User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জটিল উপন্যাস ?
Was this review helpful to you?
or
Great work.
Was this review helpful to you?
or
সিনেমা। বিটিভি থেকে শুরু করে নেটফ্লিক্স পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছি এখন সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে। সেই শুক্রবারের দুপুরবেলা শাকিব,আলমগীর,বাপ্পারাজ,জসিম,মান্নার সিনেমা , সিডি প্লেয়ারে দেব আর জিৎ এর সিনেমা পরে হিন্দি,তামিল, তেলেগু,মালায়লাম, হলিউড সহ আরো কত ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা যে দেখা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আমার জেনারেশন একেবারে মান্না থেকে শুরু করে মারফি পর্যন্ত দেখছে সিনেমা বা ছায়াছবির ক্ষেত্রে। অন্য সব ছায়াছবিতে অনেক জটিল বিষয় থাকলেও আমাদের বাংলা ছায়াছবিতে তা নেই। একদম সহজ সরল একটা কাহিনী উঠে আসে যেখানে চরিত্রের আবেগ গুলা প্রধান থাকে। একের পর এক পাঞ্চ লাইন দিয়ে ধরাশায়ী করা অপরপক্ষ কে,চৌধুরী সাহেবের বাড়িতে গিয়ে প্রেমের শক্তি প্রকাশ করা কিংবা ঠেলাগাড়ি চালিয়ে বড়লোক হয়ে যাওয়া সবকিছু মিশেই আমাদের বাংলা ছায়াছবি। সেই বাংলা ছায়াছবিকে আঁকড়ে ধরে জামসেদুর রহমান সজীব লিখেছেন ভিন্নরকম এক রম্য উপন্যাস 'পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি' যার কপিরাইট শাকিব খানের কাছে আছে এখন। বইটির গল্প আমাদের চেনাজানা। শাহরুখ খানের রাজ থুক্কু সজীব ভাইয়ের রাজ নামের প্রধান চরিত্র গল্পের শুরুতে একেবারে সাদামাটা এক জীবন কাটিয়ে গেলেও একদিন গায়ক হৃদয় খান উহু, বন্ধু হৃদয়কে নিয়ে এক সাধু বাবার কাছে ভবিষৎবাণী জেনে যায়। তার জীবন নাকি বাংলা ছায়াছবির মত বদলে যাবে। যেই বলেছে ওমনি শুরু হয়ে যায় তার জীবনের কাটা পরিবর্তন হওয়া। যে ছেলে কোনো প্রেমিকাই পাচ্ছিলো না সেই বান্দা একের পর এক নারীর আগমনে কোণঠাসা হয়ে উঠতে থাকে। ঘটনা যত আগাচ্ছিল ততই তার জীবনে বারোটা, তেরোটা বাজতে শুরু করছিল সাথে বন্ধুর টিপ্পনী সেটা চৌদ্দটাও বাজিয়ে দেয়। বইটা আমি ২৫ মে তে ধরেছিলাম। সেদিনের মত বিরক্তিকর দিন আর এই বছরে আসে নি। অর্ধেকের মত বইটা পড়ে বুঝলাম হাসির অনেক খোরাক আছে কিন্তু আমার হাসি পাচ্ছে না সেদিনের ঝামেলার জন্য। সেদিনের মত রেখে দেই বইটা। পরদিন যখন আবার বইটা নিয়ে বসি তখন অনেক হেসেছি। বলা যায় মন ভালো হয়ে গিয়েছে। গল্পে অনেক চরিত্র এসেছে এবং প্রতিটি চরিত্র অনেক হাসিয়েছে। রাজের মা, রাজের বয়স ১ বছরের সময় বিয়ে করা স্ত্রী,চৌধুরী সাহেবের মেয়ে মিষ্টি এদের চরিত্র দারুণ উপভোগ করেছি। আমাদের বাংলা ছায়াছবির অনেক সংলাপ লেখক গল্পের খাতিরে এনেছেন। বইটা আমার খান ফ্যামিলি ২ থেকেও ভালো লেগেছে। চাইলে বইটা আরো বাড়ানো যেত, আরো উপভোগ্য হতো তখন। বইটার সমাপ্তিটা বেশ ভালো লেগেছে। আমি ভেবেছিলাম টিপিকাল এক সমাপ্তি হতে পারে কিন্তু শেষ পাতার প্যারাগুলো বেশ মায়ায় ফেলে দেয়। যারা বাংলা ছায়াছবির স্বাদ পেতে চান রম্যের আঙ্গিকে তাদের জন্য বইটা রেকোমেন্ডেড।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের রাজ যেন গরিবের শাকিব খান। বাংলা সিনেমার জগাখিচুড়ি গল্প নিয়ে সুন্দর একটা কাহিনি পড়ার সুযোগ হলো।
Was this review helpful to you?
or
এটার সেকেন্ড পার্ট চাই। দারুণ একটা উপন্যাস। অনেক মজা পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
Good concept. Unique storytelling. Well written. ?
Was this review helpful to you?
or
জীবনে কতগুলো বাংলা ছায়াছবি দেখেছি তার হিসেব নাই৷ কিন্তু এরকম “পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি” জীবনেও দেখি নাই আগে৷ যারা সেভাবে সিনেমা দেখেন না, কিন্তু ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বাংলা সিনেমার ভাইরাল আর জনপ্রিয় দৃশ্য কিংবা ক্লিপ দেখেছেন, তারা খুব সহজেই রিলেট করতে পারবেন৷ আর মজাটা আসলে এখানেই৷ মনে হবে সব জানেন, চিরচেনা দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখবেন৷ কিন্তু মিলবে না৷ বরং কাহিনি আর ঘটনা এমন অদ্ভুত দিকে মোড় নেবে, কল্পনা করতেই হিমশিম খেতে হয়। প্রচুর হেসেছি সেসব ঘটনায়। এভাবেও যে গল্প বলা যায়, তা প্রথমবার অভিজ্ঞতা হলো৷ এই ছায়াছবির আরও কয়েকটি পর্ব এলে মন্দ হয় না। অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
Exceptionally good one. Need another part of this novel.
Was this review helpful to you?
or
হলিউড, বলিউড আর ঢালিউড সিনেমা দেখে যারা মহা বিরক্ত, তারা এই পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি দেখুন। পয়সা উসুল সিনেমা।
Was this review helpful to you?
or
খুবই মজার কনসেপ্ট। আশা করি বইটির দ্বিতীয় পর্ব আসবে।
Was this review helpful to you?
or
"আসেন আসেন দেইখা যান আজব এক বায়োস্কোপ" আইজকা আইছি বায়োস্কোপ লইয়া। আগেরবার আমার মাইকের ব্যবসা আপনেরা বন্ধ কইরা দিসেন। এইবার কিন্তু যেনতেন জিনিস না, এই গোলাকার বাক্সে আছে দারুন একখান সিনেমা। "আসেন আসেন দেইখা যান আজব এক বায়োস্কোপ" পুলাপাইন আহো আহো ওই গোল ছিদ্র দিয়া ভিতরে তাকাও। এই সিনেমা "পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি" যেখানে তোমরা পাইবা জসীম, মান্না, আলমগীর, শাবানা আরো কত কাহিনী। এই সিনেমার প্রধান হিরো রাজের কথা শুরু করি বলা। রাজ চব্বিশ বছরের এক হতভাগা তরুণ। যার সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে গেলে- জীবাণু যেমন খালি চোখে দেখা যায় না, তেমনি তার জীবন এতটাই সাদামাটা যে দশজন মানুষের ভিড়েও তাকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা কঠিন। তাহার কপাল এতই খারাপ যে নিজের বাড়িওয়ালা পর্যন্ত তাঁকে চেনে না। শেষে মায়ের নাম সকিনা বলে তাঁকে নিজের পরিচয় চেনাতে হয়। না আছে কোনো গুণ, না আছে কোনো অলৌকিক ক্ষমতা মানে ওই আর কী! বাংলা সিনেমায় বাপ্পারাজ আর আমাদের হিরু আহমেদ রাজ। পার্থক্য সেরাম কিছু নেই। নাহ রাজের তবুও কিছু একটা আছে। আছে এক বদ চরিত্রের বন্ধু হৃদয়। এহেন অপকর্ম নেই যা এই ছেলে করে নাই। কিন্তু কপাল পোড়া রাজ এটাকেই বন্ধু হিসেবে পেয়েছে। দুই বন্ধু মিলে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতে যায়। কাজ তো দুজনে তেমন কিছু পারে না। ওহ্ হৃদয় আবার মুশকিল আসান। রাজের সব বিপদে রাজ ছুটে যায় হৃদয়ের কাছে বুদ্ধি নিতে। আর এই হৃদয় যা বুদ্ধি বের করে তা করার থেকে বিপদে পড়া বোধহয় বেশি সহজ। ভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যক্রমে পথ চলতে গিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে এক সাধুবাবার সাক্ষাৎ ঘটে। গায়ে জামাকাপড়ের বালাই নেই, ধবধবে সাদা গোঁফ দাড়ি তার। প্রথমে বাবা বলে ডাকলেও শেষে লোকটার বিরক্তি দেখে গুরুজি বলে ডাকা শুরু করে দুই বন্ধু। রাজের মনে আশা জাগে এসব সাধু টাইপের লোক অনেক কিছু পারে। এবং হলোও ঠিক তাই। এই সাধুবাবা মানে গুরুজি লোকটি জানান, জীবনের রজতজয়ন্তীতে রাজের সবকিছু বদলে যাবে চোখের পলকে। জীবনে এতটাই পরিবর্তন আসবে, যা বাংলা ছায়াছবির গল্প-কাহিনিকেও হার মানিয়ে দেবে। এটা শুনে খুশিতে রাজের চোখে জল এসে যায়। এইবার জীবন হবে অন্যরকম। সে হয়ে যাবে হিরো। সবাই এখন ওকে নজর দেবে। খুশিমনে দুই বন্ধু গেল বাসায়। অবশ্য সাধুবাবাকে দক্ষিণা হিসেবে একটা সিনেমার টিকিটের টাকা দিতে হলো। রাজ দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করতে লাগলো আসলেই কী তার জীবন বদলে যাবে? হৃদয় হিসাব করছে রাজের ২৫ তম জন্মদিন কবে। যাই হোক রাজ তো খাবার খেয়ে রাতে ঘুমাতে গেল। সকালে উঠে দেখলো কোথায় কী! সবকিছু তো আগের মতই আছে! রাজ ভেবে পায় না আসলেই কী হবে। "ভাবতে ভাবতে শুরু হইলো নতুন আজব খেলা, রাজের সামনে আইলো এক সুন্দরী একলা" ইউনিভার্সিটিতে রাজের সাথে ঘটে গেল আজব ঘটনা। হঠাৎ করেই সে সিনেমার কায়দায় ধাক্কা খেল এক সুন্দরী মেয়ের সাথে। ধাক্কা খেয়ে রাজ ছিটকে পড়লো কয়েক হাত দূরে। সুন্দরী মেয়েটার বইগুলো এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে পড়লো। ব্যাস বই গোছাতে গিয়ে দুজনের আলাপ। পরিচয়ের সূত্রে জানা গেল মেয়েটির নাম মিষ্টি। কিন্তু মেয়েটির রূপ দেখে রাজের তো তাকে রসগোল্লা, সন্দেশ, পান্তুয়া সব ধরনের মিষ্টি মনে হলো। পুলাপাইন ধাক্কাধাক্কি না কইরা বায়োস্কোপ দেখো তোমরা। তারপর কী হইলো শুনবা না? এরপর মিষ্টির রূপের আগুনে জ্ব*লে পু*ড়ে ছা*রখার পুরো ক্যাম্পাস। তেমনি এক ছাগল উঠেছে বিল্ডিং এর দুই তলায়। মিষ্টি তাকে আই লাভ ইউ না বললে সে ঝাঁপ দিবে নিচে। এটা দেখে রাজের মাথা খারাপ হয়ে গেল। এরা কারা ভাই! রাজ নিজেই চান্স পাচ্ছে না মিষ্টির কাছাকাছিই যাবার এখন আবার আছে প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু ওই যে বললাম না মুশকিল আসান আছে। আরে ওই হৃদয়। সে রাজকে বুদ্ধি দিলো মিষ্টিকে পটাতে হলে রাজের উচিত চার তলায় উঠে হুমকি দেয়া। প্রথমে গাইগুই করলেও রাজ পরে চার তলায় ওঠে। আর এদিকে এই দুই ছাগলের কান্ড দেখে ভার্সিটির ভিসি রেগেমেগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এরা যদি ঝাঁপ না দেয় তিনি নিজে এদের ধাক্কা মে*রে ফেলে দিবেন। "পিরিতি বিষম বেদনা" এটা জ্ঞানীরা নয় বোধহয় প্রেমিকেরা বলে। কারণ মিষ্টির সাথে এই ঝাঁপ দেয়া কান্ডের পর থেকে প্রেম জমে উঠলেও দেখা দিয়েছে আরেকটা সমস্যা। মিষ্টির বাবা সেই বাংলা সিনেমার বিখ্যাত চৌধুরী সাহেবের মতো নাম তমীজ চৌধুরী ওদের সম্পর্কটা মেনে নিতে চাচ্ছেন না। কারণ মিষ্টির দৈনিক হাতখরচ নাকি ৫০০০০ টাকা। তিনি রাজকে অবশ্য সুযোগ দিয়েছিলেন টাকা রোজগার করে নিজেকে প্রমাণ করার কিন্তু সিনেমার নায়ক জসিমের মতো রাজ ঠেলাগাড়ি ঠেলে বড়লোক হতে পারলো না। দুই দিন কাজ করে সাতদিন গায়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। অতি কষ্টে সে ৫০০০০ টাকা রোজগার করেছিল ঠিকই কয়েক দিন ধরে জমিয়ে জমিয়ে। কিন্তু মিষ্টির হাতখরচের কথা শুনে বেচারা আবার মিইয়ে গেল। চৌধুরীকে কীভাবে খুশি করবে রাজ? ঝামেলা আরো লেগেছে। রাজের মা সকিনা আহমেদ তমীজ চৌধুরীর নাম শুনেই রাজকে ঠাস করে চড় মে*রে বললেন এই তমীজ চৌধুরী রাজের বাবাকে মে*রে ফেলেছে। পিতার হ*ত্যাকারীর মেয়েকে রাজ ভালোবাসতে পারে না। আর বাংলা সিনেমার মতো রাজের মাথাতেও প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে। চৌধুরীকে শায়েস্তা করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? ওই যে মুশকিল আসান হৃদয় আছে না! বুদ্ধি আবারও সে দিচ্ছে। আরে আরে পুলাপাইন থামো সবে তো শুরু। মা সকিনা আহমেদ রাজকে আরেকটা কঠিন সত্য বলেন রাজ তাদের নিজেদের ছেলে নয়। রাজবাড়ীর বানিজ্যমেলা থেকে তাকে কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। আআআআআআ! আআআআআআ! ওওওওওওওওও! এমন ঘটনায় বাংলা সিনেমার এমন করুন সুর বাজে কিন্তু রাজের জীবনে যা ঘটছে বেচারা বোধহয় অবাক হবার ক্ষমতাও হারিয়েছে। শুধু হা করে তাকিয়ে রইল। সকিনা আহমেদ তাড়া দিলেন রাজকে তার আসল বাবা মায়ের খোঁজ করতে। এরপর কী হলো? হে হে হে জানতে হইলে দৌড়ে গিয়ে বাসা থেকে টিকেটের পয়সা লইয়া আসো পুলাপাইন। আর পাঠকেরা পড়ুন জামসেদুর রহমান সজীবের লেখা "পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি"। কারণ শাহরুখ খান বলেছেন পিকচার আভি বাকি হে মেরে দোস্ত। আআআআআআ! সবাই দেখি আবার মা*রতে আসছে। নাহ এই পাড়ায় আর ঢোকা যাবে না। ব্যবসায় লাল বাতি জ্বালিয়ে দেয় এরা। পালাওওওওওওও!! ?পাঠ প্রতিক্রিয়া: "পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি" হলে চললে বলতে হবে সুপার হিট, ব্লকবাস্টার এইসব। কিন্তু বইয়ের পাতায় হলে আমি পাঠক হিসেবে ভালো লাগলে যেটা বলি পুরো পয়সা উসুল। এবং এই বইয়ের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল ধীরে ধীরে কিন্তু লেখক জমিয়ে দিয়েছেন গল্প। আমাদের এই দৌড়ঝাঁপ জীবনে আমার মনে হয় রম্য রচনা পড়া উচিত আমাদের। রম্য রচনায় আপনি লজিক খুঁজলে ঠকবেন। রম্য রচনা পড়লে উপকার কী হবে জানেন এটি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং মনের মাঝে আনন্দের সৃষ্টি করে। রম্য রচনা সাধারণত হাস্যরসাত্মক বা বোধগম্য ভাষায় লেখা হয়, যা পাঠককে আনন্দ দেয় এবং শিথিল রাখে। এটি সাধারণ জীবনের নানা সমস্যা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মজা করে, যা আমাদের নিজস্ব জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করে। রম্য রচনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে কী খুঁজি জানেন? পরিপূর্ণ নির্মল আনন্দ। এবং তাহলে মনে হয় বইটি আমার কাছে সঠিকভাবে ধরা দিয়েছে। এই বইটিতে লেখক শুরুতে গল্পের প্লটটা পরিচয় করিয়েছেন যে এটা কী ধরনের হতে পারে। চরিত্রদের পরিচয় দিয়েছেন। এবং এই অংশে আমার বোরিং লেগেছে বেশ। আগ্ৰহ পাচ্ছিলাম না লেখনীতে। তবুও ভাবলাম থাক দেখি না কী হয়। বাংলা সিনেমায় তো এমনি হয় শুরুতে বেশ ধীরে এগোয় গল্প। তো আমি এগোতে শুরু করলাম। এরপর আস্তে আস্তে কিন্তু কাহিনী পরিপক্কতা লাভ করেছে। লেখকের উদ্দেশ্য ছিল বইয়ের লেখনীতে তুলে ধরবেন বাংলা সিনেমার আইকনিক সেইসব দৃশ্য এবং চরিত্র। পাওয়া যাবে নষ্টালজিক একটা ফিল। এবং আমি এটা আসলেই খুঁজে পেলাম। হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনায় বাংলা সিনেমার বিখ্যাত ডায়লগ, চরিত্র নিয়ে লেখক চেষ্টা করেছেন রম্য জনরার বই উপহার দিতে। এবং আমি বেশ সন্তুষ্ট। হাস্যরসাত্মক দিক ছিল, ইমোশন, ড্রামা, রোমান্স, অ্যাকশনসহ ফুল একদম কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমার মতো। বাংলা সিনেমায় গালিগালাজ আছে। এবং এই ক্ষেত্রে যাদের আপত্তি আছে তাদের বলে রাখি যেহেতু এটা বাংলা সিনেমার ভাইব দিবে তো এগুলো আপনি পাবেন। আমার কাছে হাসির লেগেছে কিছু কিছু গালিও। বাকিদের কেমন লাগবে জানা নেই অবশ্য। লেখনী যদি আগের বইয়ের সাথে তুলনা করি বেশ কয়েক জায়গায় মিল থাকলেও আগের বইয়ের সাথে, লেখক এই বইয়ে চেষ্টা করেছেন রম্য ধাঁচে সিনেমাটিক গল্প দিতে। আমি মনে করি সে ক্ষেত্রে তিনি সফল। হাহাহা শুধু একটাই আফসোস একটাও গান ছিলো না নায়ক নায়িকার। যাই হোক এই বইয়ের সাথে ভালো সময় কেটেছে আমার। ?বইয়ের নাম: "পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি" ?লেখক: জামসেদুর রহমান সজীব ? প্রকাশনা: গ্ৰন্থরাজ্য ? ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.২/৫
Was this review helpful to you?
or
পূর্ণদৈর্ঘ্য ভেজালমার্কা বাংলা ছায়াছবি। তবে বিনোদনে ভরপুর। ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা সব সিনেমাহলে গিয়ে "জংলী", "বরবাদ", "চক্কর" আর "দাগী" দেখলো। আর আমি ঘরে বসে উপভোগ করলাম "পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি"। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার বন্ধুদের চাইতেও বেশি ভালো সময় কেটেছে।