User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ইসলামী নেতৃত্বের গুনাবলী লেখক : খুররম মুরাদ (লেখক পরিচিতি- তিনি ১৯৩২ সালে পাকিস্তানে জন্ম গ্রহন করেন। ইজ্ঞিনিয়ার ছিলেন উ.ঘ.উ বাঁধের রুপকার। হেরেম শরীফে তার নামে বাবে মুরাদ নামে একটি দরজা আছে। ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন।) প্রকাশনী : আধুনিক প্রকাশনী বিষয় : ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি, সুন্নাত ও শিষ্টাচার যে কাফেলা নিজের ও মানব সমাজের জীবনযাপনের জন্যে বিনির্মাণ করতে চায় একটি রাজপথ, তার কামিয়াবীর জন্যে স্বীয় ঈমান, ইয়াকীন, ইচ্ছা, সংকল্প, আমল, আচরণ এবং চরিত্র ও কুরবানীর সাথে সাথে তার একজন উৎকৃষ্ট সেনাপতিরও প্রয়োজন। যেমনি করে কাফেলার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য একটি মাত্র পদাংকই অনুসরণযোগ্য এবং তা হচ্ছে রাসূল মুস্তফার পদাংক। তেমনি, কাফেলার নেতার জন্যও সেই একই পদাংকের অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ ও কামিয়াবী, যা রেখে গেছেন প্রথম নেতা রাসূলুল্লাহ (স)। সত্য কথা বলতে কি, কাফেলার প্রতিটি সদস্যই কোনো না কোনো পর্যায়ের এবং কোনো না কোনো স্থানের নেতা। তাদের প্রত্যেকেরই সেই হেদায়াত ও পথনির্দেশর মুখাপেক্ষী যা রয়েছে নবী মুস্তফা (স)-এর পদাংকে। বিষয়বস্তুঃ করাচীতে জামিয়াতুল ফালাহর উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে “নেতা ও শিক্ষক হিসেবে নবী করিম (সাঃ)” শিরোনামে তার সীরাত ও আদর্শের আলোচনা করতে হয়। আর এ আলোচনা ই পরবর্তিতে বই আকারে বের হয়। প্রথমতঃ ইসলামী আন্দোলনে নেতার গুনাবলী কেমন হওয়া প্রয়োজন তা লেখক রাসুল (সাঃ) এর জীবনের আলোকে উপস্থাপন করেছেন। মুলতঃ রাসুল (সাঃ) এর নেতা হিসেবে কি গুনাবলী ছিল তাই তিনি তুলে ধরেছেন। মুল বইটিতে ৫ টি অধ্যায় রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ। রাসুল (সাঃ) এর দাওয়াত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য। নবী পাক (সাঃ) এবং দাওয়াতে দ্বীন। বিরুদ্ধবাদীদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরন। আন্দোলনের সাথীদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরন। প্রথম অধ্যায় রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ। ১- আদর্শ নেতা ও শিক্ষক। ২- কোরআন ও সীরাতে রাসুলের (সাঃ) সম্পর্ক। ৩- কোরআনে সীরাত অধ্যায়ের পন্থা। আদর্শ নেতা ও শিক্ষক। ১- রাসুল (সাঃ) হলেন সিরাজাম মুনীরা -আহযাব-৪৬ নূহ-১৬ নাবা-১৩ ২- রুহ ও আত্মার জন্য পরিতুষ্টির স্থান নেতা । ৩- আমল ও কর্মের জন্য আদর্শ। ৪- আদর্শ শিক্ষক। ৫- শিক্ষাদানই রিসালাতের বুনিয়াদী দায়িত্ব। ৬- রাসুল (সাঃ) কে জীবন কাফেলার সেনাপতি বানাতে হবে কোরআন ও সীরাতে রাসুলের (সাঃ) সম্পর্ক। ১- সর্বোত্তম সীরাত গ্রন্থ হলো কোরআন মাজীদ। ২- কুরআন সীরাতের নিখুত বর্ণনা আর সীরাত কুরআনের জীবন্ত মডেল। ৩- কোরআন পড়তে হবে শব্দের পরিবর্তে আমলী জীবনে। ৪- সীরাতের আলোচনা হবে কুরআনের আলোকে। কোরআনে সীরাত অধ্যায়ের পন্থা। কোরআনে যেসব হেদায়াত ও হুকুম এবং বিধান দেয়া হয়েছে , সেগুলো নবী (সাঃ) ও তার সাথী মুমিনদের বলা হয়েছে যে সব স্থানে “ইয়া আইউহান্নাস” আছে তা সমস্থ মানুষকে বুঝানো হয়েছে। ঘটনাবলী যেখানে আছে সেখানেই সীরাতের আলোচনা। কোরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা দেখি রাসুল (সাঃ) ইজতিহাদ করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায় রাসুল (সাঃ) এর দাওয়াত ও দাওয়াতের উদ্দেশ্য। ১. দাওয়াতের সম্পর্ক আল্লাহর সাথে -আলাক-১-৫ ইউনুস-৩৫ ২. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করা হয় - মুদ্দাস্সির। ৩. আল্লাহর বন্দেগীর প্রাধান্য - আনআম -১০৩ ৪. মিথ্যা খোদাদের বিরুদ্ধে জিহাদ। ৫. দাওয়াতের হেফাজত -ইউনুস-১৫ ৬. দাওয়াতের সকল অংগের প্রতি লক্ষ্যারোপ। তিনটি পদ্ধতিতে দাওয়াত দানঃ ১. আল্লাহর ভয় প্রদর্শন ২. আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া। ৩. আল্লাহর সু-সংবাদ দেওয়া। তৃতীয় অধ্যায়ঃ নবী পাক (সাঃ) এবং দাওয়াতে দ্বীন গুরু দায়িত্বের অনুভুতি ও সার্বক্ষনিক ব্যাকুলতা। ১. আল্লাহর কাজ মনে করার ধরন। ২. মালিকের তত্বাবধানে। ৩. মর্যাদা ও যিম্মাদারীর অনুভূতি। ৪. দুর্বহ কালাম। ৫. সার্বক্ষনিক ধ্যান ও পেরেশানী। স্বীয় প্রস্তুতিঃ এই কাজ গুলো করার জন্য ১. কোরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক। ২. জ্ঞান লাভের তীব্র আকাংখা। ৩. কিয়ামুল লাইল ও তারতীলুল কোরআন। ৪. যিকরে ইলাহী। ৫. সবর। চতুর্থ অধ্যায়ঃ বিরুদ্ধবাদীদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরন মৌখিক বিরোধীতা। মোকাবিলা এবং জেহাদ উত্তম নৈতিকতা। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে। তায়িফের ঘটনা। ৫ম অধ্যায়ঃ আন্দোলনের সাথীদের সাথে রাসুল (সাঃ) এর আচরন। রাউফুর রাহীম- মর্যাদা অনুভূতি ও নিবিড় সম্পর্ক। তা’লীম ও তাযকিয়া। পর্যবেক্ষন ও ইহতেসাব। যোগ্যতা ও সামর্থ অনুযায়ী আচরন। কোমলতা ও সহজতা। ক্ষমা ও মার্জনা। বিনয়। মনোবাসনাঃ সর্বশেষ লেখকের মনোবাসনা পেশের মাধ্যমে উপসংহার টানা হয়েছে। তিনটি বিষয়ে রাসুল (সাঃ) গুরুত্ব দিতেন- ১. মনোবৃত্তিতে ইখলাস। ২. সম্পদ কোরবানীর প্রবল আগ্রহ। ৩. জীবনের লক্ষ্যবিন্দু আখেরাত। - সম্পদ কোরবানীর মাধ্যমে মনকে পরীক্ষা করা যায়। - সম্পদ ব্যাতীত আন্দোলন চলেনা।
Was this review helpful to you?
or
কোনো বিশ্বাস ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের উপর মানুষকে একত্রে করে নেয়াটা সহজসাধ্য কাজ নয়। কিন্তু তার চেয়েও কষ্টসাধ্য কাজ হচ্ছে এর উপর তাদেরকে একত্র রাখাটা। অর্থ্যাৎ তাদের একজনের সাথে আরেকজনকে মজবুত বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখা। মালার মতো এক সুতায় গেঁথে এককে পরিণত করা। মেজাজে সমতা সৃষ্টি করা। আবেগ ও আকর্ষণকে জীবিত এবং স্থায়ী রাখা। আন্দোলনের চড়াই উতরাইয়ে উদ্দেশ্যের উপর অটল রাখা এবং মনযিলে মাকসাদের দিকে তাদের এগিয়ে নেয়া।ভাঙন ও বিচ্ছিন্ন প্রতিটি সংগঠিত এককের মধ্য সহজেই প্রবেশ তাকে দুর্বল করে দেয়। একতাবস্থায় একজন যোগ্য ও বিজ্ঞ নেতার কাজ হচ্ছে দাওয়াতে যারা লাব্বায়িক বলেছে তিনি তাদেরকে আন্দোলনে মজবুতভাবে একত্র করে রাখবেন। দাওয়াতে আন্দোলনের অন্তর্গত সম্মোহন এবং আন্দোনের নেতার চারিত্রিক গুণাবলী ছাড়াও পরিবেশের চাপ, বক্তৃতা, লিখিত প্রচার এবং শ্লোগান ইত্যাদি মানুষকে একত্র করা ও ভীড় জমানোর ব্যাপারে সফল হয়। কিন্তু এ জনতাকে এমন একটি সাংগঠনিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা এবং সেই শক্তিকে এমনভাবে কাজে লাগানো যে, তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালবাসা ও আন্তরিকতার সাথে নেতার সাথী হয়ে, থাকবে, এটা খুবই কঠিন কাজ।বস্তুত একাজের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নেতার প্রয়োজন। আর নবী করীম (স) এর সীরাত এরূপ নেতৃত্বের আদর্শ নমুনা। দুনিয়ার অন্যান্য নেতারও মানুষকে একত্র করে তাদের থাকে কাজ আদায় করেছেন। হক এবং বাতিল উভয় পথের নেতারই একাজ করেছে। কিন্তু সাধারণভাবে তাদের সহকর্মীরা আন্দোলনের কোনো না কোনো অধ্যায়ে পৌঁছে কিছু না কিছু অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কেবল মাত্র নবী বছর পর পর্যন্ত তাঁর প্রতি এতোটা অনাবিল আসক্ত অনুরক্ত যেমনটি আসক্ত অনুরক্ত ছিলো প্রথম দিন।