User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
গল্পের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী বার্তা।
Was this review helpful to you?
or
বই: কৈইলাস পুরের ঠাকুর লেখক: এম আলম অনুবাদক: আবু সেলিম রেজা জনরা: ট্র্যাজেডিধর্মী প্রেমেকাহিনী প্রকাশন: সপ্তর্ষি প্রকাশন রিভিউদাতা: আবু নাইম মিয়া কাহিনী সংক্ষেপ: উপনিবেশিক ভারতের ঐতিহাসিক পটভূমিতে 'কৈইলাস পুরের ঠাকুর' একটি মর্মান্তিক প্রেমের গল্প, যেখানে একজন দয়ালু ও প্রগতিশীল জমিদার অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর একমাত্র পুত্র গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে একটি ধনী ব্যবসায়ী মুসলিম পরিবারের মেয়ে শেফালি বেগমের প্রণয় ঘটে। কিন্তু তাদের ভালোবাসা তাদের প্রেমের বন্ধন ছিন্ন হয় তাদের পরিবারের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে। শেফালির বাবা, একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এবং গগনের বাবা ব্রাহ্মণ হিন্দু, আর গল্পের শুরু এখান থেকেই! কি হয়েছিল তাদের শেষ পরিণতি? জানতে পড়ুন বইয়ের শেষ পাতা পর্যন্ত। নামের স্বার্থকতা: কৈইলাসপুর গ্রামের জমিদার হচ্ছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুর পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকার হচ্ছে তার পুত্র গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। গল্পের মূল চরিত্র। আরেকটি মূল চরিত্র হচ্ছে শেফালি বেগম যিনি ধনী মুসলিম পরিবারের সন্তান। তাদের দুজনের প্রেমকাহিনী নিয়ে গল্প রচিত হয়েছে। গল্পের সাথে নামকরণের সামঞ্জস্য রয়েছে এবং ঠিকঠাক। চরিত্র বিশ্লেষণ: গল্পের অন্যতম প্রধান দু'টি চরিত্র হচ্ছে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুক এবং শেফালি বেগম। দুটো চরিত্রের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য ছিলো সবটা গল্পজুড়ে। এই দুটি চরিত্র তাদের অবস্থান থেকে ঠিকঠাক ছিলো এবং সব জায়গায় সমানভাবে আবর্তিত হয়েছে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও গোলাম মুর্তজা ছিলেন পিতার চরিত্রে। দুটো চরিত্রকেই সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং তাদের আচার ব্যবহারে কোথাও একটা মিল ছিলো এবং দুটো চরিত্রই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গিরি বালা ও আমিনা বেগমকে আদর্শ কোমলমতি মা এবং পতিপ্রাণা গৃহবধূরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে গল্পে। অমায়িক এবং সুন্দর দুটি চরিত্র। এই চরিত্রগুলো ছাড়াও আরো কিছু চরিত্র রয়েছে যেমন - রোকেয়া, রমেশ, হলদিরাম, জমিদার সুলতান মির্জা, আফসার মির্জা, নিকি বাঈসহ ইত্যাদি চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রকেই নিজ নিজ জায়গায় যথার্থভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পাঠপ্রতিক্রিয়া: কৈইলাস পুরের ঠাকুর বইটি রচিত হয়েছে একটি প্রেমকাহিনীকে নিয়ে যেখানে মর্মান্তিক প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে যেখানে প্রেমিক ও প্রেমিকা দুটো ভিন্ন ধর্মের মানুষ। কিন্তু কখনো প্রেম ভালোবাসা আর ধর্ম বর্ণ মেনে হয়না। এখানে এমনই একটি প্রেমের সাক্ষী হয়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি দেখে মনে হয়েছে এমনটা না হলেও পারত। তবে এটাই তাদের নিয়তি এবং এমনভাবে সমাপ্ত হয়েছে বলেই বোধহয় পড়ার পর রেশ রয়ে গেছে। পুরোটা গল্পই উপভোগ করেছি। কখনো তাদের আনন্দে সমবেত হয়েছি কখনো দুঃখে দুঃখবিলাস করেছি কিংবা কখনো সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করেছি। প্রেমে পড়ার মুহুর্ত থেকে ভালোবাসার সময়টা পর্যন্ত পুরোটা পরিবর্তন সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। সর্বোপরি ভালোই লেগেছে গল্পটা। কাহিনী সুন্দর ছিলো। কিছু ত্রুটি কিংবা সমালোচনা: অনুবাদ করা বই পড়তে আমরা অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি না কারণ অনুবাদের ধরনটা পছন্দ হয় বলে। তবে এই বইয়ের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা পুরোপুরি হয়নি। লিখার মান মোটামুটি ভালো ছিলো এবং অনুবাদকে অনুবাদের ধরণ মার্জিত। তবে আরেকটু ভালো হলে আরো বেশি ভালো লাগতো। তারপর বেশ কিছু শব্দের বানানে ভুল পেয়েছি। বইটা সম্পাদনার সময় আরেকটু খেয়াল রাখা দরকার ছিলো। পড়ার ক্ষেত্রে বানান ভুলটা খুব চোখে লাগে। তাই পরবর্তীতে এটা একটু দেখবেন। কিছু কিছু বাক্যে কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করার ফলে অতিরঞ্জিত হয়ে গিয়েছে তবে বেশ কিছু শব্দচয়ন বেশ ভালো ছিলো। ভালো লেগেছে। তারপর বইয়ে কিছু স্থিরচিত্র যোগ করা হয়েছে। এগুলোর মান উন্নয়ন করার চেষ্টা করবেন একটু। ছবিগুলো মানানসই লাগেনি আমার কাছে। আরেকটা জিনিস চোখে পড়লো প্রিন্টের সময় একটা ভুল করা হয়েছে যার কারণে গল্পটা পড়তে গিয়ে মাঝখানে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম পরবর্তীতে সেটা বুঝতে পেরেছি। ৬৯ পৃষ্ঠার পরে ৭৭পৃষ্ঠার মাঝের অংশের লিখাগুলো হবে। ৮২ থেকে ৮৮ পৃষ্ঠার লিখাগুলো রিপিট করে ৭০-৭৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছে। আমার মনে হয় পাতার বিন্যাসটা এভাবে হবে। লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি একটু দেখবেন৷ এছাড়া বাকি বিষয়গুলো আমার দৃষ্টিতে ঠিকই ছিলো। ভালো লেগেছে। পার্সোনাল রেটিং: ৮.৫/১০