User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Sakib

      08 May 2025 10:15 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #ছন্দহীন_পদ্য #পাঠ_অনুভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ ছন্দহীন পদ্য •লেখকঃ জবরুল ইসলাম •ধরনঃ রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ নয়া উদ্যোগ প্রকাশনী •প্রচ্ছদঃ ফারহান শিব্বির •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৭৮ •প্রকাশকালঃ বইমেলা ২০২৫ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦ভূমিকাঃ আমি আমার সারাটা জীবনের পুরো পাঠক জীবনটাতেই শুধু রাতের অন্ধকার আর আঁধারে মিশে থাকা নিঃসঙ্গতার কথাই বলে গেলাম । রাতের অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকার যে অনুভূতি তা যে কতটা মনে সুর তোলে তা ভেবে নিলাম । এবার একটু মন খেয়ালের কোণে উদাসী হয়ে থাকা দুপুরের কথা বলি । অনেক ছোটবেলায় এরকমই একটা সময়ে আমি একটা উপন্যাসের প্রতি খেয়াল করেছিলাম । সেই খেয়ালে আমি এমন কিছু একটা পেয়েছিলাম, যা আমার পাঠক জীবন ছাপিয়ে সত্যিকারের জীবনেও খুব ভালোলাগার মতো বিষয় হয়ে আছে আসলে । এই অনুভূতিগুলোকে তবুও আমি উদাসীন দুপুরের মতো উদাসীন হয়ে থাকতে দেখি না, সেগুলোকে আমি রাতের অন্ধকারে মিষ্টি হয়ে নিঃশ্বাস নিতেই যেন দেখি । ♦নামকরণঃ আমি আমার জীবনে একটা কথা বোধহয় বহুবার বলেছি । হয়তোবা সত্যিকারের জীবনেও কতবার যে বলেছি তার শেষ নেই । আমার জীবনের সংজ্ঞায় আমি এই কথাটাই বোধহয় লিখতে ইচ্ছে করবে খুব । ‘ভালোবাসা বিষয়টা আসলে খুব অদ্ভুত’ । সত্যিই এই পৃথিবীতে ভালোবাসা বিহীন জীবনটা যেন কোথাও এক ধরনের জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যাওয়া শূন্য, নির্জীব বলে মনে হয় । মনে হতে থাকে যেন এই নির্জন জগতে আসলে সুখের কোথাও দেখা নেই । উদাসীন এই জীবনে বড় বিরহের সুখ ডানা মেলে ঝাপটায় । ভালোবাসা জীবনে আছে, অথচ পূর্ণতা এবং প্রাপ্তির পাতায় তা নেই ভাবলেই যেন জীবনের খাতায় বড্ড শূন্যতা মনে হয় কোথাও একটা । এই জীবনটা তখন অদ্ভুত প্রাণহীন মনে হয় । নিজের জীবনের ছন্দ যেন তখন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে যায় । এই উপন্যাস ভালোবাসা পেয়েও তা না পাওয়ার কষ্টে ছন্নছাড়া জীবনে যেন প্রাণহীন হয়ে ওঠা আখ্যান । যা ছন্দহীন হয়ে জীবনকে যেন অদ্ভুত বিরহে আচ্ছন্ন করে ফেলে । উপন্যাসের নামকরণটি যেন কোথাও একটা বিভিন্ন রকম রূপ ধারণ করে । ছন্দ না থাকা কবিতাগুলো যেমন বড্ড এলোমেলো কিন্তু অনুভূতি প্রকাশে মনে বেশি জায়গা করে নেয়, সেরকমই ভালোবাসার মানুষটিও যেন এলোমেলো, অগোছালো, নিশ্চুপ হয়ে তবুও মনে আসন গেড়ে বসে থাকে । তাই ‘ছন্দহীন পদ্য’ নামক অসাধারণ নামটি মনে একধরনের সুখ সুখ শান্তি আনে যেন । ♦ফ্ল্যাপে লেখাঃ গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষিকা পদ্য । বয়স ভদ্রসীমা পেরিয়ে গেলেও বিয়ের প্রসঙ্গ এলে বরাবরই সে নীরব । কেন, কেউ তা জানে না । অনিক, পাশের বাড়ির ছেলে, ছোটবেলা থেকে পদ্যকে "আপু" বলেই ডেকেছে । বয়সে সাড়ে তিন বছরের ছোট এই ছেলেটি একদিন হুট করেই শহরে পাড়ি জমায় । এরপর আর ফিরে আসেনি । এখন সে একজন প্রতিষ্ঠিত কথাসাহিত্যিক । প্রতি বছর তার প্রকাশিত বইগুলো পাঠকদের মন জয় করে । কিন্তু সেও কেন যেন বিয়ের প্রসঙ্গ সামনে এলে নিশ্চুপ । উভয়ের দুই পরিবার এই অদ্ভুত রহস্যের কারণ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ । তাদের জীবনে এই গোপন প্রণয় এসেছে ভিন্ন পথে । যেমনটি আইয়ুব বাচ্চুর গানের কথায় বলা হয়—"আমি তো প্রেমে পড়িনি, প্রেম আমার উপরে পড়েছে ।" ছোটবেলার সম্পর্কের বাঁধন আর অসম বয়সের ব্যবধান কি তাদের ভালোবাসার পথকে রুদ্ধ করে দিল? পরিণামের কথা ভেবেই কি ওরা নিশ্চুপ? না-কি, তারা সাহস করে সমাজ ও পরিবারের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করবে? প্রকাশ করলেই বা সমাজ এবং পরিবারের প্রতিক্রিয়া কী? শেষ অবধি এই প্রণয়েরই বা কী পরিণতি হয়েছিল? ♦প্রচ্ছদঃ এই প্রচ্ছদটি যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন মনে ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম আমি । উপন্যাসের একটা দৃশ্য এত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে যে আমি যেন সেই দৃশ্যটাই কল্পনা করতে বসেছিলাম যেন । এত আচ্ছন্ন হয়ে পড়া অনুভবে নিজেকে বড্ড ভাসিয়ে দিতে ইচ্ছে করে । এই জোছনা ওঠা রাত, মায়া মায়া অদ্ভুত রাতের একচিলতে আঁধার, পাশে থাকা ভালোবাসার মানুষ একাগ্রচিত্তে বসে থাকা, নীরবে মনরাজ্য বিস্তৃত করে রাখা সাইকেল এবং দূর আকাশে ক্ষয়ে আসা চাঁদ এগুলো যেন কোথাও একটা অদ্ভুত এক নীরবতার সাক্ষী করে দেয় । অদ্ভুত সুন্দর এই প্রচ্ছদটি তাই প্রথম দেখলেই অনুভব করতে গিয়ে ভালোলাগা বেড়ে যায় । সাথে নীল-সবুজ রঙের হালকা ধাঁচে বয়ে যাওয়া পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনুভবে রাতের নিস্তব্ধতা কোথাও গিয়ে আরেকটু অনুভূতিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় । ♦পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পাঠক জীবনে অনেকগুলো রাত কাটিয়ে দেয়ার পরে আমি একদিন হঠাৎ করে টের পেলাম যে, অসম প্রেম নামক যে ছোঁয়া তা পড়ার মধ্যে আমি এক ধরনের আকুতি খুঁজে পাই যেন । ভালোবাসা পাওয়ার আকুতি । স্বীকৃতি পাওয়ার একটুখানি চেষ্টা । এরকম করেই যেন পাশের মানুষটিকে বলে যাওয়া, একটু ভালোবাসো! একটু অনুভব করো! এরকম ভাবাবেগ থাকে বলেই কিনা জানি না, এরকম লেখাগুলো আমি বারবার পড়তে আগ্রহী হয়ে পড়ি । যদি একটু লেখার মাঝে আকৃষ্ট করার মতো অনুভব থাকে তাহলেই আমার মধ্যে ভালোলাগা বেড়ে যায় । এই উপন্যাসটিই একটা সময়ে যখন গল্প হিসেবে ছিল, তখন একটা সময়ে হঠাৎ করে পড়ার জন্য খুব ইচ্ছে হয়েছিল । পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল এটা আসলে যতটুকু কাছের তার থেকেও বেশি প্রিয় হয়ে উঠতে পারে যেন । ✓পটভূমিঃ এই উপন্যাসের পটভূমিটা আমার বেশ প্রিয় । বেশ অনেকগুলো দিন আগে পড়া হয়েছিল বিধায় পড়তে গিয়ে কোথাও যেন ভালো লাগাটা সেই আগের মতোই মনে হয়েছে । এরকম এক অনুভূতি যেন বারবার ফিরে ফিরে আসছিল । অসম প্রেম! বয়সে বড় নারীর প্রেমে কোনো পুরুষের প্রেমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ার বিষয়টি সমাজ, সংস্কৃতি সেভাবে ভালো চোখে দেখে না । এরকমই এক পটভূমি নিয়ে তৈরি হওয়া উপন্যাসটিতে যেভাবে উপন্যাসটি সাজানো হয়েছে কিংবা যেভাবে প্রেক্ষাপটে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল । কারণ সাধারণত এই ধরনের পটভূমি এবং প্রেক্ষাপটে একটু সাধারণ ভাবাবেগের গল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা এবং ধরন থাকলেও কোথাও একটা পটভূমিকে বেশ সাধারণ মনে হতে পারে । এই উপন্যাসে যা আমার কোথাও মনে হয়নি । বরং উপন্যাসের পটভূমিতে আমি বারবার আচ্ছন্ন হয়ে আবেগতাড়িত হয়েছি । আচ্ছাদিত হয়ে ভেবেছি শুধু । আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করেছি উপন্যাসের প্রেক্ষাপট এবং জীবনধারার গতি প্রবাহ এর মাঝে এত অসাধারণ ভাবে গভীরতা দিয়ে উপন্যাসটিকে সাজানো হয়েছে যে ভীষণ একটা ভারসাম্যপূর্ণ মনে হয়েছে । এরকম পটভূমিতে গভীরতা থাকায় তা যেন খুবই তীব্র অনুভূতি এবং ভাবাবেগে বারবার ভেসে এসেছে । এছাড়াও উপন্যাসে বর্তমান এবং অতীতের অদ্ভুত মেলবন্ধন এবং মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ এর মতো করে জীবনের সমান্তরাল টানাপোড়েনে উপন্যাসটি বয়ে গিয়েছে । যা ভীষণ ভালোলাগা দেয় কোথাও একটা গিয়ে । অদ্ভুত সুন্দর গভীরতা সম্পন্ন প্রেক্ষাপটকে সাজিয়ে দিতে গিয়ে দৃশ্যপটগুলোকে যেভাবে সাজানো হয়েছে একই ধাঁচে উপন্যাসটির বয়ে গিয়েছে পুরোটা জুড়ে তা কোথাও একটা গিয়ে যেন তৃপ্তি দেয়, ভালোলাগা দেয় । কিন্তু গল্প হিসেবে থাকা ‘ছন্দহীন পদ্য’ যখন উপন্যাস হিসেবে আসে তখন তা কোথাও একটা গিয়ে শেষের দিকে অবাক করে দেয় । কিছু কিছু দৃশ্যপট বোধহয় না থাকলেও হতো, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো এবং তা ধারণ করে রাখাটা আরো যেন মায়ার জগতে এক অসাধারণ রূপ নিয়ে তৈরি হতো । ✓আবহ গঠনঃ এই উপন্যাসের আবহ সৃষ্টি এবং তা গঠন করা দারুণ ভাবে এসেছে । এবং তা ফুটিয়ে তোলাও হয়েছে যেন সেরকম ভাবেই নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে । সাধারণত যে উপন্যাসগুলোতে গভীরতা বজায় রেখে প্রেক্ষাপট সাজিয়ে দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়ে থাকে সে উপন্যাস গুলোতে পারিপার্শ্বিক অনুভব এবং পরিবেশ ব্যাখ্যা করা নিজস্ব ধাঁচে হয়ে যেন যায়ই । কোথাও একটা যেন প্রেক্ষাপটকে বর্ণনা করতে গিয়ে পারিপার্শ্বিক আবহের জায়গাগুলো দারুণ ভাবে মনে জায়গা করে নিতে চায় তখন । এই উপন্যাসে যেন সেভাবেই জায়গা করে নিয়েছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং আবহ সৃষ্টি করা অসাধারণ রূপটিকে । ♦চরিত্র গঠনঃ এই উপন্যাসটির চরিত্র গঠনেও যেন মায়া লেগে যায় । আর কে না জানে, মায়া লাগা অনুভবগুলো জগতের কতটা প্রিয় হয় । মনের কাছাকাছি গিয়ে আশ্রয় নেয় । এতটা সুন্দর করে প্রতিটি চরিত্র গঠন করা হয়েছে যে গল্পটা পড়ার সময়ে আবেশিত হয়ে অনুভব করতে সময় লাগে না । উপন্যাসের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী চরিত্রগুলোর গঠন এবং উপস্থিতি দিয়ে উপন্যাসটি যেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে উঠে । ♦চরিত্র বিশ্লেষণঃ •পদ্যঃ পরিবারকে ভীষণ ভালোবেসে যাওয়া মানুষটির ভালোবাসতে যে বড্ড ভয় । ভালোবাসাকে নীরবে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থেকে সমাজে নিঃশ্বাস না নিতে চাওয়ার অনেকখানি ইচ্ছে । সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ভয়ের এক রূপে তাকে জীবনের অনেকগুলো মুহূর্ত শুধু নীরব থেকে যেতে হয় । এই নীরব থেকে বাঁধা পড়ে যাওয়া এক জীবনের গল্পে জীবন তাকে নিয়ে যায় অন্যরকম এক ভাবাবেগ অনুভবে । যখন ভালোবাসাকে ভাসিয়ে দিয়ে তার অনুভব করার তাড়া, তখন যেন খোলা আকাশে পাখি হয়ে ওঠা অদ্ভুত এক নারীকে দেখতে পাওয়া যায় । •অনিকঃ বন্ধুত্বপূর্ণ, হাসিখুশি স্বভাবের মানুষটি নিজের সহজাত আচরণ দিয়ে মিলেমিশে যাওয়ার এক অসাধারণ দক্ষতা আছে তার মাঝে । এরকম চেষ্টা দিয়ে মানুষকে সহজ করে নেয়ার এক দারুণ চেষ্টা আছে । ভালোবাসতে চাওয়া মানুষটিকে নিয়েই যেন জীবন কেটে যায় খুব । মানুষটি যেন ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে সর্বক্ষণ কল্পনা করা মানুষটি নিজের জীবনের পৃথিবীতে ঘটে চলা সব পারিপার্শ্বিক পরিবেশগুলোতেই যেন তাকে অনুভব করে কাটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে । আত্ববিশ্বাসী, বুদ্ধিমান মানুষটি নিজের জীবনের ভালোবাসা পাওয়া না পাওয়ার জীবনে সুখটান দেয়ার খুব ইচ্ছেতে নিমজ্জিত হতে থাকে । •আফরাঃ হাসিখুশি স্বভাবের বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষটির সবাইকে ভালো রাখার খুব ইচ্ছে । নিজের গুণগুলো দিয়ে সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যায় যেন বারবার । কারো পাশে থেকে তাকে সাহায্য করার ভীষণ চেষ্টা তাকে বড্ড ভালোলাগার অনুভবে মনে করিয়ে দেয় । মিষ্টি স্বভাবের নারীটিকে তাই বেশ লাগে । •ইভাঃ শান্ত, চুপচাপ ধরনের নারীটি বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব নিয়ে জীবনের দিকে এগিয়ে যায় । বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার জীবনে হঠাৎ করে ভালোবাসা আসে । কখনও কোনো পরিস্থিতিতে নিজের দায়বোধে অন্যকে দায়গ্রস্থ করার এক চেষ্টায় তাকে কখনও অধৈর্য বলে অনুভব হয় । পরিস্থিতি তাকে যেন তার চিরাচরিত চরিত্রের বিপরীতে নিয়ে গিয়ে কখনও ভুল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে ‌। •নাঈমঃ ভালোবাসার জীবনে অদ্ভুত সুন্দর অনুভবে শান্তি নিয়ে বাস করে এক ধরনের সুখ সুখ মুহূর্ত নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষটি সে । তবে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করে আচ্ছন্ন হতে থাকা মানুষটির কোথাও একটা যেন মানসিকতায় স্বার্থপরতার চিহ্ন টের পাওয়া যায় । এই ভাবাবেগ এবং বিবেকবোধ তাকে কোথাও একটা ছোট করে দেয় খুব । •মিরাজুল ইসলামঃ হঠাৎ কোনো একটা পরিস্থিতিতে সমাজে নিজের অবস্থান কিরকম হবে তার দায়বোধে কিছু পদক্ষেপ নেয়া মানুষটি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ফেলতে থাকে । চিরাচরিত জীবনে একটু নামডাক চলে আসা যেন তাকে খুব শান্তি দেয় এবং আগ্রহী করে তোলে বারবার । •মতিন মাস্টারঃ বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের সন্তানের ভালো থাকা নিয়ে চিন্তা করা বাবাটি সন্তানের সুখ চেয়েছিল । সেই সুখের জন্য ধৈর্য নিয়ে পদক্ষেপ নিতে নিতে তিনি যেন এগিয়ে যায় । •টুকিটাকি চরিত্রঃ এছাড়াও এই উপন্যাসে বেশ কয়েকটি চরিত্র আছে । যারা বিভিন্ন উপস্থিতিতে উপন্যাসে নিজেদের উপস্থিতি দিয়ে উপন্যাসে আবেগ দিয়েছে । চিন্তা করার এক ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করেছে । এই উপন্যাসে আছে বিভিন্ন ভুল মানুষকে বিরক্ত করা স্বভাবের লিটন । এছাড়াও এই উপন্যাসে আছেন, গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় থাকা মনিরা । আছেন বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হাসিখুশি হওয়া মনিসা । এরকমই বেশ কয়েকটি চরিত্র যেন উপন্যাসে নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে বয়ে চলে যায় পুরোটা জীবনভর । ♦প্রিয় চরিত্রঃ এই উপন্যাসের প্রিয় চরিত্র নিয়ে ভাবতে গেলেই আমার বারবার মনে হতে থাকে যে এই উপন্যাসের প্রিয় চরিত্র একজনই হবে । যিনি ‘পদ্য’ । সমাজ, পরিবার সবকিছুর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে হলেও যেভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন, নিজেকে বজায় রেখেছেন নিজস্ব ঢঙে । ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে বারবার কাঁদতে থাকা নারীটি যেন নিঃসঙ্গ এবং নিশ্চুপ থাকার এক চেষ্টায় জীবনে এগিয়ে যায় । অদ্ভুত অন্ধকার রাতগুলো যেন তার মাঝে এক ধরনের অদ্ভুত কষ্ট নিয়ে আসে । পারিপার্শ্বিক অনুভব এর এক অদ্ভুত মেলবন্ধনে এই পদ্য চরিত্রটিই তাই আমার অনেকটা প্রিয় চরিত্র হয়ে ওঠে । ♦প্রিয় অংশঃ এই উপন্যাসের প্রিয় অংশ সম্পর্কে লিখতে গেলেই যা সবার আগে মনে পড়ে তা হলো, এই ধরনের অসম প্রেম যেখানে কোনো নারীকে ভালোবেসেও বয়সে কম থাকা পুরুষটি যেভাবে ভালোবেসে যায় এই ধরনের প্রেমের প্রেক্ষাপটে, সেখানে উপন্যাসে গভীরতা এলে তা ভীষণ কেমন একটা কাছের হয়ে ধরা দেয় যেন । অনেকটা যেন উপন্যাসটিকে নতুন এক মোড়কে অসাধারণ রূপে রূপ নেয় যেন । ভালোবাসার অনুভবগুলো স্মৃতিচারণ করার মতো সৌন্দর্য নিয়ে যখন মনকে আন্দোলিত করে বারবার তা কোথাও একটা ভালো লাগা দেয় । মনকে যেন কিসের এক দম বাঁধা অনুভবে বারবার আটকে রাখতে চায় । এছাড়াও এই উপন্যাসে রাতগুলো যেন একেকটা স্মৃতি বিজড়িত করা একেকটি আখ্যান হয়ে রূপ নেয় । কোথাও এক ধরনের কষ্ট, এক ধরনের যেন ভালোবাসা পাওয়ার এক আবেগতাড়িত সত্য । আরো প্রিয় হয়ে এসেছে কিছু দৃশ্যপট, যা উপন্যাসে ব্যবহার হয়ে এতটা প্রিয় হয়ে উঠেছে উপন্যাসের প্রেক্ষাপটকে যেন তখন দারুণ বলে মনে হতে থাকে খুব । পদ্য থেকে পদ্মফুল হয়ে ওঠা এই আখ্যান যে সময়টিতে প্রিয় হয়ে উঠে ঠিক সেই ভালোলাগার এক অসংবাদিত আখ্যানে রাতের আঁধারে চাঁদ থাকা জোছনামাখা সেই রাতের আঁধারে সাইকেলে করে চলে যাওয়া দৃশ্যগুলো যেন মনের কাছাকাছি গিয়ে আছড়ে পড়ে বারবার । এতটা ভালো লাগা নিয়েও কেউ কি অপেক্ষা করে? কতটা শুভ্র এবং সৌন্দর্য নিয়ে হয় তা । নীল ডায়েরিতে লেখা সেই দৃশ্যপটটা যেন এই উপন্যাসে আমার সবথেকে প্রিয় অংশ । যেখানে একজন মানুষ ভালোবাসার মানুষটিকে তার চারপাশের অনুভবে বারবার কল্পনা করে সাজিয়েছিল অদ্ভুত এক সুন্দর পৃথিবী । এছাড়াও স্পর্শ থাকা বালিশ, নিশ্চুপ হয়ে পড়া থাকা পোশাক কোথাও যেন উপন্যাসের দৃশ্যপটে এক ধরনের আবেগতাড়িত হয়ে যাওয়ার ভাষা আনে । এছাড়াও এই উপন্যাসে বেশকিছু কাব্যিক আবহে আবেগতাড়িত হওয়া অনুভূতি প্রকাশ করা অনুভব আছে যা বিভিন্ন বিশেষণে ব্যবহার হয়েছে তা যেন কোথাও ভালোলাগা দেয় । মনে আন্দোলিত করা গভীরতা নিয়ে আসে । অনিক এর মুখ নিঃসৃত স্বরে ভেসে আসা কবি হেলাল হাফিজ এর ‘প্রস্থান’ কবিতাটি যেন সুখ সুখ এক ধরনের অদ্ভুত বিরহের স্পর্শ নিয়ে আসে । ♦সংলাপঃ এই উপন্যাসের শব্দচয়ন এবং বাক্যালাপ বেশ ভালো ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে । তা দিয়ে তৈরি হওয়া উপন্যাসটির সংলাপ এবং বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ ভালোভাবেই এসেছে যেন । সাথে এদের মিশেলে যেন অনুভূতি প্রকাশে কাব্যিক এক ধাঁচ সংযুক্ত হয়ে অদ্ভুত এক মায়া তৈরি করেছে যেন । ♦লেখক প্রসঙ্গেঃ লেখক জবরুল ইসলাম এর লিখনশৈলী এর সাথে আমার সেভাবে পরিচয় না হলেও বেশ অনেকগুলো দিন আগে এই উপন্যাসটি যখন গল্প হিসেবে ছিল । সেরকমই একটা সময়ে এই গল্পটি পড়েছিলাম । পড়ার পরে মুগ্ধ হয়ে আমি শুধু ভেবেছিলাম এটা আসলে বই হিসেবে পড়া উচিত ছিল । এরকম পটভূমিতে গভীরতা নিয়ে এসে যখন অসাধারণ কিছু তৈরি করার চেষ্টা করা যায় তাহলে অন্যান্য পটভূমি এবং প্রেক্ষাপটে গভীরতা নিয়ে এলে তা অসাধারণ কিছু উপন্যাস তৈরি হবে বলে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় । এই উপন্যাসটিও অসাধারণ ভাবে পটভূমি এবং প্রেক্ষাপট সাজিয়ে দারুণভাবে সেই উপস্থাপন করেছেন তিনি । তবে উপন্যাসের শেষ দিকের কিছু কিছু দৃশ্যপট না থেকে তা কল্পনা করে ভাবাবেগের মতো অদৃশ্য অনুভূতি দিয়ে আগে শেষ করে দিলেই ভালো হতো । তাতে অনুভূতি এবং চিন্তা করে ভাবনার প্রয়াসে বেশি ভালো লাগা দিত বলে মনে হয় । তবে যেভাবে পুরো উপন্যাসটির জীবনধারা এবং গতিপ্রবাহ একই ধাঁচে জীবনের সুরে বর্ণনার সুরে বয়ে গিয়েছে তা যেন অসাধারণ ছিল । এরকম অসাধারণ ভাবেই গভীরতা নিয়ে লেখকের আরো অনেক লেখা আসুক । লেখকের পরবর্তী লেখাগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো । ♦প্রকাশনীঃ প্রকাশনী হিসেবে নয়া উদ্যোগ প্রকাশনী এর লেখা সেভাবে পড়া না হলেও বেশ কিছু পড়া হয়েছে । তাদের বই বাঁধাই এবং পৃষ্ঠা বাঁধাই যেভাবে তা বেশ অসাধারণ ছিল । তবে সব বইয়েই প্রচ্ছদের উপরে এক ধরনের এই ধাঁচ রাখা বিষয়টা আসলে কখনও কখনও হিতে বিপরীত হয়ে ধরা দেয় । যা এই অসাধারণ সুন্দর প্রচ্ছদটির ক্ষেত্রে হয়েছে । প্রচ্ছদটি যার ফলে খুব একটা ভালো আসেনি । কখনও কখনও প্রিয় বইটির দিকে তাকালে ভীষণ হতাশ হতে হয় যেন । এছাড়া বইটিতে বিভিন্ন বানান ত্রুটি এবং টাইপিং মিস্টেক এর সংখ্যা বেশ অনেকগুলো । যা কখনও কখনও ভীষণ অস্বস্তিকর মুহূর্ত যেন তৈরি করে । তবে উপন্যাসে প্রতি পৃষ্ঠায় যেভাবে ঘনঘন লেখা এনে একটা চিরায়ত আবেগ তৈরি করা হয়েছে তা বেশ ভালো ছিল । ♦রেটিংঃ ৪.৭/৫ ♦উপসংহারঃ জগতে অসম প্রেম পূর্ণতা পাওয়া না পাওয়ার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি যখন উপন্যাসের পাতাগুলোতে ভেসে আসে, আমি তখন বারবার অপেক্ষা করি যেন লেখাগুলো পড়ার । এত আগ্রহী হয়ে এই অনুভূতিগুলোকে মনে জড়ো করে বসি যে তা ভালোলাগা নিয়ে আমার পাশাপাশি বসেই যেন উপভোগ করে খুব ।

      By Ritu sorker

      12 Mar 2025 02:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এখনকার সস্তা লেখিকাদের থেকে এই লেখক অনেক ভালো প্রেমের উপন্যাস লিখছে পড়ে অনেক ভালো লাগছে শুভকামনা লেখকের জন্য

      By Arafat Hossain

      10 Mar 2025 06:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক কে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি উপন্যাস আমাদেরকে উপহার দেবার জন্য?

      By Adil Ahmed

      10 Mar 2025 05:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটা সেরা রোমান্টিক উপন্যাস পড়লাম। বর্তমানে রোমান্টিক উপন্যাস পড়লে তো বমি আসে কিন্তু এটা অনেক সাবলীল, গুছানো সুন্দর লেখা ছিল

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!