User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসে কিশোর বয়সের জিজ্ঞাসা, চিন্তা আর ভাবনার একটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটেছে। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে কিশোরেরা সমাজ ও ধর্ম নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে শেখে। ‘পির স্যার’-এর মতো একজন আলোকিত শিক্ষকের সাহচর্যে তারা প্রশ্ন করতে শেখে, ভাবতে শেখে এবং নিজেদের পরিচয় খুঁজে পেতে থাকে। উপন্যাসটি কেবল একটি গল্প নয়, বরং এটি হয়ে ওঠে চিন্তার এক উন্মুক্ত জানালা, যেখানে শাকিরা নামক দলটির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে কিশোরদের মনের নানা দ্বন্দ্ব, স্বপ্ন আর আত্মঅন্বেষণের প্রয়াস। কেউ তার চিন্তার জগতকে বিস্তৃত করতে চাইলে এই উপন্যাসটি পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
মা আমাকে রকমারি থেকে বইটি গিফট করেছেন। এই বই প্রতিটি বাবা-মায়ের পড়া উচিৎ যারা আমাদের মতো কিশোর-কিশোরীদের মনকে পড়তে পারেন না।
Was this review helpful to you?
or
অমৃতের সন্তানেরা' বইটি মূলত কিশোর-কিশোরীদের জন্য লেখা হলেও, এর গভীরতা এবং মানবিক বার্তা বড়দের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। কিশোর বয়সে একজন ছেলে কিংবা মেয়ে যে প্রশ্ন কিংবা দ্বিধাগুলোর সম্মুখীন হয় সেগুলো সমাধানের সঠিক পন্থা কিংবা অভিভাবক হিসেবে নিজ সন্তানের প্রতি কী ভূমিকা পালন করা উচিত লেখক এই বিষয়টিই আলোকপাত করেছেন। টিনএইজ মারাত্মক জটিল একটি সময়, এই সময়টি কিশোরবয়সী সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের অতিরিক্ত মনোযোগের অবশ্যই দাবি রাখে। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে এমন কিশোরবয়সীদের ট্রিট করা উচিত, দেখিয়েছেন অভিভাবকদের একটু ভুল সন্তানদের জীবনে কতোটা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। টিনএইজে একজন আদর্শিক মানুষের প্রয়োজন হয় যে মানুষটি কিশোর-কিশোরীদের মনে 'লাইটহাউজের' মতো কাজ করে, যে মানুষটি তাদের মনের রুদ্ধ দ্বার উন্মোচন করে সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায় তেমনই একটি আদর্শিক চরিত্র লেখক তার উপন্যাসে হাজির করেছেন। চরিত্রটির নাম 'পীর স্যার', একজন অনুপ্রেরণাদাতা, যিনি ছোটছোট কিশোর মনে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালান, তবে তিনি তার চিন্তা তাদের মনে চাপিয়ে দেননা, কিংবা তিনি যা বলছেন তাই ধ্রুব সত্যি তাও দাবি করেননা, তিনি শুধু তার ছাত্রদের কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল, কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় তা চিনিয়ে দেন, সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রটি স্বয়ং। এককথায় তিনি কিশোরকিশোরীদের মনের দুয়ার খুলে দেন, যেখানের বোধের সঞ্চার করেন কিশোর কিংবা কিশোরীটি নিজেই। বইটি পড়তে পারেন, আমি বিশ্বাস করি বইটি পড়লে আমাদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে অনেকটাই সহায়ক হবে।
Was this review helpful to you?
or
Very Nice Story
Was this review helpful to you?
or
পাঠপ্রতিক্রিয়া ঠক ঠক ঠক --------- দড়াম করে দরজা খুলে আচমকা চিৎকার করে ১৩/১৪ বছরের ছেলে যখন মায়ের সাথে চোখ বড়ো বড়ো করে বলে - 'কী হয়েছে, কী! দরজা ধাক্কাচ্ছো কেন?' তখন আপনি মা হিসেবে একটু হলেও ভড়কে যাবেন। যে ছেলেকে আপনি এতো আদর করেন, মধুমাখা স্বরে ডাকেন, তারপরও সেই ছেলে আপনার সাথে এমন ব্যবহার করে! কী হয়েছে আমার ছেলের! খাওয়ার কোনো টাইম-টেবিল নেই, কখন যে ঘুমায় আর কখন যে উঠে, আপনি বলতেই পারবেন না। একই বাসায় থেকে, একই ছাদের নিচে থেকেও সন্তানের দুনিয়া আলাদা, তার দুনিয়ার কিছুই আপনার জানা নেই। কখনো কখনো বাচ্চাদের আচরণ আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়। নারীর প্রতি সন্তানের দৃষ্টিভংগি নিজের পরিবার থেকেই গড়ে উঠে। পরিবারের পুরুষরা নারীকে কীভাবে ট্রিট করে, সেখান থেকেই সন্তানেরা শিখে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা সেটা হয়ত বুঝতে পারে না। কিন্তু পরে সন্তান যখন নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠে বা নারীর প্রতি অবদমনমূলক মনোভাব গড়ে উঠে ও কোনো বড় ঘটনা ঘটে যায়, তখন কেউ কেউ হয়তো Netflix-এর Adolescence ড্রামার সেই বাবার মতো অনুশোচনা ও আফসোসে ভোগেন। আমরা কটা বাবামা বাচ্চাদের খারাপ রেজাল্টে বা খেলায় বিজয়ী হতে না পারার মুহূর্তে "ঠিক আছে" বলতে পারি? গ্রন্থিক প্রকাশন প্রকাশিত ড. আনিসুর রহমান ফারুকের 'অমৃতের সন্তানেরা' উপন্যাসটি বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য Adolescence-এর মতো একটি শিক্ষণীয় উপন্যাস বলে বিবেচিত হতে পারে। এই উপন্যাসে খুব সূক্ষ্মভাবে নারীর প্রতি সম্মানজনক দৃষ্টিভংগি গড়ার চেষ্টা আছে। প্রধান কিশোর চরিত্রটি মাকে কীভাবে দেখে, বোনকে ও অন্য মেয়েদেরকে কীভাবে মূল্যায়ন করে, সেটি একজন কিশোরের মনস্তত্ত্ব তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। তারপর তাদের আদর্শিক শিক্ষক 'পির স্যার'ও অন্যান্য অনেক বিষয়ের সাথে সাথে এই বিষয়টাতেও আলোকপাত করেন। আমার ইউরোপের প্রিস্কুলে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সেখানে বাচ্চাদেরকে ডিভাইসের বদলে প্রকৃতির সাথে কানেক্ট করে দেওয়া হয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাচ্চাদের জন্য খেলার পার্ক। ঐসব দেশের শিক্ষকরা গার্ডিয়ানদের পরামর্শ দেন- বাচ্চাদের যাতে বাবা-মা যথেষ্ট সময় দেন। ডিভাইস শুধু আমাদের সময় কেড়ে নেয়নি, আমাদের বাচ্চাগুলোকেও কেড়ে নিচ্ছে। মোবাইল/ডিভাইস সুফল বয়ে এনেছে বটে, তবে ক্ষতিও কম না। এ বিষয়ে অন্য আরেকদিন বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। বইটির ৭০ পৃষ্ঠায় এক আলোচনায় উঠে এসেছে যে, ৩ থেকে ৫ বছরের বাচ্চারা যত বেশি মোবাইলে সময় কাটায়, আবেগ নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা তাদের ততবেশি কমে যায়। তারা ভবিষ্যতে একই ধরনের ক্ষতিকর কাজগুলো বারবার করতে থাকে মানে ' রিপিট বিহেভিয়ার'। আমাদের এখন ভাবার সময় এসেছে - 'অমৃতের সন্তানেরা' তাদের সেই অমৃত সম্ভাবনাকে বন্ধ দরজায় গলা টিপে মেরে ফেলছে না তো! ১৪৭ পৃষ্ঠার ছোট এই উপন্যাসটি এক মলাটের মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়ই তুলে এনেছে, যা কিশোর ও তরুণদের মনস্তত্ত্ব গঠনে এক বিরাট ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস। অনেক ম্যাসেজ বাবা-মায়ের জন্যও আছে। যখন চারদিকে শুধু হানাহানি, হিংসা, সন্ত্রাস, বিদ্বেষ, যা কিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে আরও বেশি ছড়াচ্ছে, সাহিত্যেও তাইই- এমন একটি সময়ে এমন একটি উপন্যাসের বড় অভাব ছিলো। দরকার ছিলো। লেখক সেই অভাবটি পূরণ করেছেন। এই বইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি — এটি শিক্ষণীয়, কিন্তু কড়কড়ে নয়, বরং অত্যন্ত সুখপাঠ্য। এটি কোমলভাবে আপনাকে ছুয়ে যাবে। কিশোর বয়সীদের জীবনের সংকট ও প্রশ্ন আপনাকে ভাবাবে, স্পর্শ করবে। তাদের জীবনে শুধু সংকটই নয়, আনন্দও আছে, কৌতুক আছে, কবিতা আছে, আছে পূর্ণতাবিহীন প্রেমের হাতছানি। এসবই আপনাকে আন্দোলিত করবে। এটি কিশোরদের জন্য লেখা হলেও, এর প্রতিটি পাতায় বাবা-মা, শিক্ষক এবং সমাজের সকলের জন্যই রয়েছে প্রয়োজনীয় বার্তা।