User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
প্লট টা খুবি ভাল তবে রাইটার তার লেখায় গল্পটা খুব একটা জমাতে পারেনি।গল্পের শুরুটা আয়োজন করে হলেও শেষ টা যেন হয় একদম চট করে।মোটামুটি ধরনের বলা যায়।
Was this review helpful to you?
or
অতিপ্রাকৃত জনরার লেখা পড়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই পাঠকের কিছু চাহিদা থাকে। পাঠক এমন এক পর্যায়ে উন্নীত হতে চায় যেখানে পাঠকের মনে ভয়-ভীতির জন্ম নেবে, পাঠক গল্পের পরতে-পরতে অত্যাশ্চর্য-অব্যাখ্যাত সব বিষয়ের সম্মুখীন হবে এবং গল্পের কোনো এক পর্যায়ে এমন চমকপ্রদ কোনো ঘটনার কাছে গিয়ে পৌঁছাবে যে, পাঠক অভিভূত হয়ে যাবে। দুঃখের বিষয় মনোয়ারুল ইসলামের অতিপ্রাকৃত জনরার বই ‘তাহার বাড়ি অন্য কোথাও’ পড়ে এধরনের কোন অনুভূতিই হয়নি। একইরকম অনুভূতিহীন অবস্থা হয়েছিল লেখকের ইতোমধ্যে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া অতিপ্রাকৃত জনরার উপন্যাস ‘বকুল ফুল ট্রিলজি’ পড়েও। তবে, মূল বিষয় অন্য জায়গায়। এসব অনুভূতির বিষয় দূরে রেখে যদি লেখকের লেখা নিয়ে কথা বলি, তাহলে প্রথমেই যে দিকটা খুব চোখে লাগে তা হলো, লেখকের লেখায় অনেক অসঙ্গতি থেকে যায়। ‘বকুল ফুল’ পড়তে গিয়েও যেমন বেশ কিছু অসঙ্গতির সম্মুখীন হয়েছিলাম, ‘তাহার বাড়ি অন্য কোথাও’ পড়তে গিয়েও একই অবস্থা হয়েছে। ফলে বইটা পড়ে বেশ হতাশ হয়েছি। প্রথমে গল্পটি সম্পর্কে একটু ধারণা দেই— ঢাকার মেয়ে সুনন্দা ভদ্রা সরকারি ব্যাংকের চাকরির সুবাদে কুমারী নামক এক অজপাড়াগাঁয়ে গেছে, একা বাস করছে জনমানবহীন একটা পুরাতন বাড়িতে। এই বাড়িটি ছিল মূলত এক জমিদার বাড়ি। দেশভাগের আগ অবধি সেখানে জমিদার পরিবারের বসবাস ছিল। ১৮০০ সালে এই জমিদারির পত্তন হয় জমিদার বিষ্ণু রায়ের মাধ্যমে। বিষ্ণু রায়ের নাম থেকেই গ্রামের নাম হয় বিষ্ণুপুর, দেশভাগের পর গ্রামের নাম পালটে হয় কুমারী। তো এই বিষ্ণুপুর বা কুমারী গ্রামে—প্রথমে জমিদার বিষ্ণু রায়ের সময়ে, এরপর তাঁর নাতি অনুপ রায় ও বর্তমানের সুনন্দা—এই তিনটি ভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনা নিয়েই এগিয়েছে ‘তাহার বাড়ি অন্য কোথাও’ উপন্যাসের কাহিনি। প্রথমত, কাহিনিতে কোনো নতুনত্ব নেই, নেই জটিলতা বা চমকপ্রদ কোনো বিষয়; বইজুড়ে ভয় জাগাতে পারে এমন অনেক ঘটনা লেখক উল্লেখ করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু লেখকের দোষেই হোক অথবা চর্বিত-চর্বণের কারণেই হোক, পাঠক হিসেবে আমার বিন্দুমাত্র ভয় লাগেনি, কোন উৎকণ্ঠা জাগেনি, ভয়ের উৎস নিয়ে জাগেনি আগ্রহ। লেখকের বর্ণনাও পানসে লেগেছে। ধীরলয়ের অতিবর্ণনা ও ব্যাখ্যার ভারে এবং প্রয়োজন ছাড়া কিছু শাখার-প্রশাখার জন্য—শুধু গল্পের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু গল্পে কোনরকম বিশেষত্ব যোগ হয়নি। এবার আসি অসঙ্গতির প্রসঙ্গে। কয়েকটি অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে— ১. লেখক লিখলেন, ‘বিষ্ণুপুরের জমিদারি টিকেছিল আড়াই শ বছর। উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকেই আস্তে আস্তে কঙ্কাল বেরিয়ে যাচ্ছিল, সেটা একেবারেই শেষ হয়ে গেল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর।’—এখানে দুটো ভুল আছে। প্রথমত, কথাটা উনবিংশ শতাব্দী হবে না, হবে বিংশ শতাব্দী। উনবিংশ শতাব্দী মানে ১৮০১-১৯০০ সাল অবধি সময়কে বোঝায়, আর বিংশ শতাব্দী বলতে ১৯০১-২০০০ সাল পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। যদি উনবিংশ শতাব্দীর শুরতে (১৮০০ সালের শুরুতে) একটা জমিদারির কঙ্কাল বের হতে শুরু করে, তা শেষ হতে নিশ্চয় দেড়শ বছর লাগবে না। দ্বিতীয় ভুল হলো, জমিদারি আড়াই শ বছর টিকেছিল না, টিকেছিল দেড় শ বছর। গল্পের শেষেই তার উল্লেখ আছে। জমিদারির পত্তন হয়েছিল ১৮০০ সালের শুরুর দিকে, ১৯৪৭ সালে অবধি সেই জমিদারি টিকেছিল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে একই লাইনে লেখক দুটো বড়ো ভুল করে ফেললেন। এই ভুল ধরার জন্য শেষ অবধি যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, একটু মাথা খাটালেই বুঝে ফেলা সম্ভব। কারণ, মাত্র চার প্রজন্মের জমিদারির বয়স আড়াই শ বছর হয় না। ২. কাকতালীয়ভাবে জমিদারপত্নী অনুরাধা দেবী একাই তিন জায়গায় তিনটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছেন। ১৮৮৫ সালে এরকম অজপাড়াগাঁয়ের একজন মহিলার মুখে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করানো লেখকের অমনোযোগের পরিচয় বহন করে। তিনি এক জায়গায় জমিদারকে বলছেন, ‘আজ রেস্ট করুন’; এক জায়গায় বলছেন, ‘গেটের প্রহরীরা’; আরেক জায়গায় বললেন, ‘পাঁচ-ছয় মিনিট হবেই।’ রেস্টের জায়গায় আরাম বা বিশ্রাম, গেটের স্থলে দ্বার ও মিনিটের জায়গায় কিছুক্ষণ ব্যবহার করলেই হতো। যদিও সে কালে সময়ের এককের ক্ষেত্রে প্রহর, মূহুর্ত, দণ্ড, পল প্রভৃতি ব্যবহার করা হলেও, এই পাঁচ-ছয় মিনিট সময়কে কিছুক্ষণ বলে চালিয়ে দেওয়াই উত্তম। এর বাইরে এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, জমিদারপত্নী জমিদারকে ‘বাবু’ সম্বোধন করছেন। হাল আমলে অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী একে অন্যকে বাবু সম্বোধন করলেও কিংবা সেকালে গোমস্তা থেকে চাকর-বাকরেরা জমিদারকে ‘বাবু-বাবু’ করলেও, সে সময়ে স্বামীকে কোন নারী বাবু বলতেন না। আবার অনুরাধা কখনও জমিদারকে তুমি করে সম্বোধন করছেন, কখনও আপনি করে। স্বামীকে আপনি-তুমি দুই-ই বলা যায়; কিন্তু এক্ষেত্রে লেখক যদি বিষয়টা পরিষ্কার করতেন যে, অনুরাধা তাঁর স্বামীকে একেক সময় একেকভাবে সম্বোধন করেন, তাহলে বিষয়টা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেত। ব্যাখ্যা না থাকায় এটাকে লেখকের ভুল বলেই ধরে নিতে হচ্ছে। ৩. পুরোহিত গোপাল ঠাকুরের সাথে জমিদার অনুপ রায়ের কথোপকথনে অনুপ রায় বলছেন, ‘...লোক পাঠিয়ে ভিন গাঁ থেকে (আপনাকে ডেকে) নিয়ে আসতাম না।’ কথা হচ্ছে, পুরোহিত গোপাল ঠাকুর যিনি কিনা জমিদার বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরের তলকুঠিরিতে যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করছেন, জমিদারের জ্বরের সময় যিনি জোড়া পাঁঠা বলি দিলেন, মাত্র দুদিন পরেই তাকে আবার ভিন গাঁ থেকে ডেকে আনতে হবে কেন? গোপাল ঠাকুরকে তো ভিন গাঁয়ে যেতেও দেখা যায় না। ৪. গ্রামে সরকারি ব্যাংকের নতুন শাখার বয়স মাত্র দুই বছর হবে, সেই ব্যাংকের ম্যানেজার কী কারণে বিশ বছর ধরে এই গ্রামে বাড়ি করে বাস করছে তার কারণ অস্পষ্ট। লেখক লিখলনে— ‘এই গ্রামে তিনি আছেন বিশ বছর ধরে। এই বিশ বছরেও কোনো ঝামেলা হতে তিনি দেখেননি। তাই, এখানে বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন’—বাড়ি করার কারণটা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু বিশ বছর ধরে এই অজপাড়াগাঁইয়ে তিনি করেছেন টা কী? ম্যানেজারের মুখ দিয়ে সুনন্দাকে কেবল ঐ তথ্যগুলো জানানোর জন্যই ম্যানেজারকে বিশ বছর ধরে ইলেকট্রিসিটি বিহীন এই গ্রামে বসবাস না করালেই লেখক ভালো করতেন। ৫. একটি জিনে ধরা মেয়ে ও জিন ছাড়ানোর ঘটনা লেখক বর্ণনা করতে ব্যয় করেছেন প্রায় ছয়টি পৃষ্ঠা। সুনন্দা তখন ক্লাস নাইনে পড়ে, শহরে বড়ো হওয়া মেয়ে দাদার বাড়ি গেছে ঘুরতে। তো পাশের বাড়ির মেয়ে আনোয়ারার জিন ধরেছে, মৌলবি আসবে জিন ছাড়াতে। এই পুরো জিন ছাড়ানো ও তার আগের ঘটনা পাঠককে জানানোর জন্য লেখক শহরের একটা মেয়েকে আনোয়ারার বাড়িতে সারাদিন রেখে দিলেন। কারণ, এই অংশটা লেখক বর্ণনা করেছেন সুনন্দার স্মৃতি থেকে, সেটা বর্ণনা করার জন্যই সুনন্দাকে সারাদিন ধরে এই জিনে ধরা মেয়ের বাড়িতে থাকতে হলো। প্রথমত, জিনে ধরেছে বা জিন ছাড়ানো হবে এমন বাড়িতে এরকম অবিবাহিত একটা মেয়ের অবস্থান করাটা স্বাভাবিক নয়, এরকম বাড়িতে মেয়েরা এম্নিতেই যায় না, গেলেও অন্তত জিন ছাড়ানোর সময়ে থাকবে না; তার উপরে শহরের একটা নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে এভাবে সারাদিন ধরে জিন ছাড়ানো দেখবে, এটা মানা যায় না, যতই পাশের বাড়ি হোক। তবে এরকম ঘটনা ঘটা একেবারে অসম্ভব নয়, ফলে এটুকু মেনে নিলেও একটা বড়ো ভুল চোখ এড়ায় না—ঘটনার এক পর্যায়ে আমরা দেখি যে, আনোয়ারার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। এই বাঁধা অবস্থাতেও একবার আমরা দেখব যে, সে হাতের ইশারায় সুনন্দাকে ডাকছে! আরেক জায়গায় দেখব সে তার মায়ের হাত থেকে মিষ্টির বাটি কেড়ে নিয়ে গপাগপ মিষ্টি খাচ্ছে। এই দুইটি কাজের পূর্বে আনোয়ারার হাতের বাঁধন খুলে দেবার কোন নমুনা কিন্তু আমরা দেখতে পাই না। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো—জিনে ধরা ও জিনে ধরা ছাড়ানোর এই ছয় পৃষ্ঠার বর্ণনা মূল গল্পের আবহে কোন বিশেষত্ব যোগ করে না, বরং পাঠকের বিরক্তি উদ্রেক করা ছাড়া অন্য কোন কাজে এসেছে বলে মনে হয় না। এখানেই শেষ নয়। একটি স্বপ্ন দৃশ্যে সুনন্দার সাথে তার মৃত বান্ধবী শীলার দেখা হয়। এই স্বপ্ন দৃশ্য ও শীলার মৃত্যুর বর্ণনার জন্য ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সাত পৃষ্ঠা। সত্যি বলতে, এই অংশটুকু পরিপূর্ণ অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, কেবল বইয়ের আকার বৃদ্ধি করা ছাড়া এই অংশটুকুর বিশেষ কোন প্রভাব গল্পে ছিল না। একটি উপন্যাসে মূল ঘটনার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক অনেক উপগল্প-তস্যগল্প থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য কতটুকু কথা ও পৃষ্ঠা খরচ করা মানানসই সেটা লেখকের মাথায় রাখা উচিত। ৬. সুনন্দা ভদ্রা হিন্দু, কিন্তু অনেক জায়গাতেই বোঝা যায় না যে, সে আসলে হিন্দু না মুসলিম। যেমন, তার বাবার নাম রফিক ঠাকুর, ঠাকুরটুকু বাদ দিয়ে লেখক যখন তাকে রফিক সাহেব বলে সম্বোধন করেছেন, তখন তাকে আর হিন্দু মানুষ বলে মনে হয়নি। আবার সুনন্দার প্রেমিকের নাম সাবিত। সাবিতের মুসলিম হবার চান্সই বেশি। প্রেমিক মুসলিম হলে তা নিয়ে তাদের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা জটিলতা দেখানো যেত। আবার দেখা যায় সুনন্দা জিনেও বিশ্বাস করে। একটি জিনে ধরার ঘটনা দেখেই একজন হিন্দু জিনে বিশ্বাস করে ফেলবে বলে আমার মনে হয় না। আমার পরিচিত কোন হিন্দু জিনে বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না। হিন্দু-মুসলিম জটিলতার বাইরেও একটি ছোট ভুল আছে—এক দৃশ্যে দেখা যায় সুনন্দা সময় নিয়ে তুলসী তলায় সন্ধ্যা পূজা করছে। তুলসী তলায় সন্ধ্যা পূজা করা হয় না, পূজা ঠাকুর ঘরে করতে হয়। তুলসী তলায় কেবল সন্ধ্যাবাতি দেবার নিয়ম। এবার একটু প্রকাশনা নিয়ে কথা বলা উচিত। অন্যধারা থেকে প্রকাশিত ৩০০ টাকা মূল্যের ১৬০ পৃষ্ঠার বইটির প্রোডাকশন খুব ভালো—তবে বানানের বিষয়টি ব্যতীত। সুন্দর মলাট, ভালো বাঁধাই ও ঠিকঠাক কাগজে ঠিকঠাক প্রিন্ট হলেও, বইটি ভুল বানানে ভরা। দায়টা প্রুফ রিডারের কাঁধেই যায়। প্রুফ রিডার প্রকৃতই যদি প্রুফ রিডার হতেন এবং তিনি যদি মোটামুটি মানের বই পড়ুয়াও হতেন, তাহলে কেবল ভুল বানান নয়, যেসকল অসঙ্গতির কথা আমি বললাম, এগুলোও তাঁর চোখ এড়িয়ে যেত না। তবে প্রকাশকও এর জন্য সমান দায়ী। অন্যধারা থেকে প্রকাশিত লেখকের বকুল ফুল ট্রিলজিতেও ছিল অসংখ্য ভুল বানান। এত বানান ভুল মানা যায় না। এর দায় কিছুটা লেখকের ওপরেও বর্তায়। লেখক মনোয়ারুল ইসলামের লেখার ক্ষমতা আছে, প্রায় বিশটির মতো বই প্রকাশ করে সে ক্ষমতার প্রমাণ তিনি ইতোমধ্যেই দিয়েছেন। কিন্তু লেখার মানের দিকে লেখকের আরেকটু সচেতন হওয়া দরকার। এই ধরনের অসঙ্গতি পরিহার করতে না পারলে যেকোন গল্পই মানহীন হয়ে যেতে বাধ্য। এক্ষেত্রে লেখকের উচিত হবে, প্রতি বই মেলাতেই বই বের করার এবং একই মেলাতে একাধিক বই বের করার প্রবণতা থেকে দূরে সরে আসা। একইসাথে বই প্রকাশের অন্তত মাসখানেক আগে বইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা, কাছের কিছু সমালোচনা করতে পারে এমন পাঠককে দিয়ে বইটি পড়ানো। লেখক মনোয়ারুল ইসলামের সাথে আমার যেটুকু পরিচয় আছে, তাতে মনে হয়েছে মানুষ হিসাবে তিনি খুবই আন্তরিক, নিরহংকারী এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ফলে আমি তাঁকে বেশ পছন্দ করি এবং চাই লেখক হিসাবে তাঁর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি। আর তাই একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে তাঁর বইয়ের খোলামেলা সমালোচনা করতে দ্বিধা বোধ করিনি। আশা করি লেখক এই সমালোচনাটাকে সহজে গ্রহণ করবেন। লেখকের প্রতি শুভকামনা রইল। ২৬ এপ্রিল ২০২৫ দীপক কর্মকার
Was this review helpful to you?
or
শুরুর দিকটা প্রমিসিং হলেও শেষের দিকে এসে মনে হলো লেখক খুব জলদি কাহিনীটা শেষ করেছেন। যদি সাসপেন্স, ভয়ের দৌরাত্ম বজায় রাখা হত শেষ পর্যন্ত তাহলে অবশ্যই বইটা হরার জনরার অনবদ্য বই হতো
Was this review helpful to you?
or
বইটি সর্বপ্রথম মনে হয় আমিই নিলাম রকমারি থেকে। বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়েই মনে হয়েছে বইটা দারুণ হবে।বাকিটা পড়ার পরে রিভিউ দিবো।?