User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
❝তবু আজ উছলে পড়ুক জায়নামাজেও ইনকিলাবের গান, আবেদের সিনায় সিনায় জাগ্রত হোক আমরা মুসলমান। আবারও গর্জে উঠুক আকসা জুড়ে ইন্তিফাদার গান, কুদসের গম্বুজে ওই কুরবানি হোক তামাম মুসলমান। যারা আজ ভাবছে হেসে- এই লড়াইয়ে ওরাই সফলকাম, তাদেরই কান-কুহরে পৌঁছিয়ে দে হাবিয়া পয়গাম। ওরা সব ভাবছে যাদের এই দুনিয়ার অভুক্ত মিসকিন, তাদের ওই গুলতিতে তুই দে লিখে দে শাহাদাতের দ্বীন। যেখানেই ভাঙছে ওরা শেখ জাররার ভাইবোনেদের ঘর, সেখানেই দে ফুঁকে দে ইস্রাফিলের শিঙ্গাতে তোর স্বর। তোরা দ্যাখ পুড়ছে আমার ফিরদাউসের কুব্বাতু সাখরা, জ্বলে ওঠ- দে গুঁড়িয়ে তেল আবিবের শয়তানি আখড়া। তুলে ফ্যাল ধুল-মরুতে রোপণ করা গারকাদি উদ্ভিদ, লাথি মার- নাশ করে দে জায়নবাদের দাজ্জালি উম্মিদ। কসম ওই আরশে আজিম অধীশ্বরের- শান্তি অনর্থক, রকেটের বিস্ফোরণে যাক পুড়ে আজ মুসার কবর তক।❞ ফ্ল্যাপঃ বর্ষার সাথে আমাদের সম্পর্ক সেই আদ্যিকালের। বৃষ্টি পড়লেই মেঠোপথ ডুবে যায় কাদায়; টিনের চালে টুপটাপ বাজে যন্ত্রসঙ্গীত; রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে খিচুড়ির ঘ্রাণ। শহুরে জানালার পাশে ধোঁয়া ওঠা গরম কফি নিয়ে বৃষ্টি দেখতে থাকে বিরহী কিশোরী। কানে গুঁজে থাকা ইয়ারফোনে বাজে পুরনো দিনের গান- 'এই মেঘলা দিনে একলা'। সেই বর্ষাই আবার আমাদের বুকে জ্বালায় বিদ্রোহের বারুদ। চির অবাধ্যতার এই বুলগাকপুরে বার বার গর্জে ওঠে প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত মেঘশাবকের পাল। স্বাধীনতার রক্তলাল পতাকা উঁচিয়ে ধরে বিপুল গৌরবে। বর্ষার বিরহ আর বর্ষার বিদ্রোহ এভাবেই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আমাদের এই মাতৃভূমিতে। আমাদের চোখের সামনেই বর্ষাকাল পরিণত হয় বর্ষাদ্রোহকালে। পাঠ্যানুভূতিঃ শেষ দেখার পর "নির্জনা" "দ্বিধা" গ্রাস করে সব ওয়াক্ত, প্রেমিকের জমানো "অভিমান" সব, কবিতায় হয় ব্যক্ত। প্রেমের মৌসুম শেষে, গুমোট বর্ষা গায় "ইন্তিফাদার গান", "আবরার ফাহাদ" "বারোয়ারি রাত"-এ আহ্বায় "দ্রোহের আজান"। "জ্বর" গায়ে জনতা, "যদি" "বিপ্লব তুমি উদ্ধত হও", " কিছুই না চেনা মেয়ে"ও বলবে, "ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়"। অগণিত "বৃথা চেষ্টা"র পর "ক্রীতদাস" বলে—"এক দফা"। " বিদায় নেওয়ার ক্ষণ"-এ "ভিজছে মুসাফির", মুক্তির " তৃষ্ণা", পাঞ্জেরী, কান পাতো পূবে, ও কীসের "পায়ের আওয়াজ"? বিজয়ী যোদ্ধার দল? বাঙাল মুলুকে নতুন "সূর্যোদয়"! মুক্ত আকাশ, ঐ দ্যাখো, দু'চোখ ভরে স্বাধীনতার সূর্য লাল, হাতে কবির শব্দে আঁকা দ্রোহ-প্রেম-প্রকৃতির মিশেল ❝বর্ষাদ্রোহকাল❞ ⇨বইঃ বর্ষাদ্রোহকাল ⇨কলমেঃ Tazrian Alam Ayaz ভাই ⇨প্রচ্ছদঃ মাইশা তাবাসসুম ⇨শব্দবিন্যাসঃ শামিমা অর্ণী ⇨প্রকাশনায়ঃ উপকথা প্রকাশন
Was this review helpful to you?
or
তাজরিয়ান আলম আয়াজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'বর্ষাদ্রোহকাল' বের হচ্ছে শুনে আমি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করি। রকমারিতে অর্ডার করে ফেলি, বই হাতে এলে উল্টাতে থাকি একেকটি পৃষ্ঠা। উৎসর্গের পাতা দেখে কিছুক্ষণ থেমে গেলাম, বুকটা ধুক করে উঠলো, শিরায় দোল খেলো উষ্ণতম রক্তের ধারা। নিজের প্রথম বই প্রিয়জন কিংবা কাছের মানুষদের নয়, তিনি উৎসর্গ করেছেন আমার বোন, শহিদ ফেলানীকে! "কী করে ভুলব আমি ফেলানীর শোক? কাঁটাতারে ঝুলে ছিল ষোলো কোটি লোক।" উর্দুকে বলা হয় কবিতা লেখার আদর্শ ভাষা, বাংলার সাথে নানা ভিনদেশি শব্দের প্রয়োগ মাধুর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই কারিগর, যিনি অদ্বিতীয়, পরম করুণাময়! সেই অসীম সত্তাকে তিনি ধারণ করলেন নিজের কবিতায়। দারুণ প্রেমময় সম্বোধন, শুদ্ধ আবেগের বাক্য, হৃদয় নিঙরে নেয়া চরণগুলো দিয়ে যেন আপনার চেয়ে আপন করে নিলেন সুমহান স্রষ্টাকে। অবশ্য কিছু কিছু কবিতা নিয়ে ধার্মিক মুসলিমদের মনে জাগতে পারে অভিযোগের তির। তবে সেগুলো চিন্তার খোরাক, রূপকার্থে লেখা। আমার মতে, এটুকু স্বাধীনতা একজন কবিকে দেওয়া উচিত, যিনি বহু সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে পারেন। আল্লাহ বলেছেন, আমার বান্দা আমার ব্যাপারে যেমন ধারণা পোষণ করে আমি তার জন্য তেমনই। স্বৈরাচার সরকারের বিরোধিতা আর সমালোচনাকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জুলাইয়ের সেই দুর্বিনীত দিনগুলোতে তাঁকে দেখেছি অসীম সাহস আর শানিত লেখায় বিপ্লবের অংশ হতে। আইবিএ তে পড়া এই যুবক চাইলেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতে পারতেন, কিন্তু বিবেক আর শিরদাঁড়া তাঁকে দ্রোহের আগুনের দিকে ঠেলে দেয়, এখানেই তাঁর কবিসত্ত্বার সার্থকতা। এমন কতো প্রতিবাদী প্রাণ হারিয়ে গেল - ভাবলে চোখ জ্বালা করে। জুলাই আর জুলুমের ভয়াবহ সেই অতীত বইটিতে অবধারিতভাবে এসেছে কবিতার আড়ালে। রোমান্টিক কবিতা রয়েছে প্রচুর। আমার বিশ্বাস, এই পঙক্তিগুলো মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাবে সময়ের সাথে। কোনোটি প্রেয়সীর বর্ণনা দিতে দিতে পৌঁছে গেছে আরশে আজিম অধীশ্বরের কাছে প্রার্থনার মিনতি হয়ে, আবার কোথাও নিরেট বিরহ। কবিতা পড়ার অভ্যাস না থাকলেও এই বই পড়তে আপনার ভালো লাগবে। ছন্দের শেকলে তিনি বুনেছেন স্বপ্ন, নিরাশা, আনন্দ আর স্মৃতির সনির্বন্ধ শিল্পকর্ম। কবিতার শব্দশৈলীর ব্যাপারে তাঁকে শুচিবায়ুগ্রস্ত বলা যায়, প্রত্যেকটি কবিতা সলিড ও এক্যুরেট। প্রায় পাঁচ বছর ধরে গড়ে তোলা বাগান থেকে সেরা ফুলগুলো বেছে নিয়েই যেন বইটি সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। সুতরাং, এই কাব্যগ্রন্থ আমার চোখে দশে দশ - আমি সুবিচার করেছি কি না তা না হয় আপনারাই পাঠ করে বিবেচনা করুন!
Was this review helpful to you?
or
??