User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই টি অসচরাচর পার্ট ওয়ানের মতো এক কথায় চমৎকার।যারা বই পরতে চায় না,তাদের ও ভালো লাগবে নিশ্চিত। পরর্বতী বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
অসচরাচর ২ অসচরাচর ১ এর মতোই মেডিকেল টার্ম নিয়ে লেখা কিছু গল্পের সমষ্টি। ১ম পর্বে ৫ টা গল্প থাকলেও এবারে আছে ৪ টা গল্প। গল্প কম হলেও প্রতিটা গল্পই সেরা। কোনোটাকেই খারাপ লেগেছে বলার চান্স নেই। বইনগরের মিস্ট্রিবক্স থেকে পাওয়া সেরা বই হচ্ছে এই অসচরাচর ২। ? ১. পিচ্ছিল (৪/৫) সৈয়দপুর জেল থেকে হঠাৎ অপরাধী পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু কিভাবে পালিয়ে যায় তার কোনো সুরাহা করা যায় না। কয়েদিদের ঘর থেকে একটা অদ্ভুত মেডিসিনের কৌটা পাওয়া যায়। কিন্তু কিসের সেটা কেউ জানে না। এদিকে জেলার শফিকের উপর দায় আসে আসামি পালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য। নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার জন্য শফিক নিজেই সেই মেডিসিন সেবন করা শুরু করেন। লেখক এখানে জানাননি শফিক আসলে মেডিসিন গুলো কোথায় পেল। কারন সেটা বের করা গেলেই সব রহস্যের জট খুলতো। ? ২. নির্বাণ আশ্রম (৫/৫) এই গল্পটা অসাধারণ। এখানেই প্রথম আমরা এমন এক রোগ সম্পর্কে জানতে পারি যেখানে মানুষের শরীরে খুব অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটে। একবার সোশাল মিডিয়ায় একটা নিউজ দেখেছিলাম যে একজনের শরীরের মাংস গাছে পরিণত হয়। বিরল রোগ। এখানেও অনেকটা তেমনই, তবে গাছে পরিণত হয় না, অন্য কিছু হয় সেটা পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। রোগকে কিভাবে শিল্পে পরিণত করা যায় সেটা দেখানোর জন্যও আছে বিশেষ এক চরিত্র। এটাও তার একধরনের মানসিক রোগ। ? ৩. মেরিনা (৫/৫) এই গল্পেও একটা বিরল রোগ নিয়ে ঘটনা বলা হয়েছে। কুরু নামের এই রোগ মূলত পাপুয়ানিউগিনির একটা গোষ্ঠীতে প্রথম দেখা গিয়েছিল। যারা কোরিয়ান জম্বি ড্রামা কিংডম দেখেছেন তারা গল্পের সাথে ড্রামার খুব ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্টের মিল পাবেন। মেরিনার বাবা, চাচা, দুঃসম্পর্কের আত্মীয়, অনাত্মীয় অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কিভাবে হয় এটা সেটাই টুইস্ট। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে মানুষ কতদূর যেতে পারে আর তার ফলাফল কত সুদূর প্রসারী হতে পারে সেটাও দেখা যাবে এই গল্পে। ? ৪. পাথর (৪/৫) কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া জেলে বস্তিতে বসবাসকারী এক মহিলা পিত্তথলির পাথর অপারেশন করার জন্য হাসপাতালে আসেন। অপারেশনের পরে এন্টিবায়োটিক কেনার টাকা না থাকায় হাসপাতাল থেকে পালিয়েও যান। পরে অনেক খুজেও তাদের পাওয়া যায় নি। মহিলার পিত্তথলির পাথর নিয়েই এই গল্পের রহস্য। আমি এবারে একটা জিনিস খেয়াল করেছি, জানিনা অন্যরাও করেছেন কি না, অসচরাচর ১ এর বেশিরভাগ গল্পেই লেখক বা চিকিৎসক জানেন না এই সমস্যাটা কেন হলো। এটা আদৌ কোনো রোগ কি না বা কিছু। অথবা হয়তো জানতেন কিন্তু এর কোনো ব্যাখ্যা দেননি। কিন্তু অসচরাচর ২ এ প্রথম গল্পটা ছাড়া বাকি তিনটি গল্পেরই একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চিকিৎসক দেখিয়েছেন। শেষ গল্পে মহিলাকে না পাওয়ায় এটাও তার মনে হয়েছে হয়তো কোনো খাদ্যাভ্যাস বা লাইফস্টাইলের জন্য এরকম অসচরাচর ব্যাপার ঘটতে পারে। লেখকের লেখার ধরন খুবই চমৎকার। এছাড়া প্রোডাকশন কোয়ালিটি, প্রচ্ছদ সবই খুব সুন্দর হয়েছে। একবসায় শেষ করে ফেলার মত বই। কিন্তু রেশ থাকবে অনেক সময় পর্যন্ত।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: অসচরাচর ২ লেখক: মাশুদুল হক জনরা: মেডিকেল হরর/ বডি হরর প্রকাশনী: চিরকুট প্রথম প্রকাশ: অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ মুদ্রিত মূল্য: দুইশত টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২ মূল রিভিউ: Silas Lamb: Cure them? To what purpose? Edward Newgate: Well to... bring them back to their senses. Silas Lamb: And make a miserable man out of a perfectly happy horse? (Stonehearst Asylum) 'অসচরাচর' বইয়ের পরবর্তী সিরিজ বই 'অসচরাচর ২'। 'অসচরাচর' বইয়ের মত অদ্ভুতুড়ে চারটা গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে 'অসচরাচর ২'। যথারীতি ডাক্তার আসিফের জবানিতে গল্পগুলো বর্ণিত হয়েছে। চারটা গল্পের সারাংশ নিচে তুলে ধরছি। ১. পিচ্ছিল: এ গল্পে ডাক্তার আসিফ সৈয়দপুরে নিরিবিলি পরিবেশে ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু এরকম আরামের কাজ ভালো লাগে না তার। নিজেকে সারাদিন কর্মব্যস্ত রাখতে চান। এরমধ্যে ঘটনাক্রমে একদিন তার দেখা হয় স্কুলবন্ধু শফিকের সাথে। শফিক এক জেলা কারাগারে ডেপুটি জেলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নতুন জায়গায় পুরনো বন্ধুকে পেয়ে ভালো লাগে ডাক্তার সাহেবের। আবার তিন মাস পর একদিন শফিক দেখা করতে আসেন। কিন্তু একটা বিশেষ ঔষধের খোঁজে তিনি ডাক্তার বন্ধুর সাহায্য চান। একটা ছোট কৌটা, তাতে বিশেষ এক ধরনের মেডিসিন৷ শফিক সাহেব দাবী করেন, এই ঔষধের গুণে জেলখানা থেকে কয়েদীরা পালাচ্ছে। শুরুর দিকে আসিফ সাহেব তেমন গুরুত্বের সাথে না নিলেও পরবর্তীতে এই কৌটা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে... ২. নির্বাণ আশ্রম: একটা নিঝঝুম দ্বীপের মতো জায়গায় ডাক্তার আসিফের কর্মযজ্ঞ শুরু। গ্রামের নাম কাসুন্দিপুর। এই গ্রামে নির্বাণ আশ্রম নামের এক আশ্রমে কাজ শুরু করতে হলো। আশ্রমের মালিক তমিজউদ্দিন সরকার। ওনার নিমন্ত্রণেই ডাক্তারের আগমন। অন্যান্য আশ্রমের চেয়ে এই আশ্রমটি কিছুটা ভিন্ন। এখানে বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীদের আশ্রিত হিসেবে রাখা হয়৷ তাদের যথাযোগ্য চিকিৎসা-সেবা দেয়া হয়। এই আশ্রম প্রতিষ্ঠার পিছনের গল্পটি খুব মর্মস্পর্শী। তমিজউদ্দিনের বাবা আলাউদ্দিন সরকার ছিলেন ময়মনসিংহের বড়ো জমিদার। তার ক্ষমতার দাপট ছিল। কিন্তু শেষ বয়সে তিনি হঠাৎ পাল্টে যান। বিরল এক রোগে আক্রান্ত হন তিনি। দেশ-বিদেশ ঘুরেও এ রোগ সারাতে ব্যর্থ হন। এরপর সিদ্ধান্ত নেন এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য তিনি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করবেন। আশ্রম প্রতিষ্ঠা করার পর এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের তিনি অনেক খুঁজেছেন। কিন্তু দুর্লভ এ রোগের রোগী পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এরপর ঠিক করলেন যেসকল রোগী সমাজে অবহেলিত, তাদের এ আশ্রমে ঠাঁই হবে। আশ্রমবাসীর সমস্ত খরচ তিনিই বহন করবেন৷ বাবার শেষ ইচ্ছানুযায়ী ছেলেও এই গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। যে কেউ তাদের প্রশংসা করতেই পারে। কিন্তু এই নির্বাণ আশ্রমের এক অন্ধকার দিকও আছে। তা জানলে হলে পুরো গল্পটা পড়তে হবে। ৩. মেরিনা: গল্পের নাম মেরিনা হলেও গল্পটা মেরিনাকে নিয়ে নয়। মেরিনার বাবা অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত হয়। মেরিনা ডাক্তার আসিফের বাগদত্তা। স্বাভাবিকভাবেই মেরিনার বাবার অসুখ ধরার জন্য তিনি নিজের মত চেষ্টা করা শুরু করেন৷ হাসপাতালে ডিউটি দেয়ার সময় এক অনভিপ্রেত পরিস্থিতির শিকার হন। এর কিছুদিন পর মেরিনার বাবা মারা যান। কিন্তু তার রোগের ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। রহস্যময় এ রোগের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য ডাক্তার আসিফ মেরিনার দাদুবাড়িতে যান। তারপর... ৪. পাথর: সরকারি হাসপাতালে কাজ করে যারপরনাই বিরক্ত ডাক্তার আসিফ। এখানে বেশিরভাগ গরিব রোগী আসে বিনা চিকিৎসার আশায়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালেরও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। তেমন এক গরিব রোগীর পিত্তথলিতে বেশকিছু পাথর ধরা পড়েছে। রোগীর নাম রত্না। অপারেশনের পর থেকে রোগীকে আর পাওয়া গেল না৷ পিত্তথলির অপারেশনে পাওয়া পাথরগুলো ডাক্তার তার নিজস্ব সংগ্রহে রেখে দেন৷ কিন্তু বাসায় অন্যান্য পাথরের সাথে রাখতে গিয়ে বাধে বিপত্তি৷ এ পাথরগুলোর সাথে অন্য পাথরগুলোর একদমই মিল নেই... কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে কথা: সাধারনত আমি আমার রিভিউতে এই অংশটা এড়িয়ে যাই। কিন্তু আজকে আমি ঠিক করেছি পয়েন্ট আকারে কিছু কথা বলব। ১/ বানান বিভ্রাট: যেকোনো বইতে হালকা বানান ভুল থাকলে আমি এড়িয়ে যাই৷ এই বইতে আমি এই অংশটুকু এড়াতে পারিনি৷ নামের বানান ভুল থাকলে ব্যাপারটা বেশ দৃষ্টিকটু লাগে। যেমন: নির্বাণ আশ্রম গল্পে বেশিরভাগ জায়গায় নিবার্ণ আশ্রম বানান চোখে লেগেছে। এই গল্পে আশ্রমের মালিকের নাম প্রথম পৃষ্ঠায় তমিজউদ্দিন। পরবর্তী সব জায়গায় তমিজুদ্দিন। যেকোনো একটা নাম রাখেন! ২/ কোটেশন মার্কের অনুপস্থিতি: এই বইয়ের প্রথম সিরিজ বই অসচরাচর-এ কোটেশন মার্কের ব্যবহার ছিল। এই পুরো বইতে ডাক্তার আসিফ অনেকের সাথেই কথা বলেছে। কিন্তু কোনো জায়গায় কোটেশন মার্ক নেই৷ এই উদ্ধরণ চিহ্নের অভাবে বেশকিছু জায়গায় দুই-তিনবার করে পড়ে বুঝতে হয়েছে আসলে কে কথা বলছে। একদম প্রথম গল্প "পিচ্ছিল"-এ আমি অনেক সমস্যায় পড়েছি। এক জায়গায় মনে হয়েছে ডাক্তার আসিফ কথা বলছে। আবার পরক্ষণেই মনে হয়েছে নাহ, তার বন্ধু শফিক কথা বলছে। যেখানে আগের বইটিতে এই কোটেশন মার্কের ব্যবহার ছিল, সেখানে এই বইতে কেন এর ব্যবহার হয়নি আমি লেখকের কাছে আলাদাভাবে জানতে চাই। ব্যক্তিগত মতামত: অসচরাচরে কিছু অসঙ্গতি ছিল। এরপরও আমার কাছে বইটি ভালো লেগেছে। যদি আলাদাভাবে উল্লেখ করি, এই বইয়ের প্রথম তিনটি গল্পই আমার অনেক ভালো লেগেছে। শেষ গল্প 'পাথর' অনেক বেশি ছোট মনে হয়েছে৷ আরেকটু বড় হলে ভালো লাগত। আর ক্রমানুসারে এই বইয়ের পছন্দের গল্পগুলো হলো: নির্বাণ আশ্রম, মেরিনা, পিচ্ছিল। নির্বাণ আশ্রমে শেষদিকে কিছু টুইস্ট ছিল যার জন্য এই গল্পটা আমার মতে এই সিরিজের সেরা গল্প। যাদের মেডিকেল হরর পড়তে ভালো লাগে তারা সাচ্ছন্দ্যে এই সিরিজের বইগুলো পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ লিখনি।।।।।।।