায় এবং দুর্ধর্ষ বব লাস্কি ও তার অসাধু সাম্রাজ্যের সাঙ্গপাঙ্গরা বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। শারমিনের নামে যুক্ত হয়- সর্বকালের সেরা গণিতবিদের খেতাব!! শারমিনের গাণিতিক দক্ষতা,রাফির দায়িত্ববোধ, ঈষিতার সাহসিকতা, অ্যাডভেঞ্চার, মাজু বাঙালির দেশপ্রেম, সবমিলিয়ে, প্রডিজি মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি অনন্য রচনা।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম দিকে বইটি পড়া শুরু করলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে বইটি সায়েন্স ফিকশন। গল্পের শুরুটা রাফিকে দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তরুন লেকচারার। এবং বন্ধুসুলভ সহকর্মীদের সাথে কিছুদিনের মধ্যেই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। একসাথে মহাজন পট্টিতে চা নাশতা খায়। এবং সেখানকার ছোট মেয়ে শারমিনের সাথে কিছু দিনের মধ্যেই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এবং কিছু দিনের মধ্যেই তার গোপন ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে। শারমিন মনে মনে যে কোন বড় বড় হিসাব নিকাশ করে ফেলতে পারে। ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে। এক কথায়, তার মস্তিষ্ক সুপার কম্পিউটারকেও হার মানায়। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ তার এ মস্তিষ্ককে নিজেদের কাজে লাগাতে চায়। একসময় তাকে কিডন্যাপ করে. এ সময় রাফির সঙ্গী হয় ঈশিতা নামের একটি মেয়ে। এবং অ্যাডভেঞ্চার এ ভরপুর এ উপন্যাসে জাফর ইকবাল স্যার আমাদের মনে যে শিহরন জাগিয়েছেন, তা সত্যি বিস্ময়কর। সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - বইটি একবার পড়লে বারবার পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
মাঝে জাফর ইকবাল অখাদ্য সব সাইফাই লিখতে শুরু করেছিলেন। তাই যখন এই বইটি শুরু করে বেশ কিছূদুর যাবার পরেও ভালই লাগতে থাকল, বেশ অবাকই হয়েছিলাম। কারণ আরও অনেকের মত আমি ভাবতে শুরু করেছিলাম তিনি বোধহয় তার স্টক ফুরিয়ে ফেলেছেন। প্রডিজি পড়ে আবার বহুদিন পরে অনেক ভাল লেগেছে। বই এর কাহিনী অনেকেই জানেন। তাই সেটা নিয়ে কিছু বলার দরকার মনে করছি না। এক কথায় শেষ করি, বেশ হয়েছে বইটি।
Was this review helpful to you?
or
বইটির উৎসর্গ পত্রে লেখা সায়মা নামে একটি মেয়ের কথা। সায়মা একটা ছোট্ট মেয়ে যে ছবি আকতো,গল্প লিখতো আর কবিতা লিখতো। জাফর ইকবাল স্যারকে সে কবিতা পাঠাতো। হঠাৎ ওর জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল। এক্সিডেন্টে ও সব হারিয়ে ফেললো। হাত পা কোনটাই ঠিক থাকলোনা। স্যার ওকে কথা দিয়েছিলেন বই মেলাতে ওর একটা বই প্রকাশ করে দিবেন। প্রডিজি বইয়ের উৎসর্গ পত্রে স্যার সায়মার কথা লিখেছেন। এই টূকু পড়েই ইচ্ছা জাগে বইটি পড়ার। এবং পড়ার পর ভুজতে পারি এই বইটা অন্য সব বই কে হার মানায়।এই রকম সায়েন্স ফিকশন খুব কমই পাওয়া যায়। শারমিন।-গরিব চা-দোকানির মেয়ে। শারমিনের রয়েছে একটি অসাধারণ ক্ষমতা! সে যেকোন আকারের অংক মুহূর্তেই কষে উত্তর বলে দিতে পারে। গল্পের শুরুটা রাফিকে দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন তরুন লেকচারার। এবং বন্ধুসুলভ সহকর্মীদের সাথে কিছুদিনের মধ্যেই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। একসাথে মহাজন পট্টিতে চা নাশতা খায়। এবং সেখানকার ছোট মেয়ে শারমিনের সাথে কিছু দিনের মধ্যেই ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। এবং কিছু দিনের মধ্যেই তার গোপন ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে। শারমিন মনে মনে যে কোন বড় বড় হিসাব নিকাশ করে ফেলতে পারে। ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারে। এক কথায়, তার মস্তিষ্ক সুপার কম্পিউটারকেও হার মানায় এরপর জানাজানি হলেই শারমিনের উপর দিয়ে যত বিপদ আসতে থাকে একের পর এক। ভার্সিটির ছাত্রনেতা বোটকা হান্নান চাঁদাবাজি করে, সে শারমিনকে তুলে নিতে চায়! তার দাবি সে শারমিনের প্রতিভাকে টিভিতে শো করে তাদেরকে সাহায্য করতে চায়। রাফির বাধায় সে তা পারে না। তারপর, আসে বিদেশীদের দল, টার্গেট তথ্য প্রযুক্তির বড়বড় কাজে শারমিনের মস্তিষ্ককে ব্যবহার করা- সেক্ষেত্রেও তারা ব্যর্থ হয়, রাফি এবং ভার্সিটির ছাত্রদের প্রতিরোধে।ইতোমধ্যে রাফির সাথে পরিচয় হয় তরুণী সংবাদকর্মী ঈষিতার- সে দেশবিরোধী সকল চক্রের বিরুদ্ধে একটি সাহসী প্রতীক। বব লাস্কি—বিদেশী অপশক্তির প্রতীকে ফুটে উঠেছে এ কল্পকাহিনীতে। তার বিশাল কম্পিউটারের ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যাবের অন্তরালে চলতে থাকে মানুষ হত্যা করে হৃদপিন্ডের ব্যবসা! এন্ডেভারের সাথে যোগসাজশ আছে কিছু এনজিওর। ভাইটামিন সাপ্লাইয়ের নামে অসুস্থ করে চিকিৎসার নামে এন্ডেভারে নিয়ে যায় শিশুদের- যাদের আর কখনো কিছু পাওয়া যায়না, এমনিভাবে হত্যা করে একের পর এক শিশুকে যাদের একজন মকবুল, মকবুলের মায়ের কাছে এন্ডেভার এবং এনজিওর কর্মকান্ডের সকল অপকর্মের বিবরণ শোনে— এবং এর বিরুদ্ধে চলে ঈষিতার সাহসী অ্যাডভেঞ্চার! শারমিনের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে রাফি সে ল্যাবের ডাটাবেস হ্যাক করে এন্ডেভারের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়। তারপর, ঈষিতা এন্ডেভারের কার্যক্রমের প্রমাণ সংগ্রহের মিশনে যায়। তবে,শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে রাফি, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে! ধরা পড়ে ঈষিতা আর শারমিন!! তবে, শেষমেশ, মুক্তিযোদ্ধা মাজু বাঙালির সহায়তায় তারা রক্ষা পায় এবং দুর্ধর্ষ বব লাস্কি ও তার অসাধু সাম্রাজ্যের সাঙ্গপাঙ্গরা বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। শারমিনের নামে যুক্ত হয়- সর্বকালের সেরা গণিতবিদের খেতাব